ফের মোক্ষম জবাব! যেভাবে ১৫টি শহরে পাক হামলার ছক বানচাল করল ভারত

Operation Sindoor: হার্পি ড্রোন ব্যবহার করে ভারত পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ভারত রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে দেশের নানা শহরগুলিতে লক্ষ্য করে আসা ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করেছে।

পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছিল ভারত, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল 'শিশুসুলভ আচরণ' না করার জন্য"। অপারেশন সিঁদুরের আগে থেকেই প্রতিবেশী পাকিস্তান অজস্রবার সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে। আর অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের বিবিধ চেষ্টা করছে পাকিস্তান, চলছে গুলিবর্ষণ। এই অনুপ্রবেশের যোগ্য জবাব আবারও ভারত দিয়েছে, পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এলোমেলো করে দিয়েছে লহমায়। লাহোরে পাক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চুরমার করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী লাহোরের কাছে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশকে সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সূত্র। বৃহস্পতিবার সরকার জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব এবং গুজরাত সহ দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ১৫টি শহরে সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে পাকিস্তানের হামলার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করেছে ভারতের সেনা।

গত ৭ মে রাতে, পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ সহ বেশ কয়েকটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই আক্রমণ সামাল দেওয়া হয়েছিল। এখনও বহু জায়গা থেকে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হচ্ছে। সূত্র জানাচ্ছে, উন্নত জ্যামিং প্রযুক্তি এবং সমন্বিত ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করেও রাডারগুলিকে দিকভ্রান্ত করা হয়, পাক সেনার নির্দেশনা ব্যবস্থাকেও ব্যাহত করার হয় যার ফলে লক্ষ্যবস্তুর উপর বিমান প্রতিরক্ষা গ্রিড অকার্যকর হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন- কেন মাসুদ আজহার পরিবারের মৃত্যু ভারতের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ?

ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্র জানাচ্ছে, পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতটাই দুর্বল যে ভারত লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি সহ পাকিস্তানের বৃহত্তম শহরগুলিতে ড্রোন পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। "পাকিস্তান আমাদের রাডারগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার এবং ভারতকে আক্রমণ করার জন্য রাতে বিক্ষিপ্তভাবে যুদ্ধাস্ত্র পাঠিয়েছিল। তবে, বিমান বাহিনী প্রস্তুত ছিল এবং সেগুলি নামিয়ে আনে," জানিয়েছে ভারত। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্পি ড্রোন ব্যবহার করে ভারত পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ভারত রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে দেশের নানা শহরগুলিতে লক্ষ্য করে আসা ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরি সেক্টরে মর্টার এবং ভারী গোলাবারুদ ব্যবহার করে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানি গুলিবর্ষণের ফলে তিন মহিলা এবং পাঁচ শিশু সহ ষোল জন নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। নিহত এক সেনাও।

রাজনাথ সিং স্পষ্ট জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর থেমে যায়নি। রাজনাথ সিং সর্বদলীয় এক বৈঠকে বিরোধী নেতাদের জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে অপারেশন সিঁদুর এখনও 'চলমান'। পরবর্তী পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি ভারত। ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরে কোনও বেসামরিক এলাকায় হামলা হয়নি, কেবল সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলিকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে ফেলেছে পাকিস্তান। তাই ভারত দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের হামলায় ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। 

More Articles