বয়সের ফারাক কত হলে মজবুত হবে বিয়ে? জানুন সুখী দাম্পত্যের আসল রহস্য

Husband Wife Age Difference: অনেকের ক্ষেত্রে দুই বছরের ব্যবধানে সম্পর্ক মধুর হয় আবার অনেকের তা হয় ১০ বছরের ব্যবধানে। কিন্তু সম্পর্ক তৈরির সময় কোনটা মাথায় রাখবেন?

বয়স কেবলই কি একটা সংখ্যা মাত্র?, এই কথাটা পরিচিত হলেও এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট মতভেদ। হ্যাঁ একথা সত্যি যে শরীরের বয়স বাড়লেও মনের বয়স বাড়তে না দিলে হয় তো বার্ধক্য গ্রাস করে না, কিন্তু বয়স তো জানান দেয় বাহ্যিক গঠনে। এমনকী দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রেও কি বয়স মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ায় না? কেন আজও বিয়ে বা প্রেমের আগে বয়স নিয়ে প্রশ্ন ওঠে? যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা মেলে না। কোথাও দুই বা পাঁচ বছর, কোথাও আবার দশ বছর, কোথাও কোথাও বা তারও বেশি বয়সের তফাতে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুই পক্ষের মধ্যে। কিন্তু জানেন কি বয়সের কত ব্যবধান সুখী দাম্পত্যের জন্য আদর্শ?

একটা সময় পর্যন্ত, বিয়েতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দশ অথবা বারো বছরের ব্যবধান, এটাই দস্তুর ছিল। এখন অবশ্য সময় অনেকটা বদলেছে। এখন সমবয়সী সম্পর্কেই প্রেমের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। এমনকী সম্মন্ধ করে বিয়ের ক্ষেত্রেও অভিভাবকরা দুই থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধানকেই বেছে নিচ্ছেন বেশি। তবে এই যে বয়সের তফাৎ, এর মধ্যে কোনটি যথার্থ তা নিয়ে রয়েছে মত পার্থক্য।

আরও পড়ুন - বেশি অথবা কম ঘুম দুইই কাল হতে পারে শরীরের! জানেন সুস্থ থাকতে কোন বয়সে কতটা ঘুম জরুরি?

একটি বিশেষ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৫ থেকে ৭ বছরের ব্যবধানের ক্ষেত্রে দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া, বিবাদ,ভুল বোঝাবুঝি কম হয়। দুজনের মধ্যে একজন যদি পরিণত বয়সের হয় তবে সে সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ধরে রাখে। বয়সের এই ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়। কারণ এর ফলে একে অপরকে খুব কাছ থেকে বোঝা সম্ভব হয়। অপরদিকে, অনেক ক্ষেত্রে আবার ১০ বছর বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করা হয় যদি দুজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। যখন তারা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে নেবে তখন এই ১০ বছরের ব্যবধান কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন বয়সের ব্যবধানে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে কথা বলতে সংকোচ করেন বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। দশ থেকে কুড়ি বছরের ব্যবধানে যদিও বহু পরিচিত যুগলই রয়েছেন তবে এক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়ায় দুই পক্ষ প্রায় দুটি প্রজন্মের চিন্তাধারা নিয়ে বেড়ে ওঠে। ফলে মতের পার্থক্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আরও একটা বিশেষ সমস্যা হয় ভবিষ্যত প্রজন্ম অর্থাৎ সন্তান ধারনের ক্ষেত্রে।

বয়সের ব্যবধান অনেকটাই প্রভাব ফেলে সম্পর্কে। এর একটা বড় কারণ হল মতামতের পার্থক্য। এখন প্রজন্মের তফাৎ তৈরি হচ্ছে দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই। দুই অথবা পাঁচ বছর আগে জন্মানো বেড়ে ওঠা মানুষের সঙ্গে আজকের মানুষের চিন্তাধারার একটা বিরাট তফাৎ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব পরিবর্তনের সাপেক্ষে। ফলে এটা গাভীর প্রভাব ফেলছে ভাবধারায় যা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে সম্পর্ককে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সমবয়সী দম্পতির থেকে তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি বিচ্ছেদের প্রবণতা দেখা যায় পাঁচ বছরের ব্যবধানে গড়ে ওঠা সম্পর্কে। সুতরাং, ব্যবধান আরও বাড়লে মতামতের তফাতও যে বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। তাই বয়সের ব্যবধান কম হলেই তাকে আদর্শ ধরা হয়।

More Articles