চিপস, বার্গার, পিৎজা! সন্তানকে রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো?
Child Health: ইউনিসেফ-ইউ-এর সমীক্ষা বলছে, বিশ্বে মাত্র ১৮ শতাংশ দেশের বিদ্যালয়ে পরিবেশিত খাবার পুষ্টি-মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বাকি দেশগুলোর শিশুদের খাদ্যপরিবেশ একেবারেই সন্তোষজনক নয়।
সন্তান বায়না ধরেছে— জাঙ্ক ফুড চাই। তালিকায় একের পর এক আকর্ষণীয় নাম—পিৎজা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস। বাবা-মাও সন্তানের মুখের হাসির জন্য কিনে দিচ্ছেন সবই। কিন্তু জানেন কি, সন্তানের সাময়িক আনন্দের ভাগীদার হতে গিয়ে অজান্তেই হয়ত ঠেলে দিচ্ছেন তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ অন্ধকূপে?
ইউনিসেফ-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন “How Food Environments Are Failing Children”-এর তথ্য বলছে, ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয়ের তুলনায় অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অনেক বেশি সহজলভ্য। তাই তরুণ প্রজন্মের ঝোঁক ক্রমেই বাড়ছে জাঙ্ক ফুডের দিকে। এ ছাড়াও বিশ্বে সুপারমার্কেট, হাইপার মার্কেটের দৌলতে অস্বাস্থ্যকর অনেক কিছুই স্রেফ স্বাদগুনেই নবাগত প্রজন্মের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন
পায়রা পোষেন, পায়রা খাওয়ান? দেশে পায়রাপ্রেমীদের মধ্যে হু হু করে বাড়ছে যে রোগ
ইউনিসেফ-ইউ-এর সমীক্ষা বলছে, বিশ্বে মাত্র ১৮ শতাংশ দেশের বিদ্যালয়ে পরিবেশিত খাবার পুষ্টি-মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বাকি দেশগুলোর শিশুদের খাদ্যপরিবেশ একেবারেই সন্তোষজনক নয়।
অন্যদিকে, ২০২টি দেশের মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ দেশে জাতীয় পর্যায়ে শর্করাযুক্ত খাবার ও পানীয়ের উপর কর বা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন— অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা কেবল বর্তমানই নয়, ভবিষ্যতের জন্যও এক বিপদসংকেত। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক সমস্যা তো বটেই, মানসিক অবসাদও সৃষ্টি করছে অতিকায়ত্ব।
অতএব, কিছুক্ষণের আবদার মেটাতে সন্তানের হাতে চিপসের প্যাকেট ধরিয়ে দেওয়ার আগে ভাবতে হবে- অজান্তেই সন্তানকে রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো?
Whatsapp
