লক্ষ কোটির ক্ষতি এক মাসেই, কতটা সর্বনাশের মুখে এলআইসি-তে বিনিয়োগকারীরা?

১৭ মে যখন এলআইসি কোম্পানির প্রত্যেকটি শেয়ার বাজারে ৮৭২ টাকায় লিস্ট করা হয়েছিল, তখন থেকেই এই শেয়ার প্রাইস নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা এবং শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞরা।

 

দালাল স্ট্রিটে আবারও ক্ষতির সম্মুখীন সরকারি বিমা সংস্থা এলআইসি। দীর্ঘ ৯ দিন ধরে লাগাতার পতন হয়ে চলেছে এই সংস্থার শেয়ারে। শুধুমাত্র শেয়ারের মূল্য কমে যাওয়াই নয়, স্টক ব্যবসার সময় এই শেয়ার মূল্য নেমে এসেছে নিজের 'লাইফটাইম লো', অর্থাৎ এযাবৎ সর্বনিম্নে। শেয়ার মার্কেটে যখন এলআইসি শেয়ার এসেছিল, সেই সময় এই শেয়ারের দাম রাখা হয়েছিল ৯৪৯ টাকা। কিন্তু, শেয়ার মার্কেটে আসার দিন থেকেই এই সংস্থা খুব একটা আশাবাদী ফলাফল দিতে পারেনি। ইস্যু মূল্য ৯৫০ টাকার কাছাকাছি হলেও এই মুহূর্তে স্টক কেনাবেচার সময় এলআইসি-র শেয়ারের দাম নেমে এসেছে মাত্র ৭০৯.৪০ টাকায়। ৯ জুন পর্যন্ত টানা অনেকটা কম হলেও, ১০ জুন একটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল। সেই সময় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল এলআইসি শেয়ারের দাম। কিন্তু আবারও শনিবার একটা বিশাল পতন লক্ষ করা গেল এলআইসির শেয়ার মূল্যে। এই মুহূর্তে ইস্যু ভ্যালু থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ কম চলছে এলআইসি শেয়ারের দাম।

১০ জুন বাজার খোলার সময় এলআইসি শেয়ারের কিছুটা উন্নতি হলেও তা দীর্ঘকালীন হয়নি। ১০ তারিখ বাজার বন্ধর সময় থেকেই যেন আরও বেশি ধুঁকতে শুরু করেছিল এলআইসি। আর শনিবার ফলাফল পাওয়া গেল হাতেনাতে। প্রায় এক-চতুর্থাংশ দাম কমে গিয়েছে এলআইসি শেয়ারের। দালাল স্ট্রিটের বিশেষজ্ঞদের মতামত, শেয়ার মার্কেটের খেলায় প্রথম থেকেই এলআইসি খুব একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। তাই এই মার্কেটে এলআইসির যাত্রা এখনও পর্যন্ত খুব একটা সুখকর নয়। অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলির শেয়ারের মতো এতটা সহজ ভাবে এগোতে পারেনি এলআইসি। প্রথম থেকেই এলআইসি শেয়ার ইনভেস্ট করতে একটুখানি ভয় পাচ্ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। যাঁরা সাহস যুগিয়ে এলআইসি-তে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের অবস্থা এখন ভাঁড়ে মা ভবানী। কারণ, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এলআইসি শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা, যা শেয়ার বাজারের জন্য একেবারেই ভালো সংকেত নয়।

বিএসই সেনসেক্স এবং এনএসই নিফটি ৫০-ও এই সপ্তাহে খুব একটা ভালোভাবে চলছে না। বেশ অনেকটা নিচের দিকেই কাজ করছে ভারতীয় শেয়ার বাজারের দু'টি নিয়ামক। বর্তমানে, বিএসই সেনসেক্স ৫৪,৫০৭.৪১-এ দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে, নিফটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৬,২৪৩.৮৫-এ। স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্টের মুখ্য গবেষক সন্তোষ মিনা যদিও বলছেন, শুরুর দিকে অনেক শেয়ারকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সরকারের তরফ থেকে এই এলআইসি শেয়ারটিকে খুব একটা ভালোভাবে সার্ভ করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত এলআইসি শেয়ার সঠিকভাবে গ্রো করতে পারেনি। তাই এই শেয়ার নিয়ে এখনই মন্তব্য করা ভুল হবে। আগে এই শেয়ার আরও কিছু সময় দালাল স্ট্রিটে কাটাক, আরও কিছু সময় পর্যন্ত এই শেয়ার কাজ করুক, তার পরেই বোঝা যাবে এই শেয়ার ভালো চলছে না কি খারাপ। তবে তিনি এখনও ভরসা রেখেছেন এলআইসি শেয়ারের ওপর।

আরও পড়ুন: আইপিও কি শেষকালে ধ্বংস করবে মধ্যবিত্ত ভারতীয়দের ভরসা এলআইসি-কেই?

তিনি আরও বলেছেন, "এলআইসির কাছে প্রতিযোগিতায় জিতে যাওয়ার বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। এলআইসির কাছে রয়েছে একটা দারুণ ব্র্যান্ড ভ্যালু, এজেন্টদের একটা বিশাল বড় নেটওয়ার্ক, একটা দুর্ধর্ষ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক রয়েছে এলআইসির কাছে। এলআইসি অনেক সহজে ভারতীয়দের মনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারবে। তবে হ্যাঁ, অন্যান্য সরকারি শেয়ারের মতোই শর্ট টার্মে খেলার জন্য এলআইসি-র শেয়ার খুব একটা ভালো হবে না। যদি কোনও বিনিয়োগকারী একটু সময় ধরে এলআইসির ওপর ভরসা করতে পারেন, এবং মার্কেটের উত্থানপতনে বিচলিত না হন, তাহলে তারাই একমাত্র এলআইসি-কে শেয়ার মার্কেটে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে আসতে পারবেন। নতুবা খুব তাড়াতাড়ি এলআইসি-র শেয়ার আরও নিচে নামতে পারে।"

প্রসঙ্গত, ১৭ মে ভারতীয় শেয়ার মার্কেটে লঞ্চ করা হয়েছিল এলআইসি শেয়ার। সেই সময় থেকে মাত্র চারটি সেশনে সবুজ রেখায় শেষ করতে পেরেছিল এলআইসি। বাকি সময় এলআইসি শেয়ার নিচের দিকেই ছিল। প্রথম থেকেই শেয়ার মার্কেটে এলআইসি-র যাত্রা খুব একটা ভালো ছিল না। সেটা সরকারের অবহেলা হোক, কিংবা বিনিয়োগকারীদের অতিরিক্ত আস্থা, শেয়ার বিক্রির চাপ এত বেশি থাকার কারণে প্রথম থেকেই ধাক্কা খেতে শুরু করেছিল এলআইসি।

তারপর ভারতে লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, সবকিছুই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে এলআইসির শেয়ারের ওপর। এই মুহূর্তে এলআইসি কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটাল মাত্র ৪.৬১ লক্ষ কোটি টাকা, যা সরকারি একটি কোম্পানির জন্য যথেষ্ট কম। আইপিও মূল্যের বিপরীতে ৯ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়ে বিমা কোম্পানির শেয়ার এই শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও মূলধনের নিরিখে পঞ্চম সর্ববৃহৎ ফার্ম ছিল এই এলআইসি। সেই সময় এই সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটাল ছিল ৫.৭০ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সেখান থেকেই শেয়ারের মূল্য নামতে নামতে আজ মার্কেট ক্যাপিটাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪.৬১ কোটি টাকা।

শেয়ার ইন্ডিয়া-র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গবেষণা বিভাগের প্রধান রবি সিং বলেছেন, এলআইসি-র শেয়ার বিক্রি হতে পারে। আসন্ন ট্রেডিং সেশনে ৭০০-৭৫০ টাকার স্তর স্পর্শ করতে পারে। এলআইসি-র শেয়ার এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে এসেছে এলআইসি ইন্ডিয়া। এই কোম্পানিটি গত সপ্তাহে তার প্রথম আয়ের পোস্টের তালিকায় মার্চ ত্রৈমাসিকে ১৭.৪১ শতাংশ স্লাইড করে ২,৪০৯.৩৯ কোটি টাকা নিট লাভ করেছে। গত বছরের একই প্রান্তিকে এই লাভের অঙ্ক ছিল ২,৯১৭.৩৩ কোটি টাকা। তবে নেট প্রিমিয়াম আয় কিন্তু অনেকটাই বেড়েছে এলআইসি-র ক্ষেত্রে। মার্চ ত্রৈমাসিকে আগের বছর নেট প্রিমিয়াম আয় ছিল ১,২২,২৯০.৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু এ বছর ১৭.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে নেট প্রিমিয়াম আয় দাঁড়িয়েছে ১,৪৪,১৫৮.৮৪ কোটি টাকা। শেয়ার মার্কেটের জন্য খুব একটা আশাব্যঞ্জক বিষয় না হলেও, যাঁরা ঝুঁকি নিতে রাজি অথবা যাঁরা একটি দীর্ঘমেয়াদী শেয়ার খেলবেন বলেই নামেন, তাঁদের জন্য এলআইসি অবশ্যই একটা পছন্দ হতে পারে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য এই একই উপদেশ দিচ্ছেন অ্যাঞ্জেল ওয়ানের হেড অ্যাডভাইসরি অমর দেও সিং। তিনি বলছেন, "প্রত্যেকদিন কত টাকা কমছে বা বাড়ছে, এটার দিকে খুব একটা নজর দিলে চলবে না। এলআইসি নতুন শেয়ার হওয়ার কারণে, মার্কেটে অনেক সময় ভালো খেলবে, আবার অনেক সময় খারাপ। যদি আপনার এত তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দেন, এবং খুব তাড়াতাড়ি বেশি আয় করতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে এলআইসি-র শেয়ারের ওপর ভরসা করবেন না, যখন কোনও শেয়ার নতুন নতুন বাজারে আসে, তখন তাকে মার্কেটে গতি পেতে হলে ন্যূনতম একটা সময়ের জন্য ৮৪০-র থেকে বেশি অঙ্কে কাজ করতে হয়। কিন্তু, এখনও এলআইসি সেরকম কোনও লাভের মুখ দেখতে পায়নি।

প্রফিশিয়েন্ট ইকুয়ালিটি প্রাইভেট লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিরেক্টর মনোজ ডালমিয়া বলছেন, "এনএসই নিফটির ক্ষেত্রে এলআইসি-র শেয়ার কিছুটা কারেকশন ভ্যালু পেয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও এলআইসি-র শেয়ার বেশ কিছুটা নিম্নমুখী। শুক্রবার বাজার খোলার সময় এই বিশেষ স্টক মার্কেটে এলআইসি-র শেয়ারের দাম ছিল ৭৫৩ টাকা। সেখানেই বাজার বন্ধর সময় এই শেয়ারের দাম হয়ে গিয়েছিল ৭৫১.৫০ টাকা। এনএসই প্লাটফর্মে এই মুহূর্তে এলআইসি শেয়ারের দাম ২১ শতাংশ কম চলছে ইস্যু প্রাইসের থেকে।"

তিনি বলছেন, এর মূল কারণ হলো সম্ভবত এলআইসি-র শেয়ার বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে খুব একটা আশাব্যঞ্জক হয়ে উঠতে পারেনি। চতুর্থ কোয়ার্টারে এলআইসি-র পারফরমেন্স একেবারেই ভালো ছিল না। তুলনা করার জন্য কোনও ভালো ভ্যালুয়েশন ছিল না এই কোম্পানির। তাই অনেকেই এই কোম্পানির সঠিক ভ্যালুয়েশন তৈরি করতে পারেননি। এই কারণেই হয়তো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এলআইসি-র শেয়ার নিয়ে খুব একটা উন্মাদনা ছিল না।

ডালমিয়া আরও বলছেন, "হয়তো এই মাসের শেষ পর্যন্ত এলআইসি-র শেয়ারের দাম আরও নিচের দিকে নামতে পারে। এই মুহূর্তে মাত্র ৭০৯ টাকা চলছে এলআইসি-র শেয়ারের দাম। যদি এরকমভাবেই পতন চলতে থাকে, তাহলে হয়তো ৭০০ টাকার নিচে নেমে যেতে পারে এলআইসি-র শেয়ারের দাম। বিনিয়োগকারীদের ইতিমধ্যেই এই শেয়ার কিনতে নিষেধ করা হচ্ছে। অনেকেই চাইছেন, এলআইসি-র শেয়ার থেকে দূরে থাকতে। যদি এলআইসি-র শেয়ার না কেনেন মানুষ, তাহলে আরও দাম পড়তে পারে এলআইসির। এই মুহূর্তে এলআইসি-কে শুধুমাত্র একটা বিষয় বাঁচাতে পারে, এবং সেটা হল এলআইসি শেয়ারের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।"

জিসিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান রবি সিংহল বলছেন, "এলআইসি শেয়ার যখন থেকে মার্কেটে নিয়ে আসা হয়, তখন থেকেই আমরা দেখছি এই শেয়ারের দাম নিয়মিতভাবে নিচের দিকে যাচ্ছে। এর নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকতে পারে। নিম্নলিখিত কয়েকটি বিষয়কে এলআইসি শেয়ার মূল্যের পতনের কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়- প্রথমত, এলআইসি শেয়ার কখনওই তেমন একটা ভালো শেয়ার হিসেবে সামনে আসতে পারেনি। যে আশা নিয়ে মার্কেটে আসার স্বপ্ন দেখেছিল এলআইসি, তা এই সংস্থা কখনওই পূরণ করতে পারেনি। উপরন্তু, সঠিক ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়নি এই শেয়ারের ক্ষেত্রে। আসল ভ্যালু থেকে বেশ কিছুটা ডিসকাউন্ট দিয়ে তারপরে মার্কেটে নিয়ে আসা হয়েছিল এলআইসি শেয়ার। এই কারণে যাঁরা নতুন বিনিয়োগকারী, তাঁদের এক প্রকার ঠকাল এলআইসি। দ্বিতীয়ত, অনলাইন বিজনেস সমস্যা। মার্কেট ট্রেন্ড অনেক সময় ওপরে উঠে যায়, আবার অনেক সময় নিচে নেমে আসে। তাই সবসময় মার্কেটের ওপর দোষ দিলে কিন্তু হবে না। ডিরেক্ট সেল করা সবসময় ভালো, কিন্তু শেয়ার মার্কেটে টিকে থাকতে গেলে আপনাকে অনলাইন মাধ্যমে আসতেই হবে। যদি কোনও সংস্থা অনলাইন মার্কেটে ভালোভাবে না আসতে পারে, তাহলে মার্কেট শেয়ার অবশ্যই কমতে থাকবে সেই সংস্থার। আর এই অবস্থা হয়েছে এলআইসি-র ক্ষেত্রেও। যদি অনলাইন মার্কেটে এলআইসি খুব শীঘ্রই না আসতে পারে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আরও কমতে শুরু করবে এলআইসির দাম। সেই সময় হয়তো ৬০০-র ঘরে পৌঁছে যেতে পারে সরকারি এই বিমা সংস্থার শেয়ার মূল্য।"

সরকারের কী বক্তব্য?
প্রায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন সরকারি বিমা সংস্থা এলআইসি-তে বিনিয়োগকারীরা। আর এই বিষয়টা ঘটেছে একমাসের থেকেও কম সময়ের মধ্যে। এই আইপিও-তে বিনিয়োগকারীদের এই অবস্থার কারণে ধীরে ধীরে চাপ বাড়তে শুরু করেছিল সরকারের অর্থ দপ্তরের ওপরেও। তাই অবশেষে এই এলআইসি শেয়ার নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হলো কেন্দ্রীয় সরকার। ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের মুখ্য সচিব তুহিন কান্ড পান্ডে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারও এলআইসির স্টকের পতন নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

তবে তাঁর মতে, এই পতন সাময়িক। এলআইসির ব্যবস্থাপনা এই সমস্ত দিকগুলি দেখবে এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আলাদা মূল্য তৈরি করবে। ১৭ মে যখন এলআইসি কোম্পানির প্রত্যেকটি শেয়ার বাজারে ৮৭২ টাকায় লিস্ট করা হয়েছিল, তখন থেকেই এই শেয়ার প্রাইস নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা এবং শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেই সময় তাঁদের কথায় বিশেষ একটা পাত্তা দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। এখন কার্যত যা হওয়ার তাই হয়েছে। সকলের আশা যাতে এলআইসি আবার নিজের পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে? সেই উত্তর সকলেরই অজানা।

 

More Articles