মোটা হওয়ার ভয়ে মুখ ফেরাচ্ছেন আইস্ক্রিম থেকে? না জেনেই হারাচ্ছেন যেসব পুষ্টিগুণ

Health benefits of ice cream : ডায়েট মানতে গিয়ে বাদ দিচ্ছেন আইসক্রিম, জেনে নিন সেই সঙ্গে বাদ পরে যাচ্ছে যে সব ইতিবাচক পুষ্টিগুণ

রসগোল্লা, সন্দেশ অতঃপর আইসক্রিম। নিমন্ত্রণ বাড়ির শেষ পাতে মিষ্টিমুখ সম্পূর্ণ হয় তবেই। ভ্যানিলা, চকলেট, ম্যাংগো, টু ইন ওয়ান, হরেক রকমের ফ্লেভার। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই তালিকায় যোগ হয় আরও অনেক নাম। এমনকী বাঙালির মিষ্টি প্রেমের রসায়ন মাথায় রেখে এসেছে নলেন গুড়ের আইসক্রিম। শুধু শীতকাল নয়, সারা বছরই তাই নলেন গুড়ের স্বাদ মেলে আইসক্রিমে। কিন্তু এহেন আইসক্রিম খাওয়া নিয়েও রয়েছে হাজার নিয়মের পরোয়ানা। বিশেষত সাম্প্রতিককালে ডায়েট মেনে চলা প্রজন্ম তো আইসক্রিম থেকে শত হস্তু দূরে। আইসক্রিম খেলেই নাকি মোটা হয়ে যাবেন, তাই ডায়েট চার্টে কোথাও থাকে না আইসক্রিমের নাম। অগত্যা ফিগার কনসাস থাকতে তাই স্বাদের সঙ্গে আপোষ করতে হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। কিন্তু জানেন কি শরীরে ফ্যাট বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ত্যাগ করছেন যে আইসক্রিমকে, তাতেই লুকিয়ে রয়েছে হাজার পুষ্টিগুণ। ডায়েট মানতে গিয়ে হেলায় হারাচ্ছেন সেসবও। জানুন কী কী...

আইসক্রিম প্রস্তুতির মূল উপকরণ হল দুধ। তার সঙ্গে মিষ্টি এবং ফ্লেভারের একটা সমঝোতা করে তবেই তৈরি হয় আইসক্রিম। রূপে এবং স্বাদে অসাধারণ একটি ডেজার্ট আইটেম। মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে বলে চিকিৎসকেরা অনেকক্ষেত্রেই আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। শুধু তাই নয় দুধে থাকা ফ্যাট থেকে বাড়তে পরে শরীরে মেদের পরিমাণ। একথা ঠিকই তবে, এসবের পাশাপাশি আইসক্রিমের মধ্যে দুধ থাকার কারণে বিভিন্ন পুষ্টিদ্রব্য যেমন ভিটামিন এ , ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং প্রোটিনও প্রচুর পরিমাণে মিশে থাকে আইসক্রিমে। শরীরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এইসব পদার্থগুলো।

আরও পড়ুন - ১১ বছরের খুদের আবিষ্কারে মজেছিল গোটা বিশ্ব, যেভাবে এসেছিল কাঠি আইসক্রিম

আইসক্রিমে থাকে ক্যালশিয়াম। এবং ক্যালশিয়াম হাড়ের জন্য অত্যন্ত ভালো। তাই মেদ বেড়ে যাওয়ার ভয় এড়িয়ে মাঝেমাঝে আইসক্রিম খেলে তাতে আমাদের শরীরে হাড়ের ক্ষয় রোধ হতে পারে। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে একটা বয়সের পর থেকে হার ক্ষয়, একটি পরিচিত সমস্যা। তাই মাঝে মধ্যে আইসক্রিম খেলে হাড়ের শক্তি বাড়তে পারে।

এছাড়াও আইসক্রিম যেহেতু ঠান্ডা জাতীয় খাবার তাই সারাদিনের ক্লান্তি দুর করতেও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় এটি। তবে অবশ্যই বাইরের এবং শরীরে মধ্যস্থ তাপমাত্রার ব্যালেন্স বজায় রেখে তবেই আইসক্রিম খাওয়া উচিত। অন্যথায় সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কেউ। এছাড়াও আইসক্রিমের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কোনও কিছুই অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরী।

More Articles