পরিবেশ ধ্বংস করে কয়লাখনি, দেউচা-পাঁচামি ও সরকারি জেদ

এই অঞ্চলে খোলামুখ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন হবে। এই পদ্ধতি ভয়াবহ দূষণ সৃষ্টি করবে ।

আগামী ৫০ বছর ধরে প্রায় ২০০ কোটি টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যে বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকে দেউচা-পাঁচামি, দেওয়ানগঞ্জ-হরিণশিঙা কয়লা ব্লকের  ১৩.৭ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে (৩৪০০ একর) এশিয়ার বৃহত্তম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ব্লকের খনি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

West Bengal Power Development Corporation Ltd. (WBPDCL)-কে এই প্রকল্প রূপায়নের সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, ২০২১-এর জুনে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এই কোল-ব্লক থেকে প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ কোটি টন কয়লা তোলা হবে, যার মধ্যে রাজ্য সরকার ৫০ লক্ষ টন কয়লা বিক্রি করতে পারবে। বাকিটা ব্যবহৃত হবে অন্যান্য কাজে, যেমন অ্যামোনিয়া বা ইউরিয়া ইত্যাদি তৈরিতে। ১২,০০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে নানা দেশি-বিদেশি সংস্থাকেও পার্টনার হিসেবে নেওয়া হবে। উদ্বেগের বিষয়, ১১,০০০ হেক্টরের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই প্রকল্পে সরকারকে কম করে ৯,০০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে বা কিনতে হবে, যার ফলে ৩৫টি গ্রামের ১৯,০০০ অধিবাসীকে (৭০০০ জন আদিবাসী-জনজাতির মানুষ-সহ) অন্যত্র সরে যেতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।

বিবিধ প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য ও লাভজনক নয় বলে দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড দীর্ঘদিন আগেই পরিত্যাগ করে ছিল। এরপর ৭টি রাজ্যের যৌথ মালিকানায় বেঙ্গল বীরভূম কোলফিল্ডস লিমিটেডের (বিবিসিএল) অধীনে এই কোল ব্লক ছিল। বাকি রাজ্যগুলি অবাস্তব পরিকল্পনা বলে হাত তুলে নিলে, রাজ্য সরকার তদ্বির করে এই প্রকল্পর দায়িত্ব পায়। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে আসে দেউচা-পাঁচামির কোল ব্লক, ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (WBPDCL) এই ব্লকের মালিকানা পায়। আবার জানা যাচ্ছে, ‘বেঙ্গল বীরভূম কোল কোম্পানি লিমিটেড’ নামক রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা এই কয়লাখনির নির্মাণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে। ‘বেঙ্গল বীরভূম কোল কোম্পানি লিমিটেড’-এর রেজিস্টার্ড অফিসের ঠিকানা বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবন, বিধাননগর, কলকাতা এবং এই কোম্পানির যাবতীয় টেন্ডার, কাগজপত্র ইত্যাদি ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের ওয়েবসাইট থেকেই প্রকাশিত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, WBPDCL-এর নিজস্ব কয়লা উৎপাদনের প্রযুক্তি ও উপকরণ কিছু নেই, তাদের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে WBPDCL-এর অধীনে থাকা ৫টি খোলামুখ খাদানে (বড়জোড়া, বড়জোড়া নর্থ, গঙ্গারামচক, তারা, পাচড়া) কয়লা উৎপাদনের দায়িত্বে আছে বিভিন্ন প্রাইভেট মাইনিং কোম্পানি। এটা স্পষ্টভাবে জেনে নেওয়া দরকার, WBPDCL তাদের চালু পাঁচটি খনির কোথাও জমি অধিগ্রহণ করেনি, জমি-মালিকের কাছ থেকে জমি কিনেছে, অর্থাৎ ১৮৯৪ সালে জমি অধিগ্রহণ আইন বা ২০১৩ সালের পরিবর্তিত আইনের পরিধির বাইরে, বাজারদরে জমির কেনাবেচা তথা হস্তান্তর হয়েছে। দেউচা-পাঁচামিতেও জমি অধিগ্রহণ না হওয়ারই কথা, জমি কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার, ‘বেঙ্গল বীরভূম কোল কোম্পানি লিমিটেড’-এর নামে । এই হল সংক্ষেপে ব্যাপার।  

আরও পড়ুন: ব্যর্থ প্রেমিক, মাতাল! বাঙালির দেবদাস কেন বারবার ফিরে আসে ভারতীয় সিনেমায়?

মুখ্যমন্ত্রী উবাচ   
“দেউচা-পাঁচামি সিঙ্গুর হবে না”— আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর এই বাক্যটি প্রায় ডেলফি পাহাড়ের ওপর থেকে উচ্চারিত ওরাকল বা দৈববাণীর মতো। কথা সামান্য, যার আড়ালে লুকিয়ে অসামান্য এক সত্য। তিনি বোঝাতে চান, সিঙ্গুরে যেমন জবরদস্তি করে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, দেউচাতে তা হবে না। একই সঙ্গে  তিনি নিশ্চিত করতে চান বা নিজেও নিশ্চিত হতে চান, যে, সিঙ্গুরে যে ধরনের প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল, সেটা এখানে হবে না। উনি এক ‘প্রগতিশীল’ সেলেব অভিনেতা-পরিচালককে মাথায় বসিয়ে এক নাগরিক কমিটি করে, সেই কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আদিবাসীদের বোঝানোর জন্য, যাতে তারা জমি বেচে দেয়। তারা সেই মর্মে বোঝাতেও শুরু করে, কিন্তু বাস্তবে আদিবাসীরা ওই নাগরিক নাগরদের কথা শোনেননি। তাই প্রতিরোধ হচ্ছে। এর মাঝে বগটুই হত্যাকাণ্ড ঘটলে  মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রিয় ষড়যন্ত্রের তাসটি খেলেছেন, “দেউচা পাঁচামির কয়লা‌খনি প্রকল্প আটকাতে বগটুইয়ে ষড়যন্ত্র করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দেউচা-পাঁচামির প্রকল্পে বাধা দিতেই হয়তো রামপুরহাটে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বাংলায় কর্মসংস্থান হোক, উন্নয়ন হোক, বিরোধীরা চায় না।’’ (২৭ মার্চ, ২০২২/ 'আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন')।      

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী খনি হলে এক লক্ষ কর্মসংস্থানের একটি গল্প শুনিয়েছেন। প্রথমত এই প্রকল্পে সরকারি চাকরির সম্ভাবনা কম। আজকাল সব কোম্পানি ঠিকাদার দিয়ে যন্ত্রনির্ভর উত্তোলন করে, কর্মসংস্থানের প্রকৃতি এবং সম্ভাবনা WBPDCL-এর বর্তমান খনিগুলিতে গেলেই দেখা যাবে। খুব বেশি হলে ১/২ হাজার লোকের চাকরি হবে। কয়লাখনি করতে গেলে জবরদস্তি ওখানে সরকারকে করতেই হবে। তা শুরুও হয়েছে, মা-মাটির বাইকবাহিনী দাপাচ্ছে, মানুষ তবু প্রতিরোধ করছে। এর সঙ্গে পুলিশ নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার করছে সরকারি কর্তারা, এই কয়লাখনি প্রকল্প হলে এলাকাটি ভূস্বর্গ হয়ে উঠবে। থানার ওসিকে ক্লাস নিতে হচ্ছে! দেউচা-পাঁচামি এলাকায় সরকারি পাঠশালায় আদিবাসী খুদে পড়ুয়াদের তিনি পড়াচ্ছেন।  মহম্মদবাজার পুলিশ-সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার দেওয়ানগঞ্জ ও হরিণশিঙাতে আগে থেকেই জেলা পুলিশের উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য নানা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। অর্থাৎ, মা-মাটির এক হাতে রাইফেল আর অন্য হাতে বাইবেল, ফাল্গুনী রায়ের কবিতার লাইন মনে পড়ে গেল, ‘আমার রাইফেল/ আমার বাইবেল‌।' যদিও স্থানীয় মানুষ এসবে ভুলছে না। দেউচা-পাঁচামির কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে, এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী সরকারিভাবে ঘোষণা না করা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন, ‘বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা’।

বাকি দু'টি বিরোধী দল
বিজেপি নেতা মোহিত রায় একটি উত্তর সম্পাদকীয় প্রবন্ধে (আনন্দবাজার পত্রিকা/ ১০ ডিসেম্বর, ২০২১)  দেউচা প্রসঙ্গে পরিষ্কারই বলেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন রোখার উৎসাহ যেন জনগণের জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদির পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। এর অর্থ হল, জলবায়ু পরিবর্তন রোখার উৎসাহ যেন নয়া পুঁজির সুপার প্রফিটের পথে কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।

সিপিএম বরাবরই মধ্যবিত্ত দোলাচলে ভোগে। তাদের এক নেতা গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি দু'টি কিস্তিতে দেউচা-পাঁচামি নিয়ে একটি উত্তর সম্পাদকীয় লেখেন (গণশক্তি/ ৯ এবং ১০ ডিসেম্বর/ ২০২১)। ‘দেউচা-পাঁচামির খোলামুখ খনি প্রকল্পের সমস্যাগুলিকে তুলে ধরার অর্থ কিন্তু এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা নয়। কোনও মুমূর্ষু রোগীর বড় অপারেশনের আগে সেই হাসপাতালের ডাক্তারবাবু সহ হাসপাতালের উপরিকাঠামো নিয়ে রোগীর সুহৃদবৃন্দ ভাবনা করেন। রোগীর বাঁচার স্বার্থেই তা করেন। এই চিন্তা কিন্তু রোগীকে মেরে ফেলা বা তার অপারেশনের বিরোধিতার জন্য নয়।' নিজেরা ক্ষমতায় এলে যাতে এই খনি চালু করা যায়, সেই রাস্তা রেখে দেওয়া হল।  আবার সিপিএম-এর অন্য নেতা প্রশান্ত নন্দী চৌধুরি  আরেকটি উত্তর সম্পাদকীয়তে (গণশক্তি/ ৩০ মে, ২০২২) সুধীন দত্তর কবিতা কপচে যা লিখলেন, তার সারমর্ম হল, আমাদের নন্দীগ্রাম করতে দেওয়া হয়নি, আমরাও দেউচা-পাঁচামি করতে দেব না।        

সবুজ মঞ্চ
২০০৯ সাল থেকে পরিবেশ নিয়ে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে কাজ করে আসছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন, সবুজ মঞ্চ। তাদের সত্যানুসন্ধানী দল দেউচা-পাঁচামি গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠিতে এই প্রশ্নগুলো করেছেন।      

১. এই প্রকল্পের জন্য বিশদ প্রোজেক্ট রিপোর্ট (Detailed Project Report-DPR) তৈরি হয়েছে কি?

২. যদি এই রিপোর্ট তৈরি হয়ে থাকে, কীভাবে তা জনসমক্ষে পাওয়া যাবে? যদি না হয়ে থাকে, কবে এই রিপোর্ট তৈরি হবে ?

৩. যদি বিশদ প্রোজেক্ট রিপোর্ট না হয়ে থাকে, প্রোজেক্টের মৌলিক কাজগুলি শুরু করা হচ্ছে কীভাবে?

৪. পরিবেশের ওপর এই প্রকল্পের কী প্রভাব পড়বে, তার মূল্যায়ন, (Environmental Impact Assessment– EIA) যা এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পের পক্ষে বাধ্যতামূলক, তা করা হয়েছে কি? যদি হয়ে থাকে, কীভাবে তা জনসমক্ষে পাওয়া যাবে?

৫. পরিবেশ মূল্যায়ন (Environmental Impact Assessment– EIA) করার জন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা নিয়োগ করা হবে কী? 

৬. এই ধরনের প্রকল্পের জন্য বিশদ পরিকল্পনা জনসমক্ষে এনে, স্থানীয় মানুষের মতামত জানার জন্য কোনও জনশুনানির (Public Hearing) আয়োজন করা হয়েছে কি?

এইসব প্রশ্নের এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ।

বিভিন্ন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং সমাজকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সবুজ মঞ্চের ধারণা হয়েছে:

ক. এই প্রকল্প চালু করতে হলে, ৬০০০ হাজার হেক্টর সবুজ বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পাথর ভাঙা এবং কয়লা উত্তোলন চালু হলে এই বনাঞ্চলের ক্ষতিপূরণের কোনও সম্ভাবনা নেই।

খ.  এই এলাকায় ভূগর্ভের এবং ভূপৃষ্ঠের জলসম্পদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হবে। এই এলাকা এমনিতেই খরাপ্রবণ। খনি চালু হলে জলসম্পদের যে ব্যবহার হবে, তা পরিপূরণের সুযোগ নেই।

গ. খনি চালু হলে এই এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নদীগুলির নাব্যতা ও প্রাকৃতিক জলাশয়গুলির জলের উৎসগুলির ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে ।

ঘ. যতদূর জানা গেছে, এই অঞ্চলে খোলামুখ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন হবে। এই পদ্ধতি ভয়াবহ দূষণ সৃষ্টি করবে।

ঙ.  যে বিপুল পরিমাণ ব্যাসল্ট পাথরের আচ্ছাদন কয়লার ওপরে রয়েছে, কয়লা পেতে হলে আগে তা তুলতে হবে। তার জন্য যে বিরাট পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে, তার ভয়ংকর প্রভাব তৈরি হবে। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি, ঘরবাড়ি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চ. জানা গেছে , সরকারিভাবে স্বীকৃত ২৮৫টি ক্রাশার ইউনিটকে ব্যাসল্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বিনামূল্যে জায়গা দিয়ে স্থানান্তর করা হবে। অর্থাৎ, কয়লাখনি চালু হওয়ার পরেও এই দূষণ-সৃষ্টিকারী ক্রাশারগুলি শুধু চালু থাকবে না, এমন ধরনের সরকারি ক্ষতিপূরণ পাবে, যে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হলে বিপুল পরিমাণে অতিরিক্ত পাথর ভাঙতে হবে এবং পরিবহণ করতে হবে। এর ফলে স্বভাবতই অতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ ঘটবে।

ছ. যে বিপুল পরিমাণ সাধারণ এবং বিপজ্জনক আবর্জনা তৈরি হবে, তার ব্যবস্থাপনা করার কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি ।

জ. এই খনি চালু হলে, এই বিস্তীর্ণ এলাকার জীববৈচিত্র্যর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে । পশু, পাখি, মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হবে।  

ঝ. এই খনি চালু হলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ এবং বিশেষভাবে বয়স্ক এবং শিশুদের স্বাস্থ্যর ওপরে তা খুবই ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে ।

ঞ. প্রকল্পের জন্য যে ব্যাপক উচ্ছেদ হবে, তার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে।

শেষে এটাই বলার, আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে, যে, পরিবেশকর্মীদের কাজ সারা বছর নজর রাখা যে আগামী ২০২৩ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই প্রকল্পের কী পরিণতি হয়।

More Articles