কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ ভিত্তিহীন: নির্বাচন কমিশন
Hydrogen Bomb: নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, কোনো ভোটারের নাম শুনানির সুযোগ না দিয়ে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না।
ভোট জালিয়াতি নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে সরাসরি খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। রাহুল গান্ধী আজ সকালেই (১৮ সেপ্টেম্বর) অভিযোগ করেছিলেন, ভোটার তালিকা থেকে পরিকল্পিতভাবে নাম মুছে ফেলা হচ্ছে, আর সেই প্রক্রিয়াকে রক্ষা করছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রাহুলের দাবি, এভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে এবং “ভোটচোরদের” আশ্রয় দিচ্ছে কমিশন।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে— এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন এবং ভুল। কমিশনের বক্তব্য, কোনো ভোটারের নাম অনলাইনে মুছে ফেলার সুযোগ নেই।
নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, কোনো ভোটারের নাম শুনানির সুযোগ না দিয়ে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। এই নিয়মই কার্যকর আছে।
আরও পড়ুন-মুছে ফেলা হচ্ছে বিরোধী ভোটারদের নাম! প্রমাণ সামনে আনলেন রাহুল গান্ধী
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই দিনের প্রেস কনফারেন্সে দাবি করেন, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৬,০১৮ জন ভোটারের নাম ডিজিটালি মুছে ফেলা হয়েছে। রাহুল অভিযোগ করেন, ভোটারদের নাম বাতিল করার আবেদনগুলো ফর্ম ৭ ব্যবহার করে করা হয়েছিল। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নাম মুছে ফেলার জন্য বাইরের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়।
তিনি জানান, বেশিরভাগই করা হয়েছে কংগ্রেস সমর্থিত কেন্দ্রগুলিতে এবং এসব আবেদন সফটওয়্যার সিস্টেম ব্যবহার করে করা হয়েছে। রাহুল আরও বলেন, কর্নাটক সিআইডি এ বিষয়ে ১৮টি চিঠি নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়ে তদন্ত করতে চেয়েছিল, তবে কমিশন তখন কিছুই বলেনি।
অন্যদিকে, ইসিআই বলছে, ২০২৩ সালে কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলার কিছু প্রচেষ্টা হয়েছিল, ইসিআই নিজেই এ বিষয়ে তদন্তের জন্য এফআইআর দায়ের করেছিল। ইসিআই-এর রেকর্ড অনুসারে, আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১৮ সালে বিজেপির সুভাধ গুট্টেদার এবং ২০২৩ সালে কংগ্রেসের বিআর পাতিল জয়ী হয়েছিলেন।
অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের ভিড়ে সত্যিই কোনটা বাস্তব— সেটাই এখন জানতে চায় সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ তদন্তই নাগরিকদের সেই উত্তর দিতে পারে।

Whatsapp
