বাড়ির হারিয়ে যাওয়া প্রাণ ফিরিয়ে আনবে অ্যাকোরিয়াম? বাস্তুবিদরা যা বলছেন...

আজকাল ঘর সাজাতে আমরা হরেক রকমের জিনিস ব্যবহার করি। অনেকেই বাছাই করে শো-পিস কেনেন। আবার ঘরের শোভা বাড়াতে অনেকেই শখ করে অ্যাকোরিয়াম কেনেন। অ্যাকোরিয়ামকে অবশ্য নিছক ঘর সাজানোর জিনিস বলে ধরতে রাজি নন বাস্তুবিদরা। বাস্তু শাস্ত্র মতে, মাছকে শুভ হিসেবে ধরা হয়। বাড়ির যে কোনও নেতিবাচক শক্তিকে দূর করতে পারে মাছ। আপনারা বাড়ির ইতিবাচক শক্তির উৎস হয়ে উঠতে পারে অ্যাকোরিয়াম। সামান্য পরিকল্পনাতেই জীবন খুশিতে ভরে উঠবে। জেনে নিন বাস্তু মতে অ্যাকোরিয়ামের খুঁটিনাটি তথ্য- 

বাস্তু মতে অ্যাকোরিয়ামের উপকারিতা

১.অ্যাকোরিয়ামের মাছ সম্পদবৃদ্ধিতে নাকি সাহায্য করে।

২. বাড়িতে শান্ত পরিবেশ তৈরি করতেও এর খ্যাতি রয়েছে । বাড়ির মানুষদের উদ্বেগ ও চাপ কমায় অ্যাকোরিয়াম কারণ এর মধ্যেকার মাছের দিকে তাকানো থেরাপির মত কাজ করে। 

৩.সাফল্য এবং সম্প্রীতির আধার হিসাবে বিবেচিত হয় অ্যাকোরিয়াম ।

৪.মাছগুলি সজীবতা ও ইতিবাচক শক্তিকে উপস্থাপন করে। 

অ্যাকোরিয়ামের সঠিক অবস্থান

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বসার ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা উচিত। যদি অন্য কোনও ঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে চান তবে এটিকে ঘরের উত্তর দিকে রাখতে পারেন। অফিসের প্রবেশ পথে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা যেতে পারে উত্তর বা পূর্ব দিক করে। উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পূর্বেও রাখা যেতে পারে অ্যাকোয়ারিয়াম। 

কোথায় রাখা উচিত নয় 

বাড়ির বেডরুম বা রান্নাঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা এড়িয়ে চলুন কারণ এর ফলে বাড়ির বাসিন্দাদের ঘুম বা খাবার-সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে হতে পারে। অ্যাকোয়ারিয়ামগুলি বাড়ির কেন্দ্রে রাখা ঠিক নয়, কারণ এতে আর্থিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। রৌদ্রোজ্জ্বল জানালার কাছেও অ্যাকোয়ারিয়াম রাখবেন না। বাড়ির দক্ষিণ দিকে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে তা সম্পদের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া মাছের অ্যাকোয়ারিয়ামটি সিঁড়ির নীচে রাখবেন না। টিভি বা স্পিকারের কাছাকাছিও অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার পরিকল্পনা এড়িয়ে চলুন। 

অ্যাকোয়ারিয়ামের আকার

বাড়িতে আয়তকার, বর্গাকার বা গোলকার অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে পারেন।তবে ত্রিভুজাকৃতির অ্যাকোয়ারিয়াম বাড়িতে না রাখাই ভালো।তবে খেয়াল রাখবেন যে আকারেরই অ্যাকোয়ারিয়াম রাখুন যেন তা সহজে পরিষ্কার করা যায়। 

কী মাছ রাখবেন অ্যাকোয়ারিয়ামে? 

কিছু মাছের প্রজাতি যা আপনার ভাগ্য বদলে দিতে পারে বলে মনে করা হয়:

১.অ্যারোওয়ানা বা ড্রাগন মাছ

২.গোল্ডফিশ

৩.ব্ল্যাকমুর

৪.প্রজাপতি কোই

৫.ফুলের শিং মাছ

৬.গাপ্পি মাছ

৭.কোরি ক্যাটফিশ

৮. অ্যাঞ্জেলফিশ

অ্যাকোয়ারিয়ামের কোনও মাছ স্বাভাবিক ভাবে মারা গেলে চিন্তার কারণ নেই। বাস্তু মতে, এটি আপনার বাড়ির কোনো সমস্যা নিয়ে চলে গেছে । 

More Articles