কেন তরুণ প্রজন্ম বারবার পেশা বদলাচ্ছে? দায়ী কে?

Gen Z Switiching jobs: বিদেশেও অফিস পলিটিক্স আছে, কিন্তু সেখানে শক্তিশালী নীতি, আইনি সুরক্ষা ও স্বচ্ছ পারফরম্যান্স ভিত্তিক ব্যবস্থার কারণে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত।

AG


ভারতে কর্মসংস্থানের মানচিত্র ক্রমশ বদলাচ্ছে। একসময় যেখানে একটি সরকারি চাকরি বা দীর্ঘমেয়াদি কর্পোরেট পদই ছিল সাফল্যের প্রতীক, সেখানে আজকের তরুণ প্রজন্ম বারবার পেশা বদল করে নতুন অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং আত্মতৃপ্তি খুঁজছে। এই প্রবণতা শুধু ভারতের নয়, বিশ্বব্যাপীই এই ঘটনা ঘটছে। গত প্রজন্মে কর্মজীবনের মূল মাপকাঠি ছিল স্থায়িত্ব। সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক চাকরি ধরে রেখে সারা জীবন কাটিয়ে দেওয়া ছিল গর্বের বিষয়। ২৫ থেকে ৩৫ বছরের তরুণদের একটি বড় অংশ তিন থেকে পাঁচ বছর অন্তর পেশা বদল করছে। লিঙ্কডিনের একটি সমীক্ষা (২০২১) অনুযায়ী, ভারতের মিলেনিয়াল ও জেন জেড বা 'জেন জি' কর্মীদের মধ্যে প্রায় ৫৪% তিন বছরের মধ্যে চাকরি পরিবর্তন করেছে। এই সংখ্যা আগের প্রজন্মের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। কেন এই পরিবর্তন?

১৯৯১-এর অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর থেকে ভারতীয় অর্থনীতিতে নতুন ধারা প্রবেশ করে। বহুজাতিক সংস্থা, আইটি শিল্প এবং পরে স্টার্ট-আপ কালচার, সব মিলিয়ে কর্মক্ষেত্রে স্থায়িত্বের ধারণা ভাঙতে শুরু করে। ভারতের গিগ ইকনমি বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল। নীতি আয়োগের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে ভারতে গিগ কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২.৩ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ফুড ডেলিভারি থেকে শুরু করে টেক প্রজেক্ট, প্রায় সর্বত্র অস্থায়ী কাজের সুযোগ বাড়ছে। একইসঙ্গে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে বা গুরগাঁওকে ঘিরে স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম তৈরি হওয়ায় তরুণরা কর্পোরেটের নির্দিষ্ট ছকে আটকে না থেকে ঝুঁকি নিতে এবং নতুন কিছু চেষ্টা করতে আগ্রহী হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি এই রূপান্তরকে আরও গতি দিয়েছে। হঠাৎ করেই রিমোট ওয়ার্ক এবং অনলাইন সহযোগিতা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এর ফলে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা ভেঙে তরুণরা এখন বৈশ্বিক চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে। লিঙ্কডিন বা আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্ম তাদের হাতে এনে দিয়েছে নতুন দিগন্ত।

২০২০-২০২১ অর্থনৈতিক সালে যেখানে গিগ শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৭৭ লাখ, ২০২৪-২০২৫-অর্থনৈতিক সালে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.২ কোটি। শুধু ডেলিভারি বা রাইড শেয়ার নয়, কর্পোরেট স্তরেও হোয়াইট-কলার গিগ কাজ বাড়ছে। ফ্লেক্সিং আইটির রিপোর্ট বলছে, ২০২৫ সালে হোয়াইট-কলার গিগে ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, যা আগের গড় বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ। প্রসঙ্গত হোয়াইট কলার গিগ হলো এমন ধরনের চুক্তিভিত্তিক কাজ, যেখানে শারীরিক পরিশ্রমের বদলে জ্ঞান ও দক্ষতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো সাধারণত কর্পোরেট বা পেশাদারি ক্ষেত্রে দেখা যায়। যেমন আইটি প্রজেক্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনসালটিং বা ডাটা অ্যানালাইসিস। স্থায়ী চাকরির বদলে নির্দিষ্ট সময় বা প্রজেক্টের জন্য এই ধরনের কাজ করা হয়, আর এ কারণেই এগুলিকে গিগ ইকোনমির হোয়াইট কলার অংশ বলা হয়। গুরগাঁও বা বেঙ্গালুরুর মতো শহরে আজ অনেক তরুণ স্বেচ্ছায় স্থায়ী চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং বা স্বল্প সময়ের চুক্তির কাজ করছে। কারণ সেখানে তাঁরা স্বাধীনতা ও বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।

আরও পড়ুন- জীবন চালাতে বাছতে হচ্ছে যৌনকর্মীর পেশাও! কেমন আছেন দেশের সাড়ে ৫ কোটি বিধবা?

অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রেও গিগ ইকনমি বড় ভূমিকা রাখছে। আগে যে সব অদৃশ্য বা অনানুষ্ঠানিক শ্রম অগণিত থেকে যেত, তা আজ প্ল্যাটফর্ম-ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের কারণে গিগ কর্মীরা আজ লোন বা বিমার মতো আর্থিক সেবা পাচ্ছে। তবু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। মহারাষ্ট্র সরকার গিগ শ্রমিকদের জন্য আলাদা ওয়েলফেরার বোর্ড গঠনের কথা ভাবছে। যেখানে পাওয়া যাবে দুর্ঘটনা বিমা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মেডিক্যাল সুবিধা। কর্ণাটকেও গিগ শ্রমিকদের জন্য আইন পাস হয়েছে, যেখানে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কভারেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবুও দেশের অধিকাংশ গিগ কর্মীর কাছে সামাজিক নিরাপত্তা এখনও অধরা।

সাম্প্রতিক টিমলিজ জবস অ্যান্ড স্যালারিস প্রাইমার ২০২৪ অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি তরুণ পেশাজীবী চাকরি বদল করছে আইটি-আইটিইএস, স্টার্ট-আপ, ই-কমার্স ও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস খাতে। আইটি সেক্টরে বিশেষত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডেটা সায়েন্স আর সাইবার সিকিউরিটি পদের দিকে ঝোঁক বাড়ছে। ন্যাসকমের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে আইটি-আইটিইএস খাতে প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী এক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান বদল করেছেন, যা বিশ্ব গড়ের দ্বিগুণ।

ইনক৪২ স্টার্টআপ ওয়ার্কফোর্স রিপোর্ট ২০২৩ জানাচ্ছে, ভারতের প্রায় ৪৮ শতাংশ মিলেনিয়াল কর্মী প্রচলিত কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে স্টার্ট-আপ বা ছোট উদ্যোগে যোগ দিয়েছেন, যেখানে তাঁরা বেশি স্বাধীনতা ও দ্রুত ক্যারিয়ার গ্রোথ পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে কনটেন্ট ক্রিয়েশনও এক নতুন প্রবণতা।কেপিএমজি ইন্ডিয়া অনুমান করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ৮ কোটি মানুষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে সক্রিয় হবেন, যাঁদের বড় অংশই তরুণ প্রজন্মের। বিশেষত ব্লগিং, ভ্লগিং, গেমিং স্ট্রিমিং এবং ইনস্টাগ্রাম-ইউটিউব ভিত্তিক কাজের দিকে উল্লেখযোগ্য ঝোঁক তৈরি হয়েছে। ফুড, ট্রাভেল আর লাইফস্টাইল কনটেন্টে ভারতের ইউটিউব ভিউয়ারশিপ ২০২২-২৩ সালে প্রায় ৩.৫ গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে, কিছু তরুণ আবার ছোট ব্যবসা বা স্বনির্ভর পেশায় যাচ্ছেন। ফিক্কি সার্ভে ২০২৩ অনুযায়ী, ভারতের নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ খাদ্য-সংক্রান্ত উদ্যোগে (ফুড ট্রাক, ক্লাউড কিচেন, ক্যাফে) কাজ শুরু করেছেন, যা কম বিনিয়োগে বেশি স্বাধীনতার সুযোগ দিচ্ছে।

আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে কাজ কেবল জীবিকা নির্বাহের উপায় নয়, বরং আত্মপরিচয়ের এক প্রধান অঙ্গ। একঘেয়ে ও অর্থহীন কাজের মধ্যে তাঁরা নিজেকে খুঁজে পায় না। মনোবিজ্ঞানী এরিক এরিকসনের মতে, তরুণ বয়সে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো আমি কে? আর এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জায়গা হয়ে উঠেছে পেশা। ফলে কাজের মধ্যে যদি ব্যক্তিগত মূল্যবোধ বা স্বপ্নের প্রতিফলন না মেলে, তবে তরুণরা সহজেই পথ বদলায়। তাঁদের কাছে পেশা পরিবর্তন কোনো পালানো নয়, বরং নিজের প্রকৃত পরিচয়ের সন্ধান। স্ব-নির্ধারণ তত্ত্বও এই প্রবণতার পেছনে শক্ত ভিত্তি দেয়। মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে কোনো কাজে টিকে থাকতে হলে তিনটি মানসিক চাহিদা পূরণ হওয়া দরকার—স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ, নিজের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ এবং অর্থবহ সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ। গিগ ইকনমি বা স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিতে এই তিনটি দিকই অনেক বেশি স্পষ্ট। কিন্তু যখন কোনো চাকরিতে এই উপাদানগুলো অনুপস্থিত থাকে, তরুণরা দ্রুত অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠে। তাই চাকরি বদল তাদের কাছে এক প্রকার মানসিক ভারসাম্য রক্ষার পথ।

ভারতের তরুণদের মধ্যে আরও একটি মানসিক প্রবণতা স্পষ্ট, গ্রোথ মাইন্ডসেট বা উন্নতির মনোভাব। একই জায়গায় বারবার একই কাজ করলে তাঁরা শেখার সুযোগ হারায়, আর তাতেই তৈরি হয় স্থবিরতার বোধ। সামাজিক তুলনাও এখানে বড় ভূমিকা রাখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সহপাঠী বা বন্ধুরা যখন দ্রুত সাফল্য পায়, বিদেশে যায়, কিংবা স্টার্ট-আপ শুরু করে, তখন অনেকেই নিজের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই তুলনা থেকে জন্ম নেয় এক ধরনের অস্থিরতা, যা পেশা বদলের প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে পরিবর্তন কেবল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং সামাজিক চাপের প্রতিফলনও।

ভারতের কর্মপরিবেশে এক কঠিন বাস্তবতা স্পষ্ট। অতিরিক্ত কাজের চাপ, তুলনামূলকভাবে কম মাইনে, আর কর্মস্থলে হেনস্থার মতো সমস্যা। আইএলএ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে কর্মীরা গড়ে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, যা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় অনেক দীর্ঘ। অথচ আয় সেই তুলনায় কম। তথ্য বলছে, দেশের শীর্ষ ১০ শতাংশ মানুষ জাতীয় আয়ের ৭৭ শতাংশ ভোগ করে, ফলে সাধারণ কর্মীরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন-এর সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় ৩৮ শতাংশ কর্মী কর্মস্থলে মানসিক বা মৌখিক হেনস্থার শিকার। এই অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতেই নতুন প্রজন্ম দীর্ঘ সময় একই প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকতে রাজি নয়। তাঁরা ভালো মাইনে, সম্মানজনক পরিবেশ এবং মানসিক নিরাপত্তার খোঁজে বারবার চাকরি পরিবর্তন করছে। ফলে একদিকে পুরোনো কর্মসংস্কৃতির সংকট স্পষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে তরুণদের পেশা বদলের প্রবণতা যেন নীরব প্রতিবাদ হিসেবেই প্রতিফলিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন- যেতে হবে না বৃদ্ধাশ্রম, নিঃসঙ্গতা কাটবে বাড়িতেই, ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে এই অভিনব পেশা

ভারতে অফিস পলিটিক্স কর্মসংস্কৃতির এক বাস্তব রূপ, যা সরকারি-বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে চোখে পড়ে। তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মী মনে করেন অফিসে গোষ্ঠীবাজি, পক্ষপাতিত্ব ও লবি তাঁদের কাজের পরিবেশকে প্রভাবিত করে। বিদেশেও অফিস পলিটিক্স আছে, কিন্তু সেখানে শক্তিশালী নীতি, আইনি সুরক্ষা ও স্বচ্ছ পারফরম্যান্স ভিত্তিক ব্যবস্থার কারণে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত। ভারতে এখনও সামাজিক সম্পর্ক, আঞ্চলিকতা কিংবা সিনিয়রিটির ভিত্তিতে পদোন্নতি বা সুযোগ নির্ধারিত হয়, যেখানে বিদেশে কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়া বেশি গুরুত্ব পায়।

পশ্চিমা দেশগুলোতে চাকরি বদলের প্রবণতা নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে একজন কর্মী জীবনে প্রায় ১২ বার চাকরি বদল করেন। ইউরোপেও মিলেনিয়াল ও জেন জেড প্রজন্ম একই পথে হাঁটছে। জাপানে একসময় আজীবন চাকরি সংস্কৃতি শক্তিশালী ছিল, বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ফলে সেখানেও স্থায়িত্বের বদলে পরিবর্তনের ধারা স্পষ্ট হচ্ছে। ভারতে এই প্রবণতা তুলনামূলকভাবে নতুন, কিন্তু সাম্প্রতিক দশকে গিগ ইকনমি, স্টার্ট-আপ কালচার ও ডিজিটাল সুযোগের কারণে দ্রুত বেড়ে চলেছে, অনেকটা বৈশ্বিক ধারা মেনে। বারবার চাকরি বদলের এক অন্ধকার দিকও রয়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। ঘন ঘন চাকরি বদল করলে প্রথমত কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি দক্ষতা তৈরি ও গভীর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ব্যাহত হয়। এতে তাঁরা স্বল্পমেয়াদে বেশি বেতন পেলেও দীর্ঘমেয়াদে নেতৃত্বের পদে পৌঁছাতে অসুবিধা হয়। নিয়োগদাতারা অনেক সময় এই অভ্যাসকে অস্থিরতা বা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা হিসেবে দেখে, ফলে ভবিষ্যতের বড় চাকরির সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। আবার আর্থিক দিক থেকেও সমস্যা তৈরি হয়। অবসরভাতা সঞ্চয়ের মতো দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা থেকে তরুণরা বঞ্চিত হয়। মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় আরও বলা হচ্ছে, একের পর এক চাকরি বদলের ফলে নিরাপত্তাহীনতা ও পরিচয়ের সংকট তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে। সব মিলিয়ে, আজকের প্রজন্ম হয়তো বেশি স্বাধীনতা খুঁজে পাচ্ছে, কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর ফল হতে পারে অনিশ্চিত কেরিয়ার, দুর্বল আর্থিক ভিত্তি এবং মানসিক অস্থিরতা।

More Articles