৪জি-র থেকে দশগুণ বেশি স্পিড, ভারতকে কতটা বদলে দেবে ৫জি পরিষেবা
5G in India: ভারতের ক্ষেত্রে এই টেকনোলজি হবে বেশ দামী। অন্তত ৪জি কানেকশনের থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি দাম দিতে হবে ৫জি ব্যবহার করতে গেলে।
২৬ জুলাই থেকে ভারতে শুরু হয়ে গেছে ৫জি বিপ্লব। আল্ট্রা হাই স্পিড ইন্টারনেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভারতে আগমন হয়েছে ৫জি-র। নিলামের শুরুতেই এই ৫জি কানেকশনের ওপর আধিপত্য জমাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে সুনীল ভারতী মিত্তল, গৌতম আদানিরা। ৪জি কানেকশনের থেকে ১০ গুণ বেশি স্পিড এবং ল্যাগবিহীন কানেক্টিভিটি- এটাই এই ৫জি-র প্রধান ট্যাগলাইন। ভারতে ৫জি বিপ্লবকে মানুষের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত OnePlusও! বেশ কয়েকটি 5G পণ্য নিয়ে বাজার দখলে ঝাঁপাচ্ছে এই সংস্থা। গত কয়েক বছর ধরেই OnePlus 5G বিপ্লবের জন্য গ্রাহকদের প্রস্তুত করতে নিজস্ব ৫জি স্মার্টফোন পোর্টফোলিও তৈরি করেছে। উত্সব মরশুম শুরু হতে না হতেই OnePlus ভারতে OnePlus 10R 5G প্রাইম ব্লু সংস্করণ চালু করেছে৷
ভারতকে বিশ্বমানচিত্রে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতেই নাকি ভারতে এত দ্রুত ফাইভ-জি পরিষেবা নিয়ে আসার জন্য তৎপর ভারত সরকার। ১৬ রাউন্ড নিলামের পর ২৮ জুলাই, অর্থাৎ তৃতীয় দিনে নিলামের দর উঠেছিল ১,৪৯,৬২৩ কোটিতে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানাচ্ছেন, প্রথম দিনের নিলামেই দর উঠেছিল ১,৪৫,০০০ কোটির ঘরে, যা ২০১৫ সালের রেকর্ডকেও ভেঙে দেয়। তারপর থেকে প্রতিদিন নিলামের দর আরও বেড়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের জন্য ৫জি নিলামের চাহিদা সবথেকে বেশি। নিলাম শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই দেখা গিয়েছিল এই একই ট্রেন্ড। ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের পূর্ব উত্তরপ্রদেশ সার্কেলে ফাইভ-জি নিলামের দৌড়ে অগ্রণী জিও এবং এয়ারটেল। বাকিরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই।
লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড থেকে শুরু করে হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের জন্যও চলছে নিলাম। ভারতে এই মুহূর্তে যে সমস্ত ৫জি ব্যান্ড কার্যকর, সেগুলির মধ্যে রয়েছে 600MHz, 700 MHz, 800 MHz, 900 MHz, 1800 MHz, 2300 MHz, 2500 MHz, 3300 MHz, এবং হাই ফ্রিকোয়েন্সি 26 GHz ব্যান্ড। ভারত সরকারের দাবি, আলট্রা লো-ল্যাটেন্সি কানেকশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ৫জি পরিষেবা ভারতের ই-হেলথ, ভেহিকল কানেক্টিভিটি- সবকিছুর ক্ষেত্রেই হবে লাভজনক। তার পাশাপাশি এই ৫জি পরিষেবা ভারতীয়দের কাছে দরজা খুলে দেবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা AR, মেটাভার্স এক্সপিরিয়েন্স, লাইফ সেভিং ইউজ কেস, অ্যাডভান্সড মোবাইল ক্লাউড গেমিং- সবকিছুরই। কিন্তু, এত সহজে কি সেসবের বাস্তবায়ন সম্ভব? ভারতীয়রা কি আদৌ ৫জি-র সঠিক ব্যবহার করতে পারবে? নাকি শুধুমাত্র অধিক স্পিডে টরেন্ট থেকে ওয়েব সিরিজ ডাউনলোড করেই ক্ষান্ত থাকবে ভারতের যুবসমাজ? ভারতে যেখানে ৪জি পরিষেবার গতিই পশ্চিম বিশ্বের ৩জি-র থেকে খারাপ, সেখানে কেমন হবে ভারতের ৫জি জগৎ?
আরও পড়ুন: ৫জি-র দুনিয়ায় প্রবেশ আদানির, ফের শুরু হবে বিনামূল্যে ইন্টারনেটের দিন?
কী আসলে এই ৫জি?
ফাইভ-জি বা ফিফথ জেনারেশন বিষয়টি আসলে এলটিই বা লং টার্ম ইভোলিউশন মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সর্বশেষ আপডেটেড ভার্সন। এই কানেকশনে থাকবে অনেক বেশি ইন্টারনেট স্পিড, নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি, আলট্রা লো ল্যাটেন্সি, এবং আরও ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। এই ৫জি মূলত কাজ করে তিনটি ব্যান্ডের ক্ষেত্রে- লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড, মিডিয়াম ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড এবং হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড। এই তিনটি ব্যান্ডের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ব্যবহারকারী এবং আলাদা আলাদা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
প্রথমে আসা যাক লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের ক্ষেত্রে। এই লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড সাধারণত কাজ করে ৬০০ মেগাহার্টজ থেকে ২৫০০ মেগাহার্টজের মধ্যে এবং এই ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই ৪জি ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। দ্বিতীয়টি হলো মিডিয়াম ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড। এই ব্যান্ড কাজ করে ১.৭ গিগাহার্টজ থেকে ৪.৭ গিগাহার্টজের মধ্যে। এবং তৃতীয়টি হলো হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড। এটি মূলত কাজ করে ২৪ থেকে ৪৭ গিগাহার্টজের মধ্যে। মিডিয়াম ফ্রিকোয়েন্সি এবং হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড অনেক বেশি স্পিড দিলেও কভারেজ এরিয়া এবং সিগনালের শক্তি এক্ষেত্রে অনেকটাই কম থাকে। অন্যদিকে, স্পিড কম হলেও কভারেজ এরিয়ার দিক থেকে লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড এদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, টেলিকম সার্ভিস কোম্পানিগুলি ৫জি সার্ভিস প্রোভাইড করার ক্ষেত্রে মিডিয়াম এবং হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করতে চলেছে। এতে ৫জি ইন্টারনেটের স্পিড অনেকটাই বেশি হবে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ৫জি
ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে এই ৫জি কানেক্টিভিটি চালু করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের কানেক্টিভিটি প্রথমে চালু করা হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। তারপরে ধীরে ধীরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই কানেক্টিভিটি এবং টেকনোলজি নিয়ে কাজ শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম সংস্থা AT&T, T-MOBILE, এবং VERIZON ইতিমধ্যেই তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য ৫জি কানেক্টিভিটি নিয়ে আসার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ২০১৮ সালেই AT&T ৫জি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছিল। আর ২০২০ সালের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০টি শহরে ৫জি কানেক্টিভিটি চালু করেছিল VERIZON।
২০১৮ সালে চিনেও তাদের দেশের সবথেকে বড় টেলিকম কোম্পানি China Unicom চালু করেছিল ৫-জি কানেক্টিভিটি ফিচার। তবে সাধারণের জন্য প্রথমবার এই ৫জি নিয়ে এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। এই মুহূর্তে এশিয়ার এই সমস্ত দেশগুলিতে ৫জি অনেকটাই অগ্রগতি করেছে এবং সম্ভাবনা আছে, খুব শীঘ্রই তারা ৬জি-ও নিয়ে আসবে তাদের দেশের জন্য।
৫জি-র সুবিধা
২০২১ সালে এরিকসনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ব্যবসার পরিকাঠামোর জন্য এই ৫জি কানেক্টিভিটি হতে চলেছে একটি বরদানের মতো। যদি ভারতীয় এরকম ৫জি ডিজিটাইজেশন শুরু হয়, তাহলে আগামী ২০৩০-এর মধ্যে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত রেভিনিউ তুলতে পারবে ভারত। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় জনসাধারণের জন্য ৫জি ইন্টারনেট এতটা প্রয়োজনীয় না হলেও, ভবিষ্যতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে ভারতেও এই কানেক্টিভিটি আসা দরকার।
এরিকসন ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীতিন বনসল বলছেন, "৫জি কানেক্টিভিটি ভারতের মানুষকে অত্যন্ত উন্নতমানের কানেকশন দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিশ্বের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংযুক্ত করতে পারবে। ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ৫জি তার একেবারে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে এর মধ্যেই ভারতের গ্রাহকরা উন্নত মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিস এবং স্থায়ী ওয়ারলেস অ্যাক্সেস পেতে শুরু করেছেন। ভবিষ্যতে যদি সম্পূর্ণভাবে ভারতে ৫জি চলে আসে, তাহলে ভারতের গ্রাহকরা পাবেন আরও উন্নত ডেটা পরিষেবা।"
৫জি হলো এমন একটি কানেক্টিভিটি, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনেই দেখতে পারবেন 4K ভিডিও, ব্যবহার করা যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নানা উন্নত টেকনোলজি, এবং ব্যবহার করা যাবে বিশ্বমানের কিছু উন্নত অ্যাপ্লিকেশন এবং হাই গ্রাফিক্স গেম। ৫জি কানেক্টিভিটি ভারতে চলে এলে মোবাইলেই হয়তো আপনারা খেলতে পারবেন হাই গ্রাফিক্স মোবাইল গেম। সুরক্ষার দিক থেকেও এই ৫জি কানেক্টিভিটি অন্যান্য কানেকশনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
কতটা জনপ্রিয়তা পাবে ভারতে?
ভারতীয় গ্রাহকদের মধ্যে ৫জি কানেক্টিভিটি খুব সহজেই জনপ্রিয়তা পাবে বলে মনে করছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই ভারতের নব প্রজন্মের কাছে বেশ আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে উঠেছে ৫জি। টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই ভারতে বেশ কয়েকজন এমন রয়েছেন যারা এই ৫জি কানেকশনের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে প্রস্তুত। ভারতের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৪ কোটি মানুষ এমন রয়েছেন, যাঁরা ৫জি নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। এই নতুন সার্ভিসের কারণে ভারতে যে সমস্ত নতুন ডিজিটাল সার্ভিস আসবে, সেই সমস্ত সার্ভিস ব্যবহার করার জন্য বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক ভারতীয়।
৫জি ইন্টারনেটের গতি ব্যবহার করার থেকেও ভারতীয় জনসাধারণ বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে ৫জি ডিজিটাল সার্ভিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এরিকসন ইন্ডিয়া একটি মোবিলিটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৭ সালের শেষ দিকের মধ্যে ভারতের ৩৯ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারীর নিজেদের কানেকশন ৫জি-তে পরিবর্তন করে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে এই মুহূর্তে চালু ৪জি কানেক্টিভিটির থেকে প্রায় ১০ গুণ বেশি ইন্টারনেট স্পিড দিতে সক্ষম হবে ৫জি।
আরও পড়ুন- গৌতমকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ভাই! এবার বিশ্বসেরা ধনী হবেন বিনোদ আদানি?
ভারতে ৫জি-র ব্যবহার কি আদৌ সঠিকভাবে হবে?
এই ধরনের উন্নতমানের টেলিকম টেকনোলজির সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যবহারকারীর ওপর। কিন্তু ভারতীয়রা কি এই ৫জি কানেকশনের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন? ভারতের জনসাধারণের মধ্যে ৪জি এতটা জনপ্রিয় হয়েছিল কারণ, যে-সময় এই টেকনোলজি ভারতে এসেছিল, সেই সময় ইন্টারনেটের দাম ছিল অত্যন্ত বেশি। অনেকটা কম দামের মধ্যে অনেক বেশি কানেকশন স্পিড এবং উন্নতমানের টেলিকম পরিষেবা, সবকিছুই ভারতীয়দের কাছে নিয়ে এসেছিল ৪জি। ঠিক এই কারণেই ভারতে ৪জি টেকনোলজির কদর এত বেশি।
কিন্তু ৫জি টেকনোলজির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এরকম হবে না। ভারতের ক্ষেত্রে এই টেকনোলজি হবে বেশ দামী। অন্তত ৪জি কানেকশনের থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি দাম দিতে হবে ৫জি ব্যবহার করতে গেলে। পাশাপাশি এই টেকনোলজির আসল ব্যবহার তখনই হবে, যখন ৫জি চালাতে পারে এরকম স্মার্টফোন বাজারে আসবে। এখনও পর্যন্ত ভারতে যে সমস্ত ৫জি ফোন লঞ্চ হয়েছে, সেগুলির দাম একই রেঞ্জের ৪জি মোবাইল ফোনের প্রায় তিন থেকে চার গুণ। এই বিষয়টাও ভারতের ৫জি উন্নয়নকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। পাশাপাশি, ভারতের প্রান্তিক জনতার কাছে যেভাবে ৪জি, সেভাবে ৫জি পৌঁছতে পারবে কি না, সেই নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। জিও ফোনের মতো KaiOS নির্ভর কিছু ফিচার ফোনেও ৪জি চলার ক্ষমতা রাখত, তবে ৫জি-র ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলা চলে। তাই ভারতের ব্যবসায়িক পরিকাঠামোর উন্নয়নের ক্ষেত্রে ৫জি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, ভারতের সাধারণ মানুষ ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রে কীভাবে ৫জি-কে গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
কীভাবে সুবিধা পাবে ভারত?
নেটওয়ার্ক কানেকশন উন্নত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করবে ৫জি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং-এর মতো আধুনিক কিছু বিষয় নিয়ে আগ্রহ বাড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিজ্ঞানের ছাত্ররা আগ্রহ দেখাবেন টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই বিশেষ দিকটায়। সিস্টেমের মধ্যেই অনেক বেশি ডাটা প্রোগ্রামিং করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগেও বলেছিলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, লজিস্টিক এবং শিল্পের ক্ষেত্রে ভারতে বিপ্লব নিয়ে আসবে এই ৫জি পরিষেবা। এই নেক্সট-জেন ইন্টারনেট পরিষেবা যদি ভারতে ভালোভাবে আসে, তাহলে ডিজিটাল ক্লাসরুমের মতো অত্যাধুনিক বিষয়গুলিকে উপলব্ধি করার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রে না হলেও, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এবং পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব আসবেই। ২০১৬ সালে রিলায়েন্স জিও ভারতে ৪জি বিপ্লব নিয়ে আসার ফলে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারের একটা বড় পরিকাঠামো প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। বলতে গেলে, ভারতে ৫জি পরিকাঠামোর রাস্তা সুগম করার প্রধান কাজটা করেছিল ২০১৬ সালের ৪জি বিপ্লব, যার ওপর ভর করেই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের ইন্টারনেট ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করার স্বপ্ন নিয়ে ৫জি পরিষেবা নিয়ে আসতে চলেছে ভারত সরকার। আর এভাবেই যদি ভারতের ৫জি পথ চলতে শুরু করে তাহলে, আগামী ২০ বছরের মধ্যেই ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে।