ঘিঞ্জি দিঘা, ভিড় দার্জিলিং নয়, এই রাজবাড়িগুলিই এখন শীতের সেরা ডেস্টিনেশন!

Royal Palace Hotels: সোনাক্ষী সিনহা এবং রণবীর সিংহ অভিনীত ‘লুটেরা’ দেখে থাকেন তবে বুঝতে পারবেন এই প্রাসাদেই ছবির শ্যুটিং হয়েছিল। ইটাচুনাকে ‘বর্গি ডাঙা’ নামেও ডাকা হত।

কলকাতার আরেক নাম ‘প্রাসাদের শহর’ হলেও সারা বাংলায় ছড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক প্রাসাদগুলোকে ভুললে চলবে না। আসলে পশ্চিমবঙ্গকেই বলা যেতে পারে ‘প্রাসাদের রাজ্য’। যদিও কলকাতার অনেকেই খোঁজখবর রাখেন না জেলায় জেলায় বেশ কিছু পুরনো অট্টালিকায় এখন চালু হয়েছে হেরিটেজ হোটেল এবং রিসর্ট। উইকএন্ডে সেখানে গিয়ে চুটিয়ে ছুটি উপভোগ করা যায় রাজকীয় মেজাজে।

শতক আসে শতক যায়, কিন্তু রাজবাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে স্যাঁতসেঁতে শ্যাওলা মেখে, কাল থেকে কালান্তরে গন্ধ ছড়িয়ে। রাজবাড়ির ঝরাপাতা, পুরনো ধুলো, রহস্যমাখা হাওয়া মাড়িয়ে ছুটে চলে জীবনধারা। সুপ্রাচীন সময়ের পালাবদলে আজ রাজা নেই, নেই রাজ্যপাটও৷ নেই অতীতের বর্ণময় গরিমা। এক সময়ের সাজানো গোছানো রাজবাড়ি শুধুমাত্র অতীত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সন্ধ্যায় তুলসী মঞ্চে সেভাবে জ্বলে না সন্ধ্যাপ্রদীপ। কিন্তু নয়াভাবে ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজবাড়ি হোটেল’। পুরনো কিছু বিখ্যাত বাড়িতে লুকিয়ে থাকে জানা-অজানা নানা ইতিহাস। বাংলার জমিদার বা সামন্তপ্রভুদের আদরের এই সব স্থাপত্যগুলি বেশির ভাগই এখন কালের গর্ভে মিলিয়ে গেলেও যে ক’টি রাজবাড়ি এখনও নানা ভাবে পুনর্নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে শীতের দিনে তা আপনার ট্রাভেল ডেস্টিনেশন হতেই পারে।

ইটাচুনা রাজবাড়ি

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় অবস্থিত ইটাচুনা রাজবাড়ি আসলে একটি সুন্দর প্রাসাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। যদি সোনাক্ষী সিনহা এবং রণবীর সিংহ অভিনীত ‘লুটেরা’ দেখে থাকেন তবে বুঝতে পারবেন এই প্রাসাদেই ছবির শ্যুটিং হয়েছিল। ইটাচুনাকে ‘বর্গি ডাঙা’ নামেও ডাকা হত। ইটাচুনা রাজবাড়িটি ১৭৬৬ সালে শ্রী সাফল্যনারায়ণ কুণ্ডুর পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। রাজবাড়িটি ২০ বিঘা জমির উপর বিস্তৃত।

কালের নিয়মে ইতিহাস কখনও বিস্মৃত হয়, আবার কখনও বা নতুনরূপে জেগে ওঠে বহু যুগ পরে। হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ায় অবস্থিত ইটাচুনা রাজবাড়ির কাহিনিও কিছুটা সেইরকমই। এককালে যা ছিল ভয়ানক বর্গিদের সঙ্গে জড়িত আজ একবিংশ শতাব্দীতে তা আমার-আপনার জন্য অবারিত দ্বারের হেরিটেজ হোটেল। কিন্তু তার চৌহদ্দিতে কান পাতলেই শোনা যায় অতীতের ঘটনাপ্রবাহ। বিশাল এই রাজবাড়িটি ৫টি অংশে বা মহলে বিভক্ত।

বাড়ির মহিলাদের জন্য অন্দরমহল, গেস্ট হাউস, রান্নাবান্নার জন্য কিচেন হাউস বা রান্না মহল, নাচমহল এবং দরবার। এই পাঁচটি মহলের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন ঘর বর্তমানে অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলির নামগুলিও খুবই আকর্ষণীয়। বড় বৌদির ঘর, ঠাকুমার ঘর নামগুলির মধ্যে দিয়ে যেন ভেসে আসে শৈশবের হারিয়ে যাওয়া একান্নবর্তী আটপৌরে পরিবারগুলির কথা। প্রতিটি ঘরেই হয়েছে নবীন ও প্রবীণের সংমিশ্রণ, একদিকে যেমন আছে ভিন্টেজ ফার্নিচার, তেমনি আছে বর্তমান জীবনযাপনের জন্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা।

আরও পড়ুন- পৃথিবীর শেষ কোথায়? পাহাড় ঘেরা ছোট্ট শহর উশুইয়াই আজও বিস্ময়ে ভরা

কোচবিহার রাজবাড়ি

কোচবিহার রাজবাড়ি ‘ভিক্টর জুবিলি প্যালেস’ নামেও পরিচিত এবং একে আমাদের দেশের ঐতিহাসিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই রাজবাড়িটি ১৮৮৭ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল এবং এর নকশাটি লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেস থেকে অনুপ্রাণিত। ইষ্টক নির্মিত, ক্লাসিক্যাল ওয়েস্টার্ন শৈলীতে গঠিত দোতলা ভবনটি আয়তনে প্রায় ৫১৩০৯ বর্গফুট। রাজবাড়ির সামনে রয়েছে এক প্রশস্ত চওড়া রাজপথ; যার দুই ধারে নানা রকমের গাছের সম্ভার দেখতে পাওয়া যায়। ভিতরে একটি ছোট্ট সুন্দর সুসজ্জিত উদ্যান রয়েছে এবং একটি পুকুর রয়েছে, যেখানে মাছ ছাড়াও কচ্ছপ দেখা যায়। ১৮৯৭ সালে অসমের ভূমিকম্পের প্রভাবে এই রাজবাড়ির কিছুটা অংশ প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আগে কোচবিহার রাজবাড়ি ছিল ৩ তলা। ১৮৯৭ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে উপরের তলা ভেঙে পড়ে। মূল কাঠামো ৩৯৫ ফুট লম্বা এবং ২৯৬ ফুট চওড়া। একতলা ও দোতলার সামনের দিকে আছে খিলানযুক্ত বারান্দা। মাঝখানের প্রাঙ্গণ দিয়ে দরবার হলে ঢুকতে হয়। সেখানে চোখে পড়ে অসাধারণ সুন্দর ধাতব গম্বুজ। তার উপর চোঙ আকারের ঘুলঘুলি। গোটা স্থাপত্য জুড়ে ইউরোপীয় রেনেসাঁ শৈলীর প্রভাব। প্রসাধন ঘর, শোয়ার ঘর, বসার ঘর, খাওয়ার ঘর, বিলিয়ার্ড ঘর, গ্রন্থাগার, তোষাখানা- এগুলোও দেখার মতো।

আন্দুল রাজবাড়ি

যাঁরা ঘুরতে ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে ঘুরে বেড়ানোর আলাদা করে কোনও সময় হয় না। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, দুই পা-ই ভরসা। কলকাতা থেকে মাত্র কিছুক্ষণের পথ। হাওড়ার ইতিহাস মাখা মফসসল আন্দুল। রিকশায় উঠলে চারপাশে দেখতে পাবেন অলিগলি পথ, বহু পুরনো বাড়ি, আরও কত কী।  কলকাতা থেকে সড়কপথে মিষ্টি একটি শহরতলি মৌড়িগ্রাম। একটু পরেই আন্দুল। বিশালাকৃতি এই রাজবাড়ি যে ভগ্নপ্রায়, তা কিন্তু বলা যাবে না। একসময় যে এই অট্টালিকা অপূর্ব দেখতে ছিল তা স্পষ্ট বোঝা যায়। ১৮৫ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে এই বাড়ি। বাড়ির চারপাশ ঘুরলেই টের পাওয়া যাবে পাঁচিলের গায়ে ইতিহাসের গন্ধ। কীভাবে উঁকি দিচ্ছে ইতিহাস থেকে উঠে আসা এক একটি চরিত্র! স্থানীয় মানুষের কাছে বিভিন্ন গল্প শুনলে জানা যায়, হিন্দি ছবি ‘সাহেব-বিবি-গুলাম’-এর নাকি শুটিং হয়েছিল এই বাড়িতেই।

সেইসময় আন্দুল রাজবাড়ির আদবকায়দাই ছিল অন্যরকম। ‘সাহেব-বিবি-গুলাম’ ছাড়াও শুটিং হয়েছে আরও বহু হিন্দি-বাংলা সিনেমার। অনেক পরে আন্দুল রাজবাড়ি হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের মর্যাদা পেয়েছে। বাড়ির সামনে বিরাট খোলা প্রাঙ্গণ। একসময় নাকি সরস্বতী নদীর স্রোত এই প্রাঙ্গণ পর্যন্ত অবাধ বিচরণ করত। এখন কোথায় সেই নদী! শীতকাল এলেই রাজবাড়ির দিকে মুখ করে আরামে, অলসভাবে কিছুক্ষণ চুপ করে নিশ্চিন্তে বসে থাকা যায় অথবা প্রাণ খুলে আড্ডা দেওয়াও যায়। বিকেল হলেই দেখা যায়, এলাকার বাচ্চারা এসেছে ব্যাট-বল হাতে। অজস্র পায়রার ডাক আপনাকে কত কথাই যে জানিয়ে দিয়ে যাবে।

কাশিমবাজার রাজবাড়ি

জমিদার বাড়ির আরেক অন্যতম নিদর্শন মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ি, যেখানকার পরিবেশ আপনাকে এক মুহূর্তেই নিয়ে যাবে তিনশো বছরের পুরনো বাংলায়। ১৭০০ সালে রায় পরিবারের দ্বারা এই রাজবাড়ি নির্মিত। তখনকার সময়ে কাশিমবাজার ছিল বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, যা ছিল ব্যবসায়ীদের অন্যতম আকর্ষণ। অযোধ্যা নারায়ণ রায় নামে এক ব্যবসায়ী এই প্রাসাদ নির্মাণ করে নিজের পরিবারকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে শুরু করেন এবং নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে তোলেন। ব্রিটিশযুগেও তাঁদের প্রতিপত্তি ছিল প্রবল। মাত্র কুড়ি টাকা টিকিটেই এই রাজবাড়ি দর্শন করা যায়।

রাজবাড়ির চারপাশে রয়েছে সবুজের সম্ভার, বাঁধানো পুকুর ও বসার সুন্দর জায়গা। রাজবাড়ির ভেতরের উঠোনেও আছে বসার সুন্দর জায়গা। বাড়ির প্রত্যেকটি কোণায় প্রাচীন স্থাপত্যের পরিচয়। হুক্কা, সেগুন কাঠের আসবাবপত্র, পালকি আরও কত কী। শোবার ঘর গুলিতে এখনও রয়েছে আগেকার দিনের কাপড় দিয়ে তৈরি, দড়ি দিয়ে টেনে বাতাস করার পাখা। এছাড়াও রয়েছে দুর্গাপুজোর বড় দালান, এখনও প্রত্যেক বছর নিয়ম করে দুর্গাপুজো হয়। রয়েছে উনুনও। এক কথায় বলতে গেলে পুরনো রাজবাড়ির প্রত্যেকটি জিনিস এখনও রয়েছে একই রকম। ৯০-এর দশকে উত্তরাধিকারীরা বাড়ির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেন।

মুর্শিদাবাদের বড়ি কোঠি

মুর্শিদাবাদ এমনিতেই নবাব-বাদশাদের জায়গা। ইতিহাসের ছোঁয়া এখানে পরতে পরতে। সেখানকারই এক জমিদার বাড়ি এখন সেজে উঠেছে লাক্সারি হোটেল হিসেবে। চাইলে একটা রাত রাজার হালে কাটিয়ে আসতেই পারেন। ছোটবেলা গল্পের বইতে রাজা-মহারাজা বা জমিদারদের গল্প পড়ে একটু-একটু মন খারাপ করা ইচ্ছা কি করত না? মনে হত না, এই সব পেয়েছির দেশে যদি একবার যেতে পারতাম! ঘুরে দেখতে পারতাম সাতমহলা প্রাসাদ, খেতে পারতাম রাজকীয় খাবার। যদি এই সমস্ত শখ অপূর্ণ থাকে, তবে এই সুযোগ! সোজা চলে যান মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জের হেরিটেজ হোটেল বড়ি কোঠিতে।

১৭০০ সালে তৈরি হয় বড়ি কোঠি। শেরাওয়ালি পরিবারের সম্পত্তি ছিল এটি। মুর্শিদাবাদের বড়ি কোঠি অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে নির্মিত। বড়ি কোঠিটি তিন-চতুর্থ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এবং বাড়ির অন্যান্য অংশগুলির মধ্যে একটি শিস মহল, লাইব্রেরি, সঙ্গীত কক্ষ, দরবার হল, জানানা চক, গাদ্দি ঘর, হালওয়াই খানা, গুলাবি চাওয়ারা রয়েছে। বাড়িটির নাম বড়ি কোঠি অর্থাৎ জ্যেষ্ঠের প্রাসাদ। কারণ এটি বড় ভাই রায় বাহাদুর বুধ সিংহ দুধোরিয়ার বাড়ি ছিল। বাড়ি কোঠি মুর্শিদাবাদ জুড়ে গ্রিক, রোমান এবং ফরাসি স্থাপত্য প্রদর্শনকারী সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বাড়িগুলির একটি হিসাবে পরিচিত। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলের অন্যান্য প্রাসাদের মতো বাড়ি কোঠিও পরিত্যক্ত ছিল।

২০১৫ সালে এক কানাডিয়ান স্থপতি এবং পুনরুদ্ধার বিশেষজ্ঞ প্রাসাদটিকে এর আগের গৌরব ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন। কোঠির ঘরগুলোতে বিশাল বিশাল পালঙ্ক। রাজকীয় আসবাব যেমন আলনা, ট্রাঙ্ক, ড্রেসিং টেবিলের কাঠের উপর কারিগরি আপনার চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। তবে স্থাপত্য পুরনো দিনের হলেও এসি থেকে গিজার, বর্তমানের সব বিলাসিতাও এখানে পাবেন। গোটা বাড়িটাই খুলে দেওয়া হয়েছে অতিথিদের জন্য। তাই পুরোটা ঘুরে দেখতেই লেগে যাবে প্রায় একবেলা। বাড়ির একদম ভিতরে রয়েছে নাটমন্দির। যেখানে দুর্গাপুজোও হয়। ঠিক তার সামনে বড় আঙিনা।

আরও পড়ুন- ২০৭১ সাল দেখাবে এই ‘ভবিষ্যতের জাদুঘর’! কী কী আছে এর অন্দরে, জানলে আঁতকে উঠবেন

বাওয়ালি রাজবাড়ি

জানা যায়, বজবজের এই বাওয়ালি রাজবাড়ি তৈরি হয়েছিল মণ্ডল পরিবারের হাতে। রাজারাম মণ্ডল ছিলেন হিজলির রাজার সেনাপতি। বীরত্বের জন্য তিনি লাভ করেন ৫০ বিঘা জমি আর বিস্তর ধনদৌলত। তাঁর হাতেই এখনকার বজবজে গড়ে ওঠে এই বাওয়ালি রাজবাড়ি। পরে অবশ্য কালের গ্রাসে মণ্ডল পরিবারের এই সৌভাগ্য অন্তর্হিত হয়! অবহেলা আর দারিদ্র্য এসে গ্রাস করে রাজবাড়িকে। তার পরে কেটে গিয়েছিল দীর্ঘ দিন। অবশেষে সেই ভাঙাচোরা রাজবাড়ি সংস্কার করা হয়, এক সময়ের বসতবাটি রূপ নেয় হেরিটেজ রিসর্টের। বাওয়ালি রাজবাড়ির আসল মজা এর বিশালতায়! ঢোকার মুখেই বড় বড় সিঁড়ি, কারুকাজ করা থাম, দীর্ঘ উঠোন, বারান্দা এক লহমায় আপনাকে নিয়ে যাবে প্রাচীন বাংলায়। রাজকীয় বাংলায়।

তার পরে যখন ঘরে গিয়ে উঠবেন? নতুন করে শুরু হবে অবাক হওয়ার পালা! বাওয়ালি রাজবাড়ির প্রতিটি ঘর আপনাকে এনে দেবে ইতিহাসের পাতায় সময় কাটাবার সুযোগ। আসবাব থেকে শুরু করে বাসনকোসন- সবেতেই পাবেন রাজকীয় মেজাজ। মণ্ডল পরিবারের স্থাপত্যকর্মের শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন বাওয়ালি রাজবাড়ির বয়স আজ প্রায় ২৫০ বছর। স্বাধীনতার পরে নানা কারণে রাজবাড়ি অনাদরে এবং পরিচর্যার অভাবে ভগ্নপ্রায় হতে থাকে। সেই সময়ে বেশ কিছু বাংলা সিনেমা এবং সিরিয়ালের শুটিং হলেও রাজবাড়িটি হারানো রূপ খুঁজে পেয়েছে কিছুদিন আগেই। হেরিটেজ গেস্ট হাউস এবং হোটেল রূপে মূল রাজবাড়িটিকে সংস্কার করা হয়েছে এবং বর্তমানে পর্যটকদের জন্য হয়ে উঠেছে অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। উপরি পাওনা এখানে থাকা খাওয়ার অর্থাৎ রাজার হালে হারানো বাংলার জমিদারি আভিজাত্যকে চেখে দেখার সুযোগ।

More Articles