মেঘালয় হত্যাকাণ্ডে এল নতুন নাম! সোনমের সঙ্গে কী সম্পর্ক তার?

Meghalaya Murder : বুধবার সোনমের ভাই গোবিন্দ রঘুবংশী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জিতেন্দ্র তাদের তুতো ভাই। তিনি আরও বলেন, সোনমের ইউপিআই অ্যাকাউন্টটি জিতেন্দ্রের নামে ছিল।

মেঘালয়ের মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডে নজরে এ বার জিতেন্দ্র রঘুবংশী। তদন্তে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। এ বার সামনে এলো জিতেন্দ্র রঘুবংশী নামে এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ। রাজা রঘুবংশীর হত্যার নেপথ্যে তাঁরও কি কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ ছিল? জিতেন্দ্র রঘুবংশী কে? ঠিক কী জানা যাচ্ছে?

জিতেন্দ্রর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই ২৩ মে সোনাম রঘুবংশী তার স্বামী রাজা রঘুবংশীকে হত্যা করা ভাড়াটে খুনিদের অর্থ দিয়েছিল। এই আর্থিক সংযোগ এখন তাকে তদন্তের আওতায় এনেছে।

বুধবার সোনমের ভাই গোবিন্দ রঘুবংশী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জিতেন্দ্র তাদের তুতো ভাই। তিনি আরও বলেন, সোনমের ইউপিআই অ্যাকাউন্টটি জিতেন্দ্রের নামে ছিল। তাদের যে পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে, সেখানেই কাজ করেন তিনি। তবে কেন জিতেন্দ্রের নামে ইউপিআই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি গোবিন্দ। কিন্তু টাকার লেনদেনের জন্য জিতেন্দ্রর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন ব্যবহার করেছিলেন সোনম? 

এই তথ্য সামনে আসার পর, পরিবারের ব্যবসায়িক লেনদেনের সাথে এই ঘটনার সংযোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে গোবিন্দ এই দাবিগুলি অস্বীকার করে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, জিতেন্দ্র তাদের পারিবারিক উদ্যোগে কেবল একজন জুনিয়র কর্মচারী। তাঁর কথায়, জিতেন্দ্রের অ্যাকাউন্টে পরিবারের অর্থ ছিল এবং নিয়মিত ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হত।

মেঘালয় পুলিশ রাজার হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে- সোনাম এবং তার কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা, আরও তিনজন বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মি। পাঁচজনকেই বুধবার আটক করে আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। জিতেন্দ্রের নাম উঠে আসায় এখন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আর্থিক লেনদেন নিয়েও আর প্রশ্ন উঠেছে।

ইস্ট খাসি হিলস্ জেলায় ২ জুন ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে তার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সেদিন থেকেই। তারা দুজনেই ২৩শে মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে, রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ারও এক সপ্তাহ পরে সোনাম রঘুবংশীকে পাওয়া যায় উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। রাজার মৃত্যুর পর, সোনমের বক্তব্যের অসঙ্গতি সন্দেহের জন্ম দেয়। শিলং পুলিশ তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সামনে আনার পর সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর পর পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস্ জেলা থেকে উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলার দূরত্ব এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। মেঘালয়ের কোথায় রাজাকে খুন করা যায়, তা কী ভাবে ঠিক হয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। সোনম আগে কখনও মেঘালয় গিয়েছিলেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।

More Articles