কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: যন্ত্রের যন্ত্রণা নাকি আধুনিক যুগের শাণিত হাতিয়ার?
Artificial Intelligence: কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান— সব ক্ষেত্রেই জয়জয়কার এই কৃত্রিম মেধার। AI-এর ছাতার এই যে বহুমুখী বিস্তার, এর কোনও ক্ষতিকর দিক নেই তো?
কাজের বাজারে মেধাবী ও শাণিত বুদ্ধির পাশাপাশি প্রবল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব সম্পন্ন প্রার্থীর কদরই আলাদা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই বৈশিষ্ট্যগুলিকে কীভাবে যন্ত্রের মধ্যে ভরে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা বিজ্ঞানীরা করে আসছেন অনেক দিন ধরেই। মানে যন্ত্র শুধুই কাজ করবে না, কঠিন সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে পারবে। সোজা কথায় যন্ত্রকে শিখিয়ে-পড়িয়ে বুদ্ধিমান বানানো আর কী— যার নাম মেশিন লার্নিং। যন্ত্রের তো নিজস্ব কোনো বুদ্ধি নেই, বাইরে থেকে তার মগজে যে বুদ্ধি ভরে দেওয়া হয় সেটাই একমাত্র সম্বল, তাই-ই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এই দুই মানিকজোড়ের কল্যাণে আমাদের জীবন এখন অনেক সহজ। কাজের চাপে ডিম আনতে ভুলে গেলেও এখন আমরা অনেককেই আর আলুসেদ্ধ-ভাত খেতে হয় না। যে কোনও ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে চট করে কিছু আনিয়ে নেই। ই-কমার্স থেকে ব্যাঙ্কিং, টেলি যোগাযোগ থেকে ভ্রমণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রমরমা সর্বত্র। শুধু দৈনন্দিন জীবনেই নয়, বিজ্ঞান গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এতই ফলপ্রসু যে এবারের দু'দুটো নোবেল পুরষ্কার তার ঝুলিতে। এ বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন জন জে হপফিল্ড ও জফ্রি ই হিন্টন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য তাঁদেরকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ওদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে প্রোটিনের গঠন কেমন হতে পারে ও তাদের নকশা আঁকার জন্যে রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী— ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম জাম্পার। আজকের দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI যেভাবে মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে, সুইডিশ নোবেল একাডেমি যেন তাকেই স্বীকৃতি দিল।
রাতারাতি কিন্তু এই সফলতা আসেনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কিন্তু কম দিনের নয়। আজ থেকে প্রায় এক শতাব্দী আগে, ১৯২০ সালে 'রুশম’স ইউনিভার্সাল রোবটস' নামক এক কল্পবিজ্ঞানধর্মী নাটকে সর্বপ্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণা মিলেছিল। তারপর সময়ের পাল্লায় ভর করে একে একে টুরিং, আর্থার স্যামুয়েল এর ধারণাকে আরও বিস্তৃত করেছেন। শেষে ১৯৫৫ সালে ম্যাকার্থি প্রথমে 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' শব্দটি ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: ক্রমে বুদ্ধি বাড়ছে যন্ত্রের! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাপিয়ে যাবে মানুষকে?
মোদ্দা কথা হচ্ছে যন্ত্রের বুদ্ধির দৌরাত্ম্যে একই বছরে দু-দু'টো নোবেল! আর মানুষ? এখানেই মনে পড়ে যায় এবারের নোবেলজয়ী হিন্টনের সেই মন্তব্য— "মানুষ হবে পৃথিবীর দ্বিতীয় বুদ্ধিমান প্রাণী"। সত্যি তাই! কর্মদক্ষতায় যন্ত্র তো বহুদিন আগেই আমাদেরকে হারিয়েছে, এখন যদি বুদ্ধিতেও হারায়! হ্যাঁ, সেই আশঙ্কা আমাদের মাঝে মাঝে নির্বাক করে তোলে বটে। সেই সঙ্গে আরও একটা চিন্তা প্রায়শই গ্রাস করে আমাদের— ভবিষ্যতে যদি কাজ না থাকে? একই আশঙ্কায় ইউরোপে শিল্পবিপ্লবের সময় রে রে করে উঠেছিল লোকজন। এই বুঝি মানুষ বেকার হয়ে গেল। কিন্তু না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রকে নিখুঁতভাবে কাজ করানোর জন্যে মানুষের প্রয়োজন হয়েছে বারবার। যন্ত্র মানুষের মত ভাবতে শিখলেও, কীভাবে ভাবতে শিখছে, তা জানলে আমাদের এ আশঙ্কা সম্ভবত কিছুটা কমবে।
যন্ত্রকে বুদ্ধিমান বানাতে গেলে, আগে আমাদের ভাবতে হয় যে বিভিন্ন জটিল সমস্যায় পড়লে আমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি? এ বিষয়ে আমাদের অবলম্বন প্রচুর স্মৃতি ও সেগুলোর বিশ্লেষণ। স্মৃতি মানেই তো অগণিত তথ্যের সমাহার। যন্ত্রের তো কোনও স্মৃতি নেই। একটাই উপায় আছে— যন্ত্রের মগজে কোনও বিষয় সম্পর্কিত অজস্র তথ্য জমা করা। যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সে বিহ্বল না হয়ে পড়ে। যে তথ্যের ভিত্তিতে সে সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে বলা হয় অ্যাসোসিয়েটেড মেমরি বা সহযোগী স্মৃতি। সেটি আসলে কেমন?
ধরা যাক, মোড়ের মাথায় আমরা একটি মেশিন বসাচ্ছি। প্রতিদিন যে সমস্ত কুকুর মোড় পার হচ্ছে, তাদের মধ্যে দেশি-বিদেশি জাতের কুকুরকে চিহ্নিত করাই সেই যন্ত্রের কাজ। তার জন্য বিভিন্ন জাতের কুকুর সম্পর্কিত অজস্র তথ্য, যেমন গায়ের রং, আকার, হরেক রকমের ডাক, এমনকী লেজের আকৃতি, চোখের মণির রং, সবকিছু মেশিনের মগজে পুরে দেওয়া হল। সেই মেশিনের প্রাপ্ত ফলাফল হিসাব করে দেখা গেল, কোনও এক রোববারে বাজারে দশটা বিলিতি ও কুড়িটা দেশি কুকুর এসেছিল। আরও একটু খোঁজ করে দেখা গেল, ওই দিন দু'টো কুকুরের হিসাবে গোলমাল হচ্ছে, কারণ একটার কান কাটা ও অন্যটার সামনের পা খোঁড়া ছিল। তার মানে আমরা যন্ত্রটাকে ঠিক মত তথ্য সরবরাহ করতে পারিনি। তাহলে আর কী কী তথ্য দিলে সে যথাযLত সিদ্ধান্ত নিতে পারত, এই ব্যাপারটা কে ভাববে বা খেয়াল রাখবে? কেন আমরা— মানুষ! শুধু বিভিন্ন তথ্যের সৃষ্টি ও গণনা নয়, তাদের বিশ্লেষণ করা, বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডেটা পর্যবেক্ষণ করে তাৎপর্যপূর্ণ কোনও প্যাটার্ন খুঁজে বার করা (যা আগে কেউ করেনি), এ সবই তো আর যন্ত্রের উপরে ছেড়ে দেওয়া যায় না।
মানে ধরুন, একটা বিশেষ অঞ্চলের মানুষের পোশাক কেনাকাটার ধরন বা খাদ্যাভ্যাস দেখে সে বিষয়ে একটা পরিসংখ্যান মডেল বানানো কিংবা আকাশে অগণিত তারার মাঝে কিছু মিল খুঁজে খুঁজে তাদের নিয়ে ক্লাস্টার বা পাড়া তৈরি করা, সে জন্যে প্রয়োজন দক্ষ চিন্তাশীল ডেটা অ্যানালিস্ট বা তথ্য বিশ্লেষক, যাঁরা বিগ ডেটা নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
শুধু বিজ্ঞান গবেষণাই নয়, ভারতের মত জনবহুল উন্নয়ন শীল দেশগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মানব সম্পদের উন্নয়নে, অর্থাৎএই বিপুল জনরাশির স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ও জীবিকার ক্রমবর্ধমান উন্নতিতে। মোবাইল ফোনে AI মারফত স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত কিছু প্রাথমিক উপসর্গ নির্ণয় করা হলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটা বিপ্লব সাধিত হতে পারে। রেটিনোপ্যাথির মতো চোখের অসুখের উপসর্গ এ ভাবে নির্ণয় হলে মানুষ হয়তো দ্রুত বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবে। অনেক বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থায় রোগীর সাথে প্রাথমিক আলাপচারিতা তো চালু হয়েছে চ্যাটবট (AI নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় মাধ্যম)-এর সাহায্যে। বিশেষত টেলি মেডিসিনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনেকক্ষেত্রেই যে ফলপ্রসু, তা কোভিডকালীন সময়ে আমরা দেখেছি। এক্ষেত্রে বেশ কিছুক্ষণ যান্ত্রিক আলাপচারিতার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া যায়। তাতে একসঙ্গে অনেক মানুষকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব।
সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন পাঁচ হাজার রোগী দেখার অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে তার পরের রোগীর চিকিৎসা করেন, AI-ও তেমনই অসংখ্য রোগ, রোগী ও তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যাবলী বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলো নেয়। সেজন্যে পরীক্ষিত ও পক্ষপাতহীন ডেটা ভরতে হবে যন্ত্রের মগজে। এক্ষেত্রে যদি কোনও গন্ডগোল হয় তার পরিণতি হবে মারাত্মক। ব্যাপারটা একজন সদ্য এমবিবিএস পাশ ইন্টার্নকে দিয়ে অঙ্গ-প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অস্ত্রোপচার করানোর মতোই ভয়াবহ ব্যাপার।
শিক্ষা ক্ষেত্রেও AI-এর প্রভাব অনস্বীকার্য। স্মার্টফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে শিক্ষকদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ার পাশাপশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যক্তিগত স্তরে শিক্ষার সম্প্রসার করা সম্ভব হচ্ছে আজকাল। প্রশ্নপত্র তৈরিতে, বিশেষত মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্ন (এমসিকিউ) তৈরির কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা যেতেই পারে। এতে শুধু সময়ই বাঁচবে না, পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন দ্রুত করা সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে AI একটি যথাযথ সুপারিশ-সহ বিশদ প্রতিবেদন মুহুর্তেই তৈরি করতে পারে। চ্যাটবট তো এখন এতই জনপ্রিয় যে বহু শিক্ষার্থীই গুগলের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করছে।
আমাদের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কৃষকদেরকে গাইড করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে AI। সম্প্রতি তেলেঙ্গানা সরকার কৃষিক্ষেত্রে জল এবং সারের ব্যবহার সঠিক হচ্ছে কিনা, সে জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে। সেখানে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সার এবং জলের ব্যবহার কমিয়ে ফলন ২১% বাড়াতে পেরেছেন প্রায় সাত হাজার কৃষক!
কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান— সব ক্ষেত্রেই জয়জয়কার এই কৃত্রিম মেধার। AI-এর ছাতার এই যে বহুমুখী বিস্তার, এর কোনও ক্ষতিকর দিক নেই তো? গত বছরে আমেরিকায় ঘটা একটি বাস্তব ঘটনার কথা বলে শেষ করা যাক। এক ভদ্রমহিলার কাছে অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন এসেছিল। ধরতেই তাঁর কিশোরী মেয়ের ক্রন্দনরত কণ্ঠ ভেসে এল, প্রথমে হতচকিয়ে গেলেও পরে নিজেকে কিছুটা সামলে দেখলেন, এত তাঁর মেয়েরই গলা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ফোন, এবার মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ চেয়ে। মহিলা ভাবছেন, কী হল? তাঁর মেয়েকে দুষ্কৃতীরা কি কাছেপিঠেই কোথাও আটকে রেখেছে? তড়িঘড়ি মেয়েকে আলাদা করে ফোনে খবর নিলেন তিনি। দেখলেন সে বেচারি দিব্যি আছে। কেউ তাঁকে পণবন্দি করেনি। তাহলে ফোনের ওপাশ থেকে কার কন্ঠ শুনলেন তিনি? পরে জানতে পারলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করে তাঁর মেয়ের কণ্ঠস্বর নকল করে তাঁকে শোনানো হয়েছে। সাইবার অপরাধের দুনিয়ায় যার নাম 'ভয়েস ক্লোনিং'। কী সাংঘাতিক! এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি বা ভিডিও বিকৃত করার ঘটনা তো এখন আকছার হচ্ছে। হাজারটা ভালোর পাশাপাশি, এ সমস্ত সমূহ বিপদের আশঙ্কা ভাবাচ্ছে বৈকি আমাদের মতো আমজনতাকে।
আরও পড়ুন:মেশিন লার্নিং! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ধারালো করার যে আবিষ্কারে নোবেল জয় বিজ্ঞানীদের
এসব আশঙ্কা মাথার এক পাশে রেখে আমরা কোনও না কোনও ভাবে ঘর করছিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। যে কোনও সমস্যায় প্রথমেই শরণাপন্ন হচ্ছি AI-এর দরজায়। দিনের বিভিন্ন সময়ে মোবাইলের প্লে-লিষ্টটা চালালেই অ্যাসোসিয়েটিভ মেমোরির দৌলতে শুনতে পাচ্ছি বিভিন্ন গান, কবিতা, ঠিক যেমনটা আমরা চাই। রোজের জীবনে যদি এতই অপরিহার্য হয়ে ওঠে AI, সে কি নিজে থেকেই বুঝতে পারবে হতাশার সময় কোন কবিতা শোনালে আমি মনে জোর পাব? দুঃখের গান শুনতে শুনতে আমাদের চোখ যদি অশ্রু সজল হয়ে ওঠে, কীভাবে আমাদের সান্ত্বনা দেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স? মন বোঝার কথা না হয় বাদই দিলাম, যন্ত্রের ভুলে যদি কোনও দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়ে মানুষ, যদি কারওর ডিপ ফেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যদি কারওর ব্যাঙ্কে জমানো টাকা নিমেষে গায়েব হয়ে যায়, যদি কারওর ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যায়, মেশিন কি পারবে নিজে থেকেই একটা সমাধান খুঁজে বার করতে? নাকি বিড়ম্বনা আরও বাড়াবে? এত সমস্যা, এত ভুল বোঝাবুঝির ভিতরে প্রশ্ন উঠতেই পারে, যন্ত্র কি তবে মানুষের পরিপূরক হয়ে উঠল? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা যন্ত্রকে অদূর ভবিষ্যতে আরও কতটা বুদ্ধিমান ও সংবেদনশীল করে তুলতে পারবেন, তার উপরে।