দুর্গাপুর গণধর্ষণ! এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে আসছে
Durgapur Medical Student Gang Rape: আবার বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ৪০ মিনিটে হস্টেলে ফিরে আসেন। হস্টেলে গিয়ে তিনি বন্ধুদের ঘটনার কথা জানান। এরপর ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখা এক তরুণীর জীবন রাতারাতি বদলে গেল এক ভয়ংকর ঘটনার পর। দুর্গাপুরের এক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গ। নির্যাতিতা তরুণী ওড়িশার বাসিন্দা। এই ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, যার মধ্যে একজন ধৃত ছাত্রীটির সহপাঠী। আপাতত ধৃতদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৭:৫৮ মিনিটে ছাত্রী সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পরে তিনি একা কলেজে ফিরে আসেন। এরপর আবার বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ৪০ মিনিটে হস্টেলে ফিরে আসেন। হস্টেলে গিয়ে তিনি বন্ধুদের ঘটনার কথা জানান। এরপর ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বের হওয়া থেকে হস্টেলে ফিরে এসেছিলেন প্রায় দেড় ঘণ্টায় (৭:৫৮–৯:৩১)।
আরও পড়ুন
পরিসংখ্যান বনাম বাস্তব: মেয়েদের জন্য কতটা নিরাপদ কলকাতা শহর?
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন নির্যাতিতার সহপাঠীও রয়েছে। ধৃতরা এখন থানায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি। পুলিশ জানায়, অন্য আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত কি না, তা খুঁজে বের করাতে তদন্ত চলছে। কলেজ ক্যাম্পাসের আশপাশে ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহের কাজও শুরু হয়েছে।
শনিবার রাতে রাজ্য পুলিশ পৃথক একটি বিবৃতিতে জানায়, নারীর উপর নির্যাতন বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ রয়েছে, দোষীরা শাস্তি পাবেই।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে পথে নামে। তারা দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানাও ঘেরাও করে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার ও কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয়া রাহাতকরও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি লিখে দ্রুত গ্রেফতার এবং স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
অভয়ার জন্য খোলা চিঠি যে-লড়াই শুরু হয়েছিল তা এখনও থামেনি জানিস
এছাড়া, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’ও ঘটনার তদন্ত স্বচ্ছভাবে চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। গত বছর এই ফ্রন্টটি আরজি কর আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিল।
দুর্গাপুরের এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় এবং রাজ্য পুলিশ-সহ প্রশাসন ঘটনার তদন্তে জোর দিয়েছে। ড্রোন ক্যামেরায় তল্লাশি, নমুনা সংগ্রহ এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তদন্তকে আরও কার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে নারীর নিরাপত্তা, কলেজ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

Whatsapp
