বিড়লা তারামণ্ডল নয়, নয়া আকর্ষণ হাওড়ার অভিনব থ্রি-ডি তারামণ্ডল

3D Planetarium : হাওড়ায় চালু হল অভিনব তারামণ্ডল, কেমন হবে থ্রি-ডি প্রযুক্তিতে মহাকাশ দর্শন

কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল তিন বছর আগেই, তার পর থেকেই চলছিল লম্বা প্রতীক্ষা। অবশেষে সর্বসাধারণের জন্য দরজা খুলে গেল হাওড়ার অভিনব ত্রিমাত্রিক তারামণ্ডলের। আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করল দেশের প্রথম থ্রি-ডি তারামণ্ডল। রাজ্য সরকার এবং হাওড়া পুর নিগমের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় তারামন্ডলের কাজ। চলতি বছর দুর্গাপুজোর আগেই এর উদ্বোধন করেছিলেন পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যদিও কিছু প্রযুক্তিগত অসংগতির কারণে এতদিন থমকে ছিল পরবর্তী কাজ। বর্তমানে সেসব মিটিয়ে ফেলেই খুলে দেওয়া হল দরজা।

শীতকাল মানেই একটা বেড়ানোর আমেজ। ব্যস্ত জীবনে বড় ছুটি আদায় করতে যখন বেগ পেতে হয় তখন সপ্তাহান্তের ছুটিটিকেই সম্বল করে বেরিয়ে পড়ে মানুষ। এরকমই একদিনের ভ্রমণের জন্য উপযোগী জায়গা ছিল বিড়লা তারামন্ডল। শুধু পরিবার অথবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেই নয়, স্কুল কলেজের নানা শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্যও এর জুড়ি মেলা ভার। হাওড়ার এই অভিনব তারামন্ডলটি সেই তালিকায় বাড়তি সংযোজন।

জানা গিয়েছে, এই তারামণ্ডলের 3D অ্যানিমেশন ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিকগুলির জন্য দেশি ও বিদেশি সংস্থা যৌথভাবে কাজ করেছে। হাওড়া পৌরনিগম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ তারামন্ডলটি তৈরিতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। থ্রি-ডি-র সম্পূর্ণ কথা হল ‘থ্রি ডাইমেনশনাল’ অথবা ত্রিমাত্রিক। অর্থাৎ সব বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা— এই তিনটি মাত্রাকে একসঙ্গে তুলে ধরা। ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই থ্রি-ডি প্রযুক্তি। উপরন্তু মহাকাশ নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই। এবার এই দুইয়ের মিশেলই মিলছে হাওড়ার তারামণ্ডলে। ২ ডিসেম্বর থেকে তাই আরও অভিনবভাবে আকাশ দেখার সুযোগ মিললো শহরবাসীর।

প্রায় ১০০টি আসন রয়েছে হাওড়া জেলার অভিনব তারামণ্ডলে। আপাতত ‘শো’ চলবে তিনটি। প্রতিদিন দুপুর ৩টে, বিকেল ৪টে এবং বিকেল ৫টা। প্রতিটি শোই হবে ৪৫ মিনিট করে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিট মূল্য ধার্য করা হয়েছে ১২০ টাকা। আর ছোটদের জন্য ৭০ টাকা। পরবর্তীকালে আরও বাড়ানো হবে শো সংখ্যা। বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি, তিন ভাষাতেই সারাদিনে মোট ১০টি শো চালানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হাওড়া পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। শীতের শুরুতেই আরও একটি বিকল্প ঘোরার জায়গার খোঁজ যে রাজ্য সরকারের পর্যটনখাতে একটা বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারবে এমনটাও মনে করেছেন অনেকেই।

More Articles