বাড়িতে বাস্তু দোষ রয়েছে? কী ভাবে বুঝবেন, প্রতিকার কোন পথে

সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আমরা সকলেই বাড়ি ফিরি একটু শান্তির জন্য। কিন্তু বাড়ি ফিরেও শান্তি নেই! দিনের পর দিন ঝগড়া, অশান্তি লেগেই রয়েছে বাড়িতে। অথবা বাড়ির সদস্যদের কেউ না কেউ সব সময়ে অসুস্থ হয়ে থাকছেন।অনেক ডাক্তার দেখিয়েও মিলছে না সুরাহা। হতেই পারে আপনার বাড়ির বাস্তু দোষের কারণে এসব হচ্ছে। তাই নতুন বাড়ি বানানোর সময়ে বা  ফ্ল্যাট কেনার সময়ে সচেতন থাকুন। বাস্তুবিদরা বলেন, বাড়ির বাস্তু ঠিক থাকলে আপানার অর্থ উপার্জন ভালো হওয়ার পাশাপাশি শরীর ও মনও ভালো থাকবে। বাড়িতে সুখ শান্তিও বজায় থাকবে।এক্ষেত্রে বলা ভালো, মানুষের জীবন যেমন নিখুঁত নয় তেমনি ত্রুটিহীন বাড়ি পাওয়াও কার্যত অসম্ভব। তবে খেয়াল রাখবেন বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়। একজন দক্ষ জ্যোতিষী বা বাস্তুবিদ আপানার বাড়ি দেখে সহজেই বুঝবেন বাস্তু দোষ আছে কিনা। কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা বাস্তুবিদ্যা বোঝেন না তাঁরা কী ভাবে বুঝবেন আপনার বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে বাস্তু দোষ রয়েছে? বিভিন্ন ভাবে আমরা সংকেত পেয়ে থাকি বাস্তু দোষের। 

বাস্তুদোষের সাতসতেরো জানুন 

১. যে সব বাড়িতে রোগব্যাধি লেগেই থাকে অর্থাৎ সারা বছরই পরিবারের কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে থাকছেন। অনেক ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেয়েও কমছে না রোগ –এমন হলে বাড়িতে বাস্তুর সমস্যা থাকতে পারে। এমনকি  বাস্তু সমস্যার কারণে পরিবারের সদস্যদের কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত পর্যন্ত হতে পারেন।

২. ছোট পরিবার অথচ বাড়িতে অশান্তি লেগেই রয়েছে। খুব সামান্য বিষয়ে ঝগড়া থেকে তা বড় আকার ধারণ করছে।তাহলে বুঝবেন আপানার বাড়িতে নেতিবাচক  শক্তির পরিমাণ বেশি অর্থাৎ বাড়ির বাস্তু সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে।

৩. আপনি যখন বাড়ির বাইরে আছেন  যেমন অফিসে বা অন্য কারও বাড়িতে আড্ডা দিচ্ছেন তখন মন মেজাজ একদম ফুরফুরে থাকছে কিন্তু বাড়িতে গেলেই মনের শান্তি উধাও, মানসিকভাবে অশান্ত হয়ে উঠছেন। তাহলেও আপনার বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেশি।  

৪. ভালো কাজের সুযোগ আসলেও শেষ অবধি বাধা পেয়ে সেই কাজ ভেস্তে যাচ্ছে। নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েও মন মত ফল পাচ্ছেন না , এক্ষেত্রেও আপনার বাড়িতে সমস্যা রয়েছে।

৫. অনেক অর্থ উপার্জনের পরেও আপনার বাড়িতে টাকাপয়সা স্থিতিশীল হচ্ছে না অর্থাৎ আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ অধিক হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির একাধিক সদস্য অর্থ উপার্জন করলেও সঞ্চয় করতে পারছেন না কিছুই, তবেও  বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির  যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।

৬. অনেকেই আমরা বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে গাছ লাগাই। বাড়ির বাস্তু সমসস্যার কারণে অনেকসময় দেখা যায় গাছগুলিকে যথেষ্ট যত্ন করার পরেও বাঁচানো যাচ্ছে না বা শুকিয়ে যাচ্ছে।

৭. বাড়ির বাস্তু সমস্যার কারণে রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে প্রায়ই কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলেই ঘাবড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। খুব সহজেই বেশ কিছু জিনিস মেনে চললেই অনেকখানি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বাস্তু সমস্যা। 

বাস্তুসমস্যার সহজ সমাধান

১.ঘরের মূল প্রবেশ পথ পরিষ্কার রাখুন এর ফলে নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকবে। একই সাথে বাড়িতে আসা অথিতিদের মনেও ছাপ ফেলা সম্ভব হবে। তবে শুধু বাড়ির বাইরে নয় ভিতরও পরিষ্কার রাখুন।

২. জল, লেবুর রস, নুন ও ভিনিগার দিয়ে জানালা ও দরজার হাতল পরিষ্কার করে বাড়ির প্রবেশ পথে সি সল্ট রাখতে পারেন এর ফলে নেগেটিভ শক্তি আপনার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।

৩.বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, ঘরে বা বাথরুমে একটি কাপের মধ্যে নুন জল রাখতে পারেন এতে বাস্তু সমস্যা দূর হবে।  

৪. প্রতিদিন বাড়িতে ধুপ ধুনো জ্বালিয়ে সর্বত্র  তার ধোঁয়া দিলেও নেগেটিভ শক্তি দূর হবে এবং প্রাণবন্ত বোধ করবেন।

৫. বাড়ির প্রবেশ পথে ঘোড়ার পায়ের নাল লাগালেও নেগেটিভ শক্তি বাধা পায়।আবার স্বাস্তিক চিহ্ন বা ওম আঁকতে পারেন এতে বাড়িতে পজিটিভ শক্তি থাকবে।

৬. পুজার সময় শঙ্খনাদ করলেও পজিটিভ শক্তির সঞ্চার হয়।

More Articles