এবার ঠোঁটে মিলেছে আশ্রয়…

Kissing and Voyeurism: আমাদের চোখে যৌন শালীনতার একটা শর্ত বিবাহ, যদিও তা একমাত্র শর্ত নয়৷ বিবাহিত দম্পতিকেও কি প্রকাশ্যে চুম্বন করতে দেখেন কেউ?

কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আমাদের একটা মজার খেলা ছিল। আমদের বলতে, আমরা যারা ট্রেনে যাতায়াত করতাম, তাদের। ঘুমন্ত টিকিট চেকারকে জাগানোর খেলা। কথিত ছিল, কাজে অমনোযোগী টিকিট চেকার, যিনি হয়তো শালিখ গুনছেন বা নখ খুঁটছেন, তাঁকে কাজে ফেরানোর সহজ টোটকা হলো একটি ছেলে ও একটি মেয়ের হাত ধরে তাঁর চোখের সামনে দিয়ে যাওয়া। তেমনটা করলেই তিনি সম্বিৎ ফিরে পেতেন। টিকিট চাইতেন অবধারিতভাবে। হাত ধরাটাতেই নাকি চোখ টাটাত, এমনটা নিন্দুকেরা বলত। চুমু খেলে যে কী হতো, কে জানে!

মেট্রো স্টেশনে চুমু খাওয়ার ভিডিও আমি দেখিনি। দু'টি স্টিল ছবি দেখে ফেলেছি স্ক্রল করতে করতে। একটিতে এক সবজে জামা পরা ভদ্রমহিলা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যুগলকে টেরিয়ে দেখছেন। তাঁর দৃষ্টিতে অনুমোদনের আভাস নেই। পাশ কাটিয়ে চলে যেতেই পারতেন। কিন্তু অন্যটিতে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েছেন, এবার হাঁ-মুখ করে সরাসরি দেখছেন। যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কিংবা যেন চিড়িয়াখানার বাঘ দেখছেন। সচরাচর বাসে-ট্রামে মেয়েরা, বিশেষত বাচ্চা মেয়েরা, যখন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তখন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তা দেখেও দেখেন না। যেন সেই দেখাটা, অপরাধ দেখে ফেলাটা, জাহির করাটা লজ্জার। প্রতিবাদ তো দূর অস্ত। আবার, মাঝেমাঝেই কোনও একজন মহিলা বা একদল মহিলাকে দেখিয়ে, গণপরিসরে কোনও পুরুষ স্বমেহন করেন। এটি এক পরিচিত যৌন অভ্যাস, যা নারীকে অস্বস্তিতে ফেলে, বা হয়তো অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই করা হয়। তা নিয়েএত শোরগোল হয়? ছবি বা ভিডিও প্রকাশ পেলে সেই লোকটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়? এ ব্যাপারে মেট্রোতে বা কোনও পরিবহণে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে?

অথচ ভদ্রমহিলা চুমুটি যে দেখছিলেন, সেই ‘ভয়ারিজম’ আড়াল করার কোনও প্রয়োজন তিনি দেখেননি। এলিয়ট পার্কে প্রেমিক-প্রেমিকারা চুমু খেতে বা পরস্পরকে কাছে পেতে যান। পার্কের যে প্রান্তটি ময়দান সংলগ্ন, সেখানে আইসক্রিমওয়ালা, অফিসফেরতা বাবু, বেলুনওয়ালা, দোকানদার, এমনকী গাড়িবাবুরাও ভিড় করেন প্রেমিকযুগলের মিথুনমূর্তি লাইভ দেখবেন বলে। তাঁরা নিজ নিজ শ্রেণি, বয়স ভুলে যান তখন৷ সকলেই পুরুষ। ব্লু ফিল্ম হলের মতো সেখানে অন্ধকার নেই, অথচ প্রাচীর ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে এক বেহায়া পুরুষ পৃথিবী। তাঁরাও ‘ভয়ারিজম’ লুকোন না৷ আমাদের দেশে প্রকাশ্য চুমু অমান্য কিন্তু ভয়ারিজম এক সামূহিক অভিজ্ঞতা, তার মাধ্যমে এমনকী শ্রেণি নির্বিশেষে পুং সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনও গড়ে ওঠে।

আরও পড়ুন- ঠোঁটকাটা কী করিয়া দিল Kiss-তিমাত?

মেট্রো স্টেশনের সেই ছবি বা ভিডিও নাকি ভাইরাল হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে চুমুর অশালীনতা আর চুমুর ভারতীয়ত্ব নিয়ে। তাও ভালো যে চব্বিশ সালের শেষ ভাগে এটুকুই মাত্র ঘটছে, কারণ আঠারো সালে কলকাতায় চুম্বনরত প্রেমিক-প্রেমিকাকে মেট্রো থেকে নামিয়ে পেটানো হয়েছিল। সম্মতির যৌনতাকে আমাদের দেশে শালীন মানা হয় না। অবশ্য চুমু আদৌ যৌনতা কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কামসূত্র অনুযায়ী, তা ফোরপ্লে-র অংশ হতে পারে। কিন্তু শুধু যৌনতা দিয়ে চুমুকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। চুমু মা সন্তানকে খান। চুমুতে স্নেহ মিশলে কখনও আবার তাকে বাংলায় ‘চুমো’ নামে ডাকা হয়। বিদেশি সংস্কৃতির মতো এখানে সামাজিকতা করে গালে ‘পেক’ করা হয় না বটে কিন্তু যৌনসঙ্গী ছাড়াও স্নেহ বা সখ্য বোঝাতে চুমু খাওয়া চলে। দু'জন তরুণ যৌনসঙ্গী, বা হলেও হয়ে উঠতে পারে যারা যৌনসঙ্গী, তারা যখন হাত ধরে বা চুমু খায় তখনও হয়তো তাদের মাথায় বিছানা ঘোরে না সততই। স্পর্শ তখন আত্মাকেও ছোঁয়। শুধু দেহ নয়, দেহাতীত কিছু তখন ছোঁয়া পেতে মুখিয়ে থাকে। চুম্বনে তখন নবজন্ম হয়। সেই সব প্রেমে ভুল হয়, সেই প্রেম ভাঙে। কিন্তু সে আবেগ সবসময় পঙ্কিল নয়। আবার সেই চুম্বন যদি খুব শারীরিক আর যৌনই হয়, হয় শ্লেষ্মাথুতুময়?

‘মাসান’ ছবিটির কথা মনে পড়ে। একেবারে প্রথমদিকের দৃশ্য। একটি ছেলে ও মেয়ে সস্তার হোটেলে যৌনতা করতে গিয়ে পুলিশ রেডে ধরা পড়েছে। অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাদের অপমান করছে পুলিশ। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করছে, ভদ্দরবাড়ির মেয়ে হয়ে এসব কেন? ঘাবড়ে যাওয়া মেয়েটি একটা আশ্চর্য উত্তর দেয়। ‘জিজ্ঞাসা'। মানে, অনুসন্ধিৎসা। যৌন অনুসন্ধিৎসা, একে অন্যের শরীরকে জানার আগ্রহ কি অশালীন? ছেলেটি কুৎসার ভয়ে সেই দৃশ্যেই আত্মহত্যা করে আর মেয়েটির বাবার থেকে মেয়েটির বদনাম না করার জন্য খেপে খেপে ঘুষ নেওয়া চালিয়ে যায় পুলিশ। অথচ হত্যায় প্ররোচনা আর এই ঘুষ খাওয়া অশালীন নয়, অশালীন হলো স্বেচ্ছার যৌনতা।

পাব্লিক ডিসপ্লে অফ অ্যাফেকশনের পরিণতি এসবের থেকেও ভয়ানক হতে পারে৷ ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডে মেয়েটার ক্ষুদ্রান্ত্র টেনে বের করে এনেছিল এবং রডটা বেশ কয়েকবার সামনে ও পিছনে ঢুকিয়েছিল আর বের করেছিল যে, তার নাম রাম সিং। লোকটা বলেছিল, মেয়েটার গায়ে হাত দিচ্ছিল ওর বয়ফ্রেন্ড৷ বলেছিল, বয়ফ্রেন্ড হাত দিলে রামশ্যামযদুমধু কেন নয়? রাম সিং বাদে অন্যরা বলেছিল, ধর্ষণ ছাড়া আর কোনও শারীরিক অত্যাচার তারা করেনি। কিন্তু তারা ধর্ষণ কেন করেছিল? কারণ তাদের রাম সিং করতে বলেছিল। তাদের মা আছে। বোন আছে। বউ আছে। কিন্তু যে মেয়ে রাত ন'টায় সিনেমা দেখে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ফেরে, তাকে ধর্ষণ করাই যায়, তারা ভেবেছিল, শিখেছিল৷ শুধু রাম সিংয়ের থেকে নয়, সমাজের থেকে। রাম সিংয়ের বিকৃত ‘নীতিবোধ’ তার মধ্যে ফাঁসির আগে পর্যন্ত কোনও অনুশোচনা জাগায়নি।

আমাদের চোখে যৌন শালীনতার একটা শর্ত বিবাহ, যদিও তা একমাত্র শর্ত নয়৷ বিবাহিত দম্পতিকেও কি প্রকাশ্যে চুম্বন করতে দেখেন কেউ? বউ পেটানোর চেয়ে বউয়ের প্রতি সোহাগ দেখানোর জন্য বেচারা পুরুষ মানুষকে বেশি হিম্মত দেখাতে হয়, কারণ দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তাকে স্ত্রৈণ দেগে দেওয়া হয়, প্রথমটি নায়কোচিত। সন্তানের সামনে বাবা-মা আদর করে পরস্পরকে চুমু খান না সচরাচর, তাতে নাকি শিশু মন্দ শিক্ষা পায়। অথচ সন্তানের সামনে মা-কে অপমান প্রায়শই করা হয়। মা বাবাকে জড়িয়ে ধরলে, বাবা মায়ের গাল টিপে দিলে বা পরস্পরকে চুমু খেলে সন্তান কী শেখে? আসলে সে শেখে, সুস্থ, মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে কেমন হয়৷ সে সুশিক্ষা ভিন্ন কিছু নয়।

তাহলে, দুই প্রেমাস্পদ পরস্পরকে চুম্বন করলে, আমাদের বর্তমান রেওয়াজ ও রীতি সম্ভবত চাইছে যে, তারা যেন বিবাহিত হয় কিন্তু বিবাহিত হওয়ার পরেও এসব কাজ যেন করে গোপনে। তারা স্নেহ আর প্রেম নয়, শুধু যৌন ইচ্ছা দিয়েই চুমুকে মাপছে। বেশ। কিন্তু ভারতীয় ঐতিহ্যের কথা ওঠে কেন? প্রাচীন ভারতের যৌন সংস্কৃতি না ছিল গোপন, না ছিল ইউটিলিটেরিয়ান। সন্তানপ্রসবে কাজে লাগে না যৌনতার যেসব অংশ, তা নিয়ে আমাদের যে অধুনা নাক সিঁটকানি, সেটাই আসলে ভারতীয় সংস্কৃতিবিরুদ্ধ। খাজুরাহো জুড়ে, কামসূত্র জুড়ে যৌনতা নিজেই একটি ক্রিয়া, আনন্দ, উৎসব। কেবল সন্তানের উৎস নয়। পারস্পরিক সম্মতিক্রমে যে যৌনতা ঘটে, তা শুধু শালীন নয়, বরং সুন্দর। সে সৌন্দর্য বোঝার চোখ কি ভারতীয়রা হারিয়েছে?

ভিক্টোরিয়ার আনাচে-কানাচে যে প্রেমিক-প্রেমিকা চুম্বনরত, তারা বস্তুত এক রূপক সৃষ্টি করে। যে নীতিমালা আজ আমরা বহন করি মজ্জায়, ‘আপন সংস্কৃতি’ ভাবি, তা ঔপনিবেশিক। সারা বিশ্ব তাকে ‘ভিক্টোরিয়ান নীতিমালা’ বলে ডাকে ও আধুনিক শতাব্দীতে বর্জন করে। ভাঙতে হলে, পঞ্চম জর্জ আর ভিক্টোরিয়া অক্ষম মূর্তির সামনেই সেসব নীতিমালা ভাঙা উচিত। সে নীতিমালা বিদেশি ও পশ্চাৎপদ, কোনওমতেই ভারতীয় নয়। প্রাচীন ভারতীয় যাপনের তুলনায় তা নেহাতই গ্রাম্য। খাজুরাহোতে আশ্লেষে প্রেমিক প্রেমিকাকে জড়িয়ে চুম্বন করছেন, পায়ুমৈথুন, মুখমৈথুন, সমপ্রেম সবেরই ভাস্কর্য আছে, যাকে ভিক্টোরিয়ান মরালিটি বা বাইবেল কোনওটিই শালীন মনে করে না। আজকের সবজে সালোয়ার দিদির অনুমোদনহীন দৃষ্টিকে ভারতীয় ধরব, না সেই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ভারতীয় ধরব?

আমাদের পূর্বতন আইপিসির ২৯২ থেকে ২৯৪ ধারায় ‘পাবলিক অবসিনিটি’ বলে এক পরিভাষা আছে। তাকে অপরাধ চিহ্নিত করে শাস্তির বিধান করা হয়েছে। কিন্তু এই ‘পাবলিক অবসিনিটি’ মানে কী? কাকে বলব পাবলিক অবসিনিটি, তা নির্ধারিত করে দেওয়া নেই। অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলকে এই ধারায় অভিযুক্ত করা হয় জনসমক্ষে আদর-সোহাগের জন্য। কাকে অশালীনতা বলব? এর সঙ্গে কি এক ও একমাত্র সম্মতির সম্পর্ক থাকা উচিত নয়? পথে, ঘাটে, লিফটে, পার্কে বা ঘরের কোণে, যে স্পর্শ, যে চুম্বন বিনা সম্মতিতে ঘটে, তাই কি একমাত্র অশ্লীল নয়?

এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা বলার থাকে। কোনও বিষয়কেই সাদা-কালোয় বর্ণনা করা খানিক দুষ্কর। কখনও কখনও গণপরিসরে দেখেছি, এমনকী প্রেমিকের স্পর্শে, ছোঁয়ায় প্রেমিকার অস্বস্তি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে৷ সে চাইছে না, মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, সে আড়াল চাইছে। সেটা পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। ‘না’-কে অমর্যাদা এক্ষেত্রেও করা হয়। এই মেয়েটিই হয়তো পরমুহূর্তে ওই প্রেমিকের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে, যখন পুলিশ তাদের চোখ রাঙাতে আসবে৷ তাতে তার অস্বস্তিটা মিথ্যে হয়ে যায় না৷ ‘ডেটিং ভায়োলেন্স’ বিদেশে এক বহুল প্রচলিত ব্যাধি৷ সম্মতির কম্পাস যেন প্রতিজনের মাথায় সজাগ থাকে। যেন আমরা গণপরিসরে বা ঘরে প্রেমাস্পদকেও পছন্দ না হলে ‘না’ বলতে পারি।

আরও পড়ুন- বাঙালির প্রেম ও যৌন জীবন কীভাবে বদলে দিল বিলাতিয়া চুমু?

তথাকথিত এই যৌন শালীনতার ধারণা আবার সামগ্রিকভাবেই বিষমকামকেন্দ্রিক। দু'টি প্রেমিক মেয়ে সহজেই শহরে ঘর পাবে, একজোড়া ছেলে-মেয়ে শিকার হবে অদ্ভুত এক সমালোচনামুখর দৃষ্টির৷ আবার, এক বিষমকামী দম্পতি তাও অভিসম্পাত মাথায় নিয়ে গণপরিসরে চুমু খাওয়ার সাহস যদি বা দেখয়, সে সাহস একজন রূপান্তরকামী মানুষ করলে তাকে ‘যৌনকর্মী’ ধরে নেওয়া হবে। দু'টি মেয়ে পথে চুম্বররত হলে গণপিটুনির শিকার হতে পারে৷ কী সফলভাবে এই ভয়ের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছি আমরা!

পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে পুরুষ ও নারী যখন পরস্পরকে চুম্বন করে, কিংবা নারী নারীকে, পুরুষ পুরুষকে চুম্বন করে, কিংবা রূপান্তরকামীর ঠোঁট ছোঁয় তার প্রেমাস্পদ, তখন ওষ্ঠ আর অধর নয়, পরস্পরকে ছোঁয় আসলে কাম আর প্রেম৷ রবীন্দ্রনাথই তো বলেছেন (ইয়ে, রবীন্দ্রনাথ উদ্ধৃত করা হলো বাঙালিকে আশ্বস্ত করার অন্তিম চেষ্টা),

‘স্তব্ধ হল দশ দিক নত করি আঁখি—
বন্ধ করি দিল গান যত ছিল পাখি।
শান্ত হয়ে গেল বায়ু, জলকলস্বর
মুহূর্তে থামিয়া গেল, বনের মর্মর
বনের মর্মের মাঝে মিলাইল ধীরে।
নিস্তরঙ্গ তটিনীর জনশূন্য তীরে
নিঃশব্দে নামিল আসি সায়াহ্নচ্ছায়ায়
নিস্তব্ধ গগনপ্রান্ত নির্বাক্ ধরায়।
সেইক্ষণে বাতায়নে নীরব নির্জন
আমাদের দুজনের প্রথম চুম্বন।
দিক্-দিগন্তরে বাজি উঠিল তখনি
দেবালয়ে আরতির শঙ্খঘণ্টাধ্বনি।
অনন্ত নক্ষত্রলোক উঠিল শিহরি,
আমাদের চক্ষে এল অশ্রুজল ভরি।’

রবীন্দ্রনাথ ব্যতিরেকেও, এমন দৃশ্যে মেট্রোয় বা বাজারে বা ক্যাম্পাসে বা ফুটপাথে আসলে স্বর্গ নেমে আসে। সে দৃশ্য দেখে ফেললে পথচারী এক কুচি জন্নত নিয়ে বাড়ি ফেরে। পথচারীর চোখে ঘৃণার বদলে জল আসে না কেন?

More Articles