বৈভবে ললিতের থেকে কম যান না সুস্মিতাও! বিশ্বসুন্দরীর সম্পত্তির পরিমাণ নজর কাড়তে বাধ্য

মুম্বইয়ের ভারসোভা অঞ্চলে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর একটি বিশাল বাড়ি রয়েছে। আসবাব থেকে শুরু করে বাড়ির সমস্ত কিছু অত্যন্ত সুন্দর এবং বিলাসবহুল।

সুস্মিতা সেন এবং ললিত মোদির ডেটিং নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া। কেউ ট্রোল করছেন, কেউ বা বাহবা দিচ্ছেন। হরেকরকম বিতর্ক চলছে সর্বদাই। সুস্মিতার পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ তাঁকে 'গোল্ড ডিগার' বলতেও ছাড়ছেন না। অর্থাৎ, যেন পয়সার লোভেই ললিত মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন সুস্মিতা। সম্প্রতি ললিত মোদির ট‍্যুইটারে কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করার পর থেকেই এই নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র।

সুস্মিতা সেন বলিউডের অত্যন্ত খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জেতেন সুস্মিতা। ভারত থেকে সেই প্রথম কোনও মহিলা এই খেতাব জেতেন। তারপর থেকে তাঁকে আর কখনও পিছু ফিরে দেখতে হয়নি। মহেশ ভাটের থ্রিলার 'দস্তক' দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু। এরপরে একে একে 'সির্ফ তুম', 'বিবি নাম্বার ওয়ান', 'ম্যায়নে পেয়ার কিঁউ কিয়া?', 'ম্যায় হুঁ না'– ইত্যাদি নানা বিখ্যাত সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। যদিও এই যাত্রাপথ খুব মসৃণ ছিল না। অন্যান্য বিখ্যাত তারকাদের মতো তাঁকেও নিজের বিলাসবহুল তারকা জীবন অর্জনের জন্য কম পরিশ্রম করতে হয়নি। ললিত মোদির সম্পত্তির পরিমাণ অনেকেই জানেন এখন। আজ দেখে নেব সুস্মিতা সেনের সম্পত্তির পরিমাণ। ব্র্যান্ড-অনুমোদিত পারিশ্রমিক থেকে বলিউডের রোজগার, হিসেব থাকবে সব কিছুরই। আসুন দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন: কেউ বলে ফেরার, কেউ বলে কুবের! ললিত মোদির সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চোখ কপালে উঠবেই

'দ্য হিন্দুস্থান টাইমস'-এর তথ্যানুসারে, প্রতিটি সিনেমা করার জন্য সুস্মিতা ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা নেন। তাঁর আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস এই অভিনয়ের পারিশ্রমিক। নানান ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন থেকে তিনি দেড় কোটি টাকা আয় করেন। ‘তন্ত্র এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে তাঁর একটি কোম্পানি রয়েছে। ২০০৫ সাল নাগাদ এই কোম্পানিটি লঞ্চ করা হয়। মুম্বইয়ের ভারসোভা অঞ্চলে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর একটি বিশাল বাড়ি রয়েছে। আসবাব থেকে শুরু করে বাড়ির সমস্ত কিছু অত্যন্ত সুন্দর এবং বিলাসবহুল। এখানে দুই মেয়ে রিনি এবং আলিশাকে নিয়ে থাকেন সুস্মিতা।

সুস্মতা সেনের বার্ষিক আয় ৯ কোটি টাকা। প্রতি মাসে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি। ললিত মোদির মতোই নামিদামি গাড়ির শখ সুস্মিতার। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজ ৭৩০এলডি, বিএমডব্লিউ এক্স৬, অউডি কি৭ এবং লেক্সাস ৪৭০। বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজ ৭৩০এলডি গাড়িটির মূল্য প্রায় ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। বি এম ডব্লিউ এক্স৬ গাড়িটির মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। অউডি কিউ৭-এর দাম ৮৯ লাখ ৯০ হাজারের কাছাকাছি।

এর আগেও সুস্মিতার প্রেম বারে বারে খবরের কাগজে জায়গা করে নিয়েছে। সিমি গারেওয়ালের বিখ্যাত টক শো রন্দেভ্যু-তে সুস্মিতা সেন জানিয়ে ছিলেন বহুবারই নানান প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ভগবানের আশীর্বাদে ভুলভাল লোকের সঙ্গে তাঁর বিয়েটা যে হয়নি শেষ পর্যন্ত এতে খুশিই সুস্মিতা। তাঁর মতে, যত বেশি সম্পর্কে জড়ায় মানুষ তত সম্পর্কের ধারণা, তার কাছে স্পষ্ট হয়। সে আগের থেকে ধীর-স্থির হয়। একদা বিক্রম ভাটের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। তখন ‘দস্তক’-এর শুটিং চলছে। বিক্রম ভাট তখন বিবাহিত। এই পরকীয়া নিয়ে বেশ খানিকটা ভুগতে হয়েছিল তাঁকে। তবে দু'জনের সম্পর্ক খুব বেশিদিন টেকেনি।

রণদীপ হুডার সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক টিকেছিল প্রায় তিন বছর। তখন সমস্ত সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে হইচই লেগে থাকত। যদিও আগের সম্পর্কের মতো নির্বিঘ্নে শেষ হয়নি এই সম্পর্ক। একটি সাক্ষাৎকারে রণদীপ বলেন, সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়ে খুব জোর বেঁচে গিয়েছেন তিনি। “সুস্মিতার সঙ্গে তিন বছর কাটানোর সব থেকে বড় প্রাপ্তি ওর মেয়ে রিনির বন্ধুত্ব। জীবনে একবারই থিয়েটারের রিহার্সাল মিস করেছি, কারণ সুস্মিতা আমায় যেতে বারণ করেছিল। আমার নৈতিকতা বলে এত খারাপ কাজ আমি আর কখনও করিনি। খ্যাতি তো ছিলই, কিন্তু আমি তারকা ছিলাম না যেন, আমাকে একপাশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্পর্কতা ভেঙে গিয়ে বেঁচে গিয়েছি, বুঝেছি জীবনের কতটা সময় নষ্ট করেছি শুধু শুধু।”

বান্টি সচদেও-র সঙ্গেও সুস্মিতার সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়। বছর বাইশের ইমতিয়াজ খাতরি-র সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বছর ছত্রিশের সুস্মিতা। এছাড়া মুদাসসর আজিজ, সবির ভাটিয়া, সঞ্জয় নারং, রিতিক ভাসিন, রোহমান শোওল–সুস্মিতার সম্পর্কের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সেই কারণেই ললিত মোদি ও সুস্মিতাকে নিয়ে হইচই নেটদুনিয়ায়।

 

More Articles