বেআইনি চাকরি আর পদাধিকারের শর্তে দলে আসা, পরেশ অধিকারীর মতো নেতা কেন তৃণমূলের গলার কাঁটা?

দলীয় নেতৃত্বের একাংশ সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, পরেশ অধিকারী কত বড় নেতা যে, তাঁকে দলে নিতে হয়েছে তাঁরই শর্ত মেনে?

তদন্ত যত এগোচ্ছে, এসএসসি নিয়োগ-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকারের অস্বস্তি ততই বাড়ছে। আর এই অস্বস্তির ছায়া স্বাভাবিকভাবেই পড়ছে শাসক দলের অভ্যন্তরেও।

 

দলীয় নেতৃত্বের একাংশ সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, পরেশ অধিকারী কত বড় নেতা যে, তাঁকে দলে নিতে হয়েছে তাঁরই শর্ত মেনে? আর এই শর্ত পূরণ করতে গিয়েই তো এভাবে মুখ পুড়ছে সরকারের, এমনকী এই ইস্যুতে দলনেত্রীর দিকেও আঙুল তুলছে বিরোধীরা। পরেশ অধিকারীর মেয়েকে এভাবে পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি দেওয়া না হলে হয়তো এসব কিছুই হতো না। দলের অন্দরে প্রশ্ন তোলা এই নেতারা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, যে বা যাঁরা পরেশ অধিকারীকে তৃণমূলে আনতে সক্রিয় হয়েছিলেন, তাঁদের সেই হঠকারিতার জেরেই আজ এই পরিস্থিতি। এঁদের বিরুদ্ধে দল এখনই কড়া পদক্ষেপ করুক।

 

এদিকে জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের জেরায় পরেশ অধিকারী উত্তরবঙ্গের দুই তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে বলেছেন,এদের মাধ্যমেই নাকি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পরেশবাবু। প্রশ্ন উঠেছে, পরেশবাবু আনকোরা কোনও রাজনীতিক নন। বামফ্রন্ট আমলে খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ফলে পরেশবাবু ভালোভাবেই জানতেন, এভাবে কাউকে সরকারি চাকরি দেওয়া যায় না, চাকরি দেওয়া বেআইনি। তাহলে পরেশ অধিকারী আইন-বহির্ভূত পথে নিজের মেয়ের চাকরির দাবি করলেন কীভাবে? এবং শাসক দলের তরফে তা পূরণ করার আশ্বাসই বা দেওয়া হলো কীভাবে?

 

আরও পড়ুন: একমাসে পাল্টে দিলেন সবকিছুই! রাজনীতিতেও ব্যবসাবুদ্ধি লাগে, প্রমাণ করছেন অর্জুন

 

এই পরেশ অধিকারীর কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে নয়, বিজেপিতে যোগদান নিশ্চিত ছিল।

 

২০১৮ সাল। উত্তরবঙ্গজুড়ে তখন বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি তুঙ্গে। তৃণমূল কিছুটা হলেও পিছিয়ে। সুযোগসন্ধানী পরেশ অধিকারী তখনই যোগাযোগ করেন বিজেপির সঙ্গে। ওই সময় বিজেপির দরজা হাট করে খোলা। তৃণমূল থেকেও অনেকেই তখন চলে গিয়েছে পদ্ম-শিবিরে। এই বাম নেতাও তখন বিজেপিতে যাওয়ার সলতে পাকানো শুরু করেন। গেরুয়া শিবিরের কাছে দাবি করেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁকেই কোচবিহার কেন্দ্রে পদ্ম-প্রার্থী করতে হবে। বিজেপি প্রায় রাজিও হয়ে গিয়েছিল৷ রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সেই সময় হঠাৎই তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূলের জনাকয়েক নেতা। দলের শীর্ষ মহলকে বার্তা দেওয়া হয়, পরেশ অধিকারীর মধ্যে তেণ্ডুলকরের মতো প্রতিভা রয়েছে৷ ইনি দলের 'সম্পদ' হতে পারেন। দলের অন্যতম এক শীর্ষ পদাধিকারী মাঠে নেমে পড়েন পরেশের হয়ে। পরেশের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়‌। সুযোগসন্ধানী পরেশ অধিকারী তৃণমূলকে তিন দফা শর্ত দেন, (১) মেয়ে অঙ্কিতাকে স্কুলে চাকরি দিতে হবে, (২) তাঁকে চাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করতে হবে এবং (৩) লোকসভা নির্বাচনে তাঁকেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে। শীর্ষ স্তরের এক পদাধিকারী দলের তরফে সব শর্ত মেনে নেন। এরপরই কলকাতায় আসেন পরেশ অধিকারী। ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এক সময়ের বামফ্রন্ট নেতা, যিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছিলেন, সেই পরেশ অধিকারী হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা। ঠিক তার আগেই পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়ে যান এবং তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ। সেই সময়ই বেআইনিভাবে অঙ্কিতার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সেসব অভিযোগকে পাত্তাই দেননি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনকয়েক আগেই মেয়ের চাকরি পেছনের দরজা দিয়ে আদায় করে প্রথম কার্যটি সিদ্ধি করে নেন পরেশ। ২০১৯ সালে কোচবিহার লোকসভা আসনে তৃণমূলের টিকিটও পান। সিটিং তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে সরিয়ে দল প্রার্থী করে এই পরেশকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গেরুয়া ঝড়ে উড়ে যান তিনি। বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে পরাজিত হন ৫৪,২৩১ ভোটে৷ নিশীথ এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন পরই পরেশ অধিকারীকে চাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানও করা হয়। দল কোচবিহারের রাজনীতিতে পরেশ অধিকারীকে এতটাই বিকল্পহীন ভেবে নেয় যে, তাঁর তিনটি দাবিই একে একে পূরণ করা হয়, নাহলে হয়তো দলের 'ক্ষতি' হয়ে যেত। ওদিকে এটা ধরে নেওয়াই যায়, পরেশ পদ্ম-পতাকা হাতে নেননি বলে এখন চওড়া হাসি বিজেপির মুখে। অন্যদিকে, প্রাক্তন এই বাম নেতাকে দলে নেওয়া যে কতখানি ভুল হয়েছে, তা ভেবে নিশ্চয়ই হাত কামড়াচ্ছেন শাসক দলের একাংশ। পরেশ অধিকারীকে নিয়েই এখন চরম বিড়ম্বনায় জেলা তৃণমূল। শীর্ষ মহল এখনও কোনও নির্দেশ না দিলেও জেলা তৃণমূল এখন এই নেতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন।

 

অবৈধভাবে নিজের মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রী পরেশের বিরুদ্ধে। এই চাকরি দেওয়ার দরুন বুড়ো আঙুল দেখানো হয়েছে মেধাতালিকাকে। ওদিকে জানা গিয়েছে, কোচবিহার তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীর স্বজন, চেনা-পরিচিতই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি, মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নাকি ডাক পাননি অনেকেই। আর তার মাঝেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দু'দিন আগেও যে ভদ্রলোক জেলার বামফ্রন্ট নেতা ছিলেন, তাঁকে দলে আনতে এত শর্ত মানা হলো কেন? কেন তাঁর মেয়েকে চাকরি দিতে গিয়ে প্রশাসন নিজেই নিজের মুখে কালি লাগাল? বিনিময়ে পরেশ অধিকারীর কাছ থেকে কী পেল দল?

 

পরেশ-কন্যার চাকরির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি যে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অগোচরে জনাকয়েক সরকারি অফিসার সেরে ফেলেছিলেন, এমন ভাবনা নেহাতই বাড়াবাড়ি। এমন হতেই পারে না। তদন্তে ধরা পড়েছে, কোনও একজন আধিকারিকের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি দিতে একটি চক্র কাজ করেছে। তাহলে পরেশের মেয়েকে চাকরি দিতেও সেই চক্রই সক্রিয় ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, উচ্চ স্তরের নির্দেশ ছাড়া ওই অফিসাররা কেন এই ঝুঁকি নেবেন? এতে কী স্বার্থ তাঁদের? তাই নিশ্চিতভাবেই এই চাকরির কথা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী জানতেন। শুধুমাত্র তাঁর নির্দেশেই পরেশ অধিকারীর মেয়ে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন কি না, তা হয়তো তদন্তসাপেক্ষ, কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এই নিয়োগের কিছুই জানতেন না, এমন হতেই পারে না। আর সেটা স্পষ্ট হয় একটি ঘটনা থেকে।

 

২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট, বৃহস্পতিবার। দিনকয়েক আগেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শাসক দলে যোগ দিয়েছিলেন বামফ্রন্টের খাদ্যমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। ঘটনাচক্রে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম তার আগেই উঠে যায় এসএসসি-র মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে। দেখা যায়, মেয়েদের অপেক্ষা তালিকায় ফার্স্ট গার্লের নামই অঙ্কিতা অধিকারী। অথচ তার ২৪ ঘণ্টা আগে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল, তাতে অঙ্কিতার নামই ছিল না। না থাকার কারণ সম্ভবত, তখনও পরেশের সঙ্গে শাসক দলের চূড়ান্ত রফা হয়নি। ২৩ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেদিন সাংবাদিকরা তাঁকে এই বিষয়েই কিছু প্রশ্ন করেন। সাংবাদিকরা জানতে চান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএসসি-র মেধাতালিকায় বদল হল কেন? কোন পথে নতুন তালিকায় সদ্য প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা বাম আমলের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নাম ঢুকে পড়ল? আজ বলতেই হচ্ছে, সেদিন এই প্রশ্ন শুনেই চটে লাল হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চড়া সুরে, সহজাত ভঙ্গিতে পার্থ সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, “কোনও প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে? কে বলেছে, অঙ্কিতা অধিকারীর নাম আগের তালিকায় ছিল না। সব বাজে কথা।” এখানেই শেষ নয়। এই উত্তর দিয়েই বিড়বিড় করে কিছু বলতে বলতে রাগ দেখিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন পার্থবাবু। অস্বস্তিকর প্রশ্ন রাগ দেখিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার ট্র্যাডিশন বা অধিকার রাজনীতিকদের আছে। কিন্তু রাগ দেখালেই তো আর সত্যিটা চাপা পড়ে না।

 

কিন্তু এখন কী প্রমাণ হলো? পার্থবাবু সেদিন যে প্রশ্নের জবাব সাংবাদিকদের দেননি, ঠিক সেই প্রশ্নের জবাব একপ্রস্থ দিয়ে এসেছেন সিবিআইয়ের কাছে। ফের তাঁকে ডেকেছে তদন্তকারী সংস্থা। হয়তো ফের তাঁকে ওই প্রশ্নেরই জবাব আরও বিস্তৃতভাবে দিতে হবে গোয়েন্দাদের কাছে। সেদিন পার্থবাবু সাংবাদিকদের কাছে যে প্রমাণ চেয়েছিলেন, সেই প্রমাণ তাঁর হাতে পৌঁছে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট এবং সিবিআই। তা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেদিন কোন অপরাধ গোপন করতে চেয়েছিলেন? কেন চেয়েছিলেন? ওই প্রশ্ন শুনে সেদিন কেন তিনি রেগে গিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন? ক্ষমতার চেয়ারে বসে অসত্য কথা বললে যে সেটাই যে ধ্রুব সত্যি বলে প্রমাণিত হবে, তা একেবারেই ভুল। অথচ এই সারসত্যটা ক্ষমতাধর-রা পদে থাকার সময় আমল দেন না। মেধাতালিকায় কারচুপি করার জন্যই তো আদালত পার্থবাবু ও পরেশবাবুকে সিবিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছে, সেই কারণেই তো আদালত মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে এই মন্ত্রীদের সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে। বাংলায় এমন ঘটনা বেনজির।

 

এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, সিবিআই নাকি পার্থবাবু ও পরেশবাবুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছে। পরেশ অধিকারীকে তিন দফায় প্রায় ১৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে চেষ্টা করছে, কার বা কাদের মাধ্যমে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, ঠিক কাকে তিনি মেয়ের চাকরির কথা বলেছিলেন, শাসক দলের কোন নেতা বা মন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছিলেন, মেয়ের চাকরি হয়ে যাবে। এই তথ্য যদি কখনও হাতে পায় সিবিআই, তাহলে বিষয়টি যে আরও জটিল হয়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই। আরও অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হবে রাজ্য সরকারকে।

 

একদিকে প্রশাসনের ওপর আদালত ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপ, অন্যদিকে, দুই মন্ত্রীকে নিয়ে দলের অন্দরে নেতা ও কর্মীদের একাংশের চূড়ান্ত ক্ষোভ। তৃণমূলের একাংশের অভিমত, এই দুই খারাপ পরিস্থিতির জন্য একমাত্র দায়ী বাম নেতা পরেশ অধিকারীর শর্ত মেনেই তাঁকে তৃণমূলে নিয়ে আসার ঘটনা।

 

অনেক কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। একক লড়াই চালিয়ে আজ দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছেন দলনেত্রী। রাজ্যজুড়ে তৈরি করেছেন অজস্র যোগ্য নেতা-নেত্রী। তা সত্ত্বেও পরেশ অধিকারীর মতো একটি পচা শামুকে তৃণমূলে পা কেটে গেল। পরেশ অধিকারীর স্তরের এবং মানের নেতা তৃণমূলে কমপক্ষে কয়েকশো রয়েছে৷ দলের নিষ্ঠাবান কর্মী-নেতাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তেই পরেশ-মার্কা নেতাদের দল থেকে বিদায় করে রাজ্যজুড়ে নতুন বার্তা দেওয়া উচিত শীর্ষ নেতাদের। একই সঙ্গে সংগত কারণেই দলে তুমুল সমালোচিত হচ্ছেন অভিজ্ঞ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁকেও সাময়িকভাবে শুধু দলের দায়িত্বে রাখাই উচিত।

 

আর তা না হলে দলকে আরও কঠিন সমালোচনার মুখে পড়তে হবেই।

 

 

More Articles