কেন অসম্পূর্ণ জগন্নাথ মূর্তির হাত-পা? অলৌকিক সেই কাহিনি আজও রোমহর্ষক

জগন্নাথদেবের মন্দিরে চিত্রিত আছে নানা ছবি, প্রত্যেকটির এক একটি আখ্যান।

রহস্য-রোমাঞ্চ আর অলৌকিক ঘটনা আমরা কে না ভালবাসি! পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরও কিন্তু রহস্য-রোমাঞ্চ আর অলৌকিক ঘটনায় পরিপূর্ণ। জগন্নাথদেবের মন্দির নির্মাণের একটি পৃথক ইতিহাস আছে, যে ইতিহাস মোটামুটি আমরা সকলেই জানি। এমন কিছু ঘটনা ওই স্থানের সঙ্গে জড়িয়ে, যা আজও আধুনিক বিজ্ঞানকে চিন্তার আসনে আসীন করে রেখেছে, যার সমাধান আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানের কোনও পূজারী সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করে উঠতে পারেনি।

মালাবারের রাজা ছিলেন 'ইন্দ্রদ্যুম্ন', তাঁর পিতার নাম ছিল রাজা 'ভরত' আর মাতা হলেন 'সুমতি দেবী'।রাজেন্দ্র ইন্দ্রদ্যুম্ন একদিন স্বপ্নে ভগবান জগন্নাথের দর্শন পান। রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে জগন্নাথদেব আদেশ দেন, নীলাঞ্চল পর্বতের গুহায় ভগবান জগন্নাথদেবের একটি মূর্তি আছে। সেই মূর্তিটি নিয়ে এসে রাজা যেন মন্দির স্থাপন করেন এবং পূ‌জার্চনা শুরু করেন। স্বপ্নের মাধ্যমে আদেশ পেয়ে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন তাঁর সৈন্য ও অনুচরবর্গকে সঙ্গে করে ভগবান জগন্নাথদেবের মূর্তিটি খোঁজার জন্য নীলাঞ্চল পর্বতের দিকে রওনা হয়ে যান। রাজার অনুচরবর্গর মধ্যে মহারাজার ঘনিষ্ঠ এক ব্রাহ্মণ ছিলেন, তাঁর নাম ছিল বিদ্যাপতি। তিনি জানতেন যে, ওই স্থানে 'শবর' নামের নিচু জাতের কিছু লোক নীলমাধবের পূজার্চনা করে থাকেন। তিনি এও জানতেন, নীলমাধবের এই মূর্তিটিকে নীলাঞ্চল পর্বতের কোনও একটি গুহায় এই শবর জাতির লোকরা লুকিয়ে রেখেছে। শবর জাতির দলপতি ছিলেন পুরোহিত 'বিশ্ববসু'। বিদ্যাপতি ভালোভাবেই জানতেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন, বিশ্ববসুর সাহায্য ছাড়া সৈন্য-সামন্ত অনুচরদের দিয়ে হাজার চেষ্টা করেও মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন 'জগন্নাথদেব'-এর মূর্তি খুঁজে পাবেন না। বিশ্ববসু ছিলেন নীলমাধবের পরম ভক্ত। তিনি নীলাঞ্চল পর্বতের গুহায় লুকিয়ে নীলমাধবের পূজা করতেন। এদিকে মূর্তিটিকে কোনওভাবেই উদ্ধার করতে না পেরে মহারাজা এক উপায় অবলম্বন করলেন, তিনি বিশ্ববসুর কন্যা 'গুন্ডিচা দেবী'-কে বিবাহ করলেন। এরপর বিশ্ববসুর কন্যার সাহায্যে নীলমাধবের মূর্তিটি বিদ্যাপতি নীলাঞ্চল পর্বতের গুহা থেকে এনে মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্নর হাতে তুলে দিলেন। এদিকে উপাস্য আরাধ্য দেবতা চুরি যাওয়ায় বিশ্ব চরম ব্যথিত হলেন। ভক্তের এই কষ্ট দেখে নীলমাধব ইন্দ্রদ্যুম্নকে পুনরায় স্বপ্নাদেশ দিয়ে বললেন, নীলমাধবের মূর্তিটি যথাস্থানে রেখে আসতে। এদিকে তখন মন্দির নির্মাণের কাজ যথারীতি শুরু হয়ে গেছে। ভগবান জগন্নাথ ইন্দ্রদ্যুম্নকে আদেশ দিলেন, দ্বারকা নগরী থেকে একটি নিম গাছের গুঁড়ি ভাসতে-ভাসতে পুরীর সমুদ্রের কিনারায় এসে লাগবে। সেই নিম কাঠ দিয়েই তৈরি হবে তাঁর মূর্তি। পরদিন সকালে সমুদ্রতটে গিয়ে রাজা দেখলেন, সত্যিই একটা নিমগাছের গুঁড়ি ভাসছে। তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর লোকজনকে গুঁড়িটি ডাঙায় তুলতে আদেশ দিলেন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও সকলে মিলে সেই গুঁড়িটি ডাঙায় তুলতে পারল না। মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন সব বুঝতে পেরে নীলাম্বরের পরম ভক্ত বিশ্ববসুর কাছে গিয়ে গুঁড়িটিকে ডাঙায় তুলে আনবার জন্য অনুরোধ জানালেন। সকলে আশ্চর্য হয়ে দেখল, যে গুঁড়িটিকে হাজার লোক চেষ্টা করেও তুলতে পারেনি, বিশ্ববসু একাই সেটি কাঁধে করে নিয়ে জল থেকে তুলে আনলেন।

এরপর শুরু হল কারিগরের খোঁজ। নানা দেশ থেকে অনেক কারিগর এলেন, কিন্তু সাহস করে কেউ জগন্নাথদেবের মূর্তি তৈরি করার জন্য এগিয়ে এল না। তখন স্বয়ং বিশ্বকর্মা বৃদ্ধ কারিগরের রূপ ধরে এসে বললেন, আমি দারু মূর্তি বানিয়ে দেব, কিন্তু তিনটি শর্ত তিনি মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের সামনে রাখলেন।

আরও পড়ুন: স্বয়ং জগন্নাথের লীলা না কি অন্য অলৌকিক— পুরীর মন্দিরে যে রহস্যের উত্তর পাওয়া যায়নি আজও 

 

১) মূর্তি তিনি একা তৈরি করবেন। মূর্তি তৈরির সময় তিনি কারও কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য নেবেন না।

২) মূর্তি তৈরির সময় তিনি মন্দিরের দরজা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখবেন।

৩) মূর্তি নির্মাণের জন্য তিনি ২১ দিন সময় চাইলেন, ২১ দিনের মধ্যেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মূর্তি তৈরি করবেন। কিন্তু কেউ যেন তাকে বিরক্ত না করে।

মহারাজাকে তিনি বলে দিলেন, খাদ্য-পানীয় কিছুই তাঁর লাগবে না। তিনি উপবাসে থেকে মূর্তি নির্মাণ করবেন। মহারাজা বৃদ্ধ কারিগরের সকল শর্ত মেনে নিলেন,এরপর শুরু হল মূর্তি তৈরির কাজ।

Jagannath

মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে ছেনি-হাতুড়ির ঠুকঠাক আওয়াজ যতই বাইরে আসতে লাগল, মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ও মহারানি গুন্ডিচা দেবীর কৌতূহল ততই বাড়তে লাগল। ১৯ দিন কেটে যাওয়ার পর হাতুড়ির আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। মহারানি ও মহারাজা মনে করলেন, বৃদ্ধ কারিগর ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়ে হয়তো মারা গেছেন। তখন তাঁরা মন্দিরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলেন, আশ্চর্য হয়ে দেখলেন, গর্ভগৃহে কেউ নেই। কারিগর উধাও হয়েছে, অর্থাৎ বিশ্বকর্মা স্বয়ং অদৃশ্য হয়েছেন। মূর্তির কাজ অর্ধসমাপ্ত। মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ও রানি গুন্ডিচা দেবী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেন। মূর্তিগুলোর হাত এবং পা অসম্পূর্ণ। মহারাজা তখন "এটাই হয়তো ভগবানের ইচ্ছা", এই ভেবে সেই অসম্পূর্ণ মূর্তিই পুরীর মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করলেন।

জগন্নাথদেবের লীলামাহাত্ম্য বর্ণনা করা মানুষের অসাধ্য কাজ। প্রতি ১২ বছর অন্তর মূর্তির কাঠামো পরিবর্তন হয়। জগন্নাথদেব, দাদা বলভদ্র বা বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি নির্বাচন করা হয়। মূর্তি নির্বাচনের জন্য সকল গুণসম্পন্ন হতে হয়। জনশ্রুতি আছে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পান, কাঠটি কোথায় পাওয়া যাবে। জগন্নাথদেবের মূর্তি নির্বাচনের জন্য যে গাছটি নির্বাচন করা হয়, সেই গাছটিকে চার (৪) শাখাবিশিষ্ট হতে হয়। গাছটির নিচের অংশে গাছের শিকড়ে পিঁপড়ের ঘর অথবা সাপের গর্ত থাকতে হয়। গাছটির গায়ে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম ফুটে ওঠে। গাছটিকে কোনও শ্মশানে, তিন মাথার মোড়ে পাওয়া যায় অথবা তিনদিক পাহাড়বেষ্টিত কোনও স্থানে, যেখানে বেলগাছের সমন্বয় আছে। এই ধরনের নিমগাছের কাঠ জগন্নাথদেবের জন্য নির্বাচন করা হয়। মূর্তি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে, মূর্তি প্রতিস্থাপনের কর্মসূচি শুরু হয়। পুরোহিতরা কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে মূর্তি বদল করেন এবং একজন প্রধান পুরোহিত ছাড়া বাকি সকলেই এরপর গর্ভগৃহ থেকে বাইরে চলে আসেন। তখন সেই পুরোহিত জগন্নাথদেবের হৃদয় নতুন কাঠামোয় প্রতিস্থাপিত করেন। এই হৃদয় একটি ছোট্ট তুলতুলে খরগোশছানার মতো এবং তার ধুকপুকুনি অনুভব করতে পারা যায়, কিন্তু চোখে দেখা যায় না। মন্দিরের পান্ডারা বলেন, যিনি হৃদয় প্রতিস্থাপন করেন, তিনি এক বছরের ভেতর দেহত্যাগ করেন।

Jagannath Temple

 

জগন্নাথদেবের মন্দিরের সবচেয়ে রহস্যময় স্থান হল 'জগন্নাথদেবের রন্ধনশালা'। রন্ধনশালার ভেতরে সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। বাইরে থেকে ঘুলঘুলি দিয়ে দর্শন করা যায়। জগন্নাথদেবের রান্নাঘরে পর পর সাতটি মাটির পাত্রে ভোগ রান্না হয়। সমস্ত রান্নাটি হয় কাঠের জ্বালে। সাতটি মাটির পাত্র পরপর বসানো থাকে এবং আশ্চর্যের বিষয়, সবচেয়ে ওপরে যে পাত্রটি থাকে, সবার প্রথম সেই পাত্রের ভোগ রান্না সম্পূর্ণ হয় এবং সবার শেষে নিচের পাত্রটির ভোগ রান্না সম্পূর্ণ হয়। জগন্নাথদেবের ভোগ রান্নার দায়িত্বে থাকেন ৫০০ জন রাঁধুনি এবং ৩০০ জন সহকারী রাঁধুনি। ২৪০টি উনুনে এখানে রান্না হয়। কারও কারও মতে অবশ্য আরও অনেক বেশি উনুন এখানে আছে। উনুনগুলিতে প্রতিদিন মহাপ্রসাদ রান্না করা হয়। পুরীর জগন্নাথদেবের অন্নভোগকে মহাপ্রসাদ বলা হয়। জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লক্ষ ভক্ত ভোগ পেয়ে থাকেন। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে কখনও ভোগ কম পড়ে না অথবা ভোগ নষ্ট হয় না। মন্দির বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রান্নাঘরে অন্ন শেষ হয়ে যায়। এই অদ্ভুত ঘটনা জগন্নাথদেবের মহিমাকে গৌরাবান্বিত করে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী রামচন্দ্র পুরীর মন্দিরকে রক্ষা করার ভার পবনপুত্র হনুমানকে দিয়েছিলেন। কারণ বেশ কয়েকবার সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে পুরীর মন্দিরের ক্ষতি হয়। জনশ্রুতি শোনা যায়, স্বয়ং পবনপুত্র হনুমান মন্দিরের চূড়ায় অবস্থান করেন বলেই বাতাসে সেখানে ধাক্কা খায়, তার ফলে বাতাস এখানে উল্টোদিকে বয়। তাই দেখা যায়, মন্দিরের ধ্বজা হাওয়ার বিপরীতে উড়ছে। দেবীর মন্দিরের আরও একটি রহস্য হলো, মন্দিরের গম্বুজের শীর্ষে লাগানো সুদর্শন চক্রের চার দিশায় সমানভাবে দৃশ্যমান হওয়া। জগন্নাথদেবের মন্দিরের সুদর্শন চক্র-টিকে চারদিক থেকে দেখতে একইরকম মনে হয়। পৌরাণিক কাহিনিতে কথিত আছে, সমুদ্রের সঙ্গে সুভদ্রার বিবাহ স্থির হয়েছিল। সমুদ্র যখন সুভদ্রাকে বিবাহ করতে আসে, তার গর্জন শুনে সুভদ্রা ভয় পেয়ে দুই দাদার (বলরাম ও জগন্নাথদেব) মাঝখানে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। ভীত-সন্ত্রস্ত বোনকে দেখে জগন্নাথদেব সমুদ্রকে সেখানেই স্থির করে দিয়েছিলেন, এবং তার ফলে সিংহদ্বারের বাইরে পর্যন্ত সমুদ্রের গর্জন শোনা গেলেও সিংহদ্বারের ভেতরে পা রাখামাত্র সমুদ্রের গর্জন শোনা যায় না। গম্বুজের মাথায় বাতাস বিপরীতদিকে বয়ে যায় বলে কোনও পাখি গম্বুজের ওপরে দেখা যায় না এবং বিমান চলাচলের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে, তাই বিমান অথবা হেলিকপ্টার মন্দিরের ওপর দিয়ে যায় না। আরও একটি অদ্ভুত বিষয় হলো, পুরীর মন্দিরের গম্বুজের ছায়া কখনও মাটিতে পড়ে না।

এই মন্দিরের উচ্চতা ২১৪ ফুট। কিন্তু নিয়ম করে গম্বুজের শিখর থেকে শিবতিলকরঞ্জিত পতাকা সন্ধ্যার সময় নিচে নামানো হয়, এবং প্রতিদিন মন্দিরের প্রথা অনুযায়ী নিয়ম করে গম্বুজের মাথায় শিবতিলকরঞ্জিত পতাকা সকালবেলায় ছড়ানো হয়। এই নিয়মের যদি ব্যতিক্রম হয়, তাহলে আগামী ১৮ বছরের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। জগন্নাথদেবকে প্রতিদিন ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়। জগন্নাথদেব সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সারাদিন নানাবিধ ভোগ গ্রহণ করেন। এই ৫৬ ভোগ হলো:

উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি

নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু

খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর

দই

পাচিলা কাঁদালি অর্থাৎ টুকরো-টুকরো কলা

কনিকা অর্থাৎ সুগন্ধি ভাত

টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি

মেন্ধা মুন্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরনের কেক

বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক

মাথা পুলি অর্থাৎ পুলি পিঠে

হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক

ঝিলি অর্থাৎ এক ধরনের প্যানকেক

নারকেল দিয়ে তৈরি কেক

আদাপচেদি অর্থাৎ আদা দিয়ে তৈরি চাটনি

শাক ভাজা

মরিচ লাড্ডু অর্থাৎ লঙ্কার লাড্ডু

করলা ভাজা

ছোট পিঠা

অর্থাৎ দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি

আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি

বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে

পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত

খিরি অর্থাৎ দুধ ভাত

কদম্বা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি

পাত মনোহর মিষ্টি

তাকুয়া মিষ্টি

ভাগ পিঠে

গোটাই অর্থাৎ নিমকি

দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি

কাকারা মিষ্টি

লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট

আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি-পিঠে

চাড়াই নাডা মিষ্টি

খাস্তা পুরি

কাদালি বারা

মাধু রুচি অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি

সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক

পদ্ম পিঠে

পিঠে

কাঞ্জি অর্থাৎ চাল দিয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের মিষ্টি

দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত

বড় আরিশা

ত্রিপুরী

আকাড়া অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি

সুজির ক্ষীর

মুগা সিজা

মনোহরা মিষ্টি ও খাজা

মাগাজা লাড্ডু

পানা

অন্ন

ঘি ভাত

ডাল

বিশার অর্থাৎ সবজি

মাহির লাবরা

সাগানারিয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত

এছাড়া জগন্নাথদেবের শয়ানের আগে তাকে ডাবের জল দেওয়া হয়।

রহস্যে ঘেরা জগন্নাথদেবের মন্দির-এর কাহিনি এখানেই শেষ নয়। জগন্নাথদেবের মন্দিরের চারটি মূল দরজা, প্রত্যেকটি দরজার এক একটি কাহিনি আছে। জগন্নাথদেবের মন্দিরে চিত্রিত আছে নানা ছবি, প্রত্যেকটির এক একটি আখ্যান। জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি হলো, মহারানি গুন্ডিচা দেবীর বাড়ি। রথযাত্রার দিন জগন্নাথদেব গুন্ডিচা দেবীর বাড়িতে উপস্থিত হন।

 

তথ্য সূত্র: মন্দিরের পান্ডাদের সঙ্গে কথোপকথন

More Articles