জীবনপণ লড়াইয়ের সঙ্গী! রাতজাগা সব‍্যসাচী শেখাচ্ছেন প্রেমের সংজ্ঞা

Sabyasachi-Aindrila: প্রিয় মানুষের জন্য হয়তো এটাই করণীয়! হয়তো সব্যসাচীর মায়ার জালে বন্দি ঐন্দ্রিলার এইটুকুই প্রাপ্য!

সুন্দর পরিপাটি বিছানা। একটুও বালাই নেই উষ্ণতার। রয়েছে রঙবেরঙের ফুলের সমারোহ। শান্তি। কিন্তু তুমি? এমনই এক কুস্বপ্নের প্রেম-ঘরে ১৬টি রাত কাটিয়ে ফেললেন তিনি। সেই তুমি, যে সবচেয়ে আপন, কাছের; একপ্রকার জীবনের অন্যতম চাওয়ার রসদের জন্য ঠিক যেটুকু করা যায়, সবটাই যেন করে ফেললেন সব্যসাচী চৌধুরী। বাংলার জনপ্রিয় বামাক্ষ্যাপার তারার জন্য ত্যাগ শুনেছিল বিশ্ব। ভক্তি-বিশ্বাস আর সাধনার মায়াজালে মাতা-পুত্রের গহিনে প্রবেশ করেছিল বিশ্বাস। আর ওঁরা? পর্দার বামা এবং তাঁর ভালবাসার রূপেও প্রবেশ করেছে পার্থিব জগতের প্রার্থনা। বিশ্বাস। যা নজিরবিহীন, বলছেন অনেকেই।

একদিকে প্রেমকে, ভালবাসার নশ্বর দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ইতিহাস সৃষ্টি করছেন কেউ। আর একদিকে লড়াই আর ভালো না থাকার সমস্ত উপাদানের খণ্ড খণ্ড কথকতাকে জুড়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ওঁরা। প্রতি মুহূর্তে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার জন্য, সব্যসাচী গড়ে তুলেছেন দুর্ভেদ্য দেওয়াল! যেখানে শুধুমাত্র প্রবেশ ঘটেছে ভালবাসা-ভালবাসা আর ভালবাসার।

১ নভেম্বর, ২০২২
বরাবরের লড়াকু ২৩ বছরের মেয়েটা জ্ঞান হারালেন ফের। হঠাৎ নিঃশব্দ হলেন তিনি। চিকিৎসক বাবার মেয়ের অসুখে ফের ডাক পড়ল সব্যসাচীর। তড়িঘড়ি হাসপাতাল। চিকিৎসা শুরু। একদণ্ড সময়ও নষ্ট করেননি প্রেমিক। লায়লা-মজনুর পরিণতি না হতে দেওয়ার আকুল প্রার্থনায় সেই থেকেই মত্ত হয়েছেন ঐন্দ্রিলার সব্য!

আরও পড়ুন: এমন প্রেমিক আজও আছে! যেভাবে ভালবাসার আদর্শ হয়ে উঠলেন পর্দার ‘বামাখ‍্যাপা’ সব‍্যসাচী

২ নভেম্বর, ২০২২
হাতে একাধিক কাজ। কিন্তু ঐন্দ্রিলা? অসুস্থ, চেতনাহীন ভালোবাসা রক্ষায় হাসপাতালেই ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা শুরু। নির্ঘুম রাতের বিভীষিকাকে সঙ্গী করেই শুরু নতুন লড়াইয়ের। যা কিছুদিন আগেই লড়েছেন তাঁর প্রিয়া। দ্বিতীয়বার মারণরোগ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুকে হারিয়ে দিয়েছেন ফের। তবুও চিকিৎসা, কেমো! একাধিক অস্ত্র ছাড়িয়ে ফিরে আসছিলেন তিনি। সঙ্গে জিয়নকাঠি সব্যসাচী।

৩ নভেম্বর, ২০২২
ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন বন্ধু আর ঐন্দ্রিলার পরিবার। সব্যসাচীর শুধু এঁরা। সঙ্গে উৎকণ্ঠা, বেদনা আর উত্তেজনা। আশঙ্কা! কী হবে ঐন্দ্রিলার!

৪ নভেম্বর, ২০২২
বাবা, দিদি চিকিৎসক ঐন্দ্রিলার। মা-ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজেই যুক্ত। কিন্তু তিনি হতে চেয়েছিলেন শিল্পী। নিজস্ব কৃতিত্বের আবেশে ভরিয়ে দিচ্ছিলেন দুনিয়া। কিন্তু সে আর হল কই! তবুও সব্যসাচী। অযাচিত বিপদের মুখে মেয়েটির কাছে থাকলেন তিনিও। বাধ্যবাধকতা নয়, দায়িত্ব পালনে সেরা হলেন বিভাজিত, বিচ্ছেদের দাবানলে প্রায় পুড়তে থাকা এই প্রেমিক।

৪ নভেম্বর, ২০২২
সংক্রমণ বাড়ল। আরও খারাপ হলেন ঐন্দ্রিলা। একদিকে আশা, আর একদিক মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ কমানোর অস্ত্রোপচার। কাজ হল না কিছুতেই। তার সঙ্গেই চলল রাতজাগা।

৫ নভেম্বর, ২০২২
ফের চেষ্টা। যদি কিছু ভালো হয়। এদিকে বিরক্ত প্রেমিক জানালেন, ভুল প্রচার বন্ধের আবেদন

৭ নভেম্বর, ২০২২
খানিকটা আশা ফেরালেন তিনিই। সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে দিলেন সুসংবাদ। বললেন, ভেন্টলেশন থেকে বার করা হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। হাফ ছাড়ল সোশ্যাল দুনিয়া। খানিকটা কাঁটা বিছানো পথের কাঁটা নির্মূল হল। ফিরছেন ঐন্দ্রিলা!

১২ নভেম্বর, ২০২২
আবার বিপদ! ফের সংক্রমণ। আবারও পরিস্থিতি খারাপের দিকে। তখনও রাত জাগছেন সব্যসাচী।

১৪ নভেম্বর, ২০২২
আর নয়! এবার বোধহয় খানিকটা ভাঙলেন সব্যসাচী। ফের জানালেন আশঙ্কার কথা, আকস্মিক কিছু ঘটার আশায় জিইয়ে রাখলেন সব্যসাচী। তবুও জাগলেন তিনি। টুকরো ইতিহাসের আবহে সৃষ্টি করলেন নজির!

১৫ নভেম্বর, ২০২২
ভালো নেই ঐন্দ্রিলা। ফের সংক্রমণ আর সমস্যার ঘনঘটায় সর্বাধিক কাছে থাকা মানুষটি তখনও বিপন্ন। চলছে নতুন কোনও উপায়ের খোঁজ। একদিকে পরিবার। অন্যদিকে সব্যসাচী, তখনও দুই সমর্থনের আশায় বুক বেঁধে বসে অবচেতনের ঐন্দ্রিলা।

১৬ নভেম্বর, ২০২২
আবারও খারাপ সবটা। বিভিন্ন যান্ত্রিক সহযোগিতার মধ্যেও হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন ঐন্দ্রিলা। মুহূর্তেই তৎপরতা। নাহ্! ফের জিতলেন ফিনিক্স পাখি! রাত জাগা সব্যসাচীও আশঙ্কার মধ্যেই লড়াইয়ে জিতলেন আবার! তারপর...

ক্রমশ বাড়ছে আশঙ্কা। খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। ভরসা নেই, বলছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবুও চলছে চেষ্টা। প্রতিমুহূর্তে অভিনেত্রীকে ফের জীবনের ডাকে ডেকে তুলতে চাইছেন সকলেই। কিন্তু সে? যে মানুষটি অফুরান ভালোবাসা আর সহ্যের মায়াজালে বারবার জড়িয়েছেন যাঁকে, সেই তাঁর পরিণতি দেখে! তবুও লড়ছেন। তবুও এই নয়া যুদ্ধের হাতছানিতেও সব্যসাচী বলে চলেছেন, ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট। কিন্তু ফাইট অর কই?

কে এই সব্যসাচী চৌধুরী
হাওড়ার বেলুড় মঠ এলাকার বনেদি পরিবারের সন্তান সব্যসাচী। বরাবর প্রতিপত্তিশালী চৌধুরীদের পুত্র পড়াশুনায় ছিলেন মেধাবী। বিদেশে উচ্চশিক্ষা। ইংল্যান্ডের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ব্রুক্স থেকে ডার্ক ট্যুরিজমে স্নাতকোত্তর। পড়া শেষ করে ইংল্যান্ডেই প্রশিক্ষণ। কাজ শুরু। কিন্তু কে শোনে কার কথা! জীবনকে প্রতিষ্ঠানের বাইরে নতুন করে দেখার তাগিদে, কিছুদিন ইংল্যান্ডে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফিরলেন দেশে। বারণ করলেন পরিবারের অনেকেই। কিন্তু সব্যসাচী চলে এলেন নিজের দেশে।

অভিনয়ে হাতেখড়ি
থিয়েটারের সংক্ষিপ্ত-পর্ব কাটিয়ে বরাবর মৌলিক প্রতিভার বশে, সব্যসাচী পা দিলেন অভিনয় জগতে। 'এসো মা লক্ষ্মী' ধারাবাহিকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের চরিত্রে অভিনয় দিয়ে শুরু হল পুরোদমে কাজ। সেইভাবে আর কেরিয়ারের জন্য পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। কেরিয়ারগ্রাফে তখন তীব্র লড়াই চললেও স্বপ্নের মায়াজালে সব্যসাচী ছিলেন বিভোর। এলো একের পর এই সুযোগ। 'অগ্নিজল' ধারাবাহিকে অভিনয়। বড় সুযোগ পেলেন 'ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ' ধারাবাহিকে। সেখানে যুধিষ্ঠির চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয় হলেন আর এক কৃষ্ণ সব্যসাচী। এরপর ২০১৭ সাল নাগাদ 'ঝুমুর' (Jhumur) ধারাবাহিক। যা সব্যসাচীর পরিচয়ে আগমন ঘটালো প্রেমিক সত্তার। বরাবর ঈশ্বর সংক্রান্ত ধারাবাহিকের অভিনয়-খোলস ছাড়িয়ে সব্যসাচী হয়ে উঠলেন অনন্য। অনবদ্য। সঙ্গে তখন নবীন অভিনেত্রী, বন্ধু ঐন্দ্রিলা। এরপর 'ওম নমঃ শিবায়' ধারাবাহিকে বিষ্ণুর চরিত্র। 'জড়োয়ার ঝুমকো'য় অর্ণবের ভূমিকায় অভিনয় করতে করতেই এল বড় সুযোগ। 'সাত ভাই চম্পা'য় পেলেন রাজা নক্ষত্রজ্যোতির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব। তারপর সব্যসাচীর অভিনয়-জীবনে ঝড় আনল' মহাপীঠ তারাপীঠ' (Mahapeeth Tarapeeth) ধারাবাহিক। দীর্ঘদিন চলা এই পর্বে বামাক্ষ্যাপার (Bamakshyapa) চরিত্রে দাগ কাটলেন সব্যসাচী। হাওড়ার মেধাবী ছেলেটির অভিনয় মেধা দেখল রাজ্য। ঘরে ঘরে আলোচিত হল বামার নাম। ঈশ্বর, ভক্তি আর বামাচরণ চক্রবর্তীর ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় তাক লাগাল বারবার। অতি জনপ্রিয় হলেন সব্যসাচী চৌধুরী। তারপর একাধিক ওয়েব সিরিজ, বিজ্ঞাপন, শর্ট ফিল্ম-এ অভিনয় ইন্ডাস্ট্রিতে কদর বাড়িয়েছে তাঁরও। সম্প্রতি বন্ধু ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই 'ভাগাড়' ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে ফের।

প্রেমিক সব্যসাচী
২০১৭ সালে বহরমপুর থেকে আসা ২০ বছরের নবীন অভিনেত্রী যে মেয়েটির হাত ধরেছিলেন তিনি। যে 'ঝুমুর' ধারাবাহিকে হওয়া পরিচয়ে প্রেমের গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন সব্যসাচী, তার বিচ্ছেদ ঘটেনি আজও। প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার জীবন বদলে দেওয়ার কারিগর হিসেবে বারবার উঠে এসেছে তাঁর নাম। আজ যে সব্যসাচী রাতের পর রাত জাগছেন হাসপাতালের করিডরে। এই সব্যসাচীকেই দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা দ্বিতীয়বার ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তাঁর সঙ্গে থাকতে। যে কর্তব্য তিনি তাঁর দায়বদ্ধতা থেকে করেছেন! সাধারণভাবে এই প্রশ্ন উঠলেও আসলে প্রেমিক সব্যসাচীর এই ভূমিকা নাড়িয়ে দিয়েছিল বিচ্ছেদ-মিলনের দোলাচলে দুলতে থাকা বিশ্বকে।

ঠিক কী করেছিলেন তিনি?
অনেকেই বলেন, প্রেমিক হিসেবে, প্রেমের জন্য, সম্পর্কের জন্য, প্রিয় মানুষের জন্য যা যা প্রয়োজন, বিনা স্বার্থে যেটুকু করা প্রয়োজন সকলের, তার চেয়ে অনেক বেশি করেছেন তিনি! কেন? ঐন্দ্রিলার ভেঙে পড়ার মুহূর্তে ভরসা জুগিয়েছেন, পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। যা প্রিয়ের জন্য সর্বাধিক দরকার শুধু নয়, কাছের মানুষের বিপদের সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনও। আর সেই মৌলিক চিত্রই দেখেছে এই দেশ। নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তাঁরা। যা তাঁদের কাছে ব্যক্তিগত, অতিসাধারণ, তাই-ই যেন দূরত্বের পৃথিবীতে হয়ে উঠেছে বিরল। সব্যসাচীময় হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। আর জীবনের 'বিগবস' ঐন্দ্রিলা জড়িয়েছেন সব্যসাচীকে।

'অন্য' সব্যসাচী
'দৃষ্টি একই থাকে, দৃষ্টিকোণ বদলায় বারবার।' মৌলিক অভিনেতা সব্যসাচীর লেখক-সত্তার প্রথম নিদর্শনের ভূমিকায় উঠে এসেছিল এই বাক্যই। ২০২২ এর ২৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় তাঁর হাত ধরে বার্তা প্রকাশনের তরফে প্রকাশ পায় তাঁর লেখা প্রথম বই 'দলছুটের কলম'। সব্যসাচী বলেছিলেন, ''বরাবর ফেসবুকে লিখতাম। নিজের কথা বলতাম। অনেকেই বলতেন বই হিসেবে প্রকাশের। অবশেষে ইচ্ছাপূরণ। বই বেরলো।'' যে বই লেখার রসদ ছিলেন প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাও। যিনি বই পড়তে খুব একটা ভালো না বাসলেও সব্যসাচীর বই লেখার তাগিদ, উপকরণে তাঁর ভূমিকা ছিল সর্বাধিক। এই বই মূলত, বিভিন্ন সময়ের অনুভূতির কথার সমষ্টি। 'বামাক্ষ্যাপা'র টেলিভিশনপর্ব শেষ হতেই বই লেখার কাজ শেষ করেন সব্যসাচী। বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর প্রথম বই। যা সমাদৃত হয় পাঠক মহলে।

'ব্যবসায়ী' সব্যসাচী
চলতি বছরেই বন্ধু, জনপ্রিয় অভিনেতা 'মন্টু পাইলটে'র সঙ্গে হাত মেলান 'বামা'। সৌরভ দাসের সঙ্গে মিলে সল্টলেকের সেক্টর একে খোলেন একটি রেস্তোরাঁ। 'হোদোলস্' নামের ওই রেস্তোরাঁর মাধ্যমে সব্যসাচী শুরু করেন নতুন কাজ।

অভিনয়ে সাফল্য। লেখক হিসেবে পরিচিতি। নতুন উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মধ্যেই, আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার মধ্যেই ফের বিপর্যয়। একদিন আগেই (৩১ অক্টোবর) নিজের জন্মদিনে যে প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে শুনেছিলেন 'বেঁচে টাকার কারণ তিনি', সেই ঐন্দ্রিলা আজ ফের শয্যাশায়ী। ১ নভেম্বর থেকে নতুন লড়াই লড়ছেন তিনি। যে প্রেমিকার জন্য একদিন নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে, ধারাবাহিকের মায়া ত্যাগ করে দিনরাত পড়ে থাকতেন সব্যসাচী, আজ আবার সেই তাঁর জন্যই রাতের পর রাত জাগছেন তিনি।

প্রিয় মানুষের জন্য হয়তো এটাই করণীয়! হয়তো সব্যসাচীর মায়ার জালে বন্দি ঐন্দ্রিলার এইটুকুই প্রাপ্য! কিন্তু সকলেই কি পারেন? সকলেই কি প্রিয়জনের জন্য এভাবে ত্যাগের মুখোমুখি হয়েও মাঝসমুদ্রের হাবুডুবু খাওয়া নৌকাকে বারবার পাড়ে ফেরানোর চেষ্টায় ব্রতী হন বারবার? 

More Articles