বিচারের আগেই মিডিয়া যে ভাবে 'অপরাধী' বানিয়েছে উমর খলিদকে

Umar Khalid: আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে জনমানসে উমরকে তারা দোষী সাব্যস্ত করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে বলে মত সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করার দায়িত্বে থাকা স্বাধ...

পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যে খবরের চ্যানেলগুলির দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যে। সেই পরিস্থিতিতেই দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা সমাজকর্মী উমর খালিদকে বিনা বিচারে অপরাধী ঘোষণার দায় বর্তাল একাধিক খবরের চ্যানেলের বিরুদ্ধে। আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে জনমানসে উমরকে তারা দোষী সাব্যস্ত করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে বলে মত সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করার দায়িত্বে থাকা স্বাধীন নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ডস-এর।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ঘিরে মাথাচাড়া দেওয়া দিল্লি হিংসার ঘটনায় ২০২০ সালে গ্রেফতার হন উমর। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া থেকে দিল্লি দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইনে (UAPA) মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। তারপর ২১ মাস কেটে গেলেও, আজও জেলবন্দি উমর। বার বার জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর। কিন্তু দিল্লি হিংসা মামলায় অভিযুক্ত কয়েক জনের সঙ্গে চেনাশোনা, পুলিসি পরিভাষায় ‘সন্দেহজনক’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্যতা ব্যাতীত উমরের বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ উঠে আসেনি। বরং হিংসার সময় উমর দিল্লিতে ছিলেনই না বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

কিন্তু দিল্লি হিংসা এবং সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে খবর করতে গিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল এ যাবৎ উমরকে জনমানসে দোষী সাব্যস্ত করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইন্দ্রজিৎ ঘোরপাড়ে নামের এক ব্যক্তি। নির্দিষ্ট করে চারটি খবরের চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেন তিনি - ইন্ডিয়া টিভি, আজ তক, জি নিউজ এবং জি হিন্দুস্তান। ২০২০-র নভেম্বর মাসে উমরের বিরুদ্ধে দায়ের অতিরিক্ত চার্জশিকে বোড়ে করে ওই চার চ্যানেলে যে সমস্ত আলোচনা এবং তর্ক-বিতর্কের আয়োজন হয়, তাতে অভিযুক্ত উমরকে দোষী হিসেবে দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন ইন্দ্রজিৎ।

চার চ্যানেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে দু’দফায় শুনানি করে নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ডস, ২০২১-এর ১৬ জুলাই এবং ২০২২-এর ৪ ফেব্রুয়ারি। তাতে অভিযোগকারী এবং ওই চার চ্যানেলের বক্তব্য শোনা হয়। সেই নিয়ে চলতি বছরের ১৩ জুন রায় দিতে গিয়ে নিয়ামক সংস্থা জানায়, দিল্লির হিংসা নিয়ে খবর করার অধিকার রয়েছে চ্যানেলগুলির। কিন্তু খবরের বিষয়বস্তু আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত ছিল। ফলে উমরকে দোষী হিসেবে দেখানো যাবতীয় ভিডিও তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চার চ্যানেলকে। উমরকে নিয়ে টিভির পর্দায় টিকার এবং ট্যাগলাইন চালায় তারা, সেগুলি চাঞ্চল্য সৃষ্টির অভিপ্রায়েই চালানো হয় বলে মত নিয়ামক সংস্থার। তার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

কোন চ্যানেলের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ

জি হিন্দুস্তান

অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ২০২০-র ২৪ নভেম্বর জি হিন্দুস্তান সম্প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমের জন্য ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটির তরফে বেঁধে দেওয়া নৈতিকতা লঙ্ঘিত হয়েছে। তাতে দিল্লি পুলিশের দায়ের করা অতিরিক্ত চার্জশিট তুলে ধরে পক্ষপাতমূলক খবর দেখানো হয়েছে। উমর অথবা দিল্লি পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ার সমালোচকদের মতামত তুলে ধরা হয়নি। বরং উমরের বিরুদ্ধে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংকে গুঁড়িয়ে ফেলার সময় এসেছে’ বলে মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া হয়। ‘দিল্লিতে আগুন জ্বালিয়েছেন যাঁরা, দেশ তাঁদের পরিকল্পনায় আগুন ধরিয়ে দেবে’, ‘দিল্লি দাঙ্গার মূলচক্রী উমর খালিদ’, ‘দিল্লিকে পোড়াতে চেয়েছিলেন উমর?’, এমন টিকারও চালানো টিভির পর্দায় তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ।

মুক্তচিন্তার অধিকারী উমরকে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’য়ের সদস্য বলে উল্লেখ করায় তীব্র আপত্তি জানান অভিযোগকারী। তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যখন জানিয়েছে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’য়ের কোনও অস্তিত্ব নেই, সেখানে বিরোধীদের উদ্দেশে ব্যবহৃত বিজেপি-র ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ শব্দবন্ধটি কেন উমরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হল, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, উমরের উপর হামলায় ইন্ধন জোগাতেই ওই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়, যাতে ওঁর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।

এ নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জি হিন্দুস্তান জানায়, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আনা হয়েছে। চার্জশিট থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই উমরকে মূলচক্রী বলা হয়।


জি নিউজ

২০২০-র ২৪ মে জি নিউজ তাদের একটি অনুষ্ঠানের উমরকে ‘দিল্লি দাঙ্গার রিমোটধারী’ হিসেবে দেখানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তাতে ‘উমর খালিদ দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্লেখ করা হয়। ‘তথাকথিত বিদ্বজনেরা দাঙ্গার পরিকল্পনা করছেন’ বলে চালানো হয় টিকার। অনুষ্ঠানের সঞ্চালককে বলতে শোনা যায়, “আমরা তো গোড়া থেকেই বলছিলাম, দিল্লি দাঙ্গা অজুহাতমাত্র", “দিল্লি দাঙ্গা আসলে ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়য়ন্ত্র।” চার্জশিটকে আদালতের রায় বলে ধরে নেওয়া উচিত নয় বলে সেই সময় প্রতিবাদও জানান এক অতিথি।

কিন্তু জি নিউজের দাবি, খালিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিরপেক্ষ ভাবেই তুলে ধরেছে তারা। জনমানসে খালিদকে দোষী সাব্যস্ত করার কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, খালিদকে নিজেদের মতামত জানানো হয়নি কোথাও। তাঁকে দোষী হিসেবেও দেখানো হয়নি।

আজ তক

২০২০-র ২৪ নভেম্বর ‘সিএএ বিরোধী আন্দোলন আসলে দাঙ্গার ছক’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান করে আজ তক। তাতে উমর এবং অন্য অভিযুক্ত শার্জিল ইমামের ছবি তুলে ধরা হয় বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। টিভি স্ক্রিনে টিকার চালানো হয়, ‘উমর খালিদ একজন জঙ্গি?’ চার্জশিটের কোনও রকম উল্লেখ না করেই সঞ্চালক দাবি করেন য়ে, উমরই সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের শাহিনবাগে জড়ো করেছিলেন। এক অতিথির উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই অতিথি বিরোধিতা করলে তাঁর মতামত মিউড করে দেওয়া হয়, যাতে তাঁর মতামত শোনা না যায়। একতরফা মতামকে পুঁজি করে চালানো হয় ওই অনুষ্ঠান। অভিযোগকে প্রমাণিত সত্য হিসেবে চালানো হয়।

আরও পড়ুন-উমর খালিদের বক্তব্য কি সত্যিই উসকানিমূলক? মনে করেন না অনেকেই

জবাবে আজ তকের দাবি, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে চার্জশিটের বিষয়বস্তুও তুলে ধরা হয়। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে ওই অনুষ্ঠান চালানো হয়। অতিথিদের সকলের মতামতই শোনেন সঞ্চালক। কারও বক্তব্য মিউড করা হয়নি, বরং অন্য এক জন কথা বলার সময় বাধা দেওয়ায় ওই অতিথিকে মিউট করে দেওয়া হয় বলে দাবি চ্যানেলের।

ইন্ডিয়া টিভি

২০২০-র ২৫ নভেম্বর ইন্ডিয়া টিভির একটি অনুষ্ঠান তুলে ধরেছেন অভিযোগকারী। তাতে ‘দিল্লি দাঙ্গার ষড়য়ন্ত্রকারী কে’ শিরোনামের সঙ্গে উমরের ছবি দেখানো হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। ইন্ডিয়া টিভির একটি ইউটিউব ভিডিও পর্যন্ত তুলে আনেন অভিযোগকারী। তাতে শিরোনাম চালানো হয়, ’সংবেদনশীল বিষয়কে হাতিয়ার করে কী ভাবে শার্জিল ইমাম, উমর খালিদ জামিয়া, শাহিনবাগ এবং আলিগড়ে হিংসার ছক কষেন’। ইন্ডিয়া টিভি দিল্লি হিংসার ষড়য়ন্ত্রের উদঘাটন করে ফেলেছে বলে দাবি করা হয় ওই ভিডিও-তে। কিন্তু এ ব্যাপারে উমর, তাঁর আইনজীবী অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধির বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি বলে অভিযোগ।

প্রত্যুত্তরে ইন্ডিয়া টিভি জানায়, ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটির কোনও বিধি লঙ্ঘিত করেনি তারা। অভিযোগকারী হয়ত অনুষ্ঠানটি ঠিক করে দেখেননি অথবা বিষয়বস্তু বুঝতে ভুল করেছেন। চার্জশিটের বাইরে চ্যানেলের তরফে কোনও চূড়ান্ত মতামত প্রকাশ করা হয়নি বলে জানায় ইন্ডিয়া টিভি।

নিয়ামক সংস্থার সিদ্ধান্ত

দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর রায় দিতে গিয়ে নিয়ামক সংস্থা জানায়, জনস্বার্থে সংবাদমাধ্যমের যে কোনও বিষয়ে খবর দেখানোর অধিকার রয়েছে। নিয়ামক সংস্থার রায়ে বলা হয়, “দিল্লিতে দাঙ্গা হয়েছে সত্য। এও সত্য যে উমর খালিদকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং তাঁকে মূল ষড়য়ন্ত্রকারী হিসেবে অভিহিত করে চার্জশিটও জমা দেয়। দাঙ্গায় রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির হাত ছিল বলেও ধরে নেওয়া যেতে পারে।” তাই পুলিশের চার্জশিটের নিরিখে উমরকে নিয়ে খবর দেখানোর অধিকার চ্যানেলগুলির ছিল বলে মেনে নেয় নিয়ামক সংস্থা।

কিন্তু পুলিশের চার্জশিটকে ‘ধ্রুবসত্য’ হিসেবে ধরে নেওয়া এবং সেই মতো অনুষ্ঠান চালানোয় প্রশ্ন তুলেছে নিয়ামক সংস্থা।তাদের বক্তব্য, “এই বিষয়টে একেবারেই অনুমোদনযোগ্য নয়। যেই মুহূর্তে সীমারেখা লঙ্ঘন করে উমর খালিদ দোষী অথবা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে বার্তা যায়, তা সংবাদমাধ্যম জনমানসে উমরকে দোষী সাব্যস্ত করা হিসেবেই প্রতিপন্ন করা হয়, যা কিনা আইনত অনুমোদিত নয়।”

উমরকে নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ট্যাগলাইন এবং টিকা চালানোয় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নিয়ামক সংস্থা। ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ডস

সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করার দায়িত্বে থাকা স্বাধীন নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ডস। আগে নামছিল ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। ২০০৭ সালের ৩ জুলাই দেশের শীর্ষস্থানীয় সমস্ত সংবাদমাধ্যম মিলে সংস্থার প্রতিষ্ঠা হয়। ডিজিটাল মিডিয়ার আগমনে সংস্থার নামে রদবদল ঘটানো হয়।

বর্তমানে দেশের ৭০টি চ্যানেলের প্রতিনিধি হিসেবে ওই সংস্থায় ২৭ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নাম রয়েছে জি নিউজ লিমিটেড, টিভি টুডে নেটওয়র্ক লিমিটেড, টাইমস ব্রডকাস্টিং কোম্পানি লিমিটেড, টেলিভিশন এইটিন ইন্ডিয়া লিমিটেড, নিউ দিল্লি টেলিভিশন লিমিটেড, মিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন সার্ভিস (ইন্ডিয়া) লিমিটেড, ইনডেপেন্ডেন্ট নিউজ সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্লোবাল ব্রডকাস্ট নিউজ লিমিটেড।

সেই সময় সংস্থার প্রেসিডেন্ট রজত শর্মা, ঘটনাচক্রে যিনি ইন্ডিয়া টিভির চেয়ারম্যান এবং এডিটর ইন চিফ। তবে নিরপেক্ষতা নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে এই সংস্থা। টিআরপি দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তারা সিবিআই-এর উপর চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।

তবে শুধুমাত্র ইন্ডিয়া টিভি, আজ তক, জি নিউজ এবং জি হিন্দুস্তান নয়,উস্কানিমূলক ভাষণের নামে উমরের ভাষণের একটি বিকৃত ভিডিও আসল ভিডিও বলে দেখানোয় এর আগে জবাবদিহি করতে হয়েছিল রিপাবলিক টিভি এবং নিউজ১৮-এর মতো একাধিক সর্বভারতীয় চ্যানেলকে। বিজেপি-র আইটি সেল থেকে পাওয়া ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই না করেই সেটি সত্য বলে টিভিতে চালিয়ে দেয় তারা। আদালতে শুনানি চলাকালীন বিষয়টি উঠে এলে দিল্লি পুলিস রিপাবলিক টিভি এবং নিউজ১৮-কে নোটিস পাঠায়। তাতে দুই চ্যানেলের তরফেই জানানো হয় যে, উমরের সভায় তাদের কোনও ক্যামেরা ছিল না। বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং বিজেপি নেতাদের টুইট করা ভিডিওটিই টিভি-তে চালিয়েছে তারা। 

More Articles