এবার আরও কাছাকাছি কলকাতা, এক ট্রেনেই যাওয়া যাবে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া, কবে শেষ হবে কাজ?
Howrah Bankura Train Service : এবার দূরত্ব ঘুচবে অনেকটাই, সরাসরি রেললাইনে যুক্ত হচ্ছে বাঁকুড়া-হাওড়া। জানুন বিস্তারিত...
বহুদিন ধরেই চলছিল জল্পনা। অবশেষে মিলল স্বস্তির খবর, আর মশাগ্রাম থেকে ট্রেন বদল নয়, এবার এক ট্রেনেই সোজা হাওড়া থেকে চলে যাওয়া যাবে বাঁকুড়া। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই লাইনের যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তেজনা। রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই খাতে। শুধু তাই নয়, শীঘ্রই এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার এই মর্মে রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট রেলপথের কাজের জন্য টেণ্ডারও ডাকা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
এবার বাঁকুড়ার আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে কলকাতা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাঁকুড়া থেকে ট্রেনে সরাসরি হাওড়া যেতে হলে খড়গপুর হয়ে দীর্ঘপথ ঘুরে তবেই পৌঁছতে হয় গন্তব্যে। কারণ দক্ষিণ পূর্ব রেলের বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত লাইন থাকলেও হাওড়ার সঙ্গে সেই লাইনের সরাসরি কোনও সংযোগ ছিল না। যদিও পূর্ব রেলের হাওড়া বর্ধমান লাইনে মশাগ্রামে স্টেশন রয়েছে। ফলে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের এই মশাগ্রামে লাইন অথবা স্টেশন থাকলেও দুটির মধ্যে কোনও যোগ ছিল না। যার কারণে দূরত্ব বেড়ে যেত বেশ খানিকটা। সোজা রাস্তায় যাওয়ার উপায় না থাকায় ঘুরপথে যেতে হতো। কিন্তু দক্ষিণ পূর্ব রেলের বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেলপথকে পূর্ব রেলের বর্ধমান-হাওড়া রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হলে সেই সময় কমে যাবে অনেকটাই।
আরও পড়ুন - কবে থেকে যাত্রা শুরু হবে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের? জানুন টিকিট বুক করার পদ্ধতি
মশাগ্রাম-বাঁকুড়া রেলপথের সঙ্গে হাওড়া কর্ড লাইনকে জুড়ে দেওয়ার এই দাবি দীর্ঘদিনের। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাই এই বিষয়ে নজর দেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপির দাবি, তাদের হাত ধরেই গত পঞ্চাশ বছর ধরে ধামাচাপা পড়ে থাকা এই কাজ এবার সম্পন্ন হওয়ার পথে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লাইন সংযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা ও আনুষঙ্গিক কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩৯ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আগামী দশ মাসের মধ্যে নয়া লাইন পাতার কাজ শেষ করা পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই দাবি রেলের। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত বরাদ্দ পূর্ব রেলের তহবিলে স্থানান্তর করতে রেল বোর্ডের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমনকী বেশ কিছু জরুরী পদ্ধতি মেনে এই প্রকল্পের পুরো অর্থই পূর্ব রেলের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার সবুজ সংকেতও মিলেছে ইতিমধ্যে।
হাওড়ার গতিশক্তি ইউনিট এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন হাওড়া থেকে বাঁকুড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে, অন্যদিকে তেমনি এই নয়া প্রস্তাবিত লাইনটি চালু হলে হাওড়া কর্ড লাইনের সঙ্গে বিষ্ণুপুর লাইনের সংযোগ হওয়ায় ওই রুটের যাত্রীদেরও খুবই সুবিধা হবে। সব মিলিয়ে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য অনেকগুণ বেড়ে যাবে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর ও পূর্ব বর্ধমানের অসংখ্য মানুষ, যাদের নিত্যদিন কলকাতা আসা যাওয়া করতে হয় তাদের এতে খুবই উপকার হবে। একদিকে ট্রেন বদলের হ্যাপা যেমন থাকবে না অন্যদিকে, ঘুরপথে না গিয়ে সোজা পথে যাওয়ায় সময় কম লাগবে অনেকটাই।