এখনই ভারত না ছাড়লে, যে শাস্তির খাঁড়া নামবে পাকিস্তানিদের উপর

India Pakistan Relation: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন, সময়সীমার পরে যাতে কোনও পাকিস্তানি নাগরিক এই দেশে না থাকতে পারেন।

পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার জন্য কড়া সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার৷ তা না মানলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। মামলা হলে তিন বছর পর্যন্ত জেল বা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় শাস্তিই হতে পারে।

SAARC ভিসার আওতাধীন পাকিস্তানিদের ২৬ এপ্রিলের মধ্যে, মেডিকেল ভিসার আওতাধীনদের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। এছাড়া অন্যান্য ১২টি ক্যাটাগরির ভিসা যেমন বাণিজ্য, সিনেমা, সাংবাদিক, সম্মেলন, পর্বতারোহী, স্টুডেন্ট, গ্রুপ ট্যুরিস্ট, তীর্থযাত্রীদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।

৪ এপ্রিল কার্যকর হওয়া ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট ২০২৫ অনুসারে, ভিসার মেয়াদ শেষ, ভিসার শর্ত লঙ্ঘন বা নিষিদ্ধ এলাকায় অনধিকার প্রবেশ করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

এই আইনে বলা হয়েছে, "যে কোনও বিদেশি, ভিসার সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর, বৈধ পাসপোর্ট বা অন্যান্য বৈধ ভ্রমণের নথি ছাড়াই যদি ভারতে থাকেন বা ভারতে প্রবেশ ও থাকার জন্য প্রাপ্ত বৈধ ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে বা এর অধীনে কোনও কাজ করেন, তাহলে ৩ এর ধারার শর্ত লঙ্ঘন করা হবে।"

বলা হয়েছে, "এই আইনের অধীন কোনও নির্দিষ্ট শাস্তির বিধান নেই। কেউ যদি এই আইনের ১৭ ও ১৯ ধারার কোনও শর্ত লঙ্ঘন করেন অথবা এই আইনের কোনও ধারাই যদি লঙ্ঘন করেন, সেই ব্যক্তির ৩ বছরের জেল অথবা তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় শাস্তি হতে পারে।"

আরও পড়ুন- ভারতের আক্রমণ আসন্ন, তৈরি পাক বাহিনী? যা জানাচ্ছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলেই মনে করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন, সময়সীমার পরে যাতে কোনও পাকিস্তানি নাগরিক এই দেশে না থাকতে পারেন। এছাড়া পাকিস্তানকে জব্দ করতে পাঁচটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতের মধ্যে অন্যতম সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা। পাকিস্তানিদের ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা। পাকিস্তানে ভারতীয় হাই কমিশন থেকে সামরিক উপদেষ্টাদের ফেরানো। এরপরই পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে সিমলা চুক্তি বাতিল-সহ আটটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে।

More Articles