ন্যানো ইভি থেকে শুরু করে মার্সিডিজ! মুম্বইয়ের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ায় রতন টাটার এই গাড়িরা

Ratan Tata Cars: ২০০৮ সালে টাটা ফোর্ড থেকে জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ করে।

রতন টাটা। ভারতের শিল্প জগতের এমন একজন ব্যক্তিত্ব দেশের মাটিতে যার পরিচয়ের পৃথক কোনও প্রয়োজন নেই। অশীতিপর রতন টাটা দীর্ঘকাল ধরে টাটার বিভিন্ন উদ্যোগের স্বপ্নকে বাস্তব করেছেন। টাটা মোটরসের সামগ্রিক ভাবমূর্তিকেই উন্নত করতে দিবারাত্র পরিশ্রম করেছেন রতন টাটা। দেশের শীর্ষস্থানীয় গাড়ির ব্র্যান্ডের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টাটা। বাংলায় রতন টাটার স্বপ্নের প্রকল্প টাটা ন্যানো বাস্তবায়িত হয়নি ঠিকই কিন্তু ভারতের বাজারে টাটা ন্যানো এক বিরল প্রকল্প বলাই যায়। রতন টাটা নিজেও বিভিন্ন গাড়ি পছন্দ করেন। তাঁর গ্যারেজে দামি এবং বিরল গাড়ির দুর্দান্ত সংগ্রহ রয়েছে।

টাটা নেক্সন

দামি গাড়ি এবং এসইউভির পাশাপাশি টাটা নেক্সনের মতো সহজ সাধারণ গাড়িরও মালিক রতন টাটা। এটিই ছিল টাটার প্রথম সাব-৪ মিটার SUV এবং এটিই এখনও সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ির একটি। গ্লোবাল NCAP ক্র্যাশ টেস্টে ৫ স্টার রেটিং Nexon-এর। এই রেটিং পাওয়া প্রথম ভারতে তৈরি গাড়িই নেক্সন। রতন টাটা ১.৫ লিটার টার্বো ডিজেল ভার্সনের নীল রঙের পার-ফেসলিফ্ট মডেল ব্যবহার করেন।

ফেরারি ক্যালিফোর্নিয়া

ফেরারির সিগনেচার রেড শেডের ফেরারি ক্যালিফোর্নিয়া হার্ড টপ কনভার্টেবল৷ মুম্বইয়ের আশেপাশে বেশ কয়েকবার এই গাড়ি চড়েই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় রতন টাটাকে। এই মডেলটি আর পাওয়া যায় না কারণ এর উৎপাদনই বন্ধ হয়ে গেছে।

হন্ডা সিভিক

হন্ডা সিভিক সেই সেডানগুলির মধ্যে অন্যতম ভারতের বাজারে যার জনপ্রিয়তা বিশাল৷ বিক্রির দিক থেকে অবশ্য ভালো ব্যবসা করেনি এই গাড়ি। তবে গাড়ি প্রেমীদের কাছে এর কদরই আলাদা। রতন টাটা এবং অনেক সেলিব্রিটিই এই সেডানের মালিক। সাদা সিভিক সেডান রতন টাটার গ্যারেজের শোভা বাড়িয়েছে। আগে নিত্যদিনের যাতায়াতের জন্য এই গাড়িটিই ব্যবহার করতেন তিনি।

মার্সিডিজ-বেঞ্জ ৫০০ এসএল

রতন টাটার গ্যারেজে থাকা আরেকটি গাড়ি হল মার্সিডিজ-বেঞ্জ ৫০০ এসএল কনভার্টেবল। সিলভার-গ্রে শেডের দুর্দান্ত দেখতে গাড়িটি ৫.০ লিটার V8 ইঞ্জিন দ্বারা চালিত।

ল্যান্ড রোভার ফ্রিল্যান্ডার

২০০৮ সালে টাটা ফোর্ড থেকে জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ করে। এই ব্র্যান্ডগুলি ছাড়াও, ল্যান্ড রোভারের একটি এসইউভিরও মালিক রতন টাটা। আশ্চর্যের বিষয় হলো, রতন টাটার গ্যারাজে কোনও রেঞ্জ রোভার নেই। ফ্রিল্যান্ডার গাড়িটিকেই বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা কাজের সময় দেখা যেত।

মার্সিডিজ-বেঞ্জ W124

এটি সেই গাড়িগুলির মধ্যে একটি যা রতন টাটার গ্যারাজে আছে ঠিকই তবে কখনও রাস্তায় দেখা যায়নি৷



ক্রিসলার সেব্রিং

রতন টাটার গ্যারাজে রয়েছে একটি ক্রিসলার সেব্রিং সেডানও। একটি সাক্ষাত্কারে রতন টাটা জানিয়েছিলেন, তিনি গাড়ির রঙের প্রেমে পড়েছিলেন। এই রঙটি পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে জেনেভা মোটর শোতে প্রদর্শনের সময় টাটা ইন্ডিকাতে ব্যবহার করা হয়েছিল।

টাটা ইন্ডিগো মেরিনা

মেরিনাও ভারতীয় বাজারে খুব একটা ভালো ব্যবসা করেনি। রতন টাটার গ্যারেজে এই গাড়িটি ছিল এবং সম্ভবত এখনও রয়েছে। তিনি অবশ্য গাড়িটির মালিক নন, গাড়িটি তাঁর কুকুরের জন্য। রতন টাটা এই ইন্ডিগো মেরিনাতেই কুকুর নিয়ে যেতেন। কুকুরদের জন্য আরও জায়গা করার জন্য গাড়ির কেবিনটিও বদলানো হয়েছিল।

মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস-ক্লাস

বিশ্বের অনেক শিল্পপতির মতো, রতন টাটারও একটি এস-ক্লাস রয়েছে। কালো রঙের এই বিলাসবহুল গাড়িতে বহুবার দেখা গেছে তাঁকে।

টাটা ন্যানো ইভি (কাস্টম বিল্ট)

ইলেক্ট্রা ইভি একটি কাস্টম টাটা ন্যানো ইভি তৈরি করে রতন টাটাকে পাঠিয়েছে তাঁর মতামত এবং এবং প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য।

 

More Articles