বাগবাজার না সিমলা ব‍্যায়াম সমিতি, কোন সার্বজনীন পুজো সবচেয়ে পুরনো? জানুন আসল তথ্য

Durgapuja 2022: সিমলা ব‍্যায়াম সমিতি, কুমোরটুলি না বাগবাজার, কোন পুজো সবচেয়ে পুরনো?

যাঁরা উত্তর কলকাতায় থাকেন, তাঁরা জানেন, উত্তর কলকাতার তিনটি পুজোর মধ্যে রেষারেষি বহু পুরনো। উত্তর কলকাতার তিনটি প্রথম সারির পুজো হলো, বাগবাজার সার্বজনীন, সিমলা ব্যায়াম সমিতি এবং কুমোরটুলি সার্বজনীন। এই তিনটি পুজোর মধ্যে সব সময় রেষারেষি লেগেই থাকে কোনটি সবচেয়ে পুরনো, সেই নিয়ে। রেষারেষি থাকলেও এই তিনটি পুজোর মধ্যে একজন কমন- তিনি হলেন স্বয়ং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই সম্বন্ধে জানতে গেলে আগে এই তিনটি পুজোর গৌরবময় ইতিহাস সম্বন্ধে আমাদের জানতে হবে।

প্রথমেই আসি বাগবাজার সার্বজনীনের কথায়। কলকাতার প্রাচীন সার্বজনীন পুজোর মধ্যে বাগবাজার অন্যতম। ইতিহাসবিদদের মতে, কলকাতায় প্রথম বারোয়ারি দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল ১৯১০ সালে। এর ৯ বছর পর, ১৯১৯ সালে শুরু হয় উত্তর কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব। এই পুজো কীভাবে শুরু হলো, তার নেপথ্যে একটি ইতিহাস আছে। যাঁরা 'হুতোম প্যাঁচার নকশা' পড়েছেন, তাঁরা কমবেশি সকলেই জানেন, সেকালের জমিদাররা কেমন দেখনদারিতে বিশ্বাসী ছিলেন। পুজোর সময় জমিদাররা বেশ আড়ম্বর করে ভোগের আয়োজন করতেন। তবে তা মোটেও সাধারণ মানুষের জন্য নয়। সেই ভোগ ছিল একমাত্র সমাজের উচ্চবিত্ত বা এলিটদের জন্য। একবার এক জমিদারবাড়িতে এরকমই ভোগ খেতে গিয়ে ভোগ না পেয়ে চরম অপমানিত বোধ করেন বেশ কিছু মানুষ। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে ক্রুদ্ধ হন সাধারণ মানুষ। সিদ্ধান্ত হয়, চুলোয় যাক জমিদার, আমরা নিজেরা নিজেদের পুজো করব। নিজেরা নিজেদের মা দুর্গার আরাধনা করব। ১৯১৮ সালে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর ১৯১৯ সালে শুরু হয় ‘নেবুবাগান বারোয়ারী দুর্গোৎসব’। যাঁরা কলকাতা শহরের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেছেন, তাঁদের মতে, এটিই কলকাতার প্রথম সার্বজনীন দুর্গাপুজো। এই পুজো প্রথম হয়েছিল একটি লেবুবাগানে (অপভ্রংশ হয়ে নেবুবাগান) তাই এর নাম ‘নেবুবাগান বারোয়ারী দুর্গোৎসব’। নেবুবাগান লেন ও বাগবাজার স্ট্রিটের মোড়ে প্রথম পুজো হলেও ১৯২৪ সালে তা সরে গিয়ে বাগবাজার স্ট্রিট ও পশুপতি বোস লেনের মোড়ে হতে শুরু করে। তারপর যদিও আরও স্থান পরিবর্তন হয়েছে। এখন এই পুজো হয় গিরিশ মঞ্চের পাশে, কালোয়ারপট্টির মাঠে। আপনারা বাগবাজারের পুজো দেখতে গেলে দেখবেন, সেখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি মূর্তি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে, নেতাজির সঙ্গে বাগবাজারের কী সম্পর্ক? আসলে ১৯৩৮ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এই পুজোর সভাপতিত্ব করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কলকাতার আর পাঁচটা পুজোর থেকে একটা জায়গায় আলাদা। থিম পুজোর স্রোতের বিপরীতে এখনও সাবেকিয়ানা বজায় রেখেছে এই পুজোটি। এই পুজোর মাতৃপ্রতিমা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন প্রতি বছর৷ এখানকার প্রতিমার একটা আলাদা আকর্ষণ আছে। এই পুজোয় মায়ের গায়ের রং হয় অতসী এবং অসুরের গায়ের রং হয় সবুজ। এই পুজোয় মা দুর্গা সাজেন ধবধবে সাদা ডাকের সাজে। সেই জন্মলগ্ন থেকে এমনভাবেই এখানে পূজিত হয়ে আসছেন মা দুর্গা।

Netaji

নেতাজির স্মৃতি জড়িয়ে তিনটি পুজোর সঙ্গেই

যদি উত্তর কলকাতায় ঠাকুর দেখতে চান, তাহলে বাগবাজার থেকে বেরিয়ে আপনার প্রথম গন্তব্য হওয়া উচিত কুমোরটুলি সার্বজনীন। কুমোরটুলি সার্বজনীনের ইতিহাস জানতে হলে আগে জানতে হবে, কুমোরটুলির ইতিহাস। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৬০৬ সালে বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজো হয়। সেই সময় জনবসতি তো দূরস্থান, কলকাতাই গড়ে ওঠেনি। কলকাতা ধীরে ধীরে জমজমাট হয়ে ওঠে পলাশি-পরবর্তী সময়ে। সেসময় ব্রিটিশরা কাজের সুবিধের জন্য বিভিন্ন পেশার মানুষদের জন্য বিভিন্ন জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। এই সময় কলকাতায় জায়গায় জায়গায় গড়ে ওঠে কামারপাড়া, ছুতোরপাড়া, জেলেপাড়া প্রভৃতি। এভাবেই মৃৎশিল্পীদের জন্য গড়ে ওঠে কুমোরটুলি। সেই সময় বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ রোজগারের আশায় কলকাতায় আসতে শুরু করেছিল। পলাশি-পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণনগর থেকে সব মৃৎশিল্পীরা চলে আসেন কলকাতায়। ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের জয় উদযাপন করতে কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে প্রথম পুজো করেছিলেন রাজা নবকৃষ্ণ দেব। সেই পুজোয় অপূর্ব সুন্দর প্রতিমা তৈরি করেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা। সেই থেকেই ধীরে ধীরে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে কুমোরটুলির নাম। কলকাতার ঘিঞ্জি প্রাচীন গলির ভেতর প্রতিনিয়ত রং-তুলিতে নতুন করে সেজে ওঠেন বিভিন্ন দেবদেবী। এখন মণ্ডপে মণ্ডপে চলে এসেছে প্রতিমা। সেই মৃন্ময়ী মা দুর্গাকে চিন্ময়ী রূপ দিয়েছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা। আজকাল তরুণ প্রজন্মের অনেককে দেখা যায়, কুমোরটুলিতে গিয়ে নির্মীয়মান মা দুর্গার মূর্তির ছবি তুলতে। তারা যদি একটু তলিয়ে দেখে, তাহলে বুঝতে পারবে কুমোরটুলির ওই গলির মধ্যে তৈরি হয়েছে কত ইতিহাস। যেরকম অনেকেই জানেন না, আগে কুমোরটুলিতে মূর্তি তৈরি হতো না, শুধুমাত্র মাটির বাসনই তৈরি হতো। কিন্তু পরে এগুলোর ব্যবহার কমে যাওয়াতে যারা পুতুল বানাত, তারা মূর্তি বানাতে আরম্ভ করে। এরপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা বানানো শুরু হয়। এখানে প্রথম বানানো হয় মা দুর্গার একচালা প্রতিমা। এভাবেই চলছিল বেশ, তারপর ১৯৩১ সালে শুরু হয় কুমোরটুলি সার্বজনীন। কুমোরটুলির সব মৃৎশিল্পীরা মিলে চালু করেন নিজেদের প্রথম পুজো। এই পুজোর প্রথম সভাপতি হয়েছিলেন হরিশংকর পাল। পরবর্তীকালে কুমোরটুলির তরুণদের আহ্বানে ১৯৩৭ সালে (মতান্তরে ১৯৩৮ সালে) এই পুজোর সভাপতি হন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই সময় অনেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরা মনে করেছিলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কুমারটুলি সার্বজনীনের সভাপতি হলে ইংরেজদের রোষের মুখে পড়তে পারে কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা। যদিও সেসব কিছুই হয়নি, তবে হয়েছিল আরেকটি অদ্ভুত ঘটনা। নেতাজি সভাপতি হলেন, পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি তুঙ্গে তখন। হঠাৎ করে পঞ্চমীর দিন ঘটে গেল মহাবিপত্তি! রাত পেরোলেই দেবীর বোধন, এদিকে আগের দিন কোনওভাবে আগুন লেগে যায় মণ্ডপে। পুড়ে যায় দেবীর একচালা মূর্তি। কী করা যায়? মাথায় হাত সবার, এমন সময় কুমোরটুলির পুজোর মুশকিল আসান হয়ে এলেন কিংবদন্তি মৃৎশিল্পী গোপেশ্বর পাল। বিদেশ থেকে অনেক কিছু শিখে এসেছিলেন তিনি, কিন্তু মনেপ্রাণে ছিলেন পুরোদস্তুর স্বদেশি। রাতারাতি গড়ে ফেললেন মা দুর্গার একচালা মূর্তি। সেই মূর্তিরই পূজা হলো পরদিন। রাতারাতি নির্মিত সেই মূর্তি দেখে গোপেশ্বর পালকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

কুমোরটুলির গলিতে লুকিয়ে বহু প্রাচীন ইতিহাস

আরও পড়ুন: বনেদি আভিজাত্যে বিলুপ্তির পথে নীলকণ্ঠ পাখিরা! দশমীর দিনে কেন ওড়ানো হয় এই বিশেষ পাখি?

এবার যাওয়া যাক সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোয়। তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। দেশের ছাত্র-যুবরা উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। তাদের দুই চোখে স্বরাজের স্বপ্ন, স্বাধীনতার স্বপ্ন। এই সময় পুলিশ প্রায়শই বিপ্লবীদের ডেরায় হানা দিয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে আসত, চলত অকথ্য অত্যাচার। ইংরেজ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে গোপনে সভা করা যায়, সেই নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বিপ্লবীরা। এবার তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজির অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং কাছের একজন বিপ্লবী ছিলেন অতীন বসু। সিমলা এলাকার মহেন্দ্র গোস্বামী লেনে থাকতেন বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসু। মাঝে মধ্যেই তাঁর বাড়িতে এসে সময় কাটিয়ে যেতেন সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর নির্দেশেই এই বাড়িতে শুরু হয় কলকাতার প্রথম সার্বজনীন দুর্গোৎসব। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা তুলে ১৯২৬ সালে কলকাতার সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজো শুরু হয়। এখন ভাবলে অবাক হতে হয় সেই সময় হোগলাপাতার বেড়া দিয়ে তৈরি হয়েছিল সিমলা ব্যায়াম সমিতির প্যান্ডেল। তবে এই পুজো কেবলমাত্র পুজোই ছিল না, এর পিছনে ছিল আরও অনেক বড় অভিসন্ধি। সামনে পুজো ছিল একটি বাহানামাত্র, আসলে এই বাড়িতেই বসত বিপ্লবীদের কনভেনশন বা গোপন সভা। দুর্গাপুজোর সময় সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপ্লবীরা এসে জমায়েত করতেন এই বাড়িতে। ওপর ওপর দেখলে মনে হবে, দুর্গাপুজো দেখতে এসেছেন মানুষ। কিন্তু সেই সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে থাকতেন অসংখ্য বিপ্লবী। তাদের ওই ভিড়ে দেখে চেনার ক্ষমতা সেই সময় ব্রিটিশ পুলিশের মধ্যে অন্তত ছিল না। আক্ষরিক অর্থে এই পুজোই ছিল কলকাতার প্রথম ‘সার্বজনীন’ পুজো। তাহলে বাগবাজার? আসলে বাগবাজারের পুজোর নামে ’সার্বজনীন’ ছিল ঠিকই, কিন্তু সেটি সীমাবদ্ধ ছিল স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে। তবে সিমলার ব্যায়াম সমিতির হাত ধরেই কলকাতায় দুর্গাপুজো সার্বজনীন হয়। কেননা এই পুজো দেখতে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম নির্বিশেষে সারা শহরের মানুষ আসতেন। মনে করা হয়, এই পুজোর আগে পর্যন্ত দুর্গাপুজো এক শ্রেণি বা একটি বিশেষ এলাকার মধ্যেই সামীবদ্ধ থাকত। তবে সিমলার ব্যায়াম সমিতির হাত ধরেই কলকাতায় সার্বজনীন দুর্গাপুজো আক্ষরিক অর্থেই সার্বজনীন হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বরাবরই অতীন বসুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবকদের স্বাস্থ্যচর্চার ওপর বিশেষ নজর দিতে। অতীনবাবুর বাড়িতে যুবকদের লাঠি খেলা, ছুরি খেলা, কুস্তি, বন্দুক চালানো- সবই শেখানো হয়েছিল। যুবকদের সেই সমস্ত কেরামতি প্রদর্শনের জন্য প্রতি ‌বছর দুর্গাপূজার অষ্টমীতে পালিত হতো বীরাষ্টমী ব্রত। এই বীরাষ্টমী ব্রত দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসতেন মানুষ। বলা যায়, এই অনুষ্ঠান ছিল সেই সময়কার ক্রাউড পুলার। ক্রমে বিপ্লবীদের আখড়া হয়ে ওঠে সিমলা ব্যায়াম সমিতি এবং বিপ্লবী অতীন বসুর বাড়ি। ১৯৩২ সালে বিপ্লবীদের জমায়েত টের পেয়ে পুজো বন্ধ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। তবে দু'-বছর পরই, অর্থাৎ ১৯৩৪ সালে আবার চালু হয় এই পুজো। সেবার এই পুজোর সভাপতি হয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। জমিদারবাড়ির পুজো বা বারোয়ারি পুজো পেরিয়ে এখন সব পুজোই কিন্তু সার্বজনীন হয়ে গিয়েছে। আজকের এই প্যান্ডেল হপিং বা দুর্গাপুজো সার্বজনীন হওয়ার পিছনে অন্যতম হাত ছিল বিপ্লবী অতীন বসুর। তবে এতকিছু সত্ত্বেও সেই পর্দার আড়ালেই থেকে গিয়েছেন, কলকাতার সার্বজনীন পুজো সংস্কৃতির পথপ্রদর্শক বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসু।

Durgapuja History

সিমলা ব‍্যায়াম সমিতির প্রতিমা, ১৯৫১ সালের

নথি থেকে যা জানা যায়, তা হলো, উত্তর কলকাতার এই তিনটে পুজোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো পুজো হলো বাগবাজার সার্বজনীন। তবে এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু ধোঁয়াশা আছে। খাতায়-কলমে ১৯৩১ সালে কুমোরটুলি সার্বজনীনের পুজো শুরু হয়। কিন্তু এর আগে মৃৎশিল্পীরা কখনও ব্যক্তিগতভাবে পুজোর উদ্যোগ নিয়েছেন কি না, সেই বিষয়ে কোনও লিখিত ইতিহাস নেই। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা প্রতিনিয়ত দেবদেবীর প্রতিমা বানিয়ে পাঠাচ্ছেন, তাঁরা এর আগে কখনও পুজোর উদ্যোগ কি সত্যিই নেননি? উত্তর সঠিকভাবে কারওরই জানা নেই। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যেতে পারে, বাগবাজারের পুজোর নামে সার্বজনীন থাকলেও ঐতিহাসিকদের একাংশ মনে করেন, কলকাতার প্রথম সার্বজনীন পুজো হিসেবে ধরা উচিত সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোকে।

More Articles