আইন মানেনি পুলিশ নিজেই, জিগনেশের গ্রেফতারি সম্পর্কে এই মত অনেকেরই

দেশের প্রশাসনিক সর্ব্বেসর্বা হওয়ায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার দায় তাঁর কাঁধেই বর্তায়। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটে চললেও, একটিবারের জন্যও মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। তাই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ঠিক কী, নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) তা স্মরণ করাতে নেমেছিলেন গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানি (Jignesh Mevani)। বলা বাহুল্য, সাড়ে তিন লাইনের তাঁর সেই টুইটে মিশেছিল শ্লেষও। তাতেই হাতকড়া পরিয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। পুলিশি হেফাজতে রেখে পয়েন্ট ধরে ধরে মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে ষড়যন্ত্রের খতিয়ান। কিন্তু একজন নির্বাচিত বিধায়ক, এমনকী, দেশের সাধারণ নাগরিককে গ্রেফতার করার যে শর্তাবলি লিপিবদ্ধ রয়েছে দেশের আইনে, আইনের রক্ষাকর্তা হয়ে তার ধার ধারেনি খোদ পুলিশই।

গত বুধবার মধ্যরাতে গুজরাতের বনসকাঁথা জেলার পালনপুর সার্কিট হাউস থেকে জিগনেশকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। গ্রেফতারির আগে এফআইআর-এর প্রতিলিপি পর্যন্ত জিগনেশকে দেখানোর প্রয়োজন বোধ করেনি তারা। পরে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে তাচ্ছিল্য করে হলেও, তাঁদের চোখের সামনে কাগজের টুকরোটি মেলে ধরে অসম পুলিশ, যা থেকে নিজের গ্রেফতারির কারণ জানতে পারেন জিগনেশ। পরদিন সকালে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশও জানতে পারে যে, সাম্প্রদায়িক হিংসায় মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। শান্তি এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার সাংবিধানিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ‘অপরাধ’-হেতুই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনদিনের হেফাজতে নিয়ে এই মুহূর্তে তাঁর ‘অপরাধ’-এর গুরুত্ব যাচাই করে দেখছে অসম পুলিশ।

ছাত্রনেতা থেকে সমাজকর্মী, সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় গত কয়েকবছরে যেভাবে দলে দলে লোকজনকে জেলে পোরা হচ্ছে, তাতে জিগনেশের গ্রেফতারিতে নতুনত্ব কিছু নেই। আদালতে সওয়াল-জবাব শুরু হলে কিছুদিন পর জিগনেশও হয়তো (নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না) আইনি ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু তাতেও প্রশ্ন রয়ে যায়, জিগনেশের গ্রেফতারি আদৌ আইনসিদ্ধ কি? যদি তা না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, গায়ের জোরে একজন বিধায়ককে যদি তুলে নিয়ে যেতে পারে পুলিশ, তাহলে অনুরূপ পরিস্থিতিতে দেশের আম-আদমি কি আদৌ আত্মপক্ষ সমর্থনের কথা মাথাতেও আনতে পারবে? না কি একের পর এক উদাহরণ সৃষ্টি করে সংবিধান-স্বীকৃত বাকস্বাধীনতা, যার আওতায় কি না বিরুদ্ধ মত এবং সমালোচনার অধিকার পড়ে, ধাপে ধাপে তা নির্মূল করার দিকেই এগোচ্ছে বর্তমান সরকার?

আরও পড়ুন: স্বাধ্বী প্রজ্ঞা বললে সাত খুন মাফ, বাক-স্বাধীনতা নেই জিগনেশের? কেন গ্রেফতার!

জিগনেশকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আগে কোঁকরাঝড়ের ম্যাজিস্ট্রেট যে এত ভাবাভাবির মধ্যেই যাননি, তা তাঁর নির্দেশেই স্পষ্ট। আইনের পেশায় থেকে আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণাটুকুর প্রতিফলন দেখা যায়নি তাঁর নির্দেশে। কারণ এফআইআর কতটা যুক্তিসংগত, গ্রেফতারিই বা আইন মেনে হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নেই যাননি ম্যাজিস্ট্রেট। থানায় এফআইআর দায়ের থেকে গুজরাতে গিয়ে জিগনেশকে গ্রেফতারি, কোথাও আইন মেনে এগোয়নি অসম পুলিশ।

২০১৪-য় একটি মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। অভিযোগ জমা পড়ামাত্র কোনও কিছু যাচাই না করে অভিযুক্তর হাতে হাতকড়া পরানোর পুলিশের অভ্যাসের কড়া নিন্দা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ছ’বছর আগের সেই রায় শুধু নয়, জিগনেশের গ্রেফতারি দেশের অপরাধ আইনেরও পরিপন্থী।

কারণ যে অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর, সেক্ষেত্রে প্রথমে ৪১এ অনুচ্ছেদ মেনে অভিযুক্তকে প্রথমে নোটিস পাঠানোই নিয়ম, যাতে কিনা তদন্তের অগ্রগতির জন্য পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার আর্জি জানানো হয় অভিযুক্তকে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে তখনই গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ, যদি ওই ব্যক্তির তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ার ঝুঁকি থাকে, সাক্ষীকে হুমকি দেওয়া বা ভয় দেখানোর সম্ভাবনা থাকে, অথবা তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত যাতে আরও অপরাধ ঘটিয়ে না বসেন, এই মর্মে, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তর গ্রেফতারি অত্যাবশ্যক মনে হলে এবং অভিযুক্তর পালিয়ে যাওয়া আটকাতে। জিগনেশের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হল ১৫৩এ (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতায় ইন্ধন জোগানো) এবং ২৯৫এ (কারও ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মের অবমাননা করে ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি সৃষ্টি)। দু’ক্ষেত্রেই অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা হতে পারে। ২৯৫এ ধারায় অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল খাটতে হতে পারে অপরাধীকে।

সেই নিরিখে জিগনেশের গ্রেফতারি কোনওভাবেই যুক্তিসংগত নয়। জিগনেশ একজন নির্বাচিত বিধায়ক, তাঁর পালিয়ে যাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। একবার পোস্ট করে দেওয়া টুইট বিকৃত করার প্রযুক্তি এখনও সাধারণ মানুষের হাতে এসে পৌঁছয়নি। তাই প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন জিগনেশ, এমন সম্ভাবনাও নেই। সুদূর অসমে জিগনেশের অজ্ঞাতপরিচয় যে ব্যক্তি এফআইআর দায়ের করেছেন, তাঁকে ধমকানো-চমকানোর সুযোগও নেই জিগনেশের। তাই এক্ষেত্রে গ্রেফতারির আগে জিগনেশকে নোটিস পাঠানো অবশ্য-কর্তব্য ছিল অসম পুলিশের (Assam Police)। শুধু এই গাফিলতির ভিত্তিতেই অসম পুলিশের জিগনেশকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিতে পারতেন কোঁকরাঝড় আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তা না করে জিগনেশকে তিন দিনের হেফাজতে পাঠিয়েছেন তিনি।

জিগনেশের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ১৯ এপ্রিল অসমেরই বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী অরূপ কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫৩এ এবং ২৯৫এ ছাড়াও, ৫০৪ (উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শান্তিভঙ্গে ইন্ধন জোগানো), ৫০৫ (জনমানসে ক্ষোভ, অশান্তি তৈরি হয় এমন মন্তব্য বা বিবৃতি), সেই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি ধারায় মামলা দায়ের করে রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু ১৮ এপ্রিল জিগনেশের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে যে বার্তাটির ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেন ওই বিজেপি কর্মী, তা উল্লিখিত কোনও ধারার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। টুইটে জিগনেশ লিখেছিলেন, ‘গডসের উপাসক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০ তারিখ থেকে গুজরাত সফরে আসছেন। ওঁর কাছে অনুরোধ, গুজরাতের হিম্মতনগর, খাম্বাত এবং ভেরাবলের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিরুদ্ধে শান্তি এবং সম্প্রীতির বার্তা দিন। মহাত্মার মন্দির নির্মাণ করেছেন যিনি, তাঁর কাছে এইটুকু তো আশা করাই যায়।’

অথচ অসমের ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, জিগনেশের মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে, যাতে সামাজিক শান্তি এবং সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ অন্য সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানতে পারেন, যাতে দেশের সামাজিক পরিকাঠামো নষ্ট হতে পারে। জিগনেশের টুইটে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতও রয়েছে, যাকে পুঁজি করে কিছু মানুষ দেশের ঐক্য, শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ নষ্ট করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ জানান ওই বিজেপি কর্মী। যদিও পরে সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, জিগনেশ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। হতে পারেন তিনি বিধায়ক। কিন্তু তাঁর এই আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন আচরণ করার সাহস না পান, তার জন্যই উদাহরণস্বরূপ থানায় গিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ জিগনেশের মন্তব্যের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার যে সম্পর্ক নেই, বরং মোদির সমালোচনা রুখতেই যে এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি, তা অভিযোগকারীর মন্তব্যেই স্পষ্ট।

তাই মধ্যরাতে গুজরাতে গিয়ে জিগনেশকে তুলে আনার আগে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা উচিত ছিল অসম পুলিশের। জিগনেশের টুইট ঘিরে হিংসা, অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত ছিল আগে। তা না করে এক্ষেত্রে জিগনেশকে গ্রেফতার করে তাঁর বাকস্বাধীনতার ওপরই আঘাত হেনেছে পুলিশ, সেই বাকস্বাধীনতা, যা কিনা দেশের সংবিধানের ১৯(২) অনুচ্ছেদে স্বীকৃত। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শ্লেষপূর্ণ বার্তা ছাড়া জিগনেশের টুইটে অশান্তি, হিংসায় ইন্ধন জোগানোর কোনও উপকরণই মজুত ছিল না। তাই তাঁকে গ্রেফতার করার আগে পুলিশ আদৌ টুইটটি পড়েছিল কি না, না কি ওপরমহলের নির্দেশ পালনেই গুজরাত ছুটে গিয়েছে তারা, সেই প্রশ্ন একেবারেই অবাঞ্ছিত নয়। টুইটে নাথুরাম গডসের উল্লেখ যদিও বা গ্রেফতারির সপক্ষে যুক্তি হিসেবে ধরা হয়, মোদি নাথুরামের উপাসক অর্থাৎ, জিগনেশ নাথুরামকে ভগবান বলে অভিহিত করে বিশেষ সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত হেনেছেন বলে যদি দাবি করে পুলিশ, সেই যুক্তিও ধোপে টেকে না। কারণ এক্ষেত্রে নাথুরাম নন, জিগনেশের নিশানায় ছিলেন মোদি। মোদিকে নাথুরামের উপাসক বলে আসলে রাজনৈতিক অথবা ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন জিগনেশ। সেক্ষেত্রে ধর্মীয় অবমাননার যুক্তিও খাটে না।

গত কয়েকবছর ধরে যদিও এমনই চলে আসছে। মোদি তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকার-বিরোধী অবস্থানের জন্যই একে একে জেলবন্দি হয়েছেন উমর খালিদ থেকে স্ট্যান স্বামী, সুধা ভরদ্বাজ থেকে গৌতম নওলাখার মতো সমাজকর্মী। রাজনৈতিক অবস্থান বা আদর্শ সরকার-বিরোধী বলেই রাষ্ট্রযন্ত্রের শোষণ এবং নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। এই বিরুদ্ধ মত, বিরুদ্ধ অবস্থানের মৌলিক অধিকার তাই স্মরণ করিয়ে দিতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দীপক গুপ্তকেও। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে তাঁকে জানাতে হয়েছে যে, ভারত নামক গণতন্ত্রের সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের মধ্যে বিরুদ্ধ মত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতের গণতান্ত্রিক অস্তিত্ব আদৌ কায়েম রয়েছে, না কি একজন ব্যক্তিকে নির্ভর করে দেশে ক্রমশ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে চলেছে, তা অনুধাবন করা জরুরি। কারণ মাসছয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে চুল-দাড়ি পাকিয়ে ফেললেও, মনের মধ্যে কোথাও খচখচানি রয়েছে তাঁরা। কারণ বিরোধীদের অকারণ লম্ফঝম্ফ ব্যাতীত সরকারের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা আর চোখে পড়ে না তাঁর।

কিন্তু মোদি আদৌ সমালচনা পছন্দ করেন কি, না কি মুখের কথা বলতে হয়, তাই বলেছেন, এই প্রশ্নও অমূলক নয়। কারণ তিনি যে দলের প্রতিনিধি, সেই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতেই বিরুদ্ধ স্বর দমনের অনমনীয় প্রচেষ্টা আজ বাস্তবায়িত। প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে নয়, বরং ব্যক্তি মোদির ভাবমূর্তিকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে তিনি যাবতীয় সমালোচনার ঊর্ধ্বে। তাঁর রাজদণ্ডই শেষ কথা। তিনিই সর্বশক্তিমান। তাঁর বিরুদ্ধে ট্যাঁ ফোঁ করেছ কী, বিনা বিচারেই অপরাধী ঘোষিত হবে। কিন্তু দেশের প্রশাসনিক প্রধান যদি সংবিধান তথা আইনের ঊর্ধ্বে হন, পুলিশ যদি আইনের রক্ষক না হয়ে তাঁবেদারিতে নিযুক্ত হয়, জনগণের সেবার বদলে শাসকের হয়ে বিরোধীদের শায়েস্তা করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়, তা আসলে গণতন্ত্রের অবক্ষয়েরই ইঙ্গিত।

More Articles