সুতোয় ঝুলছে জীবন! ঐন্দ্রিলার জন্য আজ রাত জাগছে বাংলা

Oindrila Sharma: অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর কলমে উঠে এল কোনও অশনি সংকেতের কথা! আর এখানেই ফের ফিরে আসার শত প্রার্থনার মধ্যেই চওড়া হচ্ছে বিপদের আবহও।

'কোনওদিন এটা এখানে লিখবো ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন। কোনও চমকের জন্য প্রার্থনা করুন। কোনও অপ্রাকৃতিক কিছুর জন্য প্রার্থনা করুন! সে অমানুষিক লড়াই করছে!'

সন্ধ্যা হতেই সোশ্যাল দুনিয়ার এই একটি লেখা শোরগোল ফেলল ফের। অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর কলমে উঠে এল কোনও অশনি সংকেতের কথা! আর এখানেই ফের ফিরে আসার শত প্রার্থনার মধ্যেই চওড়া হচ্ছে বিপদের আবহও।

তাহলে কি ভালো নেই ঐন্দ্রিলা? সুতোয় ঝুলছে তাঁর লড়াকু জীবন? ফের একাধিক প্রশ্ন আর জল্পনার মধ্যেই ব্যতিব্যস্ত হচ্ছে নেটদুনিয়া। ঠিক কেমন আছেন অভিনেত্রী?

আরও পড়ুন: একাদশ শ্রেণিতে ক্যান্সার, ফুসফুসে ১৯ সেমির টিউমার! ঐন্দ্রিলা আসলে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা!

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে ঐন্দ্রিলা শর্মার। যিনি গত ১ নভেম্বর থেকে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে ভেন্টিলেশন থেকে তাঁকে বের করা হলেই ৮ নভেম্বর থেকে ফের চিন্তা বাড়ায় সংক্রমণ। বাড়ে জ্বর। নানা জটিলতায় আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। এদিকে রাতের পর রাত জাগা সব্যসাচী অধিকাংশ সময়ই প্রায় অবচেতনের প্রেমিকার সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। তাঁর হাসপাতালের শয্যার মধ্যে। আজ ফের খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে আবার অভিনেত্রীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হতে পারে। তবে তাঁকে ভেন্টিলেশনে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে কিনা, এবিষয়ে নিশ্চিত করেননি চিকিৎসকরা। এমনকি, ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি এমন থাকলে আর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

কী হয়েছিল ঐন্দ্রিলার

১ নভেম্বর। মধ্যরাতে হঠাৎ চেতনা হারান অভিনেত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ভর্তি করানো হয় ঐন্দ্রিলাকে।

২ নভেম্বর। শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হয় ঐন্দ্রিলার। তাঁকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে।

৩ নভেম্বর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দিয়ে সমস্যার শুরু হলেও বাড়তে থাকে সংক্রমণ। রক্তের সংক্রমণ ঘেরে অভিনেত্রীকে।

৬ নভেম্বর। খানিকটা আশার আলো দেখিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। রাতের দিকে আরও আশার কথা শোনান চিকিৎসকরা।

৭ নভেম্বর। ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলাকে। ভালো খবর শোনান সব্যসাচী নিজেই।

১০ নভেম্বর। আশার আলোর মধ্যেই জমে শঙ্কার মেঘ।

১১ নভেম্বর। ফের বাড়তে থাকে সংক্রমণ।

১২ নভেম্বর। আরও খারাপ হয় ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার।

১৪ নভেম্বর। ক্রমশ অবনতির দিকে পরিস্থিতি।

এখনও আশায় বুক বাঁধছেন কোটি কোটি মানুষ। ফিরবেই ঐন্দ্রিলা, এই প্রার্থনায় মশগুল সকলেই।

More Articles