ভয়ঙ্কর সাইবার হামলা থেকে পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস! যে যে পথে ইরানকে জবাব দিতে পারে ইজরায়েল

Israel Iran Conflict: ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের এই অশান্তি লেগেছে বেশ অনেকদিন ধরেই। এর মধ্যে আবার ইরানকে মদত দিচ্ছে লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠি হিজবুল্লাহ। হামাসের পরোক্ষ উস্কানি তো রয়েইছে।

যে কোনও সময়েই ইরানের উপর নেমে আসতে পারে পাল্টা হামলা। প্রত্যুত্তর দিতে কোনও দিনই পিছিয়ে থাকেনি ইজরায়েল। আপাতত গোটা বিশ্ব কাঁপছে সেই আশঙ্কাতেই। গত শনিবার মধ্যরাতে ইজরায়েলের উপর হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েলকে নিশানা করে ধেয়ে আসে একের পর এর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও তার অধিকাংশকেই আকাশেই ধ্বংস করে শক্তিশালী ইজরায়েল। কিন্তু ইরানের এই হামলাকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ইজরায়েল। আর তার অর্থ যে কোনও সময় ইরানের উপর নেমে আসতে পারে ইজরায়েলি প্রত্যাঘাত।

গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইজরায়েল। যাতে ইরানে অন্তত ৭ জন সেনা আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই হামলার প্রতিশোধ নিতেই ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েলের প্রতিশোধস্পৃহা কোন পর্যায়ে যেতে পারে তা প্য়ালেস্টাইনে দেখেছে বিশ্ববাসী। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে গোটা গাজাকে ৬ মাসে গণকবরে পরিণত করেছে ইজরায়েলি সেনা। গাজায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার ছুঁই ছুঁই। হামাসকে পুরোদস্তুর শেষ না করা পর্যন্ত নিঃশ্বাস নেবে না ইজরায়েল।

এবার কি সেই পালা ইরানের। না, ইরান প্যালেস্টাইনের মতো দুর্বল দেশ কোনওকালেই নয়। তবে ইজরায়েলের আগ্রাসনকে ভয় পায় প্রায় গোটা দুনিয়া। ইরান ইজরায়েলে হামলা করার পরেই তড়িঘড়ি ওয়ার ক্যাবিনেট বা যুদ্ধ সম্পর্কিত মন্ত্রিসভার বৈঠক বসায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই ওয়ার ক্যাবিনেট প্রতিনিয়ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, ইজরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের। দিনের ২৪টি ঘণ্টাও যেন কম পড়ছে সেই কাজে। কার্যত ইরান থেকে উড়ে আসা ওই তিনশো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যেন আরও একটা ভয়ঙ্কর কোনও যুদ্ধের সূচনা করেই দিয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এরই মধ্যে আবার উত্তর ইজরায়লের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ওই হামলায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলার দায়ও নিয়েছে হিজবুল্লাহ। 

আরও পড়ুন: ইরানকে ‘সবক’ শেখাতে কতদূর যাবে ইজরায়েল? ভারতকেও ভুগতে হবে ফল?

শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ইজরায়েলের আকাশে ধেয়ে আসা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আকাশেই ধ্বংস করতে হাত লাগিয়েছিল ইজরায়েলের মিত্রদেশগুলিও। তার মধ্যে পুরোভাগে ছিল আমেরিকা। আমেরিকার তরফে ইজরায়েলকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে তারা যুদ্ধের পথে না হাঁটে। ইরানের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, যুদ্ধ চায় না তারা। ১ এপ্রিলে দামাস্কাসে হামলার বদলা নিতেই তাদের এই হামলা। ইজরায়েল এর পর তেমন কোনও পদক্ষেপ না করলে, যুদ্ধের পথে হাঁটবে না ইরান। কিন্তু ইজরায়েলের বর্তমান সরকার কার্যত সেখানকার সর্বকালের আগ্রাসী সরকার। ফলে ইরানের এই পদক্ষেপকে যে তারা কেউই মেনে নেবে না, তা শুধু প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুই নয়, হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরাও। ইরানকে সঠিক জবাব না দিয়ে পিছিয়ে আসা আসলে তাদের দুর্বলতা ও ব্যর্থতার প্রকাশ। যা পরবর্তীকালে দেশের শত্রুদের আরও বেশি করে মদত দেবে।

কিন্তু কী করতে চলেছে ইজরায়েল? গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। সেই হামলার বদলা হিসেবে হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধঘোষণা করে দিয়েছিল নেতানিয়াহু সরকার। শুধু গাজা নয়, ইজরায়েল অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক-সহ প্যালেস্টাইনের একাধিক জায়গা ছাড়খার করে দিয়েছে ইজরায়েলি শহর। সেই যুদ্ধের বিরাম নেই আজও। এর মধ্যে আরও একটা যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতির সামনে কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা ভেবেই ঘুম উড়েছে বিশ্বের তাবড় দেশগুলির। ইরানের হামলার বদলা নেওয়ার পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েল। ঘনিয়ে উঠছে একগুচ্ছ সম্ভাবনা।

অসংশোধিত তেল রফতানির জন্য বিশেষ খ্যাতির ইরানের। বিশ্বের বহু বড় দেশই ইরান থেকে তেল আমদানি করে ইরানের কাছ থেকে। গোড়া থেকেই ইজরায়েলের পাশে রয়েছে আমেরিকা। যুদ্ধের পক্ষে না থাকলেও, তেমন প্রয়োজনে ইজরায়েলেরই যে পাশে দাঁড়াবে বাইডেন সরকার, তা একরকম পরিষ্কার। যদিও ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে রাজি নয় আমেরিকা। ইরান অবশ্য বলেই দিয়েছে, ইজরায়েলের পক্ষপাতিত্ব করতে এলে সেই সব দেশগুলির বিরুদ্ধেও যুদ্ধঘোষণা করবে ইরান। ফলে সরাসরি ইরানের বিরোধিতাও করতে পারছে না আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত তেল আমদানিতেও কোনও রকম সীমারেখা টানেনি বাইডেন সরকার। কারণ সেটা হলে রুষ্ট হতে পারে চিন। চিন-আমেরিকার ঠান্ডা লড়াই লেগেই থাকে। আমেরিকায় ভোটের আর দেরি নেই। ফলে এই ভোটের মুখে মুখে চিন-আমেরিকা উত্তাপে মোটেও ধোঁয়া দিতে চাইছে না বাইডেন সরকার। ফলে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে একটা টলোমলো অবস্থায় রয়েছে আমেরিকা। ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো মিত্র দেশগুলি অবশ্য ইজরায়েলের পাশেই রয়েছে। এ নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু সেই সমস্ত কূটনৈতিক ভাবনার থেকেও বেশি ভাবাচ্ছে এখন বিশ্বকে ইজরায়েলের আগ্রাসনের চিন্তা। এবার কতটা ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হতে চলেছে ইজরায়েল?

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, ইরানের কৌশলগত লোকেশনগুলোকে নিশানা করতে পারে ইজরায়েল। তা হতে পারে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের একাধিক ঘাঁটি। হতে পারে ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। যা ইরানকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে। আর তা যদি হয়, ইজরায়েলে পাল্টা আঘাত করবেই ইরান। তখন আর তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। ফলে লেগে যেতে পারে যুদ্ধ। যাতে জড়িয়ে পড়বে আরব রাষ্ট্রগুলিও। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে আমেরিকা-ইউরোপের এই সংঘাত বিশ্বরাজনীতির জন্য খুব একটা ভালো কথা হবে না। কারণ এই যুদ্ধে বিশ্বের অর্থনীতির উপর বিরাট ছাপ ফেলতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনিতেই ইরান ইজরায়েলে হামলা করার পরেই শেয়ার বাজারে বড়সড় পতনের মুখে পড়েছে ভারত। আর যুদ্ধ লাগলে সেই পরিস্থিতি আরওই ভয়াবহ হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের এই অশান্তি লেগেছে বেশ অনেকদিন ধরেই। এর মধ্যে আবার ইরানকে মদত দিচ্ছে লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠি হিজবুল্লাহ। হামাসের পরোক্ষ উস্কানি তো রয়েইছে। আর এমন ভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার রেকর্ড কম নেই ইজরায়েলের। শুধু গাজায় ভয়ঙ্কর যুদ্ধই নয়। ১৯৮১ সালে ইরাকের একটি চুল্লিতে বোমা ফেলে ইজরায়েল। ২০০৭ সালে সিরিয়ার একটি পরমাণু কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েস। ইরানেও যে তেমন কোনও পদক্ষেপ করবে না নেতানিয়াহু সরকার, সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত হচ্ছে না। এমনিতেই ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে সম্ভাব্য হুমকি হিসেবেই দেখে ইজরায়েল। ইজরায়েল মনে করে, সেগুলিকে তৈরি করাই হয়েছে যুদ্ধাস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে। ইরানের বহু পরমাণু কেন্দ্রই রয়েছে মাটির তলায়। যার খবর পাওয়া ইজরায়েলের পক্ষে সম্ভব নয়। যদি না সেই কাজে বন্ধু-দেশকে সাহায্য করে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইরানে পাল্টা হামলায় ইজরায়েলকে কোনও রকম সহায়তা করবে না আমেরিকা। তবে শেষপর্যন্ত সেই কথা রাখবে তো আমেরিকা!

ইজরায়েলের সবচেয়ে নিকটবর্তী ইরানের পরমাণু কেন্দ্রটি হল বোনাব অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার। যা ইজরায়েলের মিত্র দেশ আজারবাইজানের দক্ষিণে ৫০০ কিলোমিটার দূরে। যদিও ইরানের সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্র এটি। তবে সেই বোনাব কেন্দ্রে সামান্যতম হামলাও যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে। ইজরায়েল সামরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দেশ। ফলে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে তা যে কাঁটো কা টক্কর হতে চলেছে, সে ব্যাপারে দ্বিধা নেই।

ইরানের সেনাঘাঁটিগুলিকেও নিশানা করতে পারে ইজরায়েল। সরাসরি আকাশপথে হামলা যেমন হতে পারে, তেমন ভাবে ইরানে সাইবার হামলাও চালাতে পারে ইজরায়েল। তাতে কম নাগরিকের মৃত্যু হবে, আর ইরানকেও কড়াবার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের প্রাক্তন সদস্যদের অনেকে অবশ্য তেমনটাই মনে করছেন। ইরানের মাটিতে ইজরায়েলের যে কোনও রকম ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই ইজরায়েলের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, এ কিন্তু প্রথম নয়। ইজরায়েলের প্রাক্ন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জানান, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০২২ সালে ইরানের একটি ড্রোনঘাঁটি নষ্ট করেছিল ইজরায়েবি বাহিনী। ইজরায়েলকে রক্ষার জন্য তাদের বিমানবাহিনী প্রস্তুত। ইজরায়ের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এতটাই মজবুত যে ইরানের সাম্প্রতিক হামলার একটি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রই ইজরায়েলের মাটি ছুঁতে পারেনি। সবক'টিকেই আকাশে ধ্বংস করেছে ইজরায়েল।

আরও পড়ুন: হামাসের কায়দায় ইজরায়েলে হামলা হিজবুল্লাহের, নতুন যুদ্ধের শঙ্কায় কাঁপছে বিশ্ব

বহু বছর ধরেই ইরানে সাইবার হামলার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়ে এসেছে ইজরায়েলকে। এমনকী ইরানের একাধিক পরমাণু-বিজ্ঞানীদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। যার দায় কোনওদিনই স্বীকার করেনি ইজরায়েল। ফের ইরানে গোপনে তেমনই কোনও ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাত হানবে না তো ইজরায়েল? যা প্রভাব ফেলবে দেশের পেট্রোল স্টেশন থেকে শুরু করে শিল্প, কারখানা, বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা প্রদানকারী সাইট, এমনকী সামরিক সাইটেও। উড়ান পরিষেবা বা পাওয়ার সাপ্লাইয়ের মতো পরিষেবাতেও যদি হামলা চলে, তা-ও ইরানের জন্য খুব একটা ভালো হবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ।

লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বা ইয়েমেনের হাউথি জঙ্গিগোষ্ঠী যে মদত দিচ্ছে ইরানকে, তা ভালো মতোই জানে ইজরায়েল। সেক্ষেত্রে ইরানে সরাসরি হামলার পরিবর্তে এই সব প্রক্সি গ্রুপগুলিকেও হামলা করার পথে হাঁটতে পারে নেতানিয়াহুর দেশ। সিরিয়া ও ইরাকেও এমন বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে, যারা ইরানের অর্থে ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে থাকে। হামাসের সঙ্গে লড়াই লাগার পর থেকেই হিজবুল্লাহের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই গুলিবিনিময় হয়েছে ইজরায়েলের। হাউথিদের থেকে উড়ে আসা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকেও গুলি করে নামিয়েছে ইজরায়েবলি সেনা। লোহিত সাগর সংলগ্ন ইজরায়েলি জাহাজগুলিতে লাগাতার হামলা চালিয়ে গিয়েছে তারা। ইরানের বিরুদ্ধে হামাসকে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফলে গাজায় চলে আসা যুদ্ধের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ইরানের সঙ্গে সংঘাতও। হামাসকে খতম না করে আগ্রাসন কমাতে কোনও মতেই রাজি নয় ইজরায়েল। এবার হামাসকে রুখতে কি ঘুরপথে ইরানের সঙ্গেই সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ইজরায়েল? নাকি ইরানকে কৌশলেই খতম করতে বেশি আগ্রহী নেতানিয়াহুর দেশ। সেই সব পরিকল্পনাই অবশ্য ছকে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রীর ওয়ার ক্যাবিনেট। যার ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহল।

More Articles