কর্মী ছাঁটাই, ছুটি বাতিল! ক্ষমতায় এসেই টুইটার নিয়ে আসলে কী করতে চাইছেন এলন মাস্ক?

Elon Musk Twitter: সকলকে বলা হয়েছে, সপ্তাহের প্রতিদিনই অফিসে আসতে হবে এবং কাজ করতে হবে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে। যদিও তার জন্য ওই কর্মীরা যে ওভারটাইম বা অতিরিক্ত অর্থ পাবেন তেমন আশ্বাস দেওয়া হয়নি।

শীর্ষকর্তাদের চাকরি বাতিল থেকে শুরু করে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে অফিসের কাজের সময় বৃদ্ধি করা, টুইটার দখলের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন এলন মাস্ক। খানিকটা টুইটারের চরিত্রের মতোই সংক্ষিপ্ত তিনি, অথচ তাঁর সিদ্ধান্তগুলো বেশ কার্যকরী। তবে এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে কম সমালোচিত নন মাস্ক। ৪,৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটারকে কিনে নেওয়ার পরে এই বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাস্ক। জেনে নেওয়া যাক সেই সিদ্ধান্তগুলি কী কী?

১. ছাঁটাই হলেন সিইও পরাগ আগরওয়াল

২৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার টুইটার দখল করার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরাগ আগরওয়ালকে ছাঁটাই করেছেন বর্তমান সিইও এলন মাস্ক। নিন্দুকেরা দাবি করছেন, চলতি বছরের গোড়া থেকেই পরাগের সঙ্গে সমস্যা শুরু হয়েছিল মাস্কের। এছাড়া টুইটারের বহু একাউন্টের তথ্য তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেছিলেন মাস্ক। টুইটার দখলের পর পরাগ আগরওয়ালকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। চাকরির মেয়াদ ফুরোনোর আগে ছাঁটাই করা হলে চুক্তি অনুযায়ী বার্ষিক ১০ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি টুইটারের শেয়ার বাবদ সভা-কোটি ডলার পাওয়ার কথা পরাগের। অনেকে দাবি করছেন, এটা এড়াতেই ১ নভেম্বরের আগেই পরাগকে সরিয়ে দিলেন এলন মাস্ক।

২. আরও তিন শীর্ষকর্তা বরখাস্ত

পরাগের পাশাপাশি টুইটারের লিগাল এক্সিকিউটিভ বিজয়া গাড্ডে, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার নেড সিগাল এবং জেনারেল কাউন্সিল শিন এজেডকে বরখাস্ত করেছেন এলন মাস্ক। এদেরও সরানোর পিছনে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কাজ করছে বলে দাবি অনেকের।

৩. বোর্ড ভেঙে দিয়ে নিজে হলেন টুইটারের ডিরেক্টর

নিজের সংস্থায় কার্যত একনায়ক হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন এলন মাস্ক। যেরকমভাবে তিনি টেসলার একনায়ক, সেরকম ভাবেই এবার টুইটারের একনায়ক হবার চেষ্টায় তিনি। টুইটারের বোর্ড অব ডিরেক্টরস ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও নতুন বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত মাস্ক একাই ডিরেক্টর পদে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- এই ভারতীয়র নামে রয়েছে খুনের বিশ্বরেকর্ড, যার কারণে আজও ভুক্তভুগী ৬ কোটি মানুষ

৪. অর্থের বদলে পাওয়া যাবে ব্লু টিক

এতদিন পর্যন্ত টুইটারে ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টের জন্য প্রোফাইলের নামের পাশে একটা ব্লু টিক থাকতো। এবার থেকে এই ব্লু টিক পেতে হলে টাকা খরচ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন এলন মাস্ক। গোটা পদ্ধতির খোল নলচে বদলে দিয়ে নতুন করে টুইটারকে সাজানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। সূত্রের খবর টুইটারের ব্লু মেম্বার অর্থাৎ যাদের সাবস্ক্রিপশন রয়েছে শুধুমাত্র তাঁদের জন্যই এই ব্লু টিক ব্যাপারটি রাখা হবে। সাবস্ক্রিপশনের খরচ বেড়ে হতে পারে ১৯.৯৯ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় দেখতে গেলে ১৬০০ টাকা।

৫. সপ্তাহের প্রত্যেকদিন অফিস, ১২ ঘণ্টা করে কাজ

শীর্ষকর্তাদের মতোই সমস্যায় পড়েছেন টুইটারের বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের জন্য এলন মাস্ক একটি নতুন ফতোয়া জারি করেছেন যেখানে তাঁদের সকলকে বলা হয়েছে, সপ্তাহের প্রতিদিনই অফিসে আসতে হবে এবং কাজ করতে হবে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে। যদিও তার জন্য ওই কর্মীরা যে ওভারটাইম বা অতিরিক্ত অর্থ পাবেন তেমন আশ্বাস দেওয়া হয়নি।

কী চাইছেন এলন মাস্ক?

গত সপ্তাহে তিনি যখন টুইটার কিনে নিয়েছিলেন তারপর থেকেই বড় ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছিল যে, টুইটার পরিচালনার ক্ষেত্রে এবারে হয়তো বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে এলন মাস্কের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে প্রবল। প্রথমদিকে এলন মাস্ক যখন টুইটার কেনার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন তখন তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ডানপন্থী বা মধ্য ডানপন্থীদের কথা বলার প্লাটফর্ম হিসেবে একে দাঁড় করানো। এর জন্য তিনি ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাম হেঁকেছিলেন। তবে টুইটারের মালিক হওয়ার পর এখন তাঁর চাহিদা বদলে গিয়েছে। টুইটারকে কার্যকরী একটি ব্যবসায়িক প্লাটফর্ম হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন তিনি।

প্রথমদিকে প্রবল আগ্রহ দেখালেও মাঝপথে টুইটারের ভুয়ো একাউন্টের তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ দেখিয়ে পিছুটান দিয়েছিলেন এলন মাস্ক। তবে টুইটার কর্তৃপক্ষ নাটকীয়ভাবে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে এলন মাস্ককে টুইটার কিনতে বাধ্য করে কার্যত। কিন্তু ততদিনে মাস্ক তাঁর বিনিয়োগ সুরক্ষার জন্য সুস্পষ্ট ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছেন। জনগণকে বিনামূল্যে টুইটার ব্যবহার করতে দেওয়ার থেকে একে ব্যবসা-বান্ধব একটি সিস্টেম হিসেবে তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। তাঁর গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারধারী এবং টুইটারের বিজ্ঞাপনদাতাদের তিনি আশ্বস্ত করেছেন, টুইটারকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই গ্রহণ করেছেন তিনি।

টুইটারে নতুন মালিক হওয়ার পর এই তিনি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে অনেক ব্যবহারকারীর টুইটার অভিজ্ঞতা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই টুইটারের সম্পাদনার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। অর্থাৎ এই টুইট সম্পাদনার বিষয়টিকে তিনি বিশেষ বিষয় হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন। এই পদক্ষেপ অবশ্যই ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা করেই গ্রহণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে আদর্শের দিকের কোনও সম্পর্ক নেই। এমনিতেই টুইটার পরিচালনার দিক থেকে কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই অনেকটা লোকসানে চলে। এলন মাস্কের নতুন পদক্ষেপের ফলে টুইটার হয়তো আরও লোকসানের মুখে পড়তে পারে। তবে অনেকের যে ধরনের আশঙ্কা ছিল ঠিক ততটা লোকসান হয়তো হবে না।

টুইটার এখন দ্রুত পুরোপুরি ব্যবহারের অযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হতে পারে বলেও মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু একদিক থেকে দেখতে গেলে টুইটার থেকে ব্যাপক অর্থ আয় করার কথা ভাবতে হচ্ছে মাস্ককে। টুইটার আগে থেকেই বিশাল কোনও অর্থ আয়ের প্লাটফর্ম নয়। যেখানে তিনি ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার করে টুইটার কিনেছেন, সেখানে তাঁকে অবশ্যই ব্যবসায়িক দিকটা ভাবতে হবে। তবে এই পরিস্থিতি বদলাতে গেলে মাস্ককে নতুন নতুন দিকে ছুটতে হবে। প্ল্যাটফর্মেরএমন কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে যাতে টুইটারকে একটি ভিন্ন চেহারায় অনেকে দেখতে পান। টুইটার আর তার আগের বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারবে না। তবে, টুইটারে অবশ্যই আরও কিছু নতুন বিষয় যোগ করতে হবে।

এলন মাস্ক এখন যে পথে হাঁটবেন, তা টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছে এই প্লাটফর্মের মূল্য একেবারে শূন্যে নামিয়ে আনতে পারে। টুইটারকে ইন্টারনেটের আরও আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিবর্তে তিনি অর্থ আদায়ের দিকে ছুটতে শুরু করলে অনেকেই টুইটার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। যারা টুইটার এই মুহূর্তে ব্যবহার করেন তারাও হয়তো এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে চাইবেন না। তবে মাস্ক যদি টুইটারকে শুধুমাত্র অর্থ ছাপানোর একটি প্লাটফর্ম হিসেবে ভেবে থাকেন তাহলে হয়তো তিনি সমস্যায় পড়বেন। এমনিতেই পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে টুইটারের উপরে অতিরিক্ত চাপ দিতে শুরু করেছেন মাস্ক। এখন যদি টুইটারকে আরও বেশি লাভজনক করতে গিয়ে কোনও বিতর্কিত পদক্ষেপ তিনি করেন, তাহলে টুইটারের কিন্তু ভাগ্য ভালো হওয়ার জায়গায় খারাপ হতে পারে।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভার্জ, মাস্কের প্রাথমিক একটি ধারণার কথা তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের ভেরিফাইড থাকতে হলে ২০ মার্কিন ডলার করে দিতে হবে। যারা অর্থ দেবেন না, তাদের অ্যাকাউন্টের ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়া হবে। অর্থাৎ এলন মাস্ক সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, টুইটারে আর কিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেছেন, এবার থেকে টাকা দিলেই যে কেউ নিজেদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করে নিতে পারেন। তবে এর জন্য খরচ করতে হবে। এই ব্লু টিক যোগ করতে প্রতি মাসে পকেট থেকে খসাতে হবে কিছু ডলার।

অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করতে অর্থ গ্রহণ করার বিষয়টি এলন মাস্কে স্পষ্ট এবং পরিচ্ছন্ন একটি ব্যবসায়িক ধারণা। কিন্তু এখানে একটি সমস্যা রয়েছে। যারা নীল টিক পেয়ে থাকেন তাঁদের বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এই সুযোগ এখন গ্রহণ করতে পারবেন দুর্বৃত্তরাও। যে কেউ এই নীল ব্যাজ কিনে নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর কাজে টুইটার ব্যবহার করতে পারেন। এমনিতেই টুইটারকে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে বহু বছর ধরেই। এখন যদি এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে টুইটারের কাছে সমস্যা আরও বাড়বে এবং মানুষের আকর্ষণ হারাবে এই প্লাটফর্ম।

আরও পড়ুন- জঙ্গলে ঘেরা চৌরঙ্গি ছিল ডাকাতদের আখড়া!কলকাতার হাড়হিম সেই ইতিহাস অনেকের অজানা

টুইটারের এই ধরনের পদক্ষেপ গণমাধ্যমে তারকা ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। গণমাধ্যম এবং তারকাদের টুইট অনেক লোকজনকে এই প্লাটফর্মে টেনে আনে। তাঁরা এতদিন বিনামূল্যেই টুইট করতেন। কিন্তু এবার যদি বিনামূল্যে টুইট করতে না পারেন, তাহলে আর সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং তারকারা এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করবেনই বা কেন? ফলে তারকাদের টুইটার ছাড়ার প্রবণতা বাড়বে বই কমবে না।

মাস্ক যদিও বলেছেন, ভেরিফাইড থাকার বিনিময়ে বেশ কিছু অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ব্যবহারকারীকে। যেমন অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড হয়ে নীল টিক চিহ্ন থাকলে ব্যবহারকারীরা রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য বিবেচিত হবেন। পাশাপাশি কেউ মেনশন বা সার্চ করলে ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট আগে দেখাবে। পাশাপাশি ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লম্বা অডিও এবং ভিডিও পোস্ট করা যাবে। অর্ধেকের কম বিজ্ঞাপন দেখতে হবে ভেরিফাইড টুইটার ব্যবহারকারীদের।

বর্তমানে গণতান্ত্রিকভাবে টুইট ছড়ানো হয়ে থাকে টুইটার প্লাটফর্মে। যদি কেউ বেশি রিটুইট, লাইক এবং রিপ্লাই পেয়ে থাকেন তবে তাঁর টুইট অনেক বেশি ছড়িয়ে যায়। কিন্তু মাস্ক যে ধরনের টুইটারের ধারণা দিয়েছেন তাতে অর্থ ব্যবহার করে টুইট ছড়াতে হবে ব্যবহারকারীদের। অর্থাৎ যিনি বেশি অর্থ দেবেন তার পোস্ট বেশি অগ্রাধিকার পাবে। এই পরিকল্পনা মূলত টুইটারে যারা অর্থ দিয়ে বিজ্ঞাপন দেন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখন সকলের ক্ষেত্রেই এই একই ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে আসতে চলেছেন এলন মাস্ক। ফলে স্বভাবতই সাধারণ মানুষরা এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে চাইবেন না।

তবে টুইটারের আর্থিক অবস্থা ভালো করার জন্য আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করা। একদিকে কর্মী ছাঁটাই করে বাঁচানো অর্থ এবং অন্যদিক থেকে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আয় করে তিনি টুইটারকে রক্ষা করতে চাইছেন। কিন্তু এলন মাস্কের পরিকল্পনার মধ্যে কোথাও নেই যে, মানুষ এখানে কীভাবে সময় কাটাবেন। অর্থাৎ টুইটারের ভবিষ্যৎকে তিনি কার্যত অনিশ্চিত করে রেখেছেন। অবশ্য তিনি এর মধ্যেই ভাইন নামের একটি ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছেন। এর বাইরেও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে মাস্কের। তিনি এমন কিছু ফিচার ফিরিয়ে আনতে পারেন যাতে ব্যবহারকারীর বিরক্তি কাটিয়ে দরকারি অভিজ্ঞতা তাঁদের সামনে নিয়ে আসা হতে পারে। টুইটারের গ্রুপ তৈরি করার মতো বিভিন্ন ফিচার তিনি যুক্ত করতে পারেন নতুন আঙ্গিকে। এছাড়াও টুইটারের টুইক ডেকের মতো দরকারি টুল তিনি কাজে লাগাতে পারেন।

তবে এসবই ভবিষ্যতের ব্যাপার। টুইটারে এতদিন ধরে চলা ব্যবসায়ী সিদ্ধান্তের প্রতিটিতে তিনি যদি নাক গলাতে শুরু করেন তাহলে হয়তো টুইটারকে কঠিন সময় দেখতে হতে পারে। তিনি টুইটার কেনার সময় শেয়ার প্রতি ৫৪.২০ ডলার করে পরিশোধ করেছেন। কিন্তু এত অর্থ তিনি টুইটারের পেছনে ঢালতে রাজি ছিলেন না শেষ পর্যন্ত। তাই যাতে টুইটার আর্থিক লোকসানের মুখে না পড়ে তার জন্য তিনি বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু তিনি যদি লোকসান থেকে বের হতে পারেন তবে তা হবে ডানপন্থীদের তুষ্ট করার চেয়েও তাঁর ব্যবসায়ী কৌশলের জয়। তাই এলন মাস্কের জন্য কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ, সেটা তিনি যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করতে পারবেন তত দ্রুতই তিনি সাফল্যের দিকে এগোতে পারবেন। আর তাঁর হাত ধরেই এগোতে পারবে টুইটার।

More Articles