এই শীতে ফিরছে কোভিড! বিশ্বজুড়ে আশঙ্কা উস্কে কী জানাল হু?
Covid JN.1 subvariant cases Rise : কেবলমাত্র কোভিড-১৯ ভাইরাসটিই নয়; ইনফ্লুয়েঞ্জা, অন্যান্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ারও বিবর্তন হচ্ছে।
বছর পেরিয়ে গিয়েছে, স্বাভাবিক যাপনে আবার স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠেছে মানুষ। কিন্তু শ্বাসযন্ত্রের রোগের বৃদ্ধি এবং নতুন JN.1 COVID সাব-ভেরিয়েন্টের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমান করা হচ্ছে, ভাইরাস চরিত্র পাল্টে নিজেকে ফের তৈরি করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO বলেছে, ভাইরাসটি পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে সদস্য দেশগুলিকে পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এই ভাইরাসের সাম্প্রতিক বৃদ্ধির কারণ এবং কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে তা নিয়ে একটি স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন।
কেরখোভ শ্বাসযন্ত্রের রোগের বর্তমান বৃদ্ধি, COVID19 এবং JN.1 সাবভেরিয়েন্ট সম্পর্কে কথা বলেছেন বিশদে। মারিয়া ভ্যান কেরখোভ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, বেশ কয়েকটি প্যাথোজেন সারা বিশ্বে শ্বাসযন্ত্রের রোগের বৃদ্ধি ঘটয়ে চলেছে। COVID 19, ফ্লু, রাইনোভাইরাস, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য SARS-CoV-2 সহ বেশ কয়েকটি প্যাথোজেনের কারণে বিশ্বজুড়ে শ্বাসযন্ত্রের রোগ বাড়ছে। JN.1 (BA.2.86-এর সাবভেরিয়েন্ট) একটি VOI এবং এর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কেরখোভ বলছেন, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি একাধিক কারণে ঘটেছে। এর মধ্যে ছুটির মরসুমে বাড়তে থাকা জমায়েত এবং অন্যান্য সংক্রমণও রয়েছে।
কেবলমাত্র কোভিড-১৯ ভাইরাসটিই নয়; ইনফ্লুয়েঞ্জা, অন্যান্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ারও বিবর্তন হচ্ছে। শীতের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে এবং নানা উৎসবে, আয়োজনে মানুষ জড়ো হতে শুরু করেছেন। এই ধরনের জমায়েত অনেকেরই বাড়িতে বন্ধ দরজার ভিতরে হচ্ছে, বাড়ির মধ্যে বায়ুচলাচল কম হয়। ফলে এই প্যাথোজেনগুলি যেগুলি মানুষের মধ্যে এবং বাতাসের মাধ্যমে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, তাদের সংক্রমণের সুযোগ বাড়বে অনেকটাই।
আরও পড়ুন- চিনে নিউমোনিয়ার কবলে হাজার হাজার শিশু, করোনার পরে নতুন মহমারীর মুখে বিশ্ব?
কেরখোভের ব্যাখ্যা, কোভিড নতুন করে বাড়ছে কারণ ভাইরাসটি বিকশিত হচ্ছে। বর্তমান সংক্রমণগুলির মধ্যে ৬৮ শতাংশ হচ্ছে XBB সাবলাইনেজ এবং JN.1। কিছু দেশে, আমাদের এই XBB সাবলাইনেজ রয়েছে যা এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ৬৮ শতাংশ। BA.2.86, বিশেষত JN.1 উপসর্গবিহীন সংক্রমণ ঘটায় এবং ধীরে ধীরে মারাত্মক হয়ে যায়।
কোভিডের টিকা নেওয়ার এবং সংক্রমণের ক্ষেত্রে অন্যান্য সাধারণ চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছে হু। ইতিমধ্যেই কেরলে COVID-এর JN.1 সাবভেরিয়েন্টের একটি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG) নিয়মিত নজরদারি চালাতে গিয়েই এই সংক্রমণের সন্ধান পায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা শুরু করেছে। জনস্বাস্থ্য এবং হাসপাতালের প্রস্তুতির মূল্যায়ন করতে রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক মক ড্রিল চলছে। কেরলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণগুলি মারাত্মক নয় বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই নতুন করে ছড়িয়ে পড়া কোভিড সংক্রমণগুলির লক্ষণগুলির কী কী? জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং কিছু ক্ষেত্রে হালকা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ রোগীরই লক্ষণ হালকা। সাধারণত চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই সেরে যায়।