উমরে কড়া কপিলে নরম, এক বিচারে পৃথক ফল কেন!
দীর্ঘ আট মাস ধরে বার বার স্থগিত রাখা হচ্ছিল সিদ্ধান্ত। এ বারও ঘরে ফেরা হল না দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) প্রাক্তন ছাত্র তথা সমাজকর্মী উমর খালিদের (Umar Khalid)। দিল্লি হিংসা (Delhi Violence) মামলায় ফের তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া এবং দিল্লি দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইনে (UAPA) মামলা দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। তার জেরে ২০২০-র ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে জেলবন্দি তিনি। সম্প্রতি ফের নতুন করে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন উমর। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিল্লির করকরদুমা আদালত জানিয়েছে, দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত অনেকের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে উমরের, দেশের সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) পাশ হওয়া থেকে তার বিরোধিতায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০-র ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে হিংসা শুরু হওয়া পর্যন্ত বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাই টুকরো টুকরো ঘটনাবলী হিসেবে নয়, সামগ্রিক ভাবে পর পর ঘটনাক্রমকে সাজিয়েই উমরের জামিনের আর্জি খারিজ করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে আদালত।
এখানে উমরের যে ‘জ্বালাময়ী’ ভাষণটির কথা উঠ আসছে বার বার, সেটি ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির। দিল্লিতে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে সিএএ বিরোধী একটি জনসভায় নাগরিকদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন উপর। তাতে ভারত সফরে আগত আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিভাজনের রাজনীতিকে তুলে ধরার বার্তা দেন উমর। তিনি বলেন, ‘‘২৪ (ফেবরুয়ারি, ২০২০) ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভারতে এলে আমরা ওঁকে জানব যে, নরেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী এবং ভারত সরকার দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। মহাত্মা গান্ধীর মূল্যবোধ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু শাসক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করলেও, ভারতবাসী ঐক্যের জন্য একজোট হতে প্রস্তুত। তার জন্য রাস্তায় নামতে পারি আমরা। আপনারা আসবেন তো!’’
এক সপ্তাহব্যাপী হিংসার পর যখন থম মেরে রয়েছে দেশের রাজধানী, সেই সময় উমরের ভাষণের ওই কিছু অংশ নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন বিজেপি-র আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা অমিত মালব্য। সাকুল্যে ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে কৌশলে উমরের উচ্চারিত বাক্যবন্ধ থেকে মহাত্মা গাঁধী, বিভাজনের বিরুদ্ধে ঐক্যের মতো শব্দবন্ধকে বাদ দেওয়া হয়। এমন ভাবে ভিডিও ক্লিপটি সাজানো হয়, যা শুনলে মনে হবে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারতে থাকাকালীন রাস্তায় নেমে মানুষকে অশান্তি সৃষ্টিতে আহ্বান জানাচ্ছেন উমর। অনেকেই মনে করেন, ছুরি-কঁচি চালিয়ে বিকৃত করা উমরের সেই ভিডিওটিকেই সারসত্য হিসেবে তুলে ধরতে দেখা যায় বিজেপি-র মীনাক্ষী লেখি, তেজস্বী সূর্য-সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। তার জেরে নেটমাধ্যমের বাস্তুতন্ত্রে পিরামিডের একেবারে শীর্ষে থাকা বিজেপি এবং তাদের ছত্রছায়ায় গজিয়ে ওঠা দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলির মাধ্যমে তা স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
এমনকী সংসদেও বিষয়টিকে টেনে নিয়ে যান শাহ। উমর যে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, সেই ‘ইউনাইটেড এগেইনস্ট হেট’ সম্পর্কে শাহর বক্তব্য ছিল, ‘‘নাম শুনে মনে হবে কত না ন্যায়নিষ্ঠ! কিন্তু কী বিষোদ্গার করছেন দেখুন। বলছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প আসছেন, চলো রাস্তা আটকাই’।’’ শুধু বিজেপি-র নেতা-মন্ত্রীরাই নন, রিপাবলিক টিভি এবং নিউজ১৮-এর মতো একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও সম্প্রচারিত হয় ওই ভিডিওটি। সেখানে বিজেপি-র তৎকালীন জোটসঙ্গী শিরমণি অকালি দলের নেতা তথা অধুনা বিজেপি মনজিন্দর সিংহ সিরসা দাবি করেন, উমরের মন্তব্য ঘৃণা ভাষণের আওতায় পড়ে না, বরং প্রকাশ্যে দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের প্রমাণপত্র সেটি। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই বিকৃত ভিডিও-র বিষয়টি উঠে আসে আদালতের শুনানিতেও। কিন্তু সেখানে উমরের আইনজীবী ত্রিদীপ পাইস জানান, বিষয়টি নিয়ে দুই টিভি চ্যানেলকে নোটিস পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু দুই চ্যানেলের তরফেই জানানো হয় যে, উমরের সভায় তাদের কোনও ক্যামেরা ছিল না। মালব্য এবং বিজেপি নেতাদের টুইট করা ভিডিওটিই টিভি-তে চালিয়েছে তারা।
তাই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে যে, ভিডিওটি নিয়ে মালব্যর কৈফয়ত কি কাম্য ছিল না? ভুয়ো ভিডিও-কে সত্য বলে চালানোর দায় কি টিভি চ্যানেলগুলির উপর বর্তায় না? কে বা কারা ভিডিওটি বিকৃত করল, এর পিছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা তদন্ত করে দেখার পক্ষে সওয়াল করছেন অনেকেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে মালব্যর তরফে এ নিয়ে কোনও জবাবদিহি মেলেনি। তাই ভিডিওটি বিকৃত করা হয়েছে জেনেও কেন তাঁর মক্কেলকে জেলে আটকে রাখা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন উমরের আইনজীবী। এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় ওয়েবসিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ এবং হলিউড ছবি ‘ট্রায়াল অফ শিকাগো ৭’-এর প্রসঙ্গ দায়রা আদালতে টেনে আনেন তিনি। জানান, উমরের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের চার্জশিট বাগাড়ম্বরপূর্ণ হলেও, কোনও তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তাঁর মক্কেলকে ঝানু দেশদ্রোহী প্রমাণের চেষ্টা চলছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই উমরের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা কার্যকর করা হয়েছে, তা ‘ফ্যামিলি ম্যন’ এবং ‘ট্রায়াল অফ শিকাগো ৭’-এর চিত্রনাট্য বলে বলে ভ্রম হয়, যেখানে অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণই নেই। এই মামলায় সাক্ষীরা বার বার বয়ান পাল্টেছেন বলে দাবি করেন উমরের আইনজীবী।
একই ভাবে, রাজধানীর বুকে হিংসা মাথাচাড়া দেওয়ার আগে মহারাষ্ট্রে সিএএ-র বিরুদ্ধে ভাষণ দিয়েছিলেন উমর। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র তার সাতদিনের মাথায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যে আইন হাতে তুলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি-কে পাশে নিয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিতে দেখা যায় তাঁকে। হুমকির সুরে বার্তা দেন যে, তিন দিনের মধ্যে জাফরাবাদ এবং চাঁদবাগের রাস্তা খালি না হলে, পুলিশের ভরসায় বসে থাকবেন না তাঁরা। কারও তোয়াক্কা না করে রাস্তায় নামবেন তাঁরা। তখন আর শান্তি বলে কিছু থাকবে না। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয় সেখানে। তাই উমরের মন্তব্যে যদি এত জোলঘোলা হয়, সে ক্ষেত্রে কপিলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না কেন আদালতে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন উমরের আইনজীবী। কিন্তু সরকারি কৌঁসুলি জানান, উমর হিংসা পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিলেন। কপিলের মত ততদূর পৌঁছনইনি। নিজের গা বাঁচাতেই উমর এখন কপিলকে ঢাল করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
উমরের বিরুদ্ধে মামলা সাজানোর ক্ষেত্রে ‘দ্য মুসলিম স্টুডেন্টস অফ জেএনইউ’ (MSJ) এবং ‘দিল্লি প্রোটেস্ট সাপোর্ট গ্রুপ’ (DPSG)নামে দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর সদস্যতারও উল্লেখ রয়েছে দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে। পুলিশের দাবি, দিল্লি হিংসা মামলার অন্য অভিযুক্ত শার্জিল ইমামের হাতে ছিল এমএসজি গ্রুপের দায়িত্ব। ডিপিএসজি গ্রুপের দায়িত্বে ছিলেন সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল, ‘ইউনাইটেড এগেইনস্ট হেট’, ‘নট ইন মাই নেম’ এবং ‘পিঞ্জরা তোড়’ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রাহুল রায়, সাবা দিওয়ান, রাজনৈতক কর্মী কবিতা কৃষ্ণন, যোগেন্দ্র যাদব, অ্যানি রাজা, সমাজকর্মী হর্ষ মান্দার, অপূর্বানন্দ, অঞ্জলি ভরদ্বাজ, এনডি জয়প্রকাশ, ট্রেড ইউনিয়নের নেতা গৌতম মোদি, খালিদ সইফি, ‘পিঞ্জরা তোড়: সদস্য নাতাশা নরওয়াল, উমর খালিদ এবং জেএনিউ-এর অন্য প্রাক্তন ছাত্রী বনজ্যোৎস্না লাহিড়ি। এঁদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়। গ্রেফতার হন উমর, নাতাশা এবং সইফি।
কিন্তু গ্রুপের যে ২ হাজার ৩০৬ পাতার কথোপকথনকে প্রমাণপত্র হিসেবে তুলে ধরে দিল্লি পুলিশ, তার একটি প্রতিলিপি আগেই সামনে এসেছে। তাতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন, অহিংস পথে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা, ভারতের সংবধানের উপর আস্থার কথাই ঘুরে ফিরে আসতে দেখা যায়। বরং দিল্লি দাঙ্গায় ‘হিন্দু কট্টর একতা’ গ্রুপের ভূমিকা নিয়ে যে চার্জশিট জমা পড়ে, তাতে মানুষকে জড়ো করে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে এবং মুসলিমদের জবাই করতে আহ্বান জানানো হয়। ওই গ্রুপে সামিল ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ন’জন খুন, দাঙ্গা, প্রাণঘাতী অস্ত্র রাখা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার হন। সংবাদমাধ্যমে ওই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যেকার যে কথোপকথন সামনে এসেছে, তা এই রূপ, ‘তোমাদের ভাই আজ ৯টা নাগাদ ভাগীরথী বিহারে দুই মোল্লাকে মেরেছে। গঙ্গাবিহার, গোকুলপুরী, ঝোরিপুরও ঘুরে এসেছি। ২৩ জন মোল্লার মাথা ফাঁক করে দিয়ে এসেছি।’ এমনকী একটি মাদ্রাসা পুড়িয়ে দেওয়ার কথাও গ্রুপে স্বীকার করেন জনৈক সদস্য।
কিন্তু ডিপিএসজি গ্রুপের কথোপপথনে হিংসার কোনও উল্লেখ মেলেনি। বরং ২৬ জানুয়ারি, দাঙ্গার প্রায় এক মাস আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আয়োজন নিয়ে আলোচনা, তেরঙ্গা পোশাকে রাস্তায় নামা, পুস্তিকা বিলি করে সাধারণ মানুষকে বিশদে সিএএ বোঝানোর আলোচনা দেখা যায়। কিন্তু চার্জশিটে দিল্লি পুলিশে দাবি, দিল্লিতে হিংসার জন্য ওই গ্রুপটিই দায়ী। তাতে সামিল সদস্যদের আদর্শ থেকে বিচ্যূত হওয়া পেশাদার উপদ্রবকারী বলেও উল্লেখ করা হয়। এমএসজে গ্রুপের সদস্যরা পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সামিল বলেও লেখা হয় চার্জশিটে। উমরের আইনজীবী যদিও সাফ জানান যে, তাঁর মক্কেল ওই দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সামিল থাকলেও, সেখানে উস্কানিমূলক কিছু লেখেননি তিনি। কিন্তু আদালতের জবাব ছিল, “সে যাই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তৈরি করা ওই গ্রুপে তিনি ছিলেন, ২০১৯-এর ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাশ হওয়া থেকে ২০২০-র ফেব্রুয়ারি মাসে হিংসা পর্যন্ত তাঁর কার্যকলাপ এবং বিভিন্ন জায়গায় তাঁর উপস্থিতিকে টুকরো টুকরো ঘটনাবলী হিসেবে নয়, বরং সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে বুঝতে হবে। অভিযুক্তদের অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে তাঁর।”
রাজধানী যখন হিংসার আগুনে পুড়েছ, উমর সেই সময় দিল্লিতে ছিলেনই না বলে দাবি করেন উমরের আইনজীবী। কিন্তু আদালত যুক্তি দেয় যে ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত যে সবসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকবেনই, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। দিল্লির ২৩টি জায়গায় উমরের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। আদালতের যুক্তি, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই এই চাক্কাজ্যাম ডাকা হয়, যাতে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েন, জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হয়, মিশ্র জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকা ঢোকা-বেরনোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং তা থেকে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। আদালত জানিয়েছে, চাক্কাজ্যাম চলাকালীন পুলিশকর্মীদের উপর হামলা হয়। অ্যাসিড বোতল এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার চোখে পড়ে। তাতে প্রাণহানি এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।
সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (NRC) বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আন্দোলনের আঁচে তেতে ওঠে দিল্লি। মোটামুটি ভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট চললেও, বিধাসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পরিস্থিতি ক্রমশ তেতে উঠতে শুরু করে। লাগাতর আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণেই দিল্লির উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সাত দিন ধরে চলা হিংসায় ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। ২০০-র বেশি মানুষ আহত হন।