পুজোয় পাতে পাতে পদ্মার ইলিশ, হাসিনা এলেন সুখবর নিয়েই

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রথম দিনেই ভারতে এল ইলিশ।

গুঞ্জন ছিল আগেই। অবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রথম দিনেই ভারতে এল ইলিশ। বাংলাদেশ থেকে পুজোর উপহার হিসেবে ভারতে পৌঁছল প্রতিবেশী দেশের এই সুস্বাদু ইলিশ।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে রফতানি বন্ধ করেছিল বাংলাদেশের সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা আংশিক ওঠে ২০১৯ সালে। ৫০০ টন ইলিশ পাঠায় হাসিনা সরকার। ৪৯ জন রফতানিকারক সংস্থা ৫০ টন করে রফতানির বরাত পেয়েছে এবার। গত বছরও বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপুজোর সময় ৪,৬০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু ইলিশ এসেছিল ১,৪০০ টন। এই বছর ২,৪৫০ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে তারা। ফিশ ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার এখনও ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। তবে এবারের ইলিশ রফতানির বিশেষ নির্দেশের দরুন মাছ পাচ্ছে ভারত‌‌।

আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোয় বিশেষ আকর্ষণ অষ্টধাতুর প্রতিমা! দৈর্ঘ্য থেকে ওজন, সবেতেই চমক

৫ অগাস্ট সন্ধ্যায় তার প্রথম চালান বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছয়। প্রথম চালানে দু'টি ট্রাকে এসেছে ৮ টন ইলিশ। ইলিশের ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে দেড়-দুই কেজি পর্যন্ত। আজ রাতেই ইলিশ পৌঁছে যাবে কলকাতা-সংলগ্ন হাওড়ার পাইকারি মাছের আড়তে। মনে করা হচ্ছে, এই ইলিশের পাইকারি দাম হতে পারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। খুচরো বাজারে এর দাম ছাড়াতে পারে দু'হাজার টাকা প্রতি কেজি।

৬ অগাস্ট ১০০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে এসেছে। এখন থেকে প্রতিদিনই একই পরিমাণ মাছ ঢুকবে বিভিন্ন মাছের বাজারে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাছ আমদানি সম্পূর্ণ করতে হবে।

এখনও ফুরোয়নি বর্ষার আমেজ। কিন্তু বর্ষার খামখেয়ালিপনায় এই বছর বাজারে ইলিশের কিঞ্চিৎ আকাল লক্ষ করা গিয়েছে। যেখানে এই মরশুমে রাজ্যের দৈনিক ন‍্যূনতম ইলিশের চাহিদা ৮০ থেকে ১০০ মেট্রিক টন, সেখানে বাজারে ইলিশের জোগান মোটে ৩৫ মেট্রিক টন। এই অবস্থায় খাঁটি বাংলাদেশের ইলিশের আগমন নিয়ে উদ্দীপনা ও আশায় বুক বাঁধছেন মাছ ব‍্যবসায়ীরাও। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে উন্নত হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও।

More Articles