এক হাতে রিভলবার, অন্য হাতে চিঠি! মাঝমাঠেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন ফুটবলার

Suicide of a Footballer: ফুটবলের ইতিহাসে তার থেকে বেশি গোল কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ করেনি। ফ্রিদেহাইশের মোট গোল ১৩২৯, আর পেলের ১২৭৯।

কৃষ্ণাঙ্গরা

দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে, ১৯১৬-য়, উরুগুয়ে ৪-০ গোলে হারাল চিলেকে। পরদিন চিলের প্রতিনিধিরা খেলা বাতিলের দাবিতে গোঁ ধরে বসল। ওদের বক্তব্য, "উরুগুয়ের দলে দু'জন আফ্রিকার খেলোয়াড় ছিল।" ওই দু'জন হলো ইসাবেলিনো গ্রাদিন আর হুয়ান দেলগাদো। সেদিনের খেলায় চারটের মধ্যে দুটো গোল গ্রাদিনেরই ছিল।

গ্রাদিনের জন্ম মন্তেভেদিয়োতে, সেই মান্ধাতার বাপের আমলে উরুগুয়েতে আসা কোনও ক্রীতদাসের নাতিপুতির উত্তরপুরুষ ছিল সে। কিন্তু গ্রাদিন যখন চমকে দেওয়ার মতো প্রবল গতিতে বল পায়ে দৌড়ত, মানুষ স্টেডিয়ামের আসন ছেড়ে অবধারিতভাবে উঠে দাঁড়াত। বলের উপর তার এতটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল যে ওর ভাবভঙ্গি দেখে মনে হত যেন বল পায়ে হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছে। একবারের জন্যও না থেমে সে প্রতিপক্ষকে টপকে গিয়ে গোল করে আসত। গ্রাদিনের মুখখানা ছিল লুক লিখিত সুসমাচারের দেবদূতেদের মতো, ফলে খেলার মাঠে ও অন্যায় কিছু করতে পারে এমন ভাবনাও কারও মাথায় আসত না। হুয়ান দেলগাদোও গ্রাদিনের মতোই হলদে হয়ে যাওয়া ইতিহাসের কোন কালে ক্রীতদাস হয়ে আসা কারও উত্তরপুরুষ, জন্মেছিল উরুগুয়ের প্রত্যন্তে ফ্লোরিডা শহরে। যেকোনও উৎসবে ঝাঁটা নিয়ে নেচে ও সবাইকে তাক লাগিয়ে দিত, আর বল নিয়ে নাচত মাঠে নেমে। ওর আরেকটা আশ্চর্য অভ্যেস ছিল। খেলতে খেলতে বকবক করে প্রতিপক্ষকে উত্যক্ত করা। হয়তো বলটা উপরের দিকে মেরে সামনের খেলোয়াড়কে বলল, "যা না, তোর দলের বাকি মালগুলোকে ডেকে নিয়ে আয়"। আর গোলে মারার আগে হয়তো গোলকিপারকে বলল, "ঝাঁপ মার, ঝাঁপ মার, মাটিটা খুউব নরম"।

সেকালে, একমাত্র উরুগুয়ের জাতীয় দলেই দু'জন কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় ছিল।

সামোরা

সে ফার্স্ট ডিভিশন খেলতে শুরু করে ষোলো বছর বয়সে, তখনও হাফপ্যান্ট ছাড়েনি। বার্সেলোনার এস্পানিয়োল ক্লাবের হয়ে মাঠে নামার আগে পর্যন্ত ইংরেজদের মতো উঁচু কলারের শার্ট পরত, হাতে দস্তানা, আর মাথায় একটা শক্ত টুপি। যেন হেলমেটের মতো তাকে রোদ্দুরের সঙ্গে সঙ্গেই যাবতীয় ঝড়ঝাপটা থেকে বাঁচাবে। সেটা ১৯১৭ সালের কথা, তখনকার দিনে খেলোয়াড়রা গোলন্দাজের মতো শট দাগত। সেদিক থেকে ভাবলে রিকার্দো সামোরা সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বেছে নিয়েছিল। তখনকার দিনে গোলকিপারের চাইতেও বেশি বিপজ্জনক কাজ ছিল রেফারির, সেকালে যাদের ‘নাজারিন’ বলে প্রথম যুগের ধর্মান্তরিত ইহুদিদের কথা স্মরণ করা হতো। বেচারাদের জন্য না ছিল মাঠের চারপাশে বেড়া, না ছিল বসার জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা, ফলে উন্মত্ত দর্শকের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। এদিকে প্রত্যেক গোলের পরেই শুরু হয়ে যেত লম্বা বিরতি, পিলপিল করে দর্শক মাঠে ঢুকে হয় বুকে জড়িয়ে ধরত, নইলে নাকে ঘুষি মেরে রাগ মেটাত।

সামোরার ওই পোশাক কিন্তু কালে-কালে বিখ্যাত হয়ে উঠছিল। ওকে দেখলে স্ট্রাইকারদের পেট গুড়গুড় করা শুরু হত। সামনে সে দাঁড়িয়ে আছে দেখলেই বাঘা বাঘা স্ট্রাইকারেরও খেল খতম! সামোরা গোলে দাঁড়ালে জাল যেন কুঁচকে ছোটো হয়ে যেত, আর বার পোস্টগুলো নিজেদের মধ্যে দূরত্বও কমিয়ে ফেলত।

লোকে ওকে বলত ‘অতিমানব’। কুড়ি বছর ধরে সামোরা দুনিয়ার সেরা গোলকিপার ছিল। সুযোগ পেলেই ঢুকুঢুকু কনিয়্যাক চালাত, দিনে তিন প্যাকেট সিগারেট ফুঁকত, আবার মর্জি হলে সিগারও টানত।

আরও পড়ুন- ১১ জন ফুটবলারকেই পাহাড়ের চুড়োয় দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছিল হিটলারের দল

সামিতিয়ের

সামোরার মতোই জোসেফ সামিতিয়েরও ষোলো বছর বয়সে ফার্স্ট ডিভিশনে খেলতে শুরু করে। ১৯১৮-য় সে বার্সেলোনায় সই করেছিল অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে এমন ডায়ালের একটা ঘড়ি আর ওয়েস্ট কোট সমেত একটা সুট পাবে বলে। অমন ঘড়ি সে তার আগে কখনও দেখেনি। কিছুদিনের মধ্যেই সামিতিয়ের বার্সার প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠল। রাস্তার দু'ধারে হোর্ডিংয়ে আর কিয়স্কের পোস্টারে পোস্টারে তার জীবনী সাঁটা হতে থাকল শহর জুড়ে। ক্যাবারে গায়িকাদের ঠোঁটে উঠে এল তার নাম, মঞ্চগুলোতে তাকে নিয়ে গজল্লা চলতে লাগল, খবরের কাগজের খেলার পাতায় সাংবাদিকেরা সামোরা আর সামিতিয়েরকে ‘ভূমধ্যসাগরীয় শৈলী’র ফুটবলের জনক বলে প্রশংসা করতে শুরু করল।

সামিতিয়ের ছিল স্ট্রাইকার, গোলার মতো শট নিত। ওর মতো চালাক খেলোয়াড়ও খুব কমই ছিল। যুক্তি-টুক্তির বিশেষ ধার ধারত না, বলকে রীতিমতো পোষ মানিয়ে রাখত নিজের পায়ে। ১৯২০-র অলিম্পিকে দ্বিতীয় হওয়ায় যত তাচ্ছিল্য জুটেছিল, সেসবই সে পায়ের জাদুতে মহাকালের অতলে ডুবিয়ে দিয়েছিল।

নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মাঠ

আবদন পোরতে উরুগুয়ের ক্লাব নাসিওনেলের জার্সি গায়ে দিয়ে চার বছরে দুশোর বেশি ম্যাচ খেলেছিল। অনেক হাততালি কুড়িয়েছে জীবনে, দর্শক উল্লাস করেছে তার খেলা দেখে। যতদিন না তার ভাগ্য রাহুর কোপে পড়ে। একসময় তাকে শুরুর একাদশে না রেখে বদলি খেলোয়াড়ের বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হল। সে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় উদগ্রীব ছিল, কোচের কাছে মিনতি করেছিল এবং ফিরেও এসেছিল প্রথম একাদশে। কিন্তু পরিস্থিতির বিশেষ বদল হল না। তার খেলা তখন পড়তির ঢালে, দর্শকরাও আওয়াজ দিতে শুরু করল। রক্ষণে খেলার সময় একটা কাছিমও তাকে অনায়াসে টপকে যাবে বলে মনে হচ্ছিল, ফরোয়ার্ডে খেলতে গিয়েও সে কোনও গোল করতে পারেনি।

১৯১৮-র গ্রীষ্মের শেষে আবদন পোরতে নাসিওনাল স্টেডিয়ামেই নিজেকে শেষ করে দেয়। সবুজ মাঠের মধ্যিখানের যে জায়গাটা ছিল দুনিয়ায় তার সব থেকে প্রিয়, মধ্যরাত্রে মাঠের সেই মাঝখানটাতেই দাঁড়িয়ে সে রিভলবারের ট্রিগার টিপে দেয়। তার অনেক আগেই স্টেডিয়ামে শেষ আলোটাও নিবে গেছে। গুলির আওয়াজও কেউ শুনতে পায়নি।

ভোরে তার মৃতদেহ চোখে পড়ে। তার এক হাতে ছিল রিভলবার, অন্য হাতে একটা চিঠি।

আরও পড়ুন- মহিলাদের যাতে অসম্মান না হয়, তাই সর্বাঙ্গ ঢাকা জামা পরে মাঠে নামতেন ফুটবলাররা!

ফ্রিদেহাইশ

উরুগুয়েকে ১-০ হারিয়ে ব্রাজিল ১৯১৯-এ দক্ষিণ আমেরিকার সেরার মুকুট ছিনিয়ে নেয়। উচ্ছ্বসিত জনতা সেদিন স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে হিউ দে জেনেইরোর রাস্তায় নেমে এসেছিল। সেদিনের উদযাপনের সামনের সারিতে যারা ছিল, তারা আকাশে তুলে ধরেছিল কাদামাখা একজোড়া ফুটবল খেলার বুট। এই ছিল তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে ভালোবাসা জানানোর পন্থা; ‘ফ্রিদেহাইশের সোনায় মোড়া পা দু'খানি’। পরদিন ওই বুটজোড়া, যার আলতো ছোঁয়ায় জয়সূচক গোলটি এসেছিল, শহরতলির এক গয়নার দোকানের শো-কেসে সাজিয়ে রাখা হয়।

আর্তুর ফ্রিদেহাইশ ছিল এক জার্মান অভিবাসীর সন্তান, তার মা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ রজকিনী। আর্তুর এক নাগাড়ে ছাব্বিশ বছর ফার্স্ট ডিভিশন খেলে একটা আধুলিও রোজগার করেনি। ফুটবলের ইতিহাসে তার থেকে বেশি গোল কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ করেনি। না, আরেক ব্রাজিলীয় গোলন্দাজ পেলেও না। পেলে পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ফ্রিদেহাইশের মোট গোল ১৩২৯, আর পেলের ১২৭৯।

সবুজ চোখের এই বর্ণসংকর মানুষটিই ব্রাজিলীয় ফুটবল শৈলীর প্রাণপুরুষ। সে, কিংবা বলা ভালো তার পায়ে ভর করা শয়তানের আত্মা, ইংরেজদের বানানো খেলার রীতি রেওয়াজ তছনছ করে দিয়েছিল। বস্তির বাদামি চামড়ার গরিব মানুষের ছেলেপুলের ছেঁড়া কাঁথা গোল করে পাকিয়ে ফুটবল খেলার গল্পকে সে রূপকথায় পালটে নিয়ে সাদা চামড়ার বড়লোকেদের তৈরি জাঁকালো স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ে তাদের মনোরঞ্জন করে আসে। এই রূপকথা থেকেই জন্ম নেয় কল্পনাপ্রবণ এক শৈলী, যেখানে ফলের চাইতেও খেলার সুখ অনেক বেশি জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। ফ্রিদেহাইশের পর থেকে ব্রাজিলীয় ফুটবলে সমকোণ বলে আর কোনও বস্তু নেই। ঠিক যেমন হিউ দে জেনেইরোর পাহাড়েও নেই কিংবা নতুন ব্রাজিলের বিখ্যাত স্থপতি অস্কার নিয়েমারের নকশা করা কোনও বাড়িতেও সমকোণ নেই।

বর্জন থেকে বর্ণসাম্যের বাহার

১৯২১-এর দক্ষিণ আমেরিকা কাপের আসর বসেছিল বুয়েনস আইরেসে। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি এপিতাসিয়ো পেসোয়া সেসময় আচমকা এক হুলিয়া জারি করে। বলা হয়, জাতির ঐতিহ্য ধরে রাখতে নাকি ব্রাজিলের জাতীয় দলে কোনও বাদামি চামড়ার খেলোয়াড়কে রাখা যাবে না। ফলে ফ্রিদেহাইশ ওই টুর্নামেন্টে খেলতে পারল না। ব্রাজিলের ফুটবলে তখন কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য সব দরজা বন্ধ, বর্ণসংকরদের অবস্থাও তথৈবচ। এমনিতেই ফ্রিদেহাইশ ছিল পাক্কা লেট লতিফ, কারণ ড্রেসিংরুমে ওর কোঁকড়া চুল ইস্ত্রি করে পাট করতে আধঘণ্টা সময় লাগত। ওদিকে ফ্লুমিনেন্সের একমাত্র বর্ণসংকর খেলোয়াড় কার্লোস আলবের্তো, ফর্সা দেখাবে বলে মুখে আচ্ছাসে চালের গুঁড়ো ঘষত!

আরও পড়ুন- বলে লাথি কষিয়ে খানিক খোশগল্প, খানিক তামাক! যেভাবে চলত আদ্যিকালের ফুটবল

পরের দিকে কিন্তু ক্ষমতার মসনদে আসীন মানুষের চোখের সামনেই পরিস্থিতি পালটে গেল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলে জাতিগত কারণে আদ্যিকালের এইসব একুশে আইন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়ে খেলার মাঠে বর্ণসাম্যের বাহার ফুটে উঠল। ভাগ্যের ফেরে তারপর থেকে এমনই দাঁড়াল যে, ব্রাজিলের সেরা খোলোয়াড় মানেই কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা বর্ণসংকর মানুষ। সে ফ্রিদেহাইশ থেকে শুরু করে আজকের রোমারিও পর্যন্ত, মধ্যপথে এসেছে দমিঙ্গোস দা গিয়া, লেওনিদাস, জ়িজ়িনো, গ্যারিঞ্চা, ডিডি এবং পেলে। এরা সবাই দারিদ্র্যের সঙ্গে অসম লড়াই জিতে এসেছে, কেউ কেউ আবার জীবনের উপান্তে সেই দারিদ্র্যের অন্ধকারে ফিরেও গেছে। কিন্তু একটু অন্যদিকে তাকিয়ে দেখুন, ব্রাজিলের কার রেসিং চ্যাম্পিয়ানশিপে কিন্তু তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে টেনিসের মতোই কার রেসিংয়েও গাদা গাদা টাকা লাগে যে।

একথা কে না জানে, তামাম দুনিয়ার সামাজিক পিরামিডে কালোরা একেবারে নীচে পড়ে আছে আর সাদারা চূড়ায়। ব্রাজিলে একে বলে ‘জাতিগত গণতন্ত্র’। কিন্তু ফুটবল সেই বিরল একমুঠো গণতান্ত্রিক পরিসর যেখানে পায়ের জোরে সাদা চামড়ার মানুষের সঙ্গে সমানে সমানে লড়া যায়। সবটা না, খানিকটা দূর পর্যন্তই। অবিশ্যি কেউ কেউ তো সবসময়েই নিজের খেলার গুণে সাম্যবিন্দুর ওপারে বাস করে। সবার সমানাধিকার ঠিকই, কিন্তু যার ঘরে খাওয়া না-খাওয়ার খেলাই চলেছে সারাবেলা, সে তো ভরপেট খাওয়া খেলোয়াড়ের সঙ্গে কিছুতেই লড়তে পারবে না। তবু ফুটবলই গরিবের সন্তানের একমাত্র ভরসা যা সামাজিকভাবে তাকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়। আর সেটা হয় মূলত কৃষ্ণাঙ্গ আর বর্ণসংকরদের ঘরে, যাদের ফুটবল খেলা ছাড়া গতি নেই। ফুটবল তাদের কাছে রূপকথার ধম্মো-মায়ের মতো, যার উপর আস্থা রাখা যায়। হয়তো সেই মা একদিন খাবার সংস্থান করবে, হয়তো ছেলেটিকে একদিন নায়ক বানিয়ে দেবে, বলা যায় না, ভগবানও বানিয়ে দিতে পারে।

দারিদ্র্য তাদের ফুটবলার বানায়, নইলে অপরাধী। জন্মের পর থেকেই বাচ্চাটি বাধ্য হয় নিজের দুর্বলতাকেই অস্ত্রে রূপান্তরিত করে নিতে এবং সামাজিক স্থিতাবস্থার নামে যে ভণ্ডামি চলে, যা তাকে সব জায়গায় জোর করে হারিয়ে দিতে চায়, সে খুব ছোটবেলাতেই সেই সুসামাজিকতাকে ড্রিবল করে এগিয়ে যেতে শেখে। অবলীলায় খেলার যাবতীয় কৌশল রপ্ত করে। অভিনয়, বুজরুকি, চমক লাগানোয় ওস্তাদ হয়ে ওঠে। যেখানে তার থাকার কথাই নয়, সেখানে চৌকাঠ-সমেত দরজা উপড়ে ঢোকে। কোমরের আলতো দোলায় কিংবা হতচ্ছাড়াদের গানের খাতা ঢুঁড়ে নতুন কোনও সুর খুঁজে এনে শত্রুকে ছিটকে দেয়।

 

More Articles