আবাসনের ঘরে উদ্ধার নিথর দেহ! দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কুর পুত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু

Rinku Majumdar’s Son Death: মঙ্গলবার সকালে সাপুরজি আবাসনের ই-ব্লকের ঘর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয় সৃঞ্জয়ের।

একমাসও হয়নি মায়ের বিয়ের। রাজ্য ও রাজনীতির খবরে এক অন্য আলোচনায় শিরোনামে উঠে আসেন দিলীপ ঘোষ। ৬১ বছর বয়সে বিয়ে করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি কর্মী রিঙ্কু মজুমদার। একমাসের মধ্যেই রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র পুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের রহস্যমৃত্যু ঘটল। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে সাপুরজি আবাসনের ই-ব্লকের ঘর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয় সৃঞ্জয়ের। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউনের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই সৃঞ্জয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পেশায় আইটি কর্মী সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম। তিনি সল্টলেকেরই একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। ১৮ এপ্রিল যখন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর মা রিঙ্কুর বিয়ে হয়, সেদিন তাঁকে দেখা যায়নি আয়োজনে। সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যে তবে কি মায়ের এই বিয়ে মন থেকে মেনে নিতে পারলেন না পুত্র? সৃঞ্জয়ই সংবাদমাধ্যমকে জানান যে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কলকাতায় ফিরে দেখা করবেন মা এবং নতুন বাবার সঙ্গে। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৃঞ্জয় বলেছিলেন, ‘‘১৩ বছর ধরে সামাজিক এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালন করেছেন মা। এবার নিজের জীবন শুরু করছেন। আমি মন থেকে খুশি।’’ অথচ মায়ের বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় রিঙ্কুর একমাত্র পুত্রের রহস্যমৃত্যু একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, যে ঘরে সৃঞ্জয় থাকতেন সেই ঘরে খাটের উপর থেকে তাঁর শায়িত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট না এলে মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে ধোঁয়াশা কাটবে না। আত্মহত্যা না কি এই রহস্য মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও সমীকরণ কাজ করছে তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। ঘটনার খবরে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা রিঙ্কু মজুমদার। তবে দিলীপ ঘোষ বা রিঙ্কু, কারও তরফেই কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি।

More Articles