গায়ত্রী স্পিভাক বনাম অনশুল কুমার: এর নাম দলিত রাজনীতি?

Dalit Politics: জে এন ইউ একাডেমিকের ডাকে বিংশ শতাব্দীর সমাজতাত্ত্বিক এডওয়ার্ড বার্গার্ড ডু বয়েসের গণতন্ত্র সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির পর্যালোচনা করলেন নিম্নবর্গবিদ্যা-তাত্ত্বিক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক।

গত ২১ মে নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠন জে এন ইউ একাডেমিকের ডাকে যোগ দিলেন নিম্নবর্গবিদ্যা-তাত্ত্বিক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। বিংশ শতাব্দীর সমাজতাত্ত্বিক এডওয়ার্ড বার্গার্ড ডু বয়েসের গণতন্ত্র সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির পর্যালোচনা করেন তিনি। বক্তৃতার শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পাঠরত সোশিওলজির এক ছাত্র অনশুল কুমার প্রশ্ন করার সময় ডু বয়েসকে ‘ ডু বোয়া’ উচ্চারণ করলে, গায়ত্রী তাঁকে উচ্চারণ শুধরে নিতে বলেন। অনশুল সঙ্গেই সঙ্গেই আবার ‘ডু বোয়া’ উচ্চারণ করলে গায়ত্রী বিরক্ত হয়ে বলেন যে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সমাজতাত্ত্বিক, যিনি নিজের নামের উচ্চারণ নিয়ে বারবার বলে গিয়েছেন, তাঁর নাম উচ্চারণের সময় এত অসতর্ক হওয়া ঠিক নয়। অনশুল কুমার তখন এই উচ্চারণ পার্থক্যকে খুবই তুচ্ছ ব্যাপার বলে মূল প্রশ্নে ঢুকতে যান। দৃশ্যত বিরক্ত গায়ত্রী তাকে থামিয়ে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন এবং অনশুল কুমারের ‘এক্স হ্যান্ডলে’ দেওয়া পরিচয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এখানে অনশুল কুমার নিজেকে ব্রাহ্মণ স্বরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক বলে দাবি করেছিলেন। যাই হোক, অনশুল কুমার স্বরে ফুটে ওঠা ঔদ্ধত্যের জবাব গায়ত্রী পালটা ঔদ্ধত্য দেখিয়েই দেন এবং অনুষ্ঠানটির মডারেটর শেষ অবধি অনশুল কুমারকে প্রশ্নই করতে দেন না।

অনুষ্ঠান শেষে অনশুল কুমার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এবং ফেসবুকে গায়ত্রীকে ‘বাস্টার্ড ও বিচ’ বলে উল্লেখ করে প্রশ্ন রাখেন, ক্যান দ্যা সাবঅল্টার্ন প্রোনাউন্স? প্রশ্নটি যে গায়ত্রীর নিজের লেখা বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক?-কে উপহাস করে, তা বুঝতে কারওর অসুবিধা হয় না। এই ঘটনার প্রেক্ষিত ভারতের হিউম্যানিটিজ ও সোশ্যাল স্টাডিসের একাডেমিয়ায় বাদানুবাদ ও মতান্তর শুরু হয়েছে তখনই, যখন অনশুল কুমার মনে করেছেন তিনি দলিত বলেই গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক হয়তো তাঁর উচ্চারণকে ছুতো করে বাকিদের সামনে তাঁকে অপদস্থ করতে চেয়েছেন। এই দাবির সঙ্গে অনেকে একমত হয়েছেন, অনেকে একমত হন নি। অনশুল কুমারের সামাজিক মাধ্যমের কাজকর্ম দেখে তাঁকে বহু ক্ষেত্রেই নারীবিদ্বেষী এবং কিছুক্ষেত্রে বাঙালি বিদ্বেষী মনে হয়েছে অনেকেরই। অনেকে আবার এই নারীবিদ্বেষ ও জাতি বিদ্বেষকে রাগের মাধ্যমে দলিত প্রতিরোধের ভাষা বলেও মনে করেছেন। এখানে যে প্রশ্নগুলি ওঠে, তা হল:

১. গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের অনশুল কুমারকে বারংবার ডু বয়েস উচ্চারণ করতে বলা কি নিছকই এলিট উন্নাসিকতা দেখানো নাকি জরুরি রাজনৈতিক সচেতনতা?

২. অনশুল কুমারের বারবার নিজেকে সাবঅল্টার্ন দাবি করা কি আদৌ দলিত রাজনৈতিক সচেতনতা?

৩. অনশুল কুমারের তথাকথিত প্রতিরোধের যে ধরণ, তা কি দলিত তত্ত্ব অনুযায়ী প্রতিরোধ?

৪. অনশুল কুমারকে সমালোচনার করার সময় সময় সমগ্র দলিত পরিসরকে ঘিরে প্রশ্ন তোলা কি লুকিয়ে রাখা ব্রাহ্মণ্যবাদী মানসিকতার প্রতিফলন?

আরও পড়ুন: ‘আমি বিনয় চণ্ডাল’ : এক পংক্তির কবিতার দলিত পাঠ

যে মানুষটির নামের উচ্চারণ নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত, তিনি হলেন প্রখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ সমাজতাত্ত্বিক ডব্লু ই বি ডু বয়েস। ডু বয়েস সারাজীবন নিপীড়িত প্রান্তিক মানুষের অধিকার ও গণতান্ত্রিক কাঠামোতে প্রান্তিক মানুষের অধিকার পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলে এসেছেন। তাঁর নামের বানান ব্যুৎপত্তিগত ভাবে ফরাসি ভাষার হওয়ায়, ‘সঠিক’ ফরাসি এলিট উচ্চারণটি হল ‘ডু বোয়া’। অতএব যাঁরা বলছেন, অনশুল কুমার চোস্ত উচ্চারণ করতে না পারায়, গায়ত্রী তাঁকে হেনস্থা করেছেন, তাঁরা হয় না জেনে ভুল বলছেন কিংবা জেনেও মিথ্যাচার করছেন। ডু বয়েসের পূর্বজদের বসবাস ছিল হাইতিতে। হাইতি ছিল ফরাসি উপনিবেশ। সেখানকার ভূমিজ কৃষাঙ্গদের উপর যতই ফরাসি কেতা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হোক না কেন, দিনের শেষে তাঁরা তাঁদের রীতি অনুযায়ীই সমস্ত উচ্চারণ পালটে নিতেন। রোমান হরফে লেখা ‘ Do Bois’-কে ফরাসি রীতি মেনে তাঁরা কিছুতেই 'ডু বোয়া' উচ্চারণ করতেন না, করতেন একদম গ্রাফোসেন্ট্রিক ভাবে 'ডু বয়েস'। নিজের পূর্বজের কলোনিয়াল নিপীড়ণের ইতিহাস যাতে বিস্মৃত না হয়, তাই 'ডু বয়েস' চাইতেন তার নামের উচ্চারণ যেন 'ডু বয়েস'ই করা হয় সবসময়। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে চিকাগো সানডে ইভনিং ক্লাবের অনুরোধে বক্তৃতা দিতে যাওয়ার আগে, তিনি তাঁর চিঠিতে স্পষ্ট করেছেন তাঁর ইচ্ছের কথা জানান,


"My name is pronounced in the clear English fashion: Du, with u as in Sue ; Bois, as in oi in voice. The accent is on the second syllable."

অর্থাৎ এই নামের উচ্চারণটি নিছক উচ্চারণের জন্য নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ইতিহাসের বয়ান তৈরি করতে। তাই এই উচ্চারণকে গ্যোয়েথে/গ্যেট্যে, নীৎসে/ নীচে, বার্থ/বার্থেস এই উচ্চারণগুলির নিরিখে দেখা শুধু অনুচিতই নয়, অরাজনৈতিকও।

অনশুল কুমারের উচ্চারণ অরাজনৈতিক হলেও একাডেমিয়া নামক গণতান্ত্রিক পরিসরের স্বার্থেই সেইদিন গায়ত্রী এবং অনুষ্ঠানটির মডেরেটরের উচিত ছিল, তাঁকে প্রশ্নটি করতে দেওয়া। যাই হোক, গায়ত্রী অনশুল কুমারকে বারংবার যে উচ্চারণ শুধরাতে বলছিলেন, সেটি নিম্নবর্গীয় রাজনৈতিক সচেতনতা যা জন্মসূত্রে দলিত হয়েও অনশুল কুমারের এই উচ্চারণটির ক্ষেত্রে ছিল না। নিউইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ডট কমে ৩০ মে, সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অনশুল কুমারকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এখন তিনি ডু বয়েস উচ্চারণ কেমন করে করবেন । তিনি উত্তর দিয়েছেন যে ডু বয়েস হিসেবেই করবেন এবং তাঁর মনে হয়েছে, তাঁর কলেজের দিনগুলিতে তাঁর অধ্যাপকরা একটু ফরাসি ঘেঁষা ছিল বলে তাঁকে 'ডু বোয়া' উচ্চারণ শেখানো হয়েছিল। গায়ত্রী যখন তাঁকে প্রশ্ন করার সময় উচ্চারণটি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন, তখন তাঁর এই শেখার মন কোথায় ছিল কে জানে! স্ক্রোল ডট ইনে ২৬ মে এই ঘটনাটি নিয়ে অধ্যাপিকা বৃন্দা বোসের মতামত আরও বিস্ময়কর। বৃন্দা বোস গোটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং জানিয়েছেন যে ডু বয়সেকে নিয়ে যাবতীয় আলোচনা গায়ত্রী করেছিলেন 'ডু বয়েস' উচ্চারণ করে এবং কেন 'ডু বয়েস' উচ্চারণ তা-ও বলেছিলেন। এই সমস্ত কিছু শোনার পর অনশুল কুমার যখন 'ডু বোয়া' উচ্চারণ করেন এবং সেই উচ্চারণ শুধরে দিতে গেলে সেটাকে ‘তুচ্ছ ব্যাপার’ বলে অভিহিত করেন, তখন একটা ব্যাপার খুব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অনশুল কুমার ব্যক্তি হিসেবে অহেতুক মনোযোগ চান এবং ব্যক্তি হিসেবেই গায়ত্রীকে বিরোধিতা করতে চান। এই ব্যক্তিস্বার্থের জন্যই তাঁর মধ্যে কোথাও সামান্যতম নিম্নবর্গীয় রাজনৈতিক সচেতনতা নেই। দলিত রাজনৈতিক সচেতনতাও কি রয়েছে?

গোটা ব্যাপারটিতে অনশুল নিজেকে বারবার সাবঅল্টার্ন দাবি করেছেন। তাঁর পরিবারের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কোনও পরিসর সম্পর্কেই বিশেষ কিছু জানা নেই। শুধু এইটুকুই তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি স্নাতক স্তরে পড়াশুনা করেছেন মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে, স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশুনা করছেন নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই দু'টি তথ্যই যথেষ্ট তাকে সাবঅল্টার্ন হিসেবে খারিজ করার জন্য। যিনি ভারতবর্ষের এত নামজাদা এলিট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশুনা করেছেন, তিনি আর সাবঅল্টার্ন থাকেন না। প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত কোনও মানুষই আর অন্ত্যজ শ্রেণির থাকেন না কারণ প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা নিজেই একটি ক্ষমতাশালী হাতিয়ার। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষার পরেও একজন মানুষ দলিত রয়ে যান, কারণ ব্রাহ্মণ্যবাদ এমন একটা পরিসর যা উচ্চশিক্ষিত দলিতকে ‘কোটার মাল’ বলে বাতিল করার প্রবণতা সবসময় দেখায়। আর পাঁচজন কুশিক্ষিত ব্রাহ্মণ্যবাদী যেমন সাবঅল্টার্ন ও দলিতকে এক ও অভিন্ন পরিসর বলে চিহ্নিত করে দলিত পরিসরের ব্যপ্তি ও গুরুত্ব কমিয়ে দিতে চায়, অনশুল কুমার নিজে দলিত হয়ে সেই কাজটিই করেছেন। একজন সচেতন দলিত রাজনীতির মানুষ কখনওই এমন কথা বলবেন না যেখানে দলিত ও সাবঅল্টার্নকে এক ও অভিন্ন দেখাবার চেষ্টা করা হয়।

দলিত রাজনৈতিক সচেতনার অভাব রয়েছে বলেই অনশুল কুমারের প্রতিরোধের ভাষাও অ-দলিতচিত, তা অনেক বেশি ব্রাহ্মণ্যবাদ ঘেঁষা। শরণকুমার লিম্বালে তাঁর “টুওয়ার্ডস অ্যান অ্যাস্থেটিক অফ দলিত লিটারেচার' বইটিতে দলিত সাহিত্যের ভাষা কেমন হতে পারে আলোচনা করতে গিয়ে এক জায়গায় তিনি লিখছেন, দলিত লেখক তাঁর দলিতত্ব এমন ভাবে বুনবেন যেন সেখানে কান্না, রাগ মিশে এমন এক মানবিক আবেদন পাঠককে আরো নিবিড় করে তুলবে দলিত পরিসরের সঙ্গে। আমরা আশা করতেই পারি, দলিত তত্ত্ব অনুযায়ী দলিত প্রতিরোধের ভাষার প্রবণতা হবে এমনটাই। লিম্বালে, যদুনাথ থাট্টে, আচার্য জাদেকরের মতো কিংবদন্তি দলিত তাত্ত্বিকরা কান্না ও রাগকে কখনওই ঘৃণার ধারক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেননি। বরং ব্রাহ্মণ্যবাদী যে ঘৃণার পরিসর তার বিপ্রতীপে রেখেছেন রাগ ও কান্নাকে। অনশুল কুমারের প্রতিরোধের যে ভাষা তা রাগ ও কান্না থেকে জাত নয়, হিংস্রতা থেকে জাত। বাঙালি ‘ভদ্রলোক’ শ্রেণি’কে আক্রমণ করতে গিয়ে যিনি ‘বেঙ্গলি ফ্যাগট’ শব্দটি লিখতে পারে, তিনি নিঃসন্দেহেই জাতিবিদ্বেষী।

জাতিবিদ্বেষ কি দলিত প্রতিরোধ? সাবর্ণ নারীবাদীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে যিনি কেবলই রেপ রেটোরিক ব্যবহার করে, তিনি তার পিতৃতান্ত্রিক মুখটি দেখিয়ে ফেলে। আর পিতৃতান্ত্রিক এই মুখ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষিত থেকে সবসময়ই ব্রাহ্মণ্যবাদী। সাবর্ণ নারীবাদীদের আক্রমণ করতে গিয়ে অনশুল বিস্মৃত হন রজনী তিলক নামের সেই দলিত নারীবাদী কবিকে যিনি লিখতে পারেন:

‘…নারীতে নারীতে
ভেদ নেই কি তবে?
একজন ভাঙর তো আরেকজন বামনি
একজন ডোম তো আরেকজন ঠাকরানি

দিন রাত খাটে দু'জনাই
অবশ্য একজন ক্ষেতে
আরেকজন চার দেওয়ালের ভেতর
সাঁঝে একজন শোয় বিছানায়
আরেকজন কাঁটার উপর।

অপমানিত হয় দু'জনাই
একজন গাড়িতে,সিনেমাহলে, রাস্তায়
আরেকজন ক্ষেতে, পাড়ায়, খনিতে
এই সংস্কৃতিতে সকলেই সর্বহারা?

একজন শোষিত হয় নারী হওয়ার জন্য
আরেকজন নারী ও দলিত হওয়ার কারণে
একজন ছটফটায় সম্মান চেয়ে
আরেকজন মরে খিদে আর অপমানে ।

প্রসববেদনা তবু একই থেকে যায়
একজন জন্মায় নালার ধারে
আরেকজন হাসপাতালে… ’



রজনী তিলক, ‘নারীতে নারীতে ভেদ আছে’, মূল ভাষা: হিন্দি, অনুবাদ: অমৃতা সরকার

আরও পড়ুন: “দলিত এখন একটা ফ্যাশন”! আম্বেদকরের আর প্রয়োজন কোথায়?

এ কথা বললে খুব ভুল হবে না, অনশুল কুমার একজন উদ্ধত, নারীবিদ্বেষী, জাতিবিদ্বেষী, রাজনৈতিক ভাবে অসচেতন ব্যক্তি। এই ব্যক্তিকে সমালোচনা করতে গিয়ে যখন বারবার ‘দলিত ভিক্টিম কার্ড খেলে’, ‘আইডেন্টিটি পলিটিক্স আসলে ধান্দাবাজি’, ‘এগুলো সবই একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন’, এমনকি ‘এগুলো এদের জিনে রয়েছে’ জাতীয় শব্দবন্ধ ব্যবহার শুরু করে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত সাবর্ণ একাডেমিয়ার মানুষজন, তখন সন্দেহ হয়। সন্দেহ হয় একটি অনশুল কুমারকে দেখিয়ে দলিত রাজনীতির যাবতীয় অর্জনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার যেন একটা ছুতো খুঁজে চলেছেন এরা। অসংখ্য ব্যক্তি সাবর্ণের হিংস্র ঔদ্ধত্যের হিসাব করতে বসলে, এতদিনে বোধহয় পুরো সাবর্ণ সংস্কৃতিকেই বাতিল করে দিতে হত।

More Articles