ফের আতঙ্কে যাত্রীরা, ‘জয় শ্রী রাম’-এর বদলা নিতেই কি বারবার পাথর বৃষ্টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে?

Bande Bharat Express: ফের আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার হামলা ট্রেনে

ফেলো কড়ি মাখো ভোট, এই মর্মেই কেন্দ্র সরকারের নয়া পদক্ষেপ বাংলায়। নতুন বছরে অভিনব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা হয়েছে এখানে। চলাচল করছে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। শুরুর আগে থেকেই এই ট্রেন নিয়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। বাংলার যে মাটিকে মমতা ব্যানার্জি তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি বলে দাবি করে এসেছেন এতদিন, সেখানে দাঁত ফোটাতে চেয়েছে মোদি সরকার। বন্দে ভারতই তাঁর মোক্ষম অস্ত্র।

অথচ এ হেন একটা ট্রেন ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। একবার নয়, দুবার হামলা হয়েছে এক্সপ্রেসের ওপর। মালদার পর ফের পাথর বৃষ্টি শুরু হয় নিউ জলপাইগুড়িতে। বারবার পাথর ছোড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকেই নিশানা করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

যাত্রা শুরুর তিনদিনের মধ্যে দুবার হামলার শিকার হল সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। প্রথম হামলা হয় মালদা স্টেশনে। রেল সূত্রে খবর, মালদায় ট্রেন ঢোকার পর দেখা যায় পাথর ছোড়া হয়েছে। একই চিত্র দেখা গেল এনজেপি স্টেশনে। ভর দুপুরেই শুরু হল ভয়াবহ পাথর বৃষ্টি। জানা গিয়েছে, পাথরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-৩, সি-৬ কামরা। সোমবার ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কুমারগঞ্জ এলাকায় একইভাবে পাথর ছুড়ে গেটের কাচ ভাঙে দুষ্কৃতীরা। পর পর এরকম ঘটনায় স্বাভাবিক ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। শুরু হয়েছে তদন্ত, যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের কোনওরকম হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে, নর্দার্ন-ফ্রন্টিয়ার রেল কর্তৃপক্ষের কর্তারা।

আরও পড়ুন - চালকের আসনে বাংলার ছেলে, চেনেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম সারথিকে?

কিন্তু এই ঘটনা কেন? কেন বারবার হামলার শিকার নয়া ট্রেন? ইতিমধ্যেই রং লেগেছে রাজনীতির। গেরুয়া বনাম সবুজ লড়াইয়ের তোপ আরও খানিকটা উস্কে গিয়েছে। প্রথম দিন ট্রেন সফরের শুরুতে যে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি শোনা গিয়েছিল, তার বদলা নিতেই এই পাথর বৃষ্টি বলে সরাসরি আঙুল তো হয়েছে তৃণমূল সরকারের দিকে। কিন্তু এই লড়াই তো চলতে থাকবেই, রাজনীতির লড়াই ভোটের ময়দানের হিসেব নিকেশ পর্যন্ত গড়াবে কিন্তু মার খাবে সাধারণ মানুষ। এই ঘটনার জেরে প্রশ্ন উঠেছে সার্বিক রেল যাত্রার নিরাপত্তা নিয়েই। তৃণমূলের দিকে যখন নিশানা করেছে বিজেপি তখন ঘুরিয়েরেলের নিরাপত্তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আসল ঘটনা অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা। দুই পক্ষই দায় ঝাড়তে ব্যস্ত। আর এই আতঙ্ক নিয়েই রোজ চাকা গড়াচ্ছে এক্সপ্রেসের। যাত্রীদের মধ্যে এখনও রয়েছে চাপা ভয়। নতুন ট্রেন সফরের উত্তেজনা কি তবে এভাবেই মাঠে মারা যাবে রাজনৈতিক দোলাচলে?

More Articles