হীরের পেটের মধ্যে রয়েছে আরও একটা হীরে! বিরলতম যে রত্ন ঘিরে তোলপাড় শুরু ভারতে

Rarest diamond in India : ভারতে খোঁজ মিলল বহুমূল্য হীরের, দেখতে কেমন জানেন?

‘হীরের টুকরো’ বিশেষণটুকুই ধাতুর মাহাত্ম্য বিশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট। সেই হীরেরই যদি আবার হয় বিরলতম প্রকারভেদ তবে তো মূল্য বেড়ে যায় বহুগুণ। সম্প্রতি এরকমই একটি ঘটনার সাক্ষী থেকেছে খোদ ভারতবর্ষ। বহুমূল্য বিরলতম হীরের সন্ধান মিলেছে এই দেশেই। গণমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। একটি হীরে মানেই, দাম আকাশ ছোঁয়া তার ওপর যদি হীরের পেটের মধ্যে থাকে আরও একটু হীরে তবে তার দাম গিয়ে দাঁড়ায় বহু মূল্যে। তার ওপর এটি আবার বিরলতম প্রকারভেদ।

হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, একটু হীরের পেটের মধ্যেই রয়েছে আরও একটি হীরে। সম্প্রতি, এই আশ্চর্য বহুমূল্য রত্নের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, সুরাটের একটি ফার্ম ওই হীরা আবিষ্কার করেছে। ০.৩২৮ ক্যারেট ওই বিরল ধাতুটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বিটিং হার্ট’। আসলে এই জোড়া রত্নের বড় পাথরটিকে ঝাঁকালে ভিতরে থাকা দ্বিতীয় হীরের টুকরোটা নড়ে ওঠে। ফলে আদতে চমকে দে গোটা ঘটনাটি। আর এই চমকের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ‘বিটিং হার্ট’ নামকরণ-এর আসল কারণ।

আরও পড়ুন - জলের ওপর ভাসছে পাথর! কীভাবে সম্ভব? যে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তামিলনাড়ুর মন্দিরে

যদিও গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই এই আবিষ্কারটি সম্পন্ন করেন সুরাটের সংস্থা ভি ডি গ্লোবাল-এর বিজ্ঞানীরা। তবে এই অভিনব আবিষ্কারের কথাটি প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতিই। রত্ন বিশেষজ্ঞ তথা গবেষকদের দাবি, হীরা সন্ধানের ক্ষেত্রে এ পাথর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এখনও পর্যন্ত শুধু ভারতের নিরিখে নয় গোটা বিশ্বের নিরিখে খোঁজ পাওয়া সমস্ত হীরের মধ্যে এটি বিরলতম নিদর্শন। ভি ডি গ্লোবাল সংস্থার চেয়ারম্যান বল্লভ বঘাসিয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে এই পাথরটি দেখার পরেই চমকে গিয়েছিলেন তাঁরা। যেন প্রকৃতই হার্ট বিট বেড়ে যায় ঘটনার চাঞ্চল্যে। এবং সেই থেকেই পাথরটির নাম রাখা হয় ‘বিটিং হার্ট’।

অবশ্য বিরলতম হলেও এই পাথরের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও মিলেছিল প্রায় সমগোত্রীয় একটি হীরের সন্ধান। সেই তথ্য যাচাইয়ের জন্যই ভি ডি গ্লোবালের তরফ থেকে এ পাথরটিকে ব্রিটেনের মেইডেনহেডের একটি কারখানায় পাঠানো হয়েছিল।ইতিমধ্যে সেই রিপোর্টও চলে এসেছে। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, এর আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় আবিষ্কার হয়েছিল ‘ম্যাট্রিওশকা’। আজকের ‘বিটিং হার্ট’ হল সেই ‘ম্যাট্রিওশকা’ গোত্রের হীরে। যদিও ভারতীয় কোনও সংস্থা হিসেবে এ আবিষ্কার প্রথম এবং বিরলতম। ভারতীয় হীরা বিশেষজ্ঞ সামান্থা শিবলে যিনি বিগত ত্রিশ বছর ধরে বিভিন্ন জাতের হীরে নিয়ে কাজ করছেন এমনকী তিনিও জানান এর আগে কখনওই ‘বিটিং হার্ট’-এর মতো কিছু দেখেননি তিনিও। সুতরাং ভারতের নিরিখে এ আবিষ্কার শুধু চমকপ্রদই নয় পাশাপাশি চাঞ্চল্যকরও বটে।

More Articles