আমেরিকার কৃষি-সংকটের বলি কি ভারতীয় চাল?

US-India trade war: চালের উপর শুল্ক বাড়ানোর মার্কিন হুমকি আসলে কূটনৈতিক দর কষাকষির নতুন হাতিয়ার। যাতে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (জিএম) সয়াবিন ও ভুট্টা আমদানির অনুমতি দেয়।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন ও বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাত গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে; যার প্রধান কারণ চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর বাণিজ্য যুদ্ধ। আমেরিকা চিনের আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করায়, চিন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে আমেরিকার প্রধান কৃষি পণ্য, সয়াবিন (Soybeans), ভুট্টা, এবং অন্যান্য ফসলের উপর উচ্চ হারে শুল্ক চাপায়। এই কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা তাদের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার (চিন) হারিয়ে ফেলে এবং ফসলের দাম মারাত্মকভাবে কমে যায়। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাষিরা বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতির তীব্রতা সয়াবিন চাষীদের সবচেয়ে বেশি।

এই রফতানি সংকটের পাশাপাশি ওই দেশের কৃষকদের অভিযোগ, ভারত, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশ থেকে অতিরিক্ত সস্তা চাল ও অন্যান্য কৃষি পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় বাজারে 'ডাম্পিং' পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা দেশীয় উৎপাদিত ফসলের লাভকে আরও কমিয়ে দিচ্ছে।

সরকারি হস্তক্ষেপ ও বিতর্ক

মার্কিন কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের চালের মতো কৃষিজাত পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো মার্কিন কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করা।

ট্রাম্প প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, সরকার তদন্ত করে দেখবে কোন কোন দেশ মার্কিন বাজারে কম দামে চাল পাঠাচ্ছে এবং চাষিদের অভিযোগ সত্যি হলে ভারতীয় চালের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানো হবে। ভারতীয় চাল ছাড়াও ট্রাম্প কানাডা থেকে আমদানিকৃত সারের উপরও খুব 'কঠোর শুল্ক' আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যাতে দেশে সারের উৎপাদন বাড়ানো যায়।

আরও পড়ুন

কেন নোবেল পুরস্কার চান ট্রাম্প?

এই শুল্কের হুঁশিয়ারির পাশাপাশি, কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি ও বাজার অস্থিরতা সামাল দিতে মার্কিন প্রশাসন ২০২৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘ফার্মার ব্রিজ অ্যাসিস্ট্যান্স (FBA)’ নামে ১২ বিলিয়ন ডলারের একটি আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই অর্থ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ফলে তৈরি হওয়া বাজার অস্থিরতা এবং অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়ের (আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিতে কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি) ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ‘সেতু সহায়তা’ (Bridge Payments) হিসেবে একে ব্যবহার করা হবে। মূলত ভুট্টা, সয়াবিন, গম, তুলা এবং চালের মতো প্রধান ফসল উৎপাদকদেরই এই সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সেতু সহায়তা (Bridge Payments) হলো এক প্রকার অস্থায়ী আর্থিক সহায়তা যা কোনো ব্যক্তি, পরিবার বা সংস্থাকে পরিবর্তনকালীন সময়ে (Transition Period) তাদের বর্তমান আর্থিক অবস্থা থেকে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল বা কাঙ্ক্ষিত আর্থিক অবস্থার দিকে যেতে সাহায্য করার জন্য দেওয়া হয়।

মার্কিন মিডিয়া এই শুল্কের হুমকি এবং সরকারি সহায়তা প্যাকেজকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্যনীতির ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, এই পদক্ষেপকে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনী কৌশল (Re-election Strategy) হিসেবে বিশ্লেষণ করেছে। তাদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের (যারা মূলত ট্রাম্পের সমর্থক) রাজনৈতিক সমর্থন ধরে রাখার জন্য ভারতীয় চালের উপর বাড়তি শুল্কের হুমকি এবং ১২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা। এর মাধ্যমে কৃষকদের জানান দেওয়া যে প্রেসিডেন্ট তাদের অভিযোগের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন।

মার্কিন মিডিয়া প্রশ্ন তুলেছে, ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমে শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য যুদ্ধ সৃষ্টি করেছে, তারপরে জনগণের অর্থ দিয়ে সেই যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। মিডিয়া এই পদক্ষেপকে একটি অর্থনৈতিক সমাধান হিসেবে না দেখে কৃষকদের সাময়িকভাবে শান্ত করার উদ্যোগ (Temporary Fix) হিসেবে দেখছে।

আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম এবং বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা ভারত থেকে আসা চালের ‘ডাম্পিং’ (কোনো দেশ তাদের উৎপাদিত পণ্য দেশীয় বাজারের মূল্যের চেয়ে কম দামে অন্য দেশের বাজারে বিক্রি করে) এর যে অভিযোগ, তার সত্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের যুক্তি হলো, ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রিমিয়াম বাসমতি চালের দাম সাধারণত সস্তা হয় না, আর নন বাসমতি চালের ক্ষেত্রে ভারতের রফতানি খুবই সামান্য অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায়, তাই শুল্কের অর্থনৈতিক প্রভাব খুবই কম হবে। আসলে শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য অর্থনীতি রক্ষা করা নয়, বরং কূটনৈতিক আলোচনার টেবিলে চাপ সৃষ্টি করাই (Creating Leverage) ছিল প্রধান রাজনৈতিক লক্ষ্য।

এই শুল্কের হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এল যখন ভারত ও কানাডা উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্থিতিশীল বাণিজ্য সম্পর্ক নিশ্চিত করতে চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর বাণিজ্য বাধা এবং অন্যান্য কারণে ৫০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। যদিও সাম্প্রতিককালে কিছু কৃষি পণ্যের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে, তবুও সার্বিকভাবে বাণিজ্য আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি। মোটকথা, মার্কিন কৃষকদের পক্ষ থেকে আসা চাপের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ডাম্পিং’-এর অভিযোগটিকে হাতিয়ার করে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

ভারতের জন্য কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের হুমকি আপাতদৃষ্টিতে একটি রাজনৈতিক চমক (Political Gimmick) মনে হলেও, এটি ভারতকে অর্থনৈতিক আঘাতের চেয়ে বেশি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই শুল্ক কার্যকর হলে বাসমতি চালের দাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহুগুণ বেড়ে যাবে, যার ফলে ভারতীয় বাসমতি চাল মার্কিন বাজারে পাকিস্তান বা অন্য দেশের প্রিমিয়াম চালের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে যাবে এবং ভারতীয় রফতানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে, সাধারণ নন-বাসমতি চালের রফতানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর অংশ নগণ্য হওয়ায়, মোট চাল রফতানির পরিমাণে বড় কোনো ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা কম।

তবে চাল আমদানির উপর শুল্ক আরোপ দীর্ঘমেয়াদে ভারতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চালের উপর শুল্ক বাড়ানোর মার্কিন হুমকি আসলে কূটনৈতিক দর কষাকষির নতুন হাতিয়ার। এর সাহায্যে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (জিএম) সয়াবিন ও ভুট্টা আমদানির অনুমতি দেয়। এই পরিস্থিতিতে ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি দু’ভাবে প্রভাবিত হতে পারে: প্রথমত, যদি ভারত এই সস্তা জিএম পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে দেশের খাদ্য ও পশুখাদ্য বাজার বিদেশি পণ্যে ভরে উঠবে। এর ফলে ভারতের সয়াবিন ও ভুট্টা উৎপাদনকারী কৃষকরা তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, যা গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য হবে এক বড় ধাক্কা। দ্বিতীয়ত, যদি ভারত খাদ্য নিরাপত্তা ও স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় অনমনীয় থাকে এবং জিএম পণ্য আমদানির অনুমতি না দেয়, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে বাসমতি চাল ছাড়াও চিংড়ি, বস্ত্র, রত্ন ও গহনার মতো অন্যান্য ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপরও শুল্ক বাড়াতে পারে।

ভারতের পাল্টা কৌশল

মার্কিন প্রশাসনের শুল্ক হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিতর্কগুলিতে সংযত ও সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জকে ভারত অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়ে বেশি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে এবং সেই অনুযায়ী সুচিন্তিত কৌশল গ্রহণ করছে। আলোচনার মাধ্যমে চাপ সামলানো এই কৌশলের মূল ভিত্তি। ভারত সরকার বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় না, তাই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আলোচনার পথ খোলা রেখেছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিচ্ছে। তবে ভারত এই বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-এর নীতি ও নিয়মগুলির প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে শুল্ক আরোপ করলে ভারতও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে অথবা WTO-তে আইনি চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন

উন্মত্ত ট্রাম্পের মাদকবিরোধী অভিযান ভেনেজুয়েলায়! মার্কিন মিডিয়া চুপ কেন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর জিএম পণ্যের চাপ ঠেকাতে ভারত দীর্ঘমেয়াদী কৌশল গ্রহণ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ায় ভারত সচেতনভাবে চাল রফতানি জন্য বিকল্প বাজারের খোঁজ করছে। দেশের সরকার মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাজারে (যেগুলি বাসমতি ও নন-বাসমতি উভয় প্রকার চালের প্রধান আমদানিকারক) আরও মনোযোগ দিয়েছে। ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো বড় আমদানিকারকদের সঙ্গে ভারত সরকার দীর্ঘমেয়াদী সরকারি চুক্তি (গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট) নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যাতে করে কোনো একটি দেশের বাজারের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা না থাকে।

পাশাপাশি, পাল্টা কৌশলগত ব্যবস্থা (Strategic Counter-measure) হিসেবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করলে ভারতও বাণিজ্য নীতির আওতায় নির্বাচিত আমেরিকান পণ্যের উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক (Retaliatory Tariffs) আরোপের কথা বিবেচনা করতে পারে। এই পাল্টা শুল্ক সাধারণত এমন মার্কিন পণ্যের (যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর আপেল বা বাদাম) উপর চাপানো হবে, যা ভারতের বাজারে সহজেই অন্য দেশ থেকে আমদানি করা যায়। এছাড়াও, সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিগুলিকে ভারত সরকার একটি শক্তিশালী দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে কেউ কেউ পরামর্শ দেন। তবে এই বিষয়ে ভারত অত্যন্ত সতর্ক, কারণ ভারতের সামরিক আধুনিকীকরণ এবং সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য অত্যাধুনিক মার্কিন প্রযুক্তির প্রয়োজন। শুধুমাত্র একটি কৃষি বা শুল্ক বিরোধের জন্য সামরিক চুক্তি বাতিল করলে তা ভারত-মার্কিন দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং দেশের সামরিক প্রস্তুতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ভারত সরাসরি এই চরম পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক।

ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে সৃষ্ট কৃষি-সংকটের ক্ষতিপূরণ (সেতু সহায়তা) শেষ পর্যন্ত ভারতীয় চালের ওপর শুল্ক বসিয়ে উসুল করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপকে মার্কিন মিডিয়া রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে দেখলেও, ভারত সরকার সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। একদিকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাইছে, অন্যদিকে বাণিজ্যিক বহুমুখীকরণ ও পালটা শুল্কের প্রস্তুতি নিয়ে কঠোর দর কষাকষির মাধ্যমে জিএম পণ্যের চাপ প্রতিহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত জিএম (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড) সয়াবিনের জন্য দরজা খুলে দেয় কিনা। যদি কোনো বাণিজ্যিক সমঝোতা না হয়, তবে এই মতবিরোধের নিষ্পত্তি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-এর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে হবে। মূলত এই সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ক কোন পথে এগোয়, সেদিকেই নজর থাকবে।

More Articles