মাত্র দেড় বছর বয়সেই তাক লাগানো সাফল্য বাংলার মেয়ের, কী কী পারে সুপার কিড গর্বিতা?

Super Kid : মাত্র দেড় বছর বয়সেই সে গড়গড় করে বলতে পারে দেশের নাম, অজস্র ফুল-ফলের নাম, কণ্ঠস্থ রাজ্যের মন্ত্রীদের সব নামও

বয়স মাত্র দেড় বছর, এর মধ্যেই সে গড়গড় করে বলতে পারে দেশের নাম, অজস্র ফুল-ফলের নাম। কণ্ঠস্থ রাজ্যের মন্ত্রীদের সব নামও। শুনলে বড়দেরই রীতিমত ধাঁধা লেগে যাওয়ার যোগাড়। অথচ কি অবলীলায় সবই বলে চলেছে শিশুটি। শুনে রূপকথা মনে হলেও এ গল্পটা ঘোর বাস্তব। আর এই গল্পের খুদে তারকা এই বাংলারই মেয়ে গর্বিতা চক্রবর্তী। জন্মগত নামের সঙ্গে যেন ইতিমধ্যেই মিলে যায় শিশুটি। এমন প্রতিভায় যে শুধু তার বাবা মা এবং পরিবারের মানুষই গর্ব করেন তাই নয়, গর্ব হয় পাড়া প্রতিবেশীদেরও।

হুগলি জেলার অন্তর্গত চুঁচুড়ার ঘুটিয়াপাড়া এলাকায় জন্ম গর্বিতার। বাবা গৌরব চক্রবর্তী এবং মা পায়েল চক্রবর্তীর একমাত্র কন্যা সে। সবে মাত্র হাঁটতে শিখেছে। টালমাটাল পায়ে এ ঘর ও ঘর ছুটে বাড়ানোর মাঝেই বলে চলেছে একের পর এক ফুল, ফল, পশু, পাখির নাম। এত ছোট বয়সে মেয়ের এমন প্রতিভা দেখে অবাক হতেন বাবা-মা। তাই জাতীয় স্তরের সুপার কিড প্রতিযোগিতায় নাম দিলেন মেয়ের। তারপরই ঘটে গেল চমৎকার। মাত্র এক বছর ছয় মাস বয়সে প্রায় এক হাজার জন বাচ্চাকে ছাপিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করল চুঁচুড়া কন্যা গর্বিতা। এখানেই শেষ নয় তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয়, একইসঙ্গে বর্ষসেরা গারলিশ লুক- এ প্রথম হয়েছে ছোট্ট গর্বিতা চক্রবর্তী। এইটুকু বয়সেই গর্বিতার বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিষ্ক সত্যিই প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন - বাংলা মাধ্যমে পড়েই ইউপিএসসি পরীক্ষায় বাজিমাত! কোন মন্ত্রে লুকিয়ে বাপ্পা সাহার সাফল্যের রহস্য

প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে তারা অনলাইনে ইন্ডিয়ান সুপার কিড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল গর্বিতা। যদিও প্রতিযোগিতা হয় অফলাইনেই। কলকাতায় প্রতিযোগিতার দিন শিশুদের বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরের পাশাপাশি নজর রাখা হয়েছিল তাদের হাঁটা, চলা, হাসি, কথা বলা, খেলা করা সব কিছুর ওপরই। আর সেই সমস্ত হার্ডেল পেরিয়েই স্বীকৃতি পেয়েছে ছোট্ট গর্বিতা। আর এর জেরেই বছরের একেবারে শেষে মেলে সুপার কিড-এর সম্মান।

ছোট্ট গর্বিতা হয়তো সত্যিই বোঝে না কী এই সম্মান, কতোই না মূল্য তার! সে কেবল মনের আনন্দে পড়াশোনা করে। এই বয়সেই সে কেবল আরও আরও জানতে চায়, শিখতে চায়। আরও ছোট্ট মেয়ের সেই চাহিদাটুকুই কেবল স্বপ্নের মতো বুনে চলেন গৌরব আর পায়েল। সন্তানের স্বীকৃতিতে তাঁরাও আজ ‘গর্বিতা’।

More Articles