জয়শঙ্করের পর এবার রাজনাথ সিংকে ফোন! মার্কিন মধ্যস্থতায় প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনা কমবে?

Pahalgam Situation: রাজনাথ সিং হেগসেথের সঙ্গে কথাবার্তায় বারেবারে যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা হলো, সন্ত্রাসবাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা বিশ্বের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে আছে আমেরিকা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এই বিষয়ে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। ফোনালাপ হয়েছে দুই নেতার। পহেলগাঁওয়ের হামলা পরবর্তী পদক্ষেপে সন্ত্রাস দমনে ভারতের পাশে থাকার কথা বলেছেন পিট হেগসেথ। রাজনাথ সিং তাঁর অবস্থান ও বক্তব্যে অনড় যে পাকিস্তান যে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে প্রশিক্ষণ দেয়, তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর একজন বর্ষীয়ান মন্ত্রী হিসেবে এটিই প্রথম সরাসরি পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত রাজনাথের। আর পিট হেগসেথ সর্বান্তকরণে নিশ্চিত করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গেই আছে। এখানে উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে সমান্তরাল কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানও। পাক প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিওর ফোন করেছিলেন। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তাঁকে ভারতকে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বাকবিতণ্ডা কমাতে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য চাপ দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জনিয়েছে, "হেগসেথ বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে মার্কিন সরকারের দৃঢ় সমর্থনের কথাই আবারও বলেছেন।" রাজনাথ সিং হেগসেথের সঙ্গে কথাবার্তায় বারেবারে যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা হলো, সন্ত্রাসবাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা বিশ্বের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে সংযমের আহ্বান জানিয়েছিল। বলেছিল, এমন সংকট নিরসনের জন্য দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনার পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

 

আরও পড়ুন- শেষ খড়কুটো ধরতে মরিয়া! ভারতের প্রত্যাঘাত এড়াতে যেভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পাকিস্তান

মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্করকেও ফোন করেছিলেন এবং এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। রুবিও জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলে ভারতকে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করেন, আর ওদিকে শাহবাজ শরিফকে ফোন করে পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করেন। সহজ কথায়, পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতে ভারত ও কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাতে নিজেকে স্থাপন করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ।

পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার অপরাধী, সমর্থক এবং পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টায় জোর দিচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সমর্থকদের 'পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত' তাড়া করবে ভারত। এই হামলার জবাব দিতে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে এই হামলা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন মোদি। ইতিমধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত দু'টি মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং পাকিস্তান নৌবাহিনী আরব সাগরে একযোগে মহড়া শুরু করেছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য প্রত্যাঘাত এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে দুই পক্ষই 'নৌ অঞ্চল' সতর্কতা জারি করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) এক সপ্তাহ ধরে চলছে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন।

More Articles