শীতল মস্তিষ্ক ও খুনে-আকাঙ্খা : গুকেশের দুই পরিণত বোধ

Gukesh Dommaraju: গুকেশের আরেকটা মারাত্মক অস্ত্র তাঁর দানগণনার ক্ষমতা। দাবার দানগণনায় প্রবল শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার প্রয়োজন হয়। বিশেষত ধ্রুপদী দাবায়।

গুকেশ দোম্মারাজু। মাত্র ১৮ বছর বয়েসে বিশ্বখেতাব জয়। চিনের ডিং লিরেনকে ধ্রুপদী দাবায় হারিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বখেতাব জিতেছেন গুকেশ। তার পর থেকেই দাবাবিশ্বে দু’ধরনের বয়ান ভেসে উঠছে। একদল মনে করে, গুকেশ নেহাৎ ভাগ্যের জোরে ডিং লিরেনকে হারিয়ে বিশ্বখেতাব জিতেছে। তাঁর ক্রীড়াদক্ষতা শীর্ষস্তরীয় দাবাড়ুদের থেকে কম। অন্য দল গুকেশকে এখনই শ্রেষ্ঠ দাবাড়ুর তকমা দিতে চায়। মূলত, জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগ ও সাংস্কৃতিক উচ্চম্মন্যতার ধারণা দিয়ে তারা গুকেশের ক্রীড়াদক্ষতা বিচার করে। প্রথম দলের বক্তব্যে সুপ্ত জাতিবিদ্বেষ রয়েছে। ভারতীয় দাবাকে তারা এখনও ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগের অবস্থান দিয়ে মাপতে চায়। ইওরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দাবা-আধিপত্যের প্রতিস্পর্ধী এক এশিয় তথা ভারতীয়র দাবামেধা তারা মেনে নিতে পারে না। আর, দ্বিতীয়পক্ষের বয়ানে রয়েছে কার্লসেনের অতিমানবিক ক্রীড়ামেধার প্রতি অযৌক্তিক অবিশ্বাস। রয়েছে, ফোঁড়ার মতো হঠাৎ জেগে-ওঠা জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি। দাবা সমস্ত বিশ্বে এক জনপ্রিয় ক্রীড়া। কিন্তু ক্রিকেট ও ফুটবলের মতো জনতোষী না। দাবাড়ুর ব্যক্তিগত পরিসর, মনগড়া গপ্পো এবং গ্যাদগ্যাদে কল্পনা+আবেগের আইকননির্মাণ দাবার ক্ষেত্রে খুব একটা চালু বিষয় না। তাই এরা গুকেশের ব্যক্তিগত পরিসরের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটিয়ে জনতোষী গপ্পো ছড়াতে চায়। এই দু’ধরনের বয়ান যেকোনও ক্রীড়ার ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। এতে ক্রীড়ার আসল হদিশ পাওয়া যায় না। অহেতুক অপরায়নের বাইনারি তৈরি হয়। প্রিয় ক্রীড়াবিদের জবরদস্তি ‘শত্রু’ বানিয়ে তুলতে হয় অন্য ক্রীড়াবিদদের। আর, অপরায়ন ও দ্বেষ দিয়ে ক্রীড়ার বিচার হয় না।

দোম্মারাজু গুকেশের বিশ্বখেতাব জয় ভাগ্যের জোরে না। তাঁর বিশেষ কিছু গুণ ও ক্রীড়ামেধা রয়েছে। তাঁর নিজস্ব অর্জন। পরিশ্রম। ভালোবাসা। ডিং লিরেন বিশ্বের অন্যতম সেরা দাবাড়ু। তিনি নিজের সেরা ফর্মে নেই, সেটা যেমন সত্যি, তেমনই তাঁকে হারানোর জন্য গুকেশের সর্বস্ব বাজি রাখা গেমগুলিও সত্যি। ডিং এমনি পরাজয় স্বীকার করেননি, কোনও ক্রীড়াবিদই তা করেন না। গুকেশকে তিনি হারিয়েছেন। গুকেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। নিজস্ব দাবাজ্ঞান দিয়েই করেছেন। মানসিক ঝড় সামলেছেন। স্নায়ু ইস্পাতকঠিন করেছেন। তুলনামূলক খারাপ পজিশন থেকে খেলার মোড় ঘোরানোর সাহস দেখিয়েছেন। খেলার শেষে কখনও আত্মক্ষোভে কেঁদেছেন, কখনও হতাশা প্রকাশ করেছেন, কখনও শিশুর মতো আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। তাঁর কৃতিত্বকে ছোট করা কিংবা কোনও ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্সে ফাঁপা জাতীয়তাবাদ ভরে তাঁর প্রতিপক্ষকে হেয় করা সামগ্রিক ক্রীড়াসত্তার অসম্মান। ২০২৪ সালে গুকেশ হিকারু নাকামুরা, ফ্যাবিয়ানো কারুয়ানা, ইয়ান নেপোমনিয়াৎশিদের পেছনে ফেলে ক্যান্ডিডেটস দাবা জিতেছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই কার্লসেন যুগের খ্যাতনামা নক্ষত্র, নিজেদের সেরা দিনে এঁরা কার্লসেনকে পর্যুদস্ত করার ক্ষমতা রাখেন। গুকেশকে অকুণ্ঠ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন কার্লসেন- “গুকেশ নিজস্ব দাবারীতি গড়ে নিয়েছে, এইজন্যই ও অন্যদের থেকে আলাদা। গুকেশ এত কম বয়সে ক্যান্ডিডেটস জেতায় অনেকেই অবাক হয়েছে, আমি হইনি। ক্যান্ডিডেটস জেতার সমস্ত শক্তি, সব সম্ভাবনা ওর মধ্যে রয়েছে।”

আরও পড়ুন-৩৭ বছর বাদে টলল বিশ্বনাথন আনন্দের আসন! ভারতের সেরা দাবাড়ু ডি গুকেশের উত্থান কীভাবে?

কিংবদন্তি গ্র্যান্ডমাস্টার সুসান পোলগারের মতে, দাবা খেলাটা একটা কাঠামোর মতো, যেমন অন্যান্য খেলাতেও একটি নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। যাঁরা দাবা খেলেন, তাঁরা সকলেই কমবেশি সেই কাঠামোটা জানেন। কিন্তু, সেই কাঠামোর মধ্যে থাকে অনন্ত সম্ভাবনা; সেই কাঠামোর ভেতরে অনেকরকম পারমুটেশন-কম্বিনেশন, নীতিকৌশল থাকে। ভালো দাবাড়্রুরা সেইসব সম্ভাবনার খোঁজ করেন। আরও ভালো দাবাড়ুরা সেইসব সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা করেন, গবেষণা করেন। আর, সেরার সেরা দাবাড়ুরা সেই সম্ভাবনাকে বিস্তৃত করতে থাকেন। নীতিকৌশলের সুচারু প্রয়োগে কাঠামোর ভেতরের প্রত্যাশার দিগন্ত বাড়িয়ে নিতে থাকেন। ক্রীড়ার নান্দনিকতা সেইখান থেকেই ডানা মেলে। একজন চ্যাম্পিয়ন এই কাজটা সবচেয়ে ভালোভাবে করতে পারেন।

একজন চ্যাম্পিয়নের বেশ কিছু গুণ থাকে, যা তাঁকে স্বতন্ত্র করে তোলে, অন্যদের থেকে আলাদা। গুকেশের তেমনই কিছু গুণ রয়েছে। দাবার একটা চিরন্তন প্রবাদ হচ্ছে, যখন তুমি জিতছ তখন খেলাটাকে সরল করে দাও। আর, তুমি যখন হারতে চলেছ, তখন খেলাটাকে যত পারো জটিল করে দাও। কিছুতেই সহজে প্রতিপক্ষকে জিততে দিও না। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের পজিশনাল সুবিধাকে একটু একটু করে ভোঁতা করতে হবে। তাঁর জেতার সহজতম রাস্তাগুলোয় বাধা তৈরি করতে হবে। ভালো অবস্থানে থাকা প্রতিপক্ষের জেতার সময় যত পিছোবে, তত অক্সিজেন পাবেন পজিশনে পিছিয়ে থাকা দাবাড়ু। চাপ বাড়তে থাকবে জিততে-চলা দাবাড়ুর ওপর এবং অধৈর্য হয়ে পড়বেন তিনি। তখন তাঁর একমাত্র ভুলের জন্য অপেক্ষা। এই অপেক্ষা আর সঠিক মুহূর্তে প্রত্যাঘাতের কৌশল খুঁজে নেওয়া একজন চ্যাম্পিয়নের গুণ। গুকেশ সেই গুণ অর্জন করেছেন। নরওয়ে দাবা প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ রাউন্ডে গুকেশ জিতলেন কার্লসেনের ভুলের সুযোগ নিয়ে। কার্লসেনের জেতার সহজ পথগুলো জটিল করতে করতে আর তাঁর মানুষী দুর্বলতার জন্য অপেক্ষা করে।

গুকেশের আরেকটা মারাত্মক অস্ত্র তাঁর দানগণনার ক্ষমতা। দাবার দানগণনায় প্রবল শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার প্রয়োজন হয়। বিশেষত ধ্রুপদী দাবায়। প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা একটানা পরিকল্পনা করা, মস্তিষ্ককে সচল রাখা এবং জেতার ক্ষিদে জাগিয়ে রাখা কম কাজ না। তার সঙ্গে ম্যাচের পর ম্যাচে প্রতিপক্ষের কৌশলজাল ছিঁড়ে নিজের ব্যূহরচনা করা আর নীতিমাফিক দানপ্রয়োগ করা সাধারণ ক্রীড়াবিদরা পারেন না। গুকেশ পারেন। ২০২২ সালে চেন্নাই অলিম্পিয়াডে গুকেশ টানা আট ম্যাচে জয় পেয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাবিয়ানো কারুয়ানাকে হারানো। তখন কারুয়ানার রেটিং ২৭৮৩ আর গুকেশের মাত্র ২৬৮৪। সিসিলিয়ান প্রতিরক্ষায় নেজমেৎদিনেভ-রসোলিমো শাখায় খেলা হয়েছিল। অত্যন্ত আক্রমণাত্মক একটি শাখা। ২০১৮ সালে কার্লসেন বনাম কারুয়ানা বিশ্বখেতাবী লড়াইয়ে কার্লসেন ও কারুয়ানা দু’জনেই এই শাখাটিকে অন্য এক স্তরে উন্নীত করেছিলেন। গুকেশ সেই ইতিহাস জানতেন, ওই ম্যাচগুলির বিশ্লেষণ জানতেন। কালো নিয়ে নির্দ্বিধায় আক্রমণনীতি বেছে নিয়েছিলেন। সাদার কিং-এর দিকের ব্যূহ ভাঙার নীতি। প্ল্যান-বি হিসেবে কুইনের দিকের খোলা ফাইল দিয়ে রুক নিয়ে আক্রমণ। সাদার প্রতিরোধের সব সম্ভাবনাগুলিকে নিখুঁত দাবগণনায় গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন গুকেশ। আমার দেখা গুকেশের অন্যতম সেরা গেম এটি। কারুয়ানার মতো দক্ষ ক্রীড়াবিদকে সর্বাত্মক আধিপত্যে হারিয়েছিলেন গুকেশ।

আরও পড়ুন-আগামী দশ বছরে বিশ্ব দাবার রাশ ভারতের হাতেই, নিশ্চিত!

বিগত দশক থেকে দাবার ক্রীড়াপদ্ধতিতে গুণগত বদল এসেছে। কার্লসেন বোধহয় শেষ বিশ্বখেতাবজয়ী যাঁকে দাবা-ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাঁর বিশ্বখেতাব জয়ের সময় বা রেটিংশীর্ষে পৌঁছনোর সময় দাবা-ইঞ্জিন ছিল, কিন্তু তা মানুষী বিশ্লেষণের ওপরে জাঁকিয়ে বসেনি। নিজের অস্ত্র প্রস্তুত করতে দাবা-ইঞ্জিনের সাহায্য নিশ্চয়ই তিনি নেন, কিন্তু দান বিশ্লেষণের মানুষী সবলতা-দুর্বলতা ও যুদ্ধের ময়দানে প্রতিপক্ষের মনস্তস্ত্বে আধিপত্য করার আধুনিক দাবানীতিতে বিশ্বাস করেন। অতি সাম্প্রতিক পর্যায়ে দাবাড়ুদের দাবাচর্চায় উল্লেখযোগ্য বদল— দাবা-ইঞ্জিনের প্রতি নির্ভরতা। দাবা-ইঞ্জিনের সাহায্যে ওপেনিং প্রস্তুত করা, দীর্ঘ-দীর্ঘ দানপর্যায় স্মৃতিতে ধরে রাখা এবং দাবা-ইঞ্জিনের সহায়তায় তুলনামূলক কম-খেলা রকমফের প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষকে ধাঁধিয়ে দেওয়া— দাবাড়ুরা এগুলি অনুশীলন করেন। ইঞ্জিনের নিখুঁত বিশ্লেষণ-অনুসারী দান ও কৌশল হুবহু বোর্ডে প্রয়োগ করতে চান। তবে, দাবা-ইঞ্জিন আর মানুষের বিশ্লেষণের ক্ষমতায় তফাৎ আছে বলেই প্রকৃত গেমে বিচ্যুতি হয়। অভাবনীয় কোনও দান বেরিয়ে আসে দাবাড়ুর মাথা থেকে। গুকেশ এই প্রজন্মের দাবাড়ু। তাঁর বহু গেম দেখে আঁচ করা যায় তাঁর প্রস্তুতি ও অনুশীলনে দাবা-ইঞ্জিনের প্রভাব রয়েছে। কিন্তু, তারপরেও রয়েছে তাঁর নিজস্ব মেধা ও পরিশ্রম। আচমকা বিপদে পড়ে যাওয়া পরিস্থিতিতে দানগণনার দক্ষতা ও মানসিকতা। এন্ডগেমে প্রতিপক্ষকে পিষে পিষে একটু অ্যাডভান্টেজ থেকে জয়ের স্বাদ পাওয়ার তীব্র খেলোয়াড়ি আকাঙ্খা। আর, তাঁর রয়েছে শীতল মস্তিষ্ক ও খুনে-আকাঙ্খা। যেকোনও পরিস্থিতিতে শত্রুকে বধ না করে ময়দান ছাড়ব না— এই আশ্চর্য পরিণত বোধ। বিশ্বের যেকোনও ক্রীড়ায় একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রীড়াবিদের এই গুণটিই প্রাথমিক ও সবচেয়ে জরুরি। গুকেশ তা আত্মস্থ করেছেন।

খেতাব জয়ের থেকেও কঠিন সেই খেতাব ধরে রাখা। মাসের পর মাস বিভিন্ন শীর্ষস্তরীয় প্রতিযোগিতায় খেতাবজয়ের অহং প্রতিষ্ঠা করা। আর, বছরের পর বছর দাবার সমস্ত রকমফেরে সেই খেতাবের মান অক্ষুণ্ণ রাখা। একইসঙ্গে কঠিন এলো রেটিং-এর ক্রমোন্নতি। এলো রেটিং কমে-বাড়ে। একটি প্রতিযোগিতায় কোনও দাবাড়ুর অফ-ফর্ম চললে, তিনি শুধু প্রতিপক্ষের কাছে পয়েন্টই খোয়ান না, তাঁর এলো-রেটিংও কমে যায়। আবার, কোনও কোনও দাবাড়ু সর্বোচ্চ স্তরের প্রতিযোগিতাতে দারুণ ফর্মে খেলে এলো-রেটিং বাড়িয়ে নেন। ২৮০০-র ওপরে এলো রেটিং হাতেগোনা কয়েকজন দাবাড়ু অর্জন করতে পেরেছেন। ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ বিশ্বনাথন আনন্দ এবং অতিসম্প্রতি অর্জুন এরিগাইসি ২৮০০-র সীমানা পেরিয়েছেন। ম্যাগনাস এক যুগেরও বেশি সময় ২৮০০ রেটিং-এর ওপরে নিশ্চিন্তে বসে আছেন। সর্বোচ্চ রেটিং ২৮৮২, যা সর্বকালীন রেকর্ড। তাঁর সাম্প্রতিক রেটিং কমলেও, এখনও তা অন্যান্য দাবাড়ুদের থেকে অনেকটাই বেশি। দোম্মারাজু গুকেশের কাছে এও একটা চ্যালেঞ্জ। ২৮০০ রেটিং হয়তো তিনি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অর্জন করে নেবেন, কিন্তু কাসপারভ ও ম্যাগনাস পরবর্তী জমানার শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু হতে গেলে তাঁদের এলো-রেটিংকেও প্রতিস্পর্ধা জানাতে হবে। গুকেশের বয়স মাত্র ১৯ বছর। দাবার মতোই তাঁর সামনেও অনন্ত সম্ভাবনা। কঠিন সীমানাগুলি টপকে তিনি নিশ্চয়ই পারবেন পূর্বসূরী দাবাড়ুদের নির্মাণ করা শৃঙ্গগুলি জয় করতে। দাবায় ভাগ্য বলে কিছু নেই। সবটাই মেধা, প্রস্তুতি, শ্রম, দানগণনা, স্নায়ুশক্তি আর লড়াকু আকাঙ্খার সমাহার। গুকেশ এই গুণগুলি অর্জন করে, অনুশীলন করে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। “গুকেশ শান্ত, নম্র আর দাবার প্রত্যেক খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রচণ্ড কৌতুহল ওর। গুকেশের প্রত্যেক গেমে প্রবল উচ্চাকাঙ্খা আর ক্ষুরধার মেধার মিশেল দেখেছি”- একথা স্বয়ং কার্লসেনের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুকেশের খেলা আরও পরিণত হবে, তাঁর ক্রীড়ামেধা আরও শাণিত হবে। আজকের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আগামীতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন। খেতাব ধরে রাখার যোগ্য দাবিদার হিসেবে গুকেশ নিজেকে প্রমাণ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস।

 

লেখক দ্য অসম রয়াল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক

More Articles