Discard Article
Do you really want to discard the article ?
Submit Article
Once you submit, the story will be produced to our
editor for review
কাঠের বাড়িতে বসে নদী পাড়ের নির্জনতা, ঘুরে আসুন ভুটান সীমান্তে ভারতের শেষ জনপদ ঝালং
Jhalong : জলঢাকা নদীর ধারে এক অপূর্ব ট্যুরিস্ট স্পট ঝালং
হাতে ছুটি মিললেই বাড়ির খুদে আবদার করে বসে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বড়দের প্রাণও যে আনচান করে না এমন নয়। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ব্যস্ত জীবন। তাই সময় মাত্র দু-তিন দিন হাতে। কোথায় যাবেন ভাবছেন? তাহলে চলুন দুটো দিন ঘুরে আসা যাক অপূর্ব প্রকৃতির বুক থেকে। ঝালং-এ।
জলঢাকা নদীর ধারে এক অপূর্ব ট্যুরিস্ট স্পট ঝালং। চালসা থেকে কুমানি, গৈরিবাস হয়ে জঙ্গুলে পথ চলে গিয়েছে ঝালং-এর দিকে। নবাংলোর পাশে ঝোলুং ঝোরা এঁকেবেঁকে গিয়ে মিশেছে জলঢাকা নদীতে। রুপোলি ফিতের মতো জলঢাকা নদী। নীল জল। ওপরে ছোট্ট একটা ব্রিজ। পা দিতেই নড়ে উঠবে দোলনা ব্রিজটা। সব মিলিয়ে দিন কয়েকের নিরিবিলি ঠিকানা হতে পারে ঝালং।
রঙিন কাঠের ঘরবাড়ি আর রাস্তার ধারে কমলালেবুর বাগান। ঝালং থেকে পাহাড়ি পথে ছোট্ট গ্রাম প্যারেন হয়ে ভুটান সীমান্তে ভারতের শেষ জনপদ। ধূসর পাহাড়ের গায়ে লেপ্টে থাকা ঘন সবুজ বন। ঝরনার শব্দ ছাড়া অন্য কিছু কানে আসে না এখানে। রাতের ঝালং-ও মায়াময়। সন্ধে নামলে গোটা এলাকার দখল নেয় ঝিঁঝি। চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যায় জোনাকি।
আরও পড়ুন - ঘিঞ্জি দিঘা, ভিড় দার্জিলিং নয়, এই রাজবাড়িগুলিই এখন শীতের সেরা ডেস্টিনেশন!
ঝালং-এর পাশেই ছবির মতো পাহাড়ি গ্রাম ‘বিন্দু’। এখানে প্রচুর গাছগাছালি রয়েছে – ফায়ারবল, পিটুনিয়া, গ্ল্যাডিয়োলা আর অর্কিডের ফুল। বিন্দুতে জলঢাকা ব্যারেজের ওপারে ভুটান। বাঁধের ওপর পায়ে হেঁটে ওঠা যায়। হেঁটে হেঁটেই দেখে নেওয়া যায় ওপারের ভুটান চৌহদ্দি। হাটের দিন ভুটানের গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ আসে বিন্দুতে। জীবনযাপনের প্রয়োজনে মুছে যায় ভৌগোলিক সীমারেখা। বিন্দু নদী জলঢাকায় মিশেছে। নদীর গা থেকে খাড়াই উঠে গেছে ভুটান পাহাড়। আকাশ পরিচ্ছন্ন থাকলে বিন্দু থেকে হিমালয়ের বরফশৃঙ্গ দেখা যায়। বুধবার ঝালং-এ আর বৃহস্পতিবারে বিন্দুতে হাট বসে। ঝালং থেকে দলগাঁও হয়ে রঙ্গো বেরিয়ে আসা যায়। প্যারেন থেকে ঘুরে আসা যায় তোদে।
কীভাবে যাবেন:
শিয়ালদহ থেকে ছাড়ছে ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। রাত সাড়ে আটটায় ছেড়ে পরের দিন দুপুরে পৌঁছবে নিউ মাল জংশন। এখান থেকে ঝালং ৪৫ কিলোমিটার। গাড়ি রিজার্ভ করে আসতে হবে। হাজার দেড়েক টাকা ভাড়া পড়বে। এছাড়া, নিউ জলপাইগুড়িতে নেমেও আসা যায় ঝালং। নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে ঝালংয়ের দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন :
ঝালংয়ে সবচেয়ে ভালো থাকার জায়গা হল পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তাঁবু। নদীর ধারে পরপর কয়েকটি তাঁবু রয়েছে। যেন প্রকৃতির কোলে বসবাস। জঙ্গলের অন্দরে তাঁবুতে ব্যবস্থাপনা ভালোই। তাঁবু বুকিং করতে হবে অনলাইনে: www.wbfdc.com। এছাড়া বেসরকারি হোটেলও রয়েছে। তবে তাঁবুতে থাকার মজাই আলাদা।
কলকাতার তলপেট মস্তানির একাল সেকাল
ধোঁয়াটে ক্রিক রো-র ঝলমলে জলসা! কলকাতা কাঁপাত মস্তান ভানু বোসের কালীপুজো
"Awsome! Author Kankana Mukherjee will view your appreciation"
Applause with Google Applause with Facebook Continue with General LoginYour purchase could not be completed
We received error when attempting to authorize your payment from razar pay. But don't worry our team will be in touch with you shortly
Congratulations!
You have unlocked “কাঠের বাড়িতে বসে নদী পাড়ের নির্জনতা, ঘুরে আসুন ভুটান সীমান্তে ভারতের শেষ জনপদ...” just now. Read it anytime in next 30 days