চিকিৎসকের মুখোমুখি: ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে যে পদক্ষেপ এখনই প্রয়োজন

Dengue Prevention: ডেঙ্গু নিয়ে সমস্ত অজানার নিরসন ইনস্ক্রিপ্ট-এর মাধ্যমে করলেন কলকাতার খ্যাতনামা চিকিৎসক-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অঙ্কুর ভট্টাচার্য।

১৯৫০ সাল। থাইল্যান্ড আর ফিলিপিন্স আতঙ্কের প্রহর গুনেছিল ডেঙ্গুর দায়ে। একের পর পর এক মৃত্যুও দেখেছিল বিশ্ব। ফের অতিমারী এসেছে, বারবার হাজির হয়েছে ডেঙ্গুও। মানুষ মরেছে। কিন্তু সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তেমনভাবে ফেরেনি আর! এবার করোনা স্তিমিত হতেই আবার ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গু! শুধু ভারতের উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য অথবা কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী কোনও জেলা হয়, ডেঙ্গু-র প্রভাবে ব্যস্ত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাংলাদেশ-সহ একাধিক দেশ। কিন্তু করোনা কাটিয়ে উঠলেও একাধিক মৃত্যু দেখার পরেও লড়াই চলেছে নিরন্তর। তাহলে ডেঙ্গু দেখে ভয় পাবেন আপনি? পিছিয়ে আসবেন এই ভাইরাসের মোকাবিলা করতে না পেরে? না কি আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হয়ে লড়বেন যুদ্ধ? কী করবেন, কেন করবেন, কখন করবেন! ডেঙ্গু নিয়ে আপনার মনের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর, সমস্ত অজানার নিরসন ইনস্ক্রিপ্ট-এর মাধ্যমে করলেন কলকাতার খ্যাতনামা চিকিৎসক-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অঙ্কুর ভট্টাচার্য।

ডেঙ্গু আসলে কী, কেন হয় রোগটি?
ডেঙ্গু একটি ভাইরাস। অর্থাৎ, এটি ভাইরাসঘটিত রোগ। মূলত, মশার কামড় থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হতে হয়। যে মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে এবং সেই মশার কামড় যদি কেউ খান, তাঁর ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কাদের বেশি?
মশার কামড় খাওয়ার সম্ভাবনা ঠিক যাঁদের যাঁদের বেশি, তাঁরাই আক্রান্ত হওয়ার তালিকায় অগ্রগণ্য। যেমন ধরুন, যিনি সারাক্ষণ কোনও ফাঁকা জায়গায় কাজ করছেন। অথবা মশার উপদ্রব রয়েছে এমন জায়গায় আছেন, মশার কামড় খাচ্ছেন, তাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন বেশি।

আরও পড়ুন: ওআরএস-এর জন্মদাতা! ডায়েরিয়া নিরাময়ে ইতিহাস গড়েছিলেন দিলীপ মহলানবিশ

কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বুঝবেন কীভাবে, কোন কোন উপসর্গ থাকলে বুঝতে হবে ডেঙ্গু হয়েছে?
সাধারণ জ্বরের মতোই এই রোগের মূল উপসর্গ জ্বর। অন্যান্য সময় যেমন জ্বর আসে তেমনই হবে প্রথমত। কিন্তু এর সঙ্গেই খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়ে। সেগুলো হল; প্রচণ্ড জ্বর, অর্থাৎ ১০১-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত শরীরের তাপমাত্রা উঠছে। এর সঙ্গে ভীষণ মাথা ব্যথা। বমি। চোখ লাল হয়ে যাওয়া। গায়ে অতিরিক্ত ব্যথা। প্রচণ্ড দুর্বলতা। খেতে সমস্যা। কখনও পরিপাকে সমস্যা। পেটের অসুবিধা। এগুলোর কোনও কিছুর মুখোমুখি হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এই রোগের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। বর্ষাকালের শেষের দিকটাই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। সেকথা মাথায় রেখে এই উপসর্গের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া উচিত।

এর চিকিৎসার পদ্ধতি কী? কীভাবে হয় সবটা?
প্রথমত, এই সমস্ত উপসর্গ দেখে কিছু রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। এই ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের জন্য, নিশ্চিত হওয়ার জন্য উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর রক্তের একাধিক পরীক্ষা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, এনএস-১ টেস্ট যদি প্রতিক্রিয়া দেখায়, যদিও সেটা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় না ডেঙ্গু আক্রান্তই হয়েছেন ওই রোগী। তবুও চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এখানে বলে রাখা ভালো ডেঙ্গু রয়েছে কি নেই, এই বিষয়ে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হতে গেলে রক্তের আইজিএম পরীক্ষা রয়েছে। সেখানে পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে অন্তত ৫ দিন সময় লাগে। কারণ, এর আগে ওই রিপোর্টে ডেঙ্গুর উপস্থিতি আসবে না।

তাহলে কী করণীয়?
এক্ষেত্রে আমরা অন্যান্য জ্বরের জন্য নির্ধারিত একাধিক পরীক্ষা যেমন; ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদির সঙ্গেই এনএস-ওয়ান পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট দেখে নিই আমরা। এর সঙ্গেই রক্তে প্লেটলেট কাউন্ট, পিভিসি অর্থাৎ প্যাকড সেল ভলিউম পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরে, রোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। উপসর্গের সঙ্গেই এনএস-ওয়ান সেখানে রিপোর্ট যদি পজিটিভ হয়, তাহলে রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে এমন ধরে নিয়েই চিকিৎসা শুরু হয়। তার আগে থেকেই জ্বরের চিকিৎসা চলবে।

ডেঙ্গুর কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে?
নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। তবে সবটা, অর্থাৎ জ্বর হলে তার চিকিৎসা, ডিহাইড্রেশন হতে না দেওয়া, বমি আটকে দেওয়া। অন্যান্য আনুষঙ্গিক সমস্যার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাতেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা সম্ভব। এভাবেই করা উচিত।

বাড়িতে বসেই চিকিৎসা সম্ভব?
হ্যাঁ। প্লেটলেট কাউন্ট ৫০ হাজার পর্যন্তও যদি থাকে। দেখা যায়, রোগীর আনুষঙ্গিক কোনও রোগ নেই। অসুবিধা নেই। শরীরে জলের মাত্রা এখনও ঠিক আছে। তাহলে বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব।

হাসপাতালে কখন ভর্তি হতে হবে?
শরীরে জলের মাত্রা কমলে। প্লেটলেট মারাত্মক কম হলে। সঙ্গে রোগীর যদি শরীরে আগে থেকে কোনও রোগ থাকে। কিডনি, লিভার, ক্যানসারের মতো বিভিন্ন সমস্যা থাকলে। আবার কেউ যদি একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, আবার হলেন সেক্ষেত্রেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

অর্থাৎ, দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু মানেই মারাত্মক বিপদ?
বারবার ডেঙ্গু-আক্রান্ত হলেই মারাত্মক বিপদ বলছি না। তবে অবশ্যই অন্যদের তুলনায় বিপদ বেশি! একাধিকবার একই ভাইরাসের আক্রমণ রোগীর সুস্থতায় খানিকটা বাধা দেয়।

মৃত্যুর সম্ভাবনা?
ডিহাইড্রেশনের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে। রোগীর কোমর্বিডিটি থাকলে। রক্তে প্লেটলেট কাউন্ট ক্রমশ কমতে থাকলে। ইন্টারনাল রক্তক্ষরণ হলে, মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক অঙ্গের কাজ করার ক্ষমতা কমে গেলেও এই সম্ভাবনা তৈরি হয়।

অর্থাৎ, বলছেন সঠিক সময়ে উপসর্গ বুঝে চিকিৎসা শুরু প্রয়োজন, না করলেই বিপদ?
একদম তাই।

হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলো না। কেউ বাড়িতেই থাকলেন, সেক্ষেত্রে তিনি কী করবেন?
বাড়িতে বিশ্রাম নেবেন। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তিনি যা যা ওষুধ খেতে বলেছেন, সেগুলো খাবেন। নিয়মিত ওআরএসের জল খাবেন। প্রচুর পরিমাণে জল এক্ষেত্রে ভীষণ প্রয়োজন।

যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, বা আগে থেকেই কিছু রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। তাঁদের ডেঙ্গু হলেই হাসপাতাল?
প্রথমবার ডেঙ্গু হলো, সমস্ত রিপোর্ট মোটামুটি ঠিক আছে, শরীরে জলের মাত্রা স্বাভাবিক- সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেও থাকা সম্ভব। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, নতুন করে কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, মূত্রের পরিমাণ ঠিক আছে কি না। ডায়াবেটিস রোগীদের ওআরএসের জল কম নিয়ে সাদা জল খাওয়া বাড়াতে হবে। ব্লাড প্রেসার বেশি থাকলে প্রয়োজনে নুন নিতে হবে। কিডনির রোগ থাকলে তাঁকে চিকিৎসকের পরামর্শে জল খেতে হবে। এসবের কিছু যদি অস্বাভাবিক লাগতে শুরু করে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

ডেঙ্গু নিয়ে অবহেলা নয়, চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলতে হবে?
হ্যাঁ। রোগ ফেলে রাখা বা নিজের মতো ওষুধ খাওয়ার জন্য নয়। সব বিষয়ের জন্য বিভিন্ন আলাদা আলাদা মানুষ রয়েছেন। সেইরকম রোগ হলে পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

শিশুদের ডেঙ্গু হলে?
প্রথমত, শিশুর যাতে ডেঙ্গু না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে আগে। মশার কামড় থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে শিশুকে। শরীরের যেটুকু আলগা থাকছে, সেখানে মশা নিরোধক কিছু ব্যবহার করতে হবে শিশুর জন্য। তাকে যেন মশা না কামড়ায়।

আর যদি এতসবের পরেও শিশুরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে কী করতে হবে?
যদি শিশুরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, তখন, উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে শীঘ্রই। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে আক্রান্ত শিশু থাকলে তার পর্যাপ্ত জল, খাবার, বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে যাতে মশা না কামড়ায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

কয়েকদিন পরেই স্কুল খুলবে। তখন শিশুদের সুরক্ষায় কী করবেন অভিভাবকরা?
স্কুলে যাতে বাচ্চাদের মশা বা যেকোনও পোকামাকড় না কামড়ায় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্কুলের। তবুও বাচ্চাদের সুরক্ষায় তাকে ফুল হাতা জামা, পা পর্যন্ত প্যান্ট। পা ঢাকা জুতো-মোজা পরিয়ে স্কুলে পাঠাতে হবে। এবং শিশুর শরীরের যে অংশ আলগা সেখানে মশা নিরোধক ক্রিম, তেল মাখিয়ে দিন। বাড়ি ফেরার পরে খেয়াল করুন, কোথাও মশা কামড়েছে কি না, বা শিশুর শরীর খারাপ লাগছে কি না। যদিও শীতকাল আসছে। তখন ডেঙ্গুর প্রভাব কমবে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত। বাড়িতেই রয়েছেন। দুর্বল শরীর। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তিনি কী কী করবেন?

খেয়াল রাখবেন আর যেন একটিও মশা আপনাকে, বা আপনার পরিবারের আর কোনও সদস্যকে না কামড়াতে পারে। খুব বেশি মশার উপদ্রব থাকলে মশারির মধ্যেই থাকুন। চেষ্টা করুন মশারির মধ্যে থাকা অভ্যাস করার। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের সঙ্গেই তরলজাতীয় খাবার বেশি খান। যা যা আপনি খেতে পারছেন, বেশি তেলমশলা ছাড়া খাবার। এর সঙ্গেই পর্যাপ্ত ঘুমোন। বিশ্রাম নিন। যতক্ষণ পারবেন টিভি, মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলুন। অসুবিধে না হলে চিকিৎসক বললে, অবশ্যই জ্বরের মধ্যেই স্নান করুন।

আর সেরে ওঠার পর?
মূলত, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মোটামুটি ১০-১৫ দিন লাগে সেরে উঠতে। একটা দুর্বলতা থাকে। সেটাও সেরে যায়। ভালো করে খাওয়া, ঘুম। বিশ্রাম আর চিকিৎসক ভিটামিনের অভাব কমাতে ওষুধ দিলে সেটা খেতে হবে।

তারপরই স্বাভাবিক কাজে ফেরা সম্ভব?
হ্যাঁ। সবটা সেরে গেলে। অবশ্যই যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আপনি রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফেরা সম্ভব।

আক্রান্ত হলে এতকিছু। কিন্তু যদি আক্রান্ত না হই! এটা নিশ্চিত করা যায় না?
অবশ্যই যায়। মশা আটকান। বাড়ির পাশে, বাড়ির ভেতরে পরিষ্কার জল জমা বন্ধ করুন। কোথাও জল জমলেই ব্যবস্থা নিন। পাশের বাড়িতে বা কোথাও এমন দেখলেও উদ্যোগ নিন। মশা মারার কীটনাশক স্প্রে, বাড়ির রেফ্রিজারেটর থেকে কুলার, সব ক্ষেত্রেই জল যেখানে যেখানে জমছে, সব জায়গায় নতুন করে মশা জন্মাচ্ছে। এর থেকেই ছড়িয়ে যাচ্ছে ডেঙ্গু। এইক্ষেত্রে সতর্ক হন। জানালা, দরজায় মশা আটকায় এমন জলের ব্যবহার করতে পারেন।

এর সঙ্গেই আপনাকে যেন মশা না কামড়াতে পারে, সেটাও নিশ্চিত করুন। হাত, পা ঢাকা জামা, প্যান্ট থেকে শুরু করে বাড়িতে মশার উপদ্রব কমানো, সবদিকে নজর দিন। তাহলেই ডেঙ্গু আসবে না। আক্রান্ত হবেন না। আর যাঁরা একবার আক্রান্ত হয়েছেন, অথবা বাড়িতে শিশুরা আছে, বৃদ্ধরা আছেন। তাঁরা তো আরও সতর্ক হোন। মশা তাড়ান, ডেঙ্গুকে হারান। এই স্লোগানে বাঁচা সম্ভব।

এই রোগের কোনও প্রতিষেধক রয়েছে?
ভাইরাস-ঘটিত রোগ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষেধক নিয়ে আলোচনা চলছে। গবেষণাও হচ্ছে। কিন্তু এখনও সেইভাবে আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রতিষেধক প্রয়োগ হচ্ছে কি না, আমার জানা নেই।

তাহলে ডেঙ্গু হলে কী করব, আর বাঁচতে গেলে শর্টকাট?
ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যান। রক্ত পরীক্ষা করান। বিশ্রাম নিন।পরামর্শমতো ওষুধ খান। জল খান। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হন। অবহেলা করবেন না। আর ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখুন নিজের, পরিবারের। মশা কামড়াতে দেবেন না কাউকে। যেখানেই হোক, যখনই হোক, মশায় না বলতেই হবে।

More Articles