ছয় বছর ধরে সংসার করা মানুষটি স্ত্রী নয়, আসলে তাঁর বোন! যে 'সত্যি' জেনে হতভম্ব যুবক

Man Discovers wife actually his Sister : হঠাৎই জানতে পেরেছেন, যাকে তিনি স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন, তিনি আসলে তাঁরই ‘আপন বোন’!

ছয় বছর ধরে ঘর সংসার করছেন তাঁরা। সন্তান সন্ততিও হয়েছে। এক কথায় দেখতে গেলে সুখের সংসার। হঠাৎ এমন এক খবর সামনে উঠে এল, যা শুনে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার জোগাড়। কার্যত সেই অবস্থাই হয়ে গিয়েছে এক যুবকের। বিয়ের এতগুলো বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর হঠাৎই তিনি জানতে পেরেছেন, যাকে তিনি স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন, তিনি আসলে তাঁরই ‘আপন বোন’! অথচ সেই খবরটি খোদ ওই যুবকের কাছেই অজানা ছিল! সেই অদ্ভুত ঘটনাই এখন নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

প্রাচীন ভারত হোক বিশ্ব, ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক, বিবাহ আর সংসার অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা ছিল। কিন্তু এখন সেই প্রথা আর সেভাবে নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে একেবারে অজান্তেই ঘটে গেল এমন অদ্ভুত ঘটনা। কী হয়েছিল ঠিক? সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ওই ‘দিশেহারা’ যুবক। ছয় বছর আগে দুজনের বিয়ে হয়েছিল। সন্তানও হয়েছে, স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে কাটাচ্ছিলেন তিনি। এরইমধ্যে আরেকবার অন্তঃসত্ত্বা হন ওই মহিলা। সন্তান সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করলেও, ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেখা যায়, তাঁর কিডনির অবস্থা খারাপ। যত শীঘ্র সম্ভব, সেই কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। তার জন্য চাই উপযুক্ত ডোনর।

তারপর অনেক চেষ্টা করেন ওই যুবক। স্ত্রীর পরিবারে গিয়েও খোঁজ করেন; কিন্তু কিছুতেই উপযুক্ত ডোনর পাওয়া যায়নি। দিশেহারা অবস্থায় যুবক ঠিক করেন, তিনি নিজেই একবার চেষ্টা করে দেখবেন। জানেন কিছুতেই কিডনির মিল হতে পারে না, তবুও একবার দেখাই যাক না! পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সবাইকে তাজ্জব করে দেখা যায়, একেবারে উলটপুরাণ! যুবকের কিডনি একেবারে ফিট করে যাবে ওই মহিলার শরীরে! সব ম্যাচ করে গিয়েছে। এই ঘটনায় যুবকটি তো বটেই, ডাক্তাররাও খানিক হতবাক হয়ে যান।

কেন? সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিডনি খুব একটা ম্যাচ করে না। ব্যতিক্রম ঘটনা অবশ্যই ঘটতে পারে। এটি সেরকমই কিছু কিনা, তা জানতে আরও একটি পরীক্ষা করতে বলেন ডাক্তার। হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন টেস্টটি করতেও রাজি হয়ে যান ওই যুবক। তারপরই আসল চমকের পালা। দেখা যায়, স্ত্রী আর স্বামীর ডিএনএর মধ্যে মারাত্মক মিল! সেই শতাংশের পরিমাণও অস্বাভাবিক বেশি। যা আদতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনই হওয়ার কথা নয়। একমাত্র রক্তের সম্পর্কের কেউ হলেই এটা সম্ভব। তাহলে?

এখান থেকেই প্রশ্ন উঠে আসে যুবকের মনে। যে রকমের মিল পাওয়া গিয়েছে, তা একেবারে রক্তের সম্পর্কের বোন না হলে পাওয়া সম্ভব নয়। তখনই ছোটবেলার কথা মনে পড়ল ওই যুবকের। তাঁর জন্মের কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে দত্তক হিসেবে নিয়ে নেওয়া হয়। ওই যুবকের আসল মা-বাবা কে, তাঁর আসল পরিবার কোথায়, কে কে আছেন, সেই সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। সেই আপন পরিবারের বোনকেই শেষে বিয়ে করে নিলেন সম্পূর্ণ অজান্তে! আবার সন্তানও রয়েছে তাঁর। এবার কী হবে? মহা দোটানায় পড়েছেন তিনি। স্ত্রী তো সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কিন্তু সম্পর্ক? তাকে কী নাম দেবেন ওই যুবক!

More Articles