শেষ হচ্ছে কোভিডবর্ষ, বাজিগর এই পাঁচটি ট্রেন, অসময়েও লক্ষ্মীলাভ...

কারও পৌষ মাষ কারও সর্বনাশ- প্রবাদটি যে কতটা সত্যি তা আরও একবার প্রমাণিত হল। কী ভাবে? শুনুন তবে। অতিমারী পরিস্থিতিতে যখন বিশ্বের ছোট-বড় সব রকমের ব্যবসা মন্দার মুখে, সেনসেক্সের গ্রাফ রোজ নিম্নমুখী, সেই সময়েও শ্রীবৃদ্ধি হল ভারতীয় রেলের। সারা দেশে  প্রায় তেরো হাজারেরও বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলে এই মুহূর্তে। রোজ কয়েক লক্ষ মানুষ নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছন ট্রেনে করে। কিন্তু যাত্রীভাড়া থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণ খুব সামান্য  বলেই দাবি ভারতীয় রেলমন্ত্রকের। উপরন্তু, করোনাকালে দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কিছু সময় বন্ধও ছিল রেল পরিষেবা।  কিন্তু তাতে কী? শেষ আট মাসে একশো কোটিরও বেশি উপার্জন করেছে ভারতীয় রেল, তাও আবার মাত্র পাঁচটি যাত্রীবাহী ট্রেন থেকেই।

মধ্য-পশ্চিম রেলওয়ের তরফে জানানো হচ্ছে, ‘ করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতীয় রেলওয়ে পাঁচটি যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে একশো কোটিরও বেশি আয় করেছে। শেষ আট মাসে মধ্য-পশ্চিম রেলের পাঁচটি ট্রেন থেকে আয় হয়েছে ১০০.০৩ কোটি টাকা। যে পাঁচটি ট্রেন থেকে এই  পরিমাণ অর্থ এসেছে সেগুলি হল- ১. জব্বল্পুর-নিজামউদ্দিন গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেস, ২.রেওয়া- আনন্দবিহার এক্সপ্রেস, ৩. জব্বল্পুর –হাওড়া শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস, ৪. জব্বল্পুর –দুর্গ অমরকন্টক এক্সপ্রেস এবং ৫. জব্বল্পুর- সোমনাথ এক্সপ্রেস। এই ট্রেনগুলির আয় যথাক্রমে –

১. ২২১৮১ জব্বল্পুর-নিজামউদ্দিন গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেস থেকে ২১.৩২ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

আরও পড়ুন-মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দিনদুপুরে বিমান অপহরণ! ইতিহাসে লেখা থাকবে এই স্পর্ধা…

২. ১২৪২৭ রেওয়া- আনন্দবিহার এক্সপ্রেসের আয় ২.০.৫২ কোটি টাকা।

৩. ১১৪৪৭ জব্বল্পুর –হাওড়া শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস আয় করেছে ১৯.৯৩ কোটি টাকা।

৪.  ১২৮৫৪ জব্বল্পুর –দুর্গ অমরকন্টক এক্সপ্রেসের আয় ১৯.৫৯ কোটি টাকা।

৫. ১১৪৬৪ জব্বল্পুর- সোমনাথ এক্সপ্রেস ১৮.৬৭ কোটি টাকা আয় করেছে।

এছাড়াও শেষ আট মাসে যে পাঁচটি ট্রেনে সর্বাধিক যাত্রী হয়েছে সেগুলি হল-

১. ট্রেন নম্বর ১২০৫৯ কোটা - নিজামুদ্দিন জন শতাব্দী এক্সপ্রেস ৭.৪৬ লক্ষ যাত্রী বহন করেছে।

২. ট্রেন নম্বর ১১৪৪৭ জব্বলপুর - হাওড়া শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস বহন করেছে ৬.৩২ লক্ষ যাত্রী।

৩. ট্রেন নম্বর ১২১৯২ জব্বলপুর - নিজামুদ্দিন শ্রীধাম এক্সপ্রেসে যাত্রীর পরিমাণ ৫.৪১ লক্ষ।  

৪. ট্রেন নম্বর ১২৮৫৪ ভোপাল - দুর্গ অমরকন্টক এক্সপ্রেসে যাত্রী সংখ্যা ৫.৩৭ লক্ষ।

৫. ট্রেন নম্বর ১২১৮৯ জব্বলপুর - নিজামুদ্দিন মহাকৌশাল এক্সপ্রেস চড়েছেন ৫.১৫ লক্ষ যাত্রী ।

কিছু দিন আগে, জাতীয় পরিবহণকারী সংস্থা চারটি রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনকে নতুন উন্নত মানের তেজস ট্রেনের কোচের সঙ্গে রূপান্তরের কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রেন নম্বর ২০৫০১/০২ আগরতলা-আনন্দ বিহার রাজধানী এক্সপ্রেস, ট্রেন নম্বর ১২৯৫১/৫২ মুম্বই-নয়া দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, ট্রেন নম্বর ১২৯৫৩/৫৪ মুম্বই-নিজামুদ্দিন আগস্ট ক্রান্তি রাজধানী এক্সপ্রেস এবং ট্রেন নম্বর ১২৩০৯/১০ রাজেন্দ্র নগর (নতুন দিল্লি) পাটনা রাজধানী) এক্সপ্রেস।

আজও দেশের অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে  রেলই যে যাতায়াতের অন্যতম ভরসাযোগ্য মাধ্যম তার প্রমাণ এই পরিসংখ্যানই।   

More Articles