পুজোর ফিতে কাটল সারমেয়রা! কলকাতায় প্রথম অভিনব পোষ্যবান্ধব পুজো নিয়ে হইচই

Kolkata Pet Friendly Durgapuja 2022: রবিবার, মহালয়ার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াজের চার সদস্য, দুই ল্যাব্রাডর মলি এবং ক্যাম্ফার আর দুই জার্মান শেফার্ড লিজা এবং ডিংকি এই পুজোর উদ্বোধন করে।

দুর্গাপুজো মানেই পরিবারের সকলের সঙ্গে উৎসব ভাগাভাগি করে নেওয়া। বাংলার ঐতিহ্য তো এমনই। আর পরিবার মানেই শুধু মানুষে মানুষে সম্পর্ক তো নয়। পোষ্য আর মানুষের যে ভাষাহীন সম্পর্ক তা অনেক বাঙ্ময় সম্পর্কের চেয়েও অগাধ-অতল। উৎসবে, দুঃখে, হইচইয়ে, বিষণ্ণতায় মানুষের নির্ভরযোগ্য আশ্রয় হয়ে ওঠে পোষ্যরা, তাই দুর্গাপুজো বাড়ির পোষ্যদের বাদ দিয়ে কেমন করে সম্ভব!

এই ভাবনা থেকেই এবার পোষ্যবান্ধব পুজোর আয়োজন। বিধান সরণী অ্যাটলাস ক্লাবের এই অভিনব পুজোর উদ্বোধনও ছিল ততটাই আকর্ষণীয়। মানুষ নয়, পুজোর ফিতে কাটল সারমেয়রা। এই পুজোর উদ্বোধক ছিল কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের সদস্যরা।

আরও পড়ুন- কলকাতার পুজোর ভিড় থেকে মুক্তি? মন ভালো করবে জয়নগরের বনেদি বাড়ির এই পুজোগুলি

কলকাতার পুজো নিয়ে যতই উন্মাদনা থাক না কেন, বেশ কিছু বিধিনিষেধও (খাতায় কলমে নয়, তবে অঘোষিত) রয়েছে তিলোত্তমার পুজো ঘিরে। মানুষের পুজো, মানুষের গড়া দেবতা, মানুষের তৈরি ভিড়, মানুষই সেখানে দর্শনার্থী। ফলে পোষ্যদের পুজোতে নিয়ে বেরনোর সুযোগ নেই।

পোষ্যদের পুজোর আনন্দে সামিল করার সুযোগই করে দিয়েছে অ্যাটলাস ক্লাবের পুজো। রবিবার, মহালয়ার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াজের চার সদস্য, দুই ল্যাব্রাডর মলি এবং ক্যাম্ফার আর দুই জার্মান শেফার্ড লিজা এবং ডিংকি এই পুজোর উদ্বোধন করে।

শুধু ভাবনাতে নয়, এই পুজোর প্রতিমা, মণ্ডপও অভিনব। দুর্গার পায়ের নীচে মহিষাসুর নেই, রয়েছে রয়েছে দু’টি কুকুরের মূর্তি যারা দুর্গার কাছে আশীর্বাদ প্রার্থী। কলকাতার একমাত্র পোষ‌্য বান্ধব এই দুর্গাপুজো যে শুধু বাড়ির আদরের পোষ্যদের কথাই বলে তা নয়। পথকুকুর সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোও পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম কর্মসূচি।

আরও পড়ুন- ‘দুগ্গাপুজোয় শুধু নতুন জুতো হলেই হবে! নতুন সেক্স চাই না?’ পুজোর সোনাগাছির গোপন কথা

সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিমা দর্শন শুরু হবে চতুর্থী থেকে, কিন্তু পোষ্যরা ঠাকুর দেখতে পারবে প্রতিপদ থেকে তৃতীয় পর্যন্ত। তারপরেও মণ্ডপে আসা যাবে তবে তার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। নামও লিখিয়ে রাখতে হবে আগে।

এমন অভিনব উদ্যোগের ডাক ফেরাতে পারেননি লালবাজারের গোয়েন্দারা। রোজের কাজ সেরে তাই সারমেয়দের নিয়ে পুজো মণ্ডপে সবার হইচই যে কলকাতার বুকে এক সুন্দর উদাহরণ হয়ে রইল, তা বলাই বাহুল্য।

More Articles