এমিলি শেঙ্কেল, যে মেয়েটিকে চিরকাল ভালোবেসেছিলেন নেতাজি

নেতাজি, এই কথাটি শুনলেই বাঙালিদের তথা গোটা ভারতের জনগনের মনে একটা ছবি ভেসে ওঠে। এক স্বাধীনতা সংগ্ৰামীর ছবি যিনি ইংরেজদের মতো পরাক্রমশালী শক্তির বিরুদ্ধেও মাথা নত করেননি কোনোদিন। নিজের বুদ্ধিমত্তার জোরে ইংরেজদের বারংবার মাত দিয়ে ব্রিটিশদের ভারত ছাড়া করেছিলেন তিনি। ওনার জনপ্রিয় স্লোগান 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো' আজকেও লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে, যেকোনো মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত মানুষকে আবারো জাগিয়ে তুলতে পারে। আজকে সেই মহামানবের জীবনের একটি অন্য দিক নিয়েই হবে চর্চা।

আপনারা সকলেই নেতাজির স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবা তার দেশপ্রেমের একাধিক কাহিনি শুনে এবং পড়ে থাকবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার সময়েই একজন নারীকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন নেতাজি। শুধু মন দিয়ে ফেলেছিলেন, সেটুকুই না, বরং নিজের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাকে ভালোবেসেছিলেন তিনি। তবে দুজনের বিয়ে নিয়েও বিস্তর ভুল বোঝাবুঝি এবং রহস্যজনক ছিল, কিন্তু ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ এ নেতাজির মৃত্যুর (যদিও ঐদিন নেতাজির মৃত্যু হয়েছিলো কিনে সেটা জানা যায়নি স্পষ্টভাবে) বছরখানেক পর থেকেই বিষয়টি সামনে আসে। সেই নারীর নাম ছিল এমিলি শেঙ্কেল। চলুন, জেনে নিই নেতাজি এবং এমিলির গোপন প্রেম কাহিনীর ব্যাপারেই, যেই প্রেম কাহিনীকে কার্যত ভুলেই গেছে বিশ্ব।

সুভাষ এবং এমিলির এই প্রেম কাহিনীর প্রথম পরিচয় মেলে যখন নেতাজির মৃত্যুর বছর খানেক পরে নেতাজির বাড়িতে তার দাদা শরত চন্দ্র বসুর কাছে একটা চিঠি আসে। চিঠিটি লিখেছিলেন এমিলি। এমিলি শেঙ্কল, তিনি জন্যসূত্রে একজন অস্ট্রেয়া নিবাসীনি হলেও কাজের সূত্রে গ্রহণ করেছিলেন জার্মান নাগরিকত্ব। ১৯৪৬ সালে শরৎ চন্দ্র বসুর কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে জানান। মাধুরী বোসের 'দ্যা বোস ব্রাদার্স এন্ড ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্স' বইতে এই চিঠি এবং এমিলির বিভিন্ন কথা নিয়ে লেখা আছে। এমিলির ওই চিঠির ব্যাপারেও জানা যায় এই বই থেকেই। শরৎ চন্দ্র বসুর কাছে এমিলি যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সেখানে তিনি লিখেছিলেন, কিভাবে তিনি সুভাষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন, কিভাবে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল, সবকিছু।

এমিলি শেঙ্কেল, যে মেয়েটিকে চিরকাল ভালোবেসেছিলেন নেতাজি

চিত্রঋণ : https://www.rediff.com

অনেকে মনে করতেন, সুভাষ একজন সিঙ্গেল ফাদার ছিলেন, কিন্তু না তিনি যে বিবাহ করেছিলেন, সেই বিষয়টি অনেকেরই অজানা। এমিলি জানিয়েছিলেন, জার্মান নাগরিক হওয়ার কারণে তার দেশের আইন তাকে বিদেশিদের বিয়ে করার অনুমতি দিতোনা। কিন্তু তাও তারা দুজনে গোপনে হিন্দু মতে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দুজনের একটি মেয়েও হয়েছিল, যার নাম অনিতা। তবে, এই চিঠিতে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি সুভাষের পরিবারের থেকে কোনোরকম সাহায্য প্রার্থনা করছেন না, বরং তিনি শুধুমাত্র তাদেরকে অনিতার ব্যাপারে জানাতেই এই চিঠি লিখেছিলেন। এবং তিনি চেয়েছিলেন, যদি তার কিছু হয়ে যায়, তাহলে যেন সুভাষ এর পরিবার এই মেয়েটির যত্নআত্তিতে কোন ত্রুটি না রাখে।

শোনা যায় নাকি, নিজের জীবদ্দশায় নিজের ব্যক্তিত্বের জন্য নেতাজি মহিলাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। ক্ষুরধার মস্তিষ্ক এবং দারুন ব্যক্তিত্বের জন্যই তিনি ছিলেন জনপ্রিয়। তবে তিনি নিজের জীবনেও একজনকেই ভালোবেসেছিলেন, যার জন্য তিনি যতদিন বেঁচেছিলেন, ততদিন চিঠি লিখেছেন।

তবে নেতাজির জীবনের এই দিকটির ব্যাপারে জানতে গেলে একটু পিছনে যেতে হবে। ১৯৩৪, ব্রিটিশ সরকার যখন নেতাজিকে নির্বাসিত করার আদেশ দিয়েছিল, তখন তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন ইউরোপের ভিয়েনাতে। সেই সময় ভিয়েনা থেকে আবারো তিনি নিজের কাজ শুরু করেন। ভিয়েনা থেকেই তিনি তার সঙ্গী সাথীদের চিঠিপত্র লিখতেন। তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কথা জানাতেন। এই চিঠি লেখার সূত্রেই তার সাথে আলাপ এমিলি শেঙ্কেলের। চিঠির ডিটেকশন এবং টাইপিংয়ের জন্য তার একজনকে দরকার ছিল। সেই সময় নেতাজির এক বন্ধু তাকে এমিলির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং তাকে তিনি কাজে রাখেন।

এই কাজের সূত্রেই তাঁরা দুজন দুজনের কাছাকাছি আসা শুরু করেন। তারা দুজনে ইউরোপের একাধিক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন বলেও খবর। ভিয়েনাতে থাকাকালীন তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। দুই বছর পরে নেতাজি যখন আবার ভারতে ফিরে আসেন, তখনও তিনি কিন্তু এমিলির প্রতি সমানভাবে দায়িত্বশীল ছিলেন।

আসলে চিঠিপত্র এমিলি এবং সুভাষের সম্পর্কের মধ্যে অন্যতম সেতুবন্ধনের কাজ করেছিল। চিঠি লেখার কাজের জন্যই যেমন এমিলি এবং সুভাষের দেখা হয়েছিল, তেমনই দুজন দুজনের খোঁজখবর নিতেন চিঠিপত্রের মাধ্যমে। ১৯৩৬ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যখন ভারতে ফিরে এসে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রধান ভূমিকা নিতে শুরু করেন, সেই সময়ও এমিলিকে তিনি চিঠিপত্র লেখালেখি করতেন। কাজের ব্যস্ততা দূরে ঠেলে দিয়েও তিনি এমিলিকে তা সর্বক্ষণের খবর জানাতেন।

স্বাধীনতার পরে যখন এই সমস্ত চিঠিগুলিকে প্রকাশিত করা হয়, তারপর থেকেই নেতাজির এই দিকটি সকলের সামনে আসে। তবে নেতাজির এই রোমান্টিক দিকটির উন্মোচনের শুধুমাত্র যে নেতাজির লেখা চিঠি কাজ করেছিল তা কিন্তু নয়। বরং তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল শরৎ চন্দ্র বসুর কাছে এমিলি শেঙ্কলের পাঠানো আরো কিছু চিঠি।

একটি চিঠিতে এমিলি শরৎচন্দ্র বসুকে জানিয়েছিলেন, নেতাজি যখন, ' দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল ' বইটি রচনা করছিলেন সেই সময় এমিলি তার সেক্রেটারি হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকেই তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করে। শরৎচন্দ্র বসু কে এমিলি লিখেছিলেন, ' তোমার ভাই যখন ১৯৪১ সালে ইউরোপে ফিরে আসে তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করে, আমি তার সঙ্গে বার্লিন নিয়ে গিয়ে কাজ করব কিনা। আমি তার সেই প্রস্তাবে রাজি হই এবং ১৯৪২ পর্যন্ত তার সঙ্গে কাজ করি বার্লিনে থেকে।' তিনি আরো লিখেছিলেন, 'যখন আমরা বার্লিনে ছিলাম, তখন তোমার ভাই আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। বহু বছর ধরে তাকে চেনার কারণে তাকে আমার একজন ভালো মানুষ মনে হয়। এই কারণেই আমি তাকে বিবাহ করতে রাজি হই।'

যদিও অনেকে মনে করেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিবাহ হয়েছিল ১৯৩৭ সালে।  শর্মিলা বোসের লেখা 'লাভ ইন দ্যা টাইম অফ ওয়ার: সুভাষচন্দ্র বোস জার্নি টু নাতসী জার্মানি' বইয়ে বেশ কিছু জায়গায় লেখা রয়েছে অস্ট্রিয়ার বডগস্টিন শহরে ১৯৩৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারা দুজনে বিবাহ করেছিলেন।

অন্যদিকে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পাঠানো চিঠিপত্রের মধ্যে থেকেও এমিলি শেঙ্কল এর কথা বারবার উঠে আসে। শিশির কুমার বসু এবং সুগত বসু এমিলিকে পাঠানো নেতাজির চিঠির যে সংকলন ১৯৯৪ সালে প্রকাশ করেন সেখানেও এমিলির ব্যাপারে বার বার উল্লেখ রয়েছে। এই বই থেকে জানা যায়, এমিলিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রথমবার চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৩০ নভেম্বর ১৯৩৪ সালে। সেই সময় নেতাজি রোমে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেই যাত্রার সময় আবহাওয়া এবং আশপাশের দৃশ্য নিয়ে আবছা বর্ণনা দিয়েছিলেন।

নেতাজি লিখেছিলেন, 'যতক্ষণ না ভারতে পৌঁছাতে পারি ততক্ষণ হয়তো আমি তোমাকে চিঠি লিখতে পারবো না আর... আমি একজন খারাপ সংবাদদাতা হতে পারি, কিন্তু আশা করি একজন খারাপ মানুষ নই।' তিনি আরো লেখেন, 'আমি এই চিঠিটা এয়ার মেইলের মাধ্যমে পাঠাচ্ছি কিন্তু কাউকে একথাটা জানাবে না যে এই চিঠি আমি এয়ার মেইলের মাধ্যমে পাঠাচ্ছি। আমি অন্য কাউকে এয়ার মেইলের মাধ্যমে চিঠি লিখি না।' এই কথাটির মাধ্যমে নেতাজি হয়তো বোঝাতে চেয়েছিলেন, এমিলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকে তিনি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং এই কারণেই তিনি এয়ার মেইলের মাধ্যমে চিঠি লিখেছেন। এছাড়াও এবং বেশ কিছু এমন চিঠি ছিল যেগুলোর মাধ্যমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এমিলিকে নিজের ভালবাসার কথা জানিয়েছিলেন।

পথে তার সমস্যা হবে সে কথা জেনেও, তিনি বেশ কয়েকবার এমিলিকে চিঠিপত্র লিখেছিলেন, ভারতে ফিরে আসার আগে। ভেনিস থেকে তিনি একটি ছোট নোট তার উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিলেন। এই নোটে তিনি তার যাত্রার সমস্ত বিবরণ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে লিখেছিলেন। এথেন্স এবং কায়রো থেকেও এরকম বেশ কিছু নোট তিনি লিখেছিলেন। ভারতে ফিরে আসার পরে, কলকাতার উডবার্ন পার্ক থেকে ৭ ডিসেম্বর ১৯৩৪ তিনি একটি চিঠি লিখেন। এই চিঠিতে তিনি শেঙ্কেলকে তার পিতার প্রয়াণের কথা জানান। তিনি আরো জানান, তার পিতার মৃত্যুতে তার মা প্রত্যন্ত শোকাহত হয়ে পড়েছেন। নেতাজিকে পুলিশ যখন গৃহবন্দী করে, তার আগে কোনোভাবে তিনি এমিলিকে একটি চিঠি লিখতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি সেই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, "আমি এরপরে তোমাকে আর চিঠি লিখতে পারবো কিনা আমি জানিনা। ব্রিটিশ পুলিশ আমাকে নজর বন্দি করেছে। আমি নিজের বাড়িতে এখন একজন বন্দির মত জীবন কাটাচ্ছি। কিন্তু যদি আমি তোমাকে চিঠি না লিখতে পারি আমাকে ভুল বুঝবে না।" যদিও তারপরে নেতাজি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিবাহের পরেও তাদের মধ্যে চিঠি চালাচালি হামেশাই চলত। এই চিঠিগুলিই তাঁদের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করে তুলতে সাহায্য করেছিল।

জানা যায়, ভারতের স্বাধীনতার আগে এমিলি এবং সুভাষচন্দ্র বসু নিজেদের বিবাহের কথা কাউকে জানাননি। তারা চেয়েছিলেন এই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে গোপন থাকুক। নেতাজির এই বিবাহের ব্যাপারে শুধুমাত্র জানতেন পন্ডিত জহরলাল নেহেরু। শোনা যায় নাকি, ১৯৪২ এর নভেম্বর মাসে বোস এবং এমিলির একটি কন্যাসন্তান হয় যার নাম রাখা হয় অনিতা। প্রথমে তার নাম অমিতা রাখা হলেও পরবর্তীতে  নাম পরিবর্তন করে অনিতা রাখা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে নেতাজি খুব বেশিদিন থাকতে পারেননি। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট একটি প্লেন দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর খবর আসে, যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ১৯৪৩ সালে যখন সুভাষচন্দ্র বসুর জার্মানির জন্য রওনা দিয়েছিলেন সেই সময় উনি শেষ বারের জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

সুগত বোসের লেখা 'হিজ ম্যাজেষ্টি অপোনেন্ট' বইতে লেখা, নেতাজির মৃত্যু তিন বছর পরে ১৯৪৮ সালে তাদের পরিবার ভিয়েনা গিয়ে অনিতা এবং এমিলির সঙ্গে দেখা করেছিল। তারা তাঁদের দুজনকে দেশে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানান, কিন্তু সেই সময় তারা ভারতে আসতে চাননি। সেই সময়ে এমিলি তার মায়ের দেখাশোনা করেছিলেন। ১৯৬০ সালে অনিতা ভারতে এলেও এমিলি আর কখনো ভারতে আসেননি। নেতাজির পত্নী এবং তার মেয়ের ব্যাপারে বিস্তর বিতর্ক আছে। কিন্তু তবুও এই সাদা-কালো চিঠিগুলি এখনো নেতাজির রোমান্টিক দিকটাকে তুলে ধরে। প্রায় এক দশক তারা দাম্পত্য জীবনে ছিলেন, কিন্তু এই সময়েও এই চিঠিগুলিই তাঁদের সম্পর্কের যোগসূত্র ছিল। নেতাজি ও তার স্ত্রীর মধ্য ১৪ বছর বয়সের পার্থক্য ছিল। কিন্তু বয়স কখনোই তাঁদের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এমিলি কখনোই এই সম্পর্ক নিয়ে বেশি কিছু বলতে যাননি। ১৯৯৬ সালে এমিলি নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত, তিনি নেতাজির পাঠানো চিঠি গুলিকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে ছিলেন। অন্যদিকে, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নেতাজিও তার স্ত্রীকে ভালোবেসেছিলেন। তাইই হয়তো, নিজের শেষ চিঠিতে নেতাজি লিখেছিলেন, 'প্রাণে বেঁচে নাও থাকতে পারি, তোমাকে আর নাও দেখা দিতে পাড়ি, ফাঁসি অথবা গুলি খেতে পারি তবুও জানবে তুমি আমার হৃদয়ে রয়েছো। এই জন্মে না হলেও পরের জন্মে আমরা একসাথে থাকবো।'

 

Content source - 

More Articles