বিজেপি মানেই 'অশিক্ষিত'? বাজপেয়ী থেকে যোগী, কার দৌড় কতটা

BJP: একবার দেখে নেওয়া যাক বিজেপি নেতাদের সত‍্যিকারের যোগ‍্যতার বহর।

বারবার শোনা গেছে, কংগ্রেসেই নাকি ডিগ্রিধারী নেতাদের ভিড়। তাদের এই দাবি বহুদিনের। বিজেপিতে নাকি সেই অর্থে শিক্ষিত নেতা নেই। একবার দেখে নেওয়া যাক বিজেপি নেতাদের সত‍্যিকারের যোগ‍্যতার বহর।

অটলবিহারী বাজপেয়ী
হিন্দি, ইংলিশ এবং সংস্কৃতে তিনি গোয়ালিয়রের ভিক্টোরিয়া কলেজ (মহারানি লক্ষ্মীবাই গভর্নমেন্ট কলেজ) থেকে বিএ পাশ করেন। এরপর কানপুরের ডিএভি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ করেন।

এল কে আদবানি
সেন্ট প্যাট্রিক্স হাই স্কুলে তাঁর পড়াশুনোর শুরু। স্কুলের পাট চুকিয়ে তিনি বম্বে ইউনিভার্সিটি থেকে আইন নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেন।

আরও পড়ুন: আফতাব একা নয়, যোগীরাজ্যেও প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো, রাজ্যে রাজ্যে কেন বাড়ছে এই ধরনের অপরাধ?

মুরলীমনোহর যোশী
তিনি বিএসসি করেন মীরাট কলেজ থেকে। এরপর এম.এসসি করেন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পেকট্রসকপিতে ডক্টরেট করেন। তিনি হিন্দি ভাষায় ফিজিক্সে একটি রিসার্চ পেপার প্রকাশ করেন। পি.এইচ.ডি শেষ করে তিনি এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে শুরু করেন।

সুষমা স্বরাজ
আম্বালার সনাতন ধর্ম কলেজ থেকে তিনি ব্যাচেলার ডিগ্রি অর্জন করেন সংস্কৃত এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। এরপর পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়েন। হরিয়ানার ভাষা বিভাগ আয়োজিত রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় পরপর ৩ বছর তিনি সেরা হিন্দি বক্তা নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টেও সাংসদ সুষমার বক্তব্য শোনার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকতেন।

অরুণ জেটলি
তাঁর প্রথম পাঠ দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে। দিল্লির শ্রীরাম কলেজ থেকে তিনি কমার্সে গ্র্যাজুয়েশন করেন। এরপর তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকালটি অফ ল থেকে এল.এল.বি পাশ করেন।

নীতীন গড়কড়ি
নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম এবং এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনাথ সিং
গোরক্ষপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ফিজিক্সে মাস্টার্স করেন। তাঁর ঝুলিতে ফার্স্ট ডিভিশন রেজাল্টের গৌরব আছে।

অমিত শাহ
সিইউ শাহ সায়েন্স কলেজ থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে বি.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেন অমিত শাহ।

নরেন্দ্র মোদি
ডিইউ (ওপেন) থেকে মোদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এ পাশ করেন।

দেবেন্দ্র ফড়নবিশ
নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গভর্নমেন্ট ল কলেজ থেকে তিনি আইনে গ্র্যআজুয়েশন করেন। এরপর বিজনেস ম্যানেজমেন্টে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন। জার্মানির ডিএসই-জার্মান ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট মেথডস অ্যান্ড টেকনিকস অফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে ডিপ্লোমা করেন।

নির্মলা সীতারমন
তিরুচিরাপল্লির সীতালক্ষ্মী রামাস্বামী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর জেএনইউ থেকে একই বিষয়ে এম.এ এবং এম.ফিল করেন।

এস জয়শঙ্কর
ডিইউ-র অধীনে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে তিনি রসায়নে গ্র্যাজুয়েশন করেন। এরপর রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ও এমফিল করেন। জেএনইউ থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর পিএইডি করেন। তিনি আইএফএস অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

অশ্বিনী বৈষ্ণব
ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যোধপুরের জেএনভিইউ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। তিনি স্বর্ণপদক অর্জন করেন। এরপর আইআইটি কানপুর থেকে এম.টেক করেন। ২০০৮ সালে তিনি আমেরিকা যান। সেখান থেকে এমবিএ করেন।

সম্বিত পাত্র
ওড়িশার সম্বলপুরে বীর সুন্দর সাই ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ থেকে এমবিবিএস করেন। এরপর তিনি কটকের উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনারেল সার্জারিতে এমএস করেন।

কে আন্নামালাই
পিএসজি কলেজ অফ টেকনলজি থেকে পড়া শেষ করে যান ম্যানেজমেন্ট পড়তে। সেই পাঠ শেষ করেন আইআইএম লখনউ থেকে।

মনোজ সিনহা
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিটেক এবং এমটেক ডিগ্রি অর্জন করেন।

ডক্টর সুভাষ রামারাও
মুম্বইয়ের গ্রান্ট মেডিক্যাল থেকে এমবিবিএস করেন।

জিতেন্দ্র সিং
বিখ্যাত ডায়বেটলজিস্ট। প্রাক্তন অধ্যাপক। তিনি চেন্নাই থেকে এমবিবিএস এবং জম্মু গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমডি করেন।

হর্ষ বর্ধন
কানপুরের গণেশশঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেন। পরে একই প্রতিষ্ঠান থেকে সার্জারিতে মাস্টার্স করেন।

পীযূষ গোয়েল
সারা ভারতে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট এর পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালেয় আইনের পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। স্কুলিং মুম্বইয়ের ডন বস্কো।

জয়ন্ত সিং
দিল্লি আইআইটি থেকে বি.টেক। ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পলিসিতে মাস্টার্স করেন।

জেনারেল ভিকে সিং
ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্য়াজুয়েশন করেন। ডিফেন্স স্টাডিজে এম.এসসি করেন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ভোপালের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইডি।

যোগী আদিত্যনাথ
উত্তরাখণ্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্ক শাস্ত্রে ব্যাচেলার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
ডিইউ-তে প্রথমে ভর্তি হয়ে পরে চলে যান হার্ভার্ড। সেখান থেকে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেস থেকে এমবিএ করেন।

শিবরাজ সিং চৌহান
ভোপালের বারকাতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এম.এ গোল্ড মেডিলিস্ট। পেশায় তিনি কৃষিজীবী।

কীরেন রিজেজু
তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল সেন্টার থেকে আইনে স্নাতক পাশ করেন।

বসুন্ধরা রাজে
তামিলনাড়ুতে তাঁর স্কুলিং। এরপর মুম্বই থেকে তিনি অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

হরদীপ সিং পুরী
হিন্দু কলেজ থেকে ইতিহাসে বি.এ এবং এম.এ পাশ করেন। সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে অধ্যাপনার কাজও করেন। তিনি ব্রাজিলে ভারতের দূত ছিলেন।

মীনাক্ষী লেখি
হিন্দু কলেজ থেকে বি.এস.সি এরপর ইউনিভার্সিটি অফ দিল্লি থেকে এলএলবি। তিনি পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

সুধাংশু ত্রিবেদী
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তিনি পিএইচডি করেন। এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এম গান্ধী চিত্রকূট বিশ্ববিদ্যালয়।

পুস্কর সিং ধামাই
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনসস নিয়ে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি।

এই তালিকায় একবার চোখ বোলালে বলা যেতেই পারে এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়! অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের বহরে সবাই যেন পরস্পরকে টেক্কা দিচ্ছেন।

More Articles