সেমিফাইনালে হারের দায় রোনাল্ডোর! আরবে গিয়েও মন ভালো নেই সিআর সেভেনের?

Cristiano Ronaldo Al Nassr Defeat : ফাইনালে গেলে আরবে পা রাখার পরই বড় ট্রফি জেতার সুযোগ আসত। কিন্তু সেটাও ব্যর্থ হল।

সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। নতুন ক্লাব আল নাসেরে পাড়ি দিয়েছেন বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। ক্লাবের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচ খেলেও ফেলেছেন। কিন্তু এখনও কোনও গোল নেই। উপরন্তু সৌদি আরবের সুপার কাপের সেমি ফাইনালে তাঁর দল আল নাসের এফসি হেরে গিয়ে ছিটকে গেল। আল ইত্তিহাদের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যান রোনাল্ডোরা। সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ রোনাল্ডো। ফাইনালে গেলে আরবে পা রাখার পরই বড় ট্রফি জেতার সুযোগ আসত। কিন্তু সেটাও ব্যর্থ হল। মনটা একেবারেই ভালো নেই তাঁর…

তার ওপর আল নাসেরের কোচ রুডি গার্সিয়া একটু হলেও চটেছেন পর্তুগিজ মহাতারকার ওপর। সুপার কাপের সেমি ফাইনালে সুযোগ পেয়েও মিস করেছেন সিআর সেভেন। যদি সেটা না হতো, তাহলে ফলাফল ‘অন্যরকম হতে পারত’! সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি এমনটাই বলেছেন কোচ। এক কথায়, আঙুল সরাসরি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দিকেই তোলা হল। হাজার হোক, সৌদি আরবের ক্লাব ফুটবলে খেলা সেরা তারকা তিনি। নামের পাশে অজস্র রেকর্ড। ট্রফি ক্যাবিনেটে অসংখ্য শিরোপা। পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী কিংবদন্তি। তাঁর কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা অনেকটাই বেশি।

৩৭ বছর বয়সেও অন্যদের থেকে অনেকটাই ফিট ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কিন্তু ভাগ্য একেবারেই সহায় হচ্ছে না। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে থাকাকালীন সেখানকার কোচের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। একটি সাক্ষাৎকারে সরাসরি তোপ দাগেন ম্যান ইউ কোচের বিরুদ্ধে। ফলে ব্যবস্থা নেয় ইংল্যান্ডের ক্লাবটি। সাধের ম্যান ইউ ছাড়তে হয় রোনাল্ডোকে। নিন্দুকেরা বলেন, এরপর নাকি রিয়াল মাদ্রিদেও ফিরতে চেয়েছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি।

এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলেও সেরকম পারফরমেন্স ছিল না রোনাল্ডোর। কেবল পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছিলেন। অফ ফর্মের জন্য দলের রিজার্ভ বেঞ্চে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। পর্তুগাল জাতীয় দলেও কোচের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপরই যোগ দেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে।

শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল। পিএসজির বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে দুটি গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু আল নাসেরের হয়ে আসল প্রতিযোগিতায় নামার পর সেই গোলের রাস্তা দেখতে পেলেন না তিনি। আল ইত্তিহাদ তিনটে গোল দিয়ে ম্যাচ জিতে ফিরে যায়। দুটো সহজ সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন রোনাল্ডো। তারপরই কোচের এমন মন্তব্য… ফের ঝড় বইবে না তো মরু শহরে? এখনও অবধি তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

তবে স্টেডিয়াম থেকে বেরনোর সময় ইত্তিহাদ সমর্থকরা বারবার মেসির নামে জয়ধ্বনি করেন। সেটা যে রোনাল্ডোকে খানিক ব্যঙ্গ করেই করা, সেটা বুঝতে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। একে কোচের এমন বক্তব্য, তার ওপর স্টেডিয়ামে চির প্রতিদ্বন্দ্বীর নামে জয়ধ্বনি – রোনাল্ডোর আরব্য রজনীর যাত্রা খুব একটা সুখের হল না। এর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি তিনি? সেটা সময়ই বলবে।

More Articles